Class 10 Bengali

দশম শ্রেণি বাংলা প্রলয়োল্লাস কবিতা প্রশ্ন ও উত্তর 

|প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটি যে-কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, তা হল-

(ক) অগ্নিবীণা

(খ) সর্বহারা

(গ) ফণীমনসা

(ঘ) বাড়

উত্তর:-অগ্নিবীণা

২ |প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটির প্রকাশকাল হল-

(ক) ১৯২২ খ্রিস্টাব্দ

(খ) ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ

(গ) ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ

(ঘ) ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ

উত্তর:-১৯২২ খ্রিস্টাব্দ

৩ |তোরা সব ______কর’। (শূন্যস্থান)

(ক) বিদ্রোহ

(খ) প্রলয় নাচন

(গ) জয়ধ্বনি

(ঘ) সৃজন-বেদন

উত্তর:-জয়ধ্বনি

৪ |কবি ‘নূতনের কেতন’ বলেছেন-

(ক)দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা-কে

(খ)অট্টরোলের হট্টগোল-কে

(গ)বিশ্বমায়ের আসন-কে

(ঘ)কালবোশেখির ঝড়-কে

উত্তর:-কালবোশেখির ঝড়-কে

৫ |’প্রলয়োল্লাস’ শব্দের অর্থ হল-

(ক)ধ্বংসের আনন্দ

(খ)রথঘর্ঘর

(গ)ভয়ংকরের চণ্ডরূপ

(ঘ)দিগন্তরের কাঁদন

উত্তর:-ধ্বংসের আনন্দ

৬ |’প্রলয়োল্লাস’ কবিতাটির মুখ্য উপজীব্য হল-

(ক)প্রলয়

(খ)বিপ্লববাদ

(গ)যুদ্ধ

(ঘ)সহমর্মিতা

উত্তর:-বিপ্লববাদ

৭ |কবি ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় আসন্ন প্রলয় সম্পর্কে যে-বিশেষণটি ব্যবহার করেননি, সেটি হল-

(ক)অসহায়

(খ)অনাগত

(গ)ভয়ংকর

(ঘ)চিরসুন্দর

উত্তর:-অসহায়

৮ |অনাগত প্রলয় যেখানে ধমক হেনে আগল ভাঙল, তা হল-

(ক)বিশ্বমায়ের আসন

(খ)সপ্ত মহাসিন্ধু

(গ)সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে

(ঘ)নীল খিলানে

উত্তর:-সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে

৯ |ভয়ংকর আসছে-

(ক)কেশের দোলায় ঝাপটা মেরে

(খ)বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে

(গ)অরুণ হেসে করুণ বেশে

(ঘ)আসছে হেসে মধুর হেসে

উত্তর:-বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে

১০ |ঝামর’ শব্দের অর্থ হল-

(ক)আলুথালু

(খ)ঝটকা

(গ)কৃষ্ণবর্ণ

(ঘ)গভীর

উত্তর:-কৃষ্ণবর্ণ

১১ |ধূমকেতুকে ‘জ্বালামুখী’ বলার কারণ হল-

(ক)ধূমকেতুর পুচ্ছটি ধূম্রনির্মিত

(খ)ধূমকেতু আগুন উদ্গিরণ করে

(গ)ধূমকেতু সব কিছু পুড়িয়ে দেয়

(ঘ)ধূমকেতু নিজে পুড়ে যায়

উত্তর:-ধূমকেতুর পুচ্ছটি ধূম্রনির্মিত

১২ |’কৃপাণ’ শব্দটির অর্থ হল-

(ক)কিপটে

(খ)তরবারি

(গ)ছোরা

(ঘ)ঢাল

উত্তর:-ছোরা

১৩ |চরাচর স্তব্ধ হওয়ার কারণ-

(ক)দিগন্তরের কাঁদন

(খ)জগৎজুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে

(গ)দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যূপে

(ঘ)অট্টরোলের হট্টগোলে

উত্তর:-অট্টরোলের হট্টগোলে

১৪ |’সপ্ত মহাসিন্ধু দোলে/কপোলতলে!’-‘কপোল’ শব্দের অর্থ হল-

(ক)কপাল

(খ)গাল

(গ)পায়রা

(ঘ)কপূর

উত্তর:-গাল

১৫ |মাভৈঃ মাভৈঃ’ ধ্বনির তাৎপর্য হল-

(ক)ভয় না-পেয়ে এগিয়ে চলো

(খ)ভয়ের কথা ভেব না

(গ)যুদ্ধে জয়ী হও

(ঘ)মা-কে সর্বদা ভক্তি করো

উত্তর:-ভয় না-পেয়ে এগিয়ে চলো

১৬ |’মুমূর্ষু শব্দের একটি প্রতিশব্দ হল-

(ক)অসুস্থ

(খ)উপবাসী

(গ)অর্ধমৃত

(ঘ)ভয়ংকর

উত্তর:-অর্ধমৃত

১৭ |’প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘শিশু-চাঁদ’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

(ক)ছোটো চাঁদ

(খ)সদ্য উদিত চাঁদ

(গ)চাঁদের সন্তান

(ঘ)চাঁদের মতো সুন্দর শিশু

উত্তর:-সদ্য উদিত চাঁদ

১৮ |উল্কা ছুটায় নীল খিলানে।’- ‘নীল খিলান’ বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে-

(ক)গাছপালাকে

(খ)আকাশকে

(গ)প্রাসাদকে

(ঘ)মন্দিরকে

উত্তর:-আকাশকে

১৯ |’প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘রথঘর্ঘর’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

(ক)রথ ভেঙে পড়ার শব্দ

(খ)বজ্রপাতের শব্দ

(গ)রথের চাকায় ঘর্ষণের শব্দ

(ঘ)রথে চড়ে যুদ্ধের শব্দ

উত্তর:-রথের চাকায় ঘর্ষণের শব্দ

২০ |জীবনহারা অ-সুন্দরে করতে ছেদন!! কে আসছে?

(ক)নবীন

(খ)চিরসুন্দর

(গ)মহাকাল-সারথি

(ঘ)মুমূর্ষু

উত্তর:-নবীন

২১ |যে ‘ভেঙে আবার গড়তে জানে’ তার নাম হল-

(ক)প্রলয়-নেশার নৃত্যপাগল

(খ)জ্বালামুখী ধূমকেতু

(গ)বিশ্বমাতা

(ঘ)চিরসুন্দর

উত্তর:-চিরসুন্দর

২২ |বধূদের যা তুলে ধরতে বলা হয়েছে, তা হল-

(ক)চাবুক

(খ)মশাল

(গ)প্রদীপ

(ঘ)কৃপাণ

উত্তর:-প্রদীপ

২৩ |সুন্দর যার বেশে আসছে, সে হল-

(ক)কালবোশেখির ঝড়

(খ)জ্বালামুখী ধূমকেতু

(গ)দ্বাদশ রবি

(ঘ)কাল-ভয়ংকর

উত্তর:-কাল-ভয়ংকর

২৪ |’প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ বাক্যটি মোট কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?

(ক)পনেরো বার

(খ)উনিশ বার

(গ)সতেরো বার

(ঘ)একুশ বার

উত্তর:-উনিশ বার

২৫ |’দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা ভয়াল তাহার নয়নকটায়, ”দ্বাদশ রবি’ বলতে বোঝানো হয়েছে-

(ক)বারোটি রবি

(খ)সকালের রবি

(গ)মধ্যাহ্নের রবি

(ঘ)অস্তগামী রবি

উত্তর:-বারোটি রবি

২৬ |অন্ধ কারার বন্ধ কূপে/দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যুপে’-এক্ষেত্রে কবি ‘দেবতা’ বলতে বুঝিয়েছেন-

(ক)মহাদেবকে

(খ)ভারতীয় বিপ্লবীকে

(গ)দেশমাতাকে

(ঘ)দেশনায়ককে

উত্তর:-ভারতীয় বিপ্লবীকে

২৭ |এবার মহানিশার শোষ-এক্ষেত্রে মহানিশা বলতে কবি বুঝিয়েছেন-

(ক)দীর্ঘ রাত্রি শেষে

(খ)দীর্ঘ পরাধীনতার শেষে

(গ)দীর্ঘ কারাবাসের শেষে

(ঘ)দীর্ঘ প্রত্যাশার শেষে

উত্তর:-দীর্ঘ পরাধীনতার শেষে

২৮ |নীচের কোনটি নজরুলের লেখা কাব্যগ্রন্থ নয়-

(ক)মানসী

(খ)ফণীমনসা

(গ)চক্রবাক

(ঘ)বিষের বাঁশি

উত্তর:-মানসী

২৯ |বিশ্বপিতার বক্ষ-কোলে’-কী ঝোলে?

(ক) মুন্ডু

(খ)ফল

(গ)কৃপাণ

(ঘ)ফুল

উত্তর:-কৃপাণ

৩০ |’তোরা সব জয়ধ্বনি কর।’-যাঁর জয়ধ্বনি করতে হবে, তিনি হলেন-

(ক)দেশনেতা

(খ)মহাকাল

(গ)দেশমাতা

(ঘ)প্রলয়ংকর শিব

উত্তর:-প্রলয়ংকর শিব

৩১ |মৃত্যু-গহন অন্ধকূপে’ বলতে কবি বুঝিয়েছেন-

(ক)কুসংস্কারগ্রস্ত সমাজ

(খ)রাত্রির অন্ধকার

(গ)ভীতিজনক স্বান

(ঘ)পরাধীন ভারত

উত্তর:-কুসংস্কারগ্রস্ত সমাজ

৩২ |’ওই নূতনের কেতন ওড়ে…’- কেতন ওড়ে-

(ক)কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো

(খ)আগুনের লেলিহান শিখার মতো

(গ)বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে

(ঘ)বিজয় পতাকার মতো

উত্তর:-কালবৈশাখীর ঝড়ের মতো

৩৩ |’মহাকালের চণ্ড-রূপে’ আসছেন-

(ক)সৃষ্টির দেবতা

(খ)মহানিশা

(গ)মহাকালী

(ঘ)কালবৈশাখীর ঝড়

উত্তর:-সৃষ্টির দেবতা

৩৪ |বিশ্বমায়ের আসন’-

(ক)দুলে উঠেছে

(খ)ছিন্ন হয়েছে

(গ)পাতা হয়েছে

(ঘ)মহাকাল ধারণ করে রেখেছেন

উত্তর:-মহাকাল ধারণ করে রেখেছেন

৩৫ |দিগন্তরের কাঁদন লুটায় পিঙ্গল তার এস্ত জটায়!’-‘পিঙ্গল’ শব্দের অর্থ-

(ক)পীতাভ (হলুদ) গাঢ় নীল

(খ)সাদা

(গ)রক্তবর্ণ

(ঘ)পান্ডুর

উত্তর:-পীতাভ (হলুদ) গাঢ় নীল

৩৬ |’দেবতা বাঁধা যজ্ঞ-যুপে______।’ (শূন্যস্থান)

(ক)ভীষণ স্তূপে

(খ)অন্ধকূপে

(গ)পাষাণ স্তূপে

(ঘ)চণ্ডরূপে

উত্তর:-পাষাণ স্তূপে

৩৭ |কাল ভয়ংকরের বেশে কে আসে?

(ক)সুন্দর

(খ)অসুন্দর

(গ)মধুর

(ঘ)বীভৎস

উত্তর:-সুন্দর

৩৮ |কিসের তবে ডর?’-ডর নেই, কারণ-

(ক)ধ্বংস-সৃষ্টি বিধাতার নিয়ম

(খ)যিনি ধ্বংস করেছেন, তিনিই আবার সৃষ্টি করবেন

(গ)জীর্ণ পুরাতনের ধ্বংস অনিবার্য

(ঘ)যাঁরা জয়ধ্বনি করেন, তাদের ভয় নেই

উত্তর:-যিনি ধ্বংস করেছেন, তিনিই আবার সৃষ্টি করবেন

২.১) ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’। কবি কাদের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন?

উত্তর:- কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় কবি পরাধীন ভারতের মুক্তিকামী ও স্বাধীনতা-প্রত্যাশী জনগণকে মহাপ্রলয়ের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

২.২)কবি নজরুল ‘জয়ধ্বনি’ করার কথা বলেছেন কেন?

উত্তর:-নজরুল ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ভারতের পরাধীনতার মহানিশার শেষে স্বাধীনতা সূর্যের উদিত হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন মহাপ্রলয়ের হাত ধরে। তাই তিনি মানুষকে আশাপূর্ণকারী প্রলয়ের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

২.৩)কালবোশেখির ঝড়’-কে নূতনের কেতন বলার কারণ কী?

উত্তর:- কালবৈশাখী ঝড় পুরাতনকে মুছে ফেলে নূতনের সংকেত আনে বলে কবি কালবোশেখিকে ‘নূতনের কেতন’ বলেছেন।

২.৪)’অনাগত’ বলতে কীসের ইঙ্গিত করেছেন কবি? উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় নজরুল ‘অনাগত’ বলতে পরাধীন ভারতের বন্দিদশা মোচনকারী, আসন্ন মুক্তি বা স্বাধীনতার কথা বলেছেন।

২.৫)’সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- কাজী নজরুল সিন্ধুপারের সিংহদ্বার বলতে সাগরতীরে অবস্থিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দ্বারা শাসিত ভারতকে বুঝিয়েছেন।

২.৬) ‘মহাকাল’ কী?

উত্তর:- ‘মহাকাল’ শব্দটির একটি অর্থ হল অনবচ্ছিন্ন কাল বা সময়প্রবাহ। কিন্তু পাঠ্য কবিতায় ‘মহাকাল’ হল প্রলয় সৃষ্টিকারী মহাদেবের ধ্বংসাত্মক রূপের প্রতীক। রুদ্ররূপী শিবের আরেক নাম হল মহাকাল।

২.৭) ‘ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর।’- ভয়ংকর হাসছে কেন?

উত্তর:- নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘ভয়ংকর’ শব্দটি রূপকার্থে ব্যবহৃত, যার অর্থ ধ্বংসকারী বিপ্লবী সত্তা। মহাকালের ‘চণ্ডরূপী’ ভয়ংকর সকল অন্যায়-অত্যাচারকে বিনাশ করে নতুন যুগের সূচনা করার তৃপ্তিতে হাসছেন।

২.৮) ‘ধূমকেতু’ কী?

উত্তর:- প্রাসঙ্গিক টীকা অংশ দ্যাখো।

২.৯) ‘অট্টরোলের হট্টগোলে স্তব্ধ চরাচর’- চরাচর স্তব্ধ কেন?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ভয়ংকরের আগমনে চারদিকে কলরোল ধ্বনিত হয়েছে। এই অট্টরোল মুক্তিকামী মানুষের মনে কোনো এক আসন্ন ঝড়ের ইঙ্গিত বহন করে আনে, তাই চরাচর স্তব্ধ।

২.১০) ‘ওরে ওই স্তব্ধ চরাচর-‘- ‘চরাচর’ স্তব্ধ কেন?

উত্তর:-বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম রচিত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধ্বংসের দেবতা প্রলংকর শিবের অট্টহাসির ভয়ংকর শব্দে বিশ্বচরাচর স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এই স্তব্ধতা মুক্তিকামী মানুষের মনে কোনো এক আসন্ন ঝড়ের ইঙ্গিত বহন করে আনে।

২.১১) ‘দ্বাদশ রবির বহ্নিজ্বালা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় নবযুগের বার্তাবাহী ভয়ংকর প্রলয়, একটি সূর্যের তেজ নয়, বারোটি সূর্যের ন্যায় দীপ্ত ও তীব্র। এই তীব্রতা বোঝাতেই উক্ত শব্দবন্ধটি ব্যবহৃত হয়েছে।

২.১২) ‘বিশ্বমায়ের আসন তারই বিপুল বাহুর পর-‘-অর্থ কী?

উত্তর:- কবির আহত ‘ভংয়কর’ এই বিশ্বের রক্ষাকর্তা। অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে সে শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করবে, দেশমাতার আসন সুনিশ্চিত হবে। তাই কবি উক্ত উদ্ধৃতিটি করেছেন।

২.১৩) ‘জগৎ জুড়ে প্রলয়’ কেন ঘনিয়ে আসছে?

উত্তর:- যা-কিছু জীর্ণ, পুরাতন, জরাগ্রস্ত ও মুমূর্ষু তাদের বিনাশ ঘটিয়ে, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর নতুন উষা নতুন সূর্যের কিরণে উদ্ভাসিত হবে বলেই জগৎজুড়ে প্রলয় ঘনিয়ে আসছে।

২.১৪) ‘মহানিশার শেষে, ঊষার হাসি’-র তাৎপর্য কী?

উত্তর:-দীর্ঘ প্রলয়ের শেষে যা-কিছু জীর্ণ, পুরাতন তার অবসান ঘটে স্বাধীনতার নতুন সূর্য ভারতের আকাশকে আলোকিত করে তুলবে। আলোচ্য উদ্ধৃতিটি এই তাৎপর্যই বহন করে।

২.১৫) ‘রণিয়ে ওঠে হেয়ার কাঁদন’-এর মধ্যে কীসের ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশে মহাকাশের রথের ঘোড়ার হেযাধ্বনি অর্থাৎ মুক্তিকামী মানুষের বৈপ্লবিক উত্থান বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

২.১৬) ‘এই তো রে তার আসার সময়’- ‘তার’ বলতে কার আসার সময়ের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:-নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘তার’ বলতে প্রলয়ংকারের আসার কথা বলা হয়েছে। পৃথিবীতে যখনই অস্তিত্বের সংকট ঘটেছে তখনই এই ‘প্রলয়’ রুদ্ররূপে তা নিরসন করেছে।

২.১৭) ‘প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন!’-তাৎপর্য কী?

উত্তর:-সৃষ্টির আগে শিল্পী, অথবা শিশুর জন্মের আগে মা যে-বেদনা অনুভব করেন, কবিও তেমনি যুগান্তরের ইঙ্গিতবাহী এই আসন্ন প্রলয়ের মধ্যে সৃষ্টির যন্ত্রণাকে অনুভব করেছেন।

২.১৮)’আসছে নবীন’-নবীন কে?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবি নজরুল ‘নবীন’ বলতে নবযুগের বার্তাবাহক মহাকাল, ভয়ংকর বা নবীন বিপ্লবী শক্তিকে বুঝিয়েছেন, যাদের হাত ধরে পৃথিবীতে আসবে নতুন যুগ।

২.১৯) ‘ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার’-ভাঙা-গড়া খেলা বলতে কী বোঝ?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘ভাঙা-গড়া খেলা’ বলতে কবি নজরুল ধ্বংস ও সৃষ্টির চক্রাকার আবর্তনকে বুঝিয়েছেন।

২.২০ বধূরা কেন প্রদীপ তুলে ধরবে?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে, যুগান্তরের অন্ধকারের বুক চিরে কাল-ভয়ংকর এগিয়ে আসে মানুষের আকাঙ্ক্ষিত মুক্তিবার্তা নিয়ে। কবি বধূদের প্রদীপ তুলে নিয়ে এই শক্তিকে বরণ করে নিতে বলেছেন।

২.২১) ‘আসছে এবার অনাগত প্রলয়-নেশার নৃত্য পাগল,’- ‘নৃত্য পাগল’ কে?

উত্তর:- নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘নৃত্য পাগল’ বলতে, মুক্তিগামী মানুষের বৈপ্লবিক সত্তাকে কবি প্রলয়রূপী নটরাজের নৃত্যপরায়ণ রূপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২.২২) ‘ওই নূতনের কেতন ওড়ে’- ‘নূতনের কেতন ওড়া’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর:-‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে, কালবৈশাখী ঝড় যেমন রুক্ষ-শুষ্ক ও জীর্ণ প্রকৃতির বুকে নতুন প্রাণের উদ্দামতা বহন করে আনে, কবি সেভাবেই পরাধীন দেশের প্রাচীন অচলায়তনকে ভেঙে ‘নূতন’ জীবন ও মূল্যবোধের সূচনাবার্তা ঘোষণা করতে চেয়েছেন।

২.২৩) ‘কালবোশেখির ঝড়’ কীসের প্রতীক?

উত্তর:-কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ‘কালবোশেছি ঝড়’-কে নতুন জীবন ও মূল্যবোধের প্রতীক বলে মনে করেছেন।

২.২৪) প্রলয়নেশার নৃত্য পাগল কীসের জন্য আসছেন?

উত্তর:- প্রলয়নেশার নৃত্যপাগল ‘সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে’ অর্থা সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ শাসকের অন্যায়-অত্যাচারের অবসান ঘটারে আসছেন।

২.২৫)’ওই আসে সুন্দর’- ‘সুন্দর’ কীভাবে আসে?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে ‘সুন্দর’, ‘কাল-ভয়ংকরে বেশে’ অর্থাৎ রুদ্ররূপী প্রলয়ের রূপ ধরে আসে।

২.২৬) ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে কে আগল ভাঙল?

উত্তর:- কবি নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে সিন্ধুপারের সিংহদ্বারে ‘প্রলয়-নেশার নৃত্য পাগল’ অর্থাৎ মুক্তিকামী ভারতীয়ের বিপ্লবী সত্তা আগল বা শৃঙ্খল ভেঙেছে।

২.২৭) ‘দিগম্বরের জটায় হাসে শিশু-চাঁদের কর’- ‘দিগম্বর কে?

উত্তর:- কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিটিতে ‘দিগম্বর’ বলতে মহাদেবকে বোঝানো হয়েছে।

২.২৮) ‘এবার মহানিশার শেষে’- কী ঘটবে?

উত্তর:-‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে ‘মহানিশার শেষে’ অর্থাৎ পরাধীন দেশের অত্যাচার-অপমানের শেষে, উষার হাসি তথা মুক্তি সূর্যের প্রথম আলোয় জাতির জীবন নতুন করে উদ্ভাসিত হবে।

২.২৯) ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর!’- কার জয়ধ্বনি করতে বলা হয়েছে?

উত্তর:- কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় পরাধীন ভারতের মুক্তিকামী জনগণকে স্বপ্ন বা আশাপূর্ণকারী প্রলয়ের জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।

২.৩০)’প্রলয় বয়েও আসছে’- কেন এই আগমন?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে নতুন ও নবীন প্রাণ জীবনহার অসুন্দরের অবসান ঘটাতে প্রলয়রূপ ধারণ করে আসছে।

২.৩১ ‘দিগম্বরের জটায়’ কে হাসে?

উত্তর ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে শিশু চাঁদের স্নিগ্ধ ও মাধৃযমা – হাত যেন দিগদর মহাদেবের জটায় হাসে। এই হাসির মধ্যে ফুটে ওঠে সময়রূপী মহাকালের অভয়মন্ত্র।

২.৩২) ‘বজ্রশিখার মশাল জ্বেলে আসছে ভয়ংকর!’-কবি কেন এমন বলেছেন ?

উত্তর:- কবি নজরুল ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধ্বংসকামী বিপ্লবী সত্তাকে বিনাশকারী এবং যুগাবসানের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরতে প্রশ্নোদ্ভূত উপমাটি ব্যবহার করেছেন।

২.৩৩)’হাঁকে ওই…’- কার হাঁক শোনা যাচ্ছে?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় প্রলয়ংকর-রূপী বৈপ্লবিক শক্তির হাঁক বা আহ্বানধ্বনি শোনা যাচ্ছে।

২.৩৪) ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় মহাকাল কেমন রূপে আছে?

উত্তর:- ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতায় ধ্বংসকারী মহাকাল-সারথি রক্ততড়িৎ চাবুক হেনে আসছে।

২.৩৫)’জগৎজুড়ে প্রলয় এবার ঘনিয়ে আসে’—প্রলয় ঘনিয়ে এলে কী হবে?

উত্তর:- কবি নজরুলের ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা অনুসারে ধ্বংস এবং বিনাশের ফলেই অশুভ শক্তি পরাজিত হয়ে নতুন প্রাণের আগমনবার্তা ঘোষিত হবে। তাই প্রলয় আসলে এখানে নব প্রাণ ও নব সৃষ্টির বার্তাবহ।

প্রশ্ন ২.৩৬ ‘ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?’- কবি এ প্রশ্ন করলেন কেন?

উত্তর:- প্রলয়ের মধ্যেই লুকিয়ে আছে নতুনের বীজ। ধ্বংসের মাঝেই নিহিত আছে নতুন সৃষ্টির হাতছানি। তাই বিনাশ বা ধ্বংসের আগমনে কবি দেশবাসীকে ভয় পেতে নিষেধ করেছেন।

You may also like

Class 10 Bengali

জ্ঞানচক্ষু গল্প (আশাপূর্ণা দেবী)মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প ) লেখক-আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ 40 টি MCQ   ১. কথাটা শুনে তপনের চোখ- (ক) লাল