১.১ হরিদা ছিলেন পেশায় একজন-
ক) চায়ের দোকানদার
খ) বহুরূপী
গ) বাইজি
ঘ) পুলিশ
উত্তর:-বহুরূপী
১.২) যাঁর বাড়িতে সন্ন্যাসী এসেছিলেন, তাঁর নাম-
ক) হরিবাবু
খ) ভবতোষবাবু
গ) অনাদিবাবু
ঘ) জগদীশবাবু
উত্তর:-জগদীশবাবু
১.৩) সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে ছিলেন-
ক) সাত দিন
খ) সাত সপ্তাহ
গ) সাত মাস
ঘ) সাত বছর
উত্তর:-সাত দিন
১.৪) সন্ন্যাসী থাকেন-
ক) হিমালয়ের চূড়াতে
খ)হিমালয়ের গুহাতে
গ) মরুভূমিতে
ঘ) বনভূমিতে
উত্তর:-হিমালয়ের গুহাতে
১.৫) জগদীশবাবুর বাড়িতে আগত সন্ন্যাসীর বয়স-
ক) একশো বছর
খ) হাজার বছরের বেশি
গ) হাজার বছর
ঘ) একশো বছরের বেশি
উত্তর:-হাজার বছরের বেশি
১.৬) জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে যা লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলেন, তা হল-
ক) সোনার বোল
খ) সোনার আংটি
গ) সোনার মল
(ঘ) সোনার ঘুঙুর
উত্তর:-সোনার বোল
১.৭) সন্ন্যাসীকে বিদায় দেওয়ার সময় জগদীশবাবু তাঁকে জোর করে দিয়েছিলেন-
ক) একটা দশ টাকার নোট
খ) একটা পঞ্চাশ টাকার নোট
গ) একটা কুড়ি টাকার নোট
ঘ) একটা একশো টাকার নোট
উত্তর:-একটা একশো টাকার নোট।
১.৮) হরিদার ঘরে আড্ডা দিত-
ক) পাঁচ জন
খ) তিন জন
গ)চার জন
ঘ) ছ-জন
উত্তর:-চার জন
১.৯) লেখক ও তাঁর বন্ধুরা কোন্ কোন্ সময়ে আড্ডা দিতেন?
ক) রাত্রে
খ) সকাল সন্ধে
গ)সকাল-দুপুরে
ঘ) রাতদিন
উত্তর:- সকাল সন্ধে
১.১০ হরিদার কাছে যা অসম্ভব, তা হল-
ক) রোজই ভাত রান্না করা
খ) রোজ চা তৈরি করা
গ) রোজ বহুরূপী সাজা
ঘ) রোজই একটা চাকরির কাজ করে যাওয়া
উত্তর:-রোজই একটা চাকরির কাজ করে যাওয়া
১.১১ হরিদার ছোট্ট ঘরটির অবস্থান-
ক) শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে
খ) চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে
গ) দয়ালবাবুর লিচু বাগানে
ঘ) জগদীশবাবুর বাড়ির বাগানে
উত্তর:-শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে
১.১২) হরিদার জীবনজুড়ে ছিল-
ক) ভয়ানক আপত্তি
খ) নাটকীয় বৈচিত্র্য
গ) বিচিত্র ছদ্মবেশ
ঘ) করুণ আবেদন
উত্তর:-নাটকীয় বৈচিত্র্য
১.১৩) মাঝে মাঝে সত্যিই হরিদা যা করতেন, তা হল-
ক) রোজগার
খ) উপোস
গ) বিরাগ
(ঘ) সন্দেহ
উত্তর:-উপোস
১.১৪) যারা বহুরূপীর সাজে হরিদাকে চিনতে পারে তারা বকশিশ দেয়-
ক) এক আনা
গ) এক টাকা
খ) এক পয়সা
ঘ) এক-আনা দু-আনা
উত্তর:-এক-আনা দু-আনা
১.১৫) দুপুরবেলায় আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল-
ক) শহরের সবচেয়ে সরু গলিটিতে
খ) জগদীশবাবুর বাড়ির বাগানে
গ) দয়ালবাবুর লিচু বাগানে
ঘ) চকের বাস স্ট্যান্ডে
উত্তর:-চকের বাস স্ট্যান্ডে
১.১৬)চকের বাস স্ট্যান্ডে আতঙ্কের হল্লা বেজে ওঠার কারণ ছিল-
ক) একজন বাইজি
গ) একজন সন্ন্যাসী
ঘ) একটি উন্মাদ পাগল
ঘ) একজন কাপালিক
উত্তর:-একটি উন্মাদ পাগল
১.১৭ পাগলটা যা হাতে তুলে নিয়ে বাসের যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিল, তা হল-
ক)একটা পাথর
খ)একটা লাঠি
গ)একটা থান ইট
ঘ) একটা ঢিল
উত্তর:-একটা থান ইট
১.১৮)বাসের ড্রাইভারের নাম ছিল-
ক)ভবতোষ
খ) কাশীনাথ
গ) অনাদি
ঘ) জগদীশ
উত্তর:-কাশীনাথ
১.১৯)’খুব হয়েছে হরি, এইবার সরে পড়ো। অন্যদিকে যাও।’-এ কথা বলেছে-
ক) ভবতোষ
খ) কাশীনাথ
গ) অনাদি
ঘ) জনৈক বাসযাত্রী
উত্তর:-কাশীনাথ
১.২০)প্রায় নাচতে নাচতে চলে যাচ্ছিল-
ক) একজন কাপালিক
খ) একজন বাইজি
গ) একজন সন্ন্যাসী
ঘ) একটি পাগল
উত্তর:-একজন বাইজি
১.২১ শহরে যারা নতুন এসেছে, তারা-
ক) বেশ বিরক্ত হয়
খ) ভয়ে কেঁদে ফেলে
গ) দু-চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে
ঘ) হতাশ স্বরে প্রশ্ন করে ওঠে
উত্তর:- দু-চোখ বড়ো করে তাকিয়ে থাকে
১.২২) বাইজির ছদ্মবেশে হরিদার রোজগার হয়েছিল-
ক) আট টাকা দশ আনা
খ) আট টাকা তিন আনা
গ) দশ টাকা আট আনা
ঘ) তিন টাকা আট আনা
উত্তর:-আট টাকা দশ আনা
১.২৩) দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতরে হরিদা দাঁড়িয়েছিল-
ক) ফিরিঙ্গি কেরামিন সাহেব সেজে
খ) পুলিশ সেজে
গ) স্কুলের মাস্টারমশাই সেজে,
ঘ) বাউল সেজে
উত্তর:-পুলিশ সেজে
১.২৪) হরিদা পুলিশ সেজে দাঁড়িয়েছিলেন-
ক)লিচু বাগানে
খ) দালানে
গ) স্কুলে
ঘ) বাস স্ট্যান্ডে
উত্তর:-লিচু বাগানে
১.২৫) লিচু বাগানে নকল পুলিশ স্কুলের যে ক-টি ছেলেকে ধরেছিলেন, তার সংখ্যা হল-
ক) পাঁচ
খ) চার
গ) ছয়
ঘ) আট
উত্তর:-চার
১.২৬) নকল পুলিশকে ঘুষ দিয়েছিলেন-
ক) জগদীশবাবু
খ) ড্রাইভার কাশীনাথ
গ) হরিদা
ঘ) স্কুলের মাস্টারমশাই
উত্তর:-স্কুলের মাস্টারমশাই
১.২৭ জগদীশবাবু কেমন স্বভাবের মানুষ ছিলেন?
ক) উদার
খ) কপট
গ) কৃপণ
ঘ) বিকৃত
উত্তর:-কৃপণ
১.২৮ বড়ো চমৎকার ছিল কোন্ সময়ের চেহারা?
ক) রাতের
খ) সন্ধ্যার
গ) সকালের
ঘ) ভোরের
উত্তর:-সন্ধ্যার
১.২৯) বিরাগীরূপী হরিদার গায়ে ছিল কেবলমাত্র একটি-
ক) জামা
খ) শাল
গ) পাঞ্জাবি
ঘ) উত্তরীয়
উত্তর:-উত্তরীয়
১.৩০) বিরাগীর ঝোলার ভিতর যে-বইটি ছিল, সেটি হল-
ক) গীতা
খ) কোরান
গ) মহাভারত
ঘ) উপনিষদ
উত্তর:-গীতা
১.৩১) জগদীশবাবুর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল-
ক) বারো লক্ষ টাকার
খ) কুড়ি লক্ষ টাকার
গ) আঠারো লক্ষ টাকার
ঘ) এগারো লক্ষ টাকার
উত্তর:-এগারো লক্ষ টাকার
১.৩২)রাগ হল এক ধরনের-
ক) প্রবৃত্তি
খ) অনুভূতি
গ) রিপু
ঘ) আচরণ
উত্তর:-রিপু
১.৩৩) লেখকের কানের কাছে ফিশফিশ করে যে-বলেছিল-‘না না, হরিদা নয়। হতেই পারে না।’ তার নাম হল-
ক) অনাদি
খ) ভবতোষ
গ) জগদীশ
ঘ) সুবোধ
উত্তর:-ভবতোষ
১.৩৪) জগদীশবাবু বিরাগীজিকে প্রণামী দিয়েছিলেন-
ক) পঞ্চাশ টাকা
খ) পঁচিশ টাকা
গ) একশো এক টাকা
ঘ) দেড়শো টাকা
উত্তর:-একশো এক টাকা
১.৩৫) বিরাগী আসলে ছিলেন-
ক) হরিদা
খ) জগদীশবাবু
গ)সন্ন্যাসী
ঘ) পাগল
উত্তর:-হরিদা
১.৩৬) ভবতোষ ভেবেছিল জগদীশবাবু হরিদাকে বকশিশ হিসেবে দেবেন__
ক) আট আনা বা দশ আনা
খ) দশ আনা বা বারো আনা
গ) ছ-আনা বা আট আনা
ঘ) পাঁচ আনা
উত্তর:-আট আনা বা দশ আনা
১.৩৭) সপ্তাহে হরিদা বহুরুপী সেজে বাইরে যান-
ক) একদিন
খ) দু-দিন
গ) চার দিন
ঘ) পাঁচ দিন
উত্তর:-একদিন
১.৩৮) সন্ন্যাসী সারাবছর খেতেন-
ক) একটি বেল
খ) একটি আমলকী
গ) একটি হরীতকী
ঘ) একটি বহেড়া
উত্তর:-একটি হরীতকী
১.৩৯) ‘বাসের যাত্রীরা কেউ হাসে, কেউ বা বেশ বিরক্ত হয় কেউ আবার বেশ বিস্মিত।’- বাসযাত্রীদের এমন প্রতিক্রিয়ার কারণ-
ক) বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ বহুরূপী হরিদাকে ধমক দিয়েছে
খ) বহুরূপী হরিদার পাগলের সাজটা চমৎকার
গ) হরিদা আজ একজন বাউল সেজে এসেছেন
ঘ) কাপালিক সেজে এলেও হরিদা কোনো পয়সা নেন না
উত্তর:-বহুরূপী হরিদার পাগলের সাজটা চমৎকার
১.৪০)সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’-দুর্লভ জিনিসটি হল-
ক) সন্ন্যাসীর আশীর্বাদ
খ) সন্ন্যাসীর পদধূলি
গ) সন্ন্যাসীর সান্নিধ্য
ঘ) সন্ন্যাসীর উপদেশ
উত্তর:-সন্ন্যাসীর পদধূলি
১.৪১)ঘুষ নিয়ে তারপর মাস্টারের অনুরোধে রক্ষা করেছিলেন সেই নকল-পুলিশ হরিদা’- ঘুষের পরিমাণ কত?
ক) চার আনা
খ)আট টাকা
গ)আট আনা
ঘ)পঁচিশ টাকা
উত্তর:-আট আনা
১.৪২)বিরাগীর চোখ থেকে ঝরে পড়েছিল-
ক) ক্ষমা
খ) ক্রোধ
গ) অশ্রু
ঘ) জ্যোৎস্না
উত্তর:-জ্যোৎস্না
২.১) ‘হরিদার কাছে আমরাই গল্প করে বললাম- ‘আমরা’ বলতে এখানে কাদের বোঝানো হয়েছে?
Ans- উদ্ধৃতিটি সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের অংশ। এখানে ‘আমরা’ বলতে স্বয়ং গল্পকার ও তাঁর বন্ধু ভবতোষ, অনাদি ছাড়াও অন্যদের বোঝানো হয়েছে।
২.২) হরিদার কাছে লেখক ও তাঁর বন্ধুরা কী গল্প করেছিলেন ?
Ans-হিমালয়ের এক উঁচুদরের সন্ন্যাসী জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ছিলেন। তাঁর বয়স হাজার বছরেরও বেশি। তিনি বছরে একটি মাত্র হরীতকী খান। সেই গল্পই লেখক ও তাঁর বন্ধুরা করেছিলেন।
২.৩) ‘আক্ষেপ করেন হরিদা হরিদার এই আক্ষেপের কারণ কী ছিল ?
Ans-হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসীর মাহাত্ম্যের কথা শুনে তাঁর পায়ের ধুলো নিতে চান। কিন্তু সন্ন্যাসী চলে যাওয়ায় হরিদার সেই ইচ্ছা আক্ষেপে পরিণত হয়।
২.৪ ‘বাঃ, এ তো বেশ মজার ব্যাপার।’- মজার ব্যাপারটি কী?
Ans-মজার ব্যাপারটি হল সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো দুর্লভ হলেও কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে তাঁর পায়ের কাছে ধরতেই তিনি পা বাড়িয়ে দিলেন। সেই ফাঁকে জগদীশবাবু সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন।
২.৫) ‘গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।’- হরিদার গম্ভীর হওয়ার কারণ কী?
Ans-সর্বস্বত্যাগী সন্ন্যাসী সোনার বোল লাগানো কাঠের খড়ম ও একশো এক টাকা পেয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন। এ কথা শুনে হরিদার বিশ্বাস টলে যায়। তিনি গম্ভীর হয়ে যান।
২.৬) ‘কিন্তু ওই ধরনের কাজ হরিদার জীবনের পছন্দই নয়।’- কোন্ ধরনের কাজের কথা বলা হয়েছে?
Ans-অভাবী হরিদা ইচ্ছে করলেই কোনো অফিসে বা দোকানে একটা কাজ পেতে পারতেন। কিন্তু ঘড়ি ধরে নিয়ম করে রোজ একটা চাকরি করা, হরিদার না-পসন্দ ছিল।
২.৭) চকের বাস স্ট্যান্ডে বহুরুপী হরিদা কী রূপে হাজির হয়?
Ans-কটকটে লাল চোখ, মুখ থেকে লালা ঝরছে, কোমরে ছেঁড়া কম্বল, গলায় টিনের কৌটোর মালা ঝোলানো এক পাগলের ছদ্মবেশে চকের বাস স্ট্যান্ডে হাজির হন হরিদা।
২.৮) ‘খুব হয়েছে হরি, এইবার সরে পড়ো। অন্যদিকে যাও।’_কে, কেন কথাটি বলেছেন?
Ans-একদিন দুপুরে চকের বাস স্ট্যান্ডে হরিদা পাগলের ছদ্মবেশে হাতে থান ইট নিয়ে বাসে-বসা যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন। সেই প্রেক্ষিতেই বাস ড্রাইভার কাশীনাথের এই উক্তি।
২.৯ ) ‘কিন্তু দোকানদার হেসে ফেলে-হরির কান্ড।-হরির কোন্ কান্ড দেখে দোকানদার হেসে ফেলেছিলেন?
Ans-এক সন্ধ্যায় বাইজির ছদ্মবেশে হরি শহরের পথে ঘুঙুরের মিষ্টি শব্দ করে হেঁটে চলে। নতুনরা অবাক হলেও দোকানদার হরিকে চিনতে পেরে হেসে ফেলে।
২.১০) ‘এবারের মতো মাপ করে দিন ওদের।’-এ কথা কে কাকে বলেছিলেন?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে যখন পুলিশের ছদ্মবেশে হরিদা স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন, তখন স্কুলের মাস্টারমশাই এ কথা বলেছিলেন।
২.১১) ‘বা, সত্যি, খুব চমৎকার পুলিশ সেজেছিল হরি।’-কে, কখন এ কথা বলেছিলেন?
Ans-দয়ালবাবুর লিচু বাগানে স্কুলের মাস্টারমশাই পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে আট আনা ঘুষ দিয়ে ছেলেদের ছাড়িয়ে আনার পরে পুলিশের আসল পরিচয় জানতে পেরে তখনই এই প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেন।
২.১২) জগদীশবাবুর বাড়িতে খেলা দেখাবার জন্য হরিদার এত উৎসাহ জেগে উঠেছিল কেন?
Ans-হরিদার সারাদিন নানান ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়িয়েও দু-তিন টাকার বেশি রোজগার হয় না। তাই মোটা টাকা আদায়ের জন্য হরিদার মধ্যে এই উৎসাহ জেগেছিল।
২.১৩) ‘আমাদের সন্দেহ মিথ্যে নয়।’-কোন্ সন্দেহ মিথ্যে নয় বলে মনে করেছেন বক্তা?
Ans-সন্ন্যাসীর খবর শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে যাওয়ায় কথক ও তাঁর বন্ধুরা বুঝেছিলেন যে, হরিদার মাথায় কোনো মতলব এসেছে। এই প্রসঙ্গেই কথকের এই উক্তিটির অবতারণা।
২.১৪) ‘বড়ো চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা।’-সন্ধ্যার চেহারাটির বর্ণনা দাও।
Ans-সেই সন্ধ্যায় চাঁদের আলোর একটা স্নিগ্ধ ও শান্ত উজ্জ্বলতা চারদিকে ফুটে উঠেছিল। ফুরফুর করে বাতাস বইছিল। জগদীশবাবুর বাগানের গাছের পাতাগুলো ঝিরঝির শব্দ করছিল।
২.১৫) ‘চমকে উঠলেন জগদীশবাবু।’- জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী?
Ans-আদুড় গায়ে, সাদা উত্তরীয় জড়ানো, ছোটো সাদা থান, মাথায় সাদা চুল, পায়ে ধুলো মাখা বিরাগীকে দেখে জগদীশবাবু চমকে উঠলেন।
২.১৬) ‘আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?’-কথাটি বক্তা কেন বলেছেন?
Ans-বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদা জগদীশবাবুর বাড়িতে এলে জগদীশবাবু বিরাগীকে দূর থেকে অভ্যর্থনা জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বিরাগী উক্ত মন্তব্যটি করেছেন।
২.১৭) ‘আমার অপরাধ হয়েছে।-কোন্ অপরাধের কথা বলা হয়েছে?
Ans-বিরাগীর ছদ্মবেশে হরিদাকে দেখে মুগ্ধ জগদীশবাবু নেমে এসে বিরাগীকে অভ্যর্থনা না-জানানোয় বিরাগী অসন্তুষ্ট হন। সেই অসন্তোষকে শান্ত করতেই জগদীশবাবুর এমন উক্তি
২.১৮) ‘না না, হরিদা নয়। হতেই পারে না।’-বক্তা ও তার সঙ্গীদের এই বিশ্বাসের কারণ কী?
Ans-বিরাগীর গলার স্বর, মুখের ভাষা ও চোখের দৃষ্টির সঙ্গে হরিদার কোনো মিল না-থাকায় বিরাগীকে বস্তা ও তার বন্ধুদের হরিদা বলে মনে হয়নি।
২.১৯) পরমসুখ বলতে বিরাগী কী বুঝিয়েছেন?
Ans-বহুরূপী’ গল্পে বিরাগীর মতানুসারে, সব সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তের সাধনায় আত্মনিয়োগ করতে পারলেই ‘পরমসুখ’ লাঙ্ করা যায়।
২.২০) জগদীশবাবুকে বিরাগী কী উপদেশ দেন?
Ans-বিরাগী জগদীশবাবুকে বলেন, ধন-জন-যৌবন আসলে মোহময় বঞ্চনা। মন-প্রাণ দিয়ে একজনের আপন হতে চেষ্টা করলে সৃষ্টির সব ঐশ্বর্যই লাভ করা যায়।
২.২১) তীর্থযাত্রা সম্পর্কে বিরাগীর অভিমত কী ছিল?
Ans-জগদীশবাবু তীর্থভ্রমণের জন্য বিরাগীকে একশো টাকা দিতে চাইলে বিরাগী বলেন, মানুষের অন্তরেই ঈশ্বরের বাস, সকল তীর্থের মিলনস্থল। তাই আলাদাভাবে তীর্থদর্শনের প্রয়োজনীয়তা নেই।
২.২২) ‘চমকে ওঠে ভবতোষ।’- ভবতোষের চমকে ওঠার কারণ কী?
Ans-হরিদার বাড়িতে ঢুকে তার পোশাক ইত্যাদি দেখে ভবতোষরা বুঝতে পারল যে, হরিদাই আসলে বিরাগী। তখন তারা চমকে ওঠে।
২.২৩) ‘তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।’-বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে উক্তিটি করেছেন?
Ans-এক্ষেত্রে বস্তা হলেন হরিদা। জগদীশবাবু বিরাগীবেশী হরিদাকে প্রণামী দিতে গেলে তিনি তা নেন না। কারণ সে বিরাগীর ছদ্মবেশে টাকা নিলে তাতে অভিনয়ের ঢং নষ্ট হয়।
২.২৫) ‘অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না। হরিদার কোন্ ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে?
Ans-জগদীশবাবুর দেওয়া প্রণামীর টাকা অবলীলায় ফেরত দিয়ে দেন বিরাগী বুন্সী হরিদা। অভাবের সংসারে হঠাৎ পাওয়া এই টাকা ফেরত দেওয়াকেই হরিদার ভুল বলা হয়েছে।
১.২৫) জগদীশবাবুর বাড়িতে সন্ন্যাসীটি কত দিন ছিলেন?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরুপী’ গল্প অনুসারে, উঁচু দরের সন্ন্যাসীটি জগদীশবাবুর বাড়িতে সাত দিন ছিলেন।
২.২৬) জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা ‘উঁচু দরের সন্ন্যাসী’-টি কোথায় থাকেন?
Ans-বহুরূপী’ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা ‘উঁচু দরের সন্ন্যাসী’টি হিমালয়ের গুহাতে থাকেন।
২.২৭) ‘একটু পরেই বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমক দেয়।’ -কেন ধমক দিয়েছিল?
Ans- সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের হরিদা একদিন চকের বাস স্ট্যান্ডের কাছে পাগল সেজে, হাতে থান ইট তুলে নিয়ে যাত্রীদের দিকে তেড়ে যাচ্ছিলেন। তখন ভীত ও আতঙ্কিত যাত্রীরা চেঁচিয়ে ওঠায় বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ তাঁকে থামতে বলে ধমক দিয়েছিল।
২.২৮) ‘একটু পরেই বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমকে দেয়।’- ধমক দিয়ে কী বলেছিল?
Ans-‘বহুরূপী’ হরিদার পাগলামি দেখে বাসযাত্রীরা ভীত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় ড্রাইভার কাশীনাথ বলেছিল, ‘খুব হয়েছে হরি, এই বার সরে পড়ো। অন্যদিকে যাও।’
২.২৯) ‘বহুরূপী’ গল্প অনুসারে লেখা সারাবছর সন্ন্যাসী কী খান?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের জগদীশবাবুর বাড়িতে আসা সন্ন্যাসী সারাবছরে শুধু একটি হরীতকী খান, তা ছাড়া আর কিছুই খান না।
২.৩০) ‘নইলে আমি শান্তি পাব না’- বক্তা কী না-হলে শান্তি পাবেন না?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পে জগদীশবাবু বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে কিছু উপদেশ শুনিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে বলেছিলেন যে, না- হলে তিনি শান্তি পাবেন না।
২.৩১) ‘অনাদি বলে- এটা কী কান্ড করলেন হরিদা?’- এখানে কোন্ কান্ডের কথা বলা হয়েছে।
Ans-বহুরূপী’ গল্প অনুসারে বিরাগীর বেশধারী হরিদাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে জগদীশবাবু তাকে খাঁটি সন্ন্যাসী ভেবে একশো এক টাকা দিতে চাইলে বিরাগী-রূপী হরিদা তা হেলায় ফেলে দিয়ে চলে আসেন। এখানে সেই কান্ডের কথাই বলা হয়েছে।
২.৩২ ‘কিন্তু সেটাই যে হরিদার জীবনের পেশা।- হরিদার পেশা কী ছিল?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরুপী’ গল্পের নায়ক হরিদা মাঝে মাকে বহুরুপী সেজে সামান্য রোজগার করে ভাতের হাঁড়ির দাবি মিটিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। এটাই তার পেশা।
২.৩৩)’চমৎকার পাগল সাজতে পেরেছে তো লোকটা। -‘লোকটা’ কে?
Ans-প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশে ‘লোকটা’ বলতে সুবোধ ঘোষের ‘বহুরুপী’ গল্পের নায়ক হরিদাকে বোঝানো হয়েছে।
২.৩৪) জগদীশবাবু কীভাবে সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন?
Ans-সুবোধ ঘোষের বহুরূপী’ গল্প অনুসারে জগদীশবাবু একজোড়া কাঠের খড়মে সোনার বোল লাগিয়ে সন্ন্যাসীর পায়ের কাছে ধরলেন। তখন সন্ন্যাসী নতুন খড়ম পরার জন্য বাধ্য হয়ে পা এগিয়ে দিয়ে তা পরলেন। আর সেই ফাঁকে জগদীশবাবু পায়ের ধুলো নিয়ে নিলেন।
২.৩৫) পুলিশ সেজে হরিদা কী করেছিল?
Ans-বহুরূপী’ গল্প অনুসারে হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানের ভিতরে স্কুলের চারটে ছেলেকে ধরেছিলেন। তারপর স্কুলের মাস্টারমশাই এসে ক্ষমা চেয়ে আট আনা ঘুষ দেওয়ায় নকল পুলিশ হরিদা তাদের ছেড়ে দেন।
২.৩৬) ‘হরিদার জীবন এইরকম বহু রূপের খেলা দেখিয়েই একরকম চলে যাচ্ছে।’ কীরকম খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে?
Ans-হরিন পেশায় ছিলেন বহুরুপী। তিনি কখনও পাগল সাজতেন, কখনও বাউল, কখনও কাপালিক, আর কখনও-বা বোঁচকা কাঁধে কাবুলিওয়ালা। এইরকম বহুরূপীর খেলা দেখিয়ে হরিদার জীবন চলে যাচ্ছে।
২.৩৭) ‘সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস’- সেই বস্তুটিকে দুর্লভ বলার কারণ কী?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের সন্ন্যাসী, জগদীশবাবু ছাড়া আর কাউকেই পায়ের ধুলো নিতে দেননি। তাই সেই বস্তুটিকে দুর্লভ বলা হয়েছে।
২.৩৮)’কী অদ্ভুত কথা বললেন- অদ্ভুত কথাটি কী?
Ans-বহুরূপী’ গল্প অনুসারে বিরাগী-রূপী হরিদা, জগদীশবাবুর কাছে টাকা না-নেওয়ার প্রসঙ্গে বলেছিলেন যে, সন্ন্যাসী সেজে টাকা নিলে তার ঢং নষ্ট হয়ে যাবে। এখানে এ কথাটিকেই অদ্ভূত বলা হয়েছে।
২.৩৯) হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্রাটি কী?
Ans-সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্পের নায়ক হরিদার পেশাই হল।বহুরুপী সেজে সামান্য রোজগারকে সম্বল করে অন্নের সংস্থান করা। এটাই তাঁর জীবনের নাটকীয় বৈচিত্র্য।
২.৪০) হরিদা কোথায় থাকেন?
Ans-বহুরূপী’ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা শহরের সবচেয়ে সরু গলির ভিতরে একটি ছোট্ট ঘরে থাকেন।
২.৪১) ‘আমি বিরাগী, রাগ নামে কোনো রিপু আমার নেই।’- বক্তার এ কথা বলার কারণ কী?
Ans-এক প্রকৃত সন্ন্যাসী আসলে সমস্ত জৈবিক প্রবৃত্তিকে জয় করে। তখন সে কাম-ক্রোধ-লোভ ইত্যাদি ষড়রিপুর আর বশবর্তী থাকে না। বিরাগী-রূপী হরিদা সে-কথাই বলেছেন।
২.৪২) ‘সেদিকে ভুলেও একবার তাকালেন না বিরাগী।’- কোন্ দিকে না-তাকাবার কথা বলা হয়েছে?
Ans- জগদীশবাবুর দেওয়া একশো এক টাকার থলিটি সিঁড়ির ওপরেই পড়ে রইল। বিরাগী-রূপী হরিদা সেদিকে ভুলেও আর একবার; ফিরে তাকালেন না।
২.৪৩) ‘বহুরূপী’ গল্পের হরিদা কোন্ সাজ সেজে সবচেয়ে বেশি আয় করেছিলেন?
Ans- ‘বহুরূপী’ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা রূপসি বাইজি সেজে সবচেয়ে বেশি; মোট আট টাকা দশ আনা রোজগার করেছিলেন।
২.৪৪) বিরাগীর উদ্দেশ্যে জগদীশবাবুর প্রাণের অনুরোধ কী ছিল?
Ans- ‘বহুরূপী’ গল্প অনুসারে জগদীশবাবু, বিরাগী-রূপী হরিদার পায়ের কাছে একশো এক টাকার থলিটি রেখে, তা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।
২.৪৫) হরিদার কয়েকটি বহুরূপী রূপের উল্লেখ করো।
Ans- ‘বহুরূপী’ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদার কয়েকটি বহুরূপী রূপ হল- পাগল, রূপসি বাইজি, বাউল, কাপালিক, কাবুলিওয়ালা, ফিরিঙ্গি কেরামিন সাহেব, পুলিশ ও বিরাগী।
২.৪৬) ‘সত্যিই যে বিশ্বাস করতে পারছি না’- কী বিশ্বাস করতে পারছে না?
Ans- ‘বহুরূপী’ গল্প অনুসারে জগদীশবাবুর বাড়িতে বিরাগী-বুপী হরিদাকে দেখে লেখকের সত্যিই বিশ্বাস হয় না যে, এই ব্যক্তিটি আসলে হরিদা।
২.৪৭) জগদীশবাবু তীর্থ ভ্রমণের জন্য কত টাকা বিরাগীকে দিতে চেয়েছিলেন?
Ans- সুবোধ ঘোষের ‘বহুরূপী’ গল্প অনুসারে জগদীশবাবু বিরাগী-রূপী হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন।