Class 10 Bengali

মাধ্যমিক বাংলা অভিষেক কবিতা প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক বাংলা অভিষেক কবিতা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ২.১ ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর প্রথম সর্গটির নাম লেখো। এ কাব্যের মোট ক-টি সর্গ?

উত্তর:- মাইকেল মধুসুদন দত্ত রচিত ‘মেঘনাদবধ কাব্য’-এর প্রথম সর্গের নাম ‘অভিষেক’। এ কাব্যের মোট সর্গ সংখ্যা ন-টি।

প্রশ্ন ২.২ ‘অভিষেক’ রচনাংশটিতে কার অভিষেকের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:-মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ রচনাংশটিতে রক্ষরাজ রাবণের পুত্র ইন্দ্রজিতের অভিষেকের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন২.৩ ইন্দ্রজিৎ কে?

উত্তর:-রাবণ ও মন্দোদরীর সন্তান মেঘনাদ দেবরাজ ইন্দ্রকে জয় করেছিলেন বলে বীরশ্রেষ্ঠ ‘ইন্দ্রজিৎ’ নাম গ্রহণ করেছিলেন।

প্রশ্ন ২.৪কাকে বীরেন্দ্রকেশরী বলা হয়েছে?

উত্তর:- মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ‘অভিষেক’ নামাঙ্কিত অংশে বীরেন্দ্রকেশরী বলা হয়েছে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎকে। বীরেন্দ্রকেশরীর অর্থ বীরসিংহ।

প্রশ্ন ২.৫ ‘প্রণমিয়া ধাত্রীর চরণে,/কহিলা,’-ধাত্রী আসলে কে এবং তাকে কী বলা হয়েছে?

উত্তর:- মধুসূদনের ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে প্রভাষার ছদ্মবেশিনী ধাত্রী আসলে দেবী লক্ষ্মী। প্রমোদোদ্যানে মেঘনাদ তাঁকে দেখে সেখানে আগমনের কারণ ও লঙ্কার কুশল জিজ্ঞাসা করেছিলেন।

প্রশ্ন ২.৬ ইন্দ্রজিৎ ধাত্রীর চরণে প্রণাম করে তাকে কী বলে সম্বোধন করেন?

উত্তর:-‘অভিষেক’ নামাঙ্কিত রচনাংশে ধাত্রী ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর চরণে প্রণাম করে তাকে ‘মাতঃ’ বলে সম্বোধন করেন।

প্রশ্ন ২.৭ ‘অম্বুরাশি-সুতা’ কার ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন?

উত্তর:- মধুসূদনের ‘অভিষেক’ কাব্যাংশে ‘অম্বুরাশি-সুতা’ অর্থাৎ লক্ষ্মী, ইন্দ্রজিতের ধাত্রী প্রভাষার ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রমোদকাননে এসে ইন্দ্রজিৎকে বীরবাহুর মৃত্যু ও রাবণের যুদ্ধযাত্রার সংবাদ দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২.৮ বীরবাহু কে?

উত্তর:- লঙ্কেশ্বর রাবণ ও গন্ধর্বতনয়া চিত্রাঙ্গদার পুত্র হলেন বীরবাহু। বাল্মীকির রামায়ণে বীরবাহুর উল্লেখ না-থাকলেও কৃত্তিবাসী রামায়ণে তাঁর উল্লেখ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২.৯ ‘মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি’ কাকে বলা হয়েছে?

উত্তর:- পাঠ্য ‘অভিষেক’ কবিতায় ‘মহাশোকী রাক্ষসাধিপতি’ বলতে লঙ্কার অধিপতি রক্ষরাজ রাবণকে বলা হয়েছে। পুত্র বীরবাহুর মৃত্যুতে তিনি মহাশোকী।

প্রশ্ন ২.১০ ‘হায়। পুত্র, কি আর কহিব কনক-লঙ্কার দশা।’-বক্তা ‘কনক-লঙ্কার দশা’ বলতে কী বুঝিয়েছেন।

উত্তর:- বক্তা প্রভাষার ছদ্মবেশী ‘অম্বুরাশি-সুতা’ অর্থাৎ লক্ষ্মীদেবী ‘কনক-লঙ্কার দশা’ বলতে বীরবাহুর মৃত্যু এবং সেই কারণে রাবণের সসন্যৈ যুদ্ধযাত্রার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২.১১ ‘জিজ্ঞাসিলা মহাবাহু বিস্ময় মানিয়া:- মহাবাহু কে এবং তার বিস্ময়ের কারণ কী?

উত্তর:- ‘মহাবাহ’ হলেন ইন্দ্রজিৎ। রামচন্দ্রকে রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিরের আঘাতে খন্ড খন্ড করে কেটে ফেলা সত্ত্বেও, তাঁরই হাতে বীরবাহু কীভাবে মারা যেতে পারে এ কথা ভেবে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।

প্রশ্ন ২.১২ ‘তবে, এ বারতা, এ অদ্ভুত বারতা,-বার্তাটি কী এবং তা অদ্ভুত কেন?

উত্তর:- বার্তাটি হল রাঘবের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু। বার্তাটি অদ্ভুত কারণ ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে যে-রাঘবের মৃত্যু ঘটেছে, সে কী করে বীরবাহুর হত্যাকারী হয়!

প্রশ্ন ২.১৩ ভগবতীর অপর নাম কী?

উত্তর:- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘অভিষেক’ নামাঙ্কিত কবিতা থেকে আমরা জানতে পারি, ভগবতীর অপর নাম লক্ষ্মী।

প্রশ্ন ২.১৪ ‘রক্ষ রক্ষঃকুলমান,’-বক্তা কে এবং কাকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন?

উত্তর:- বস্তা হলেন প্রভাষার রূপ ধারণকারিণী দেবী লক্ষ্মী। তিনি মায়াবী রামচন্দ্রের হাত থেকে রক্ষঃকুলকে রক্ষার জন্য ইন্দ্রজিৎকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২.১৫ ইন্দ্রজিতের প্রিয়ানুজকে কে বধ করেছেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে, ইন্দ্রজিতের প্রিয় বৈমাত্রেয় ভাই বীরবাহুকে, রামচন্দ্র সম্মুখসমরে বধ করেছিলেন।

প্রশ্ন ২.১৬ রঘুবরকে ইন্দ্রজিৎ কখন সংহার করেছিলেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতানুসারে, লক্ষ্মীর কাছে বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর বিস্মিত ইন্দ্রজিৎ তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, রাত্রিকালীন যুদ্ধে তিনি রাঘবকে সংহার করেছিলেন।

প্রশ্ন ২.১৭ ইন্দিরা সুন্দরীকে কী কী বিশেষণে ভূষিত করা হয়েছে?

উত্তর:-পাঠ্য রচনাংশে কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘ইন্দিরা সুন্দরী’ তথা লক্ষ্মীকে ‘রত্নাকর’ ও ‘রত্নোত্তমা’ বিশেষণে ভূষিত করেছেন।

প্রশ্ন ২১৮ ইন্দিরা সুন্দরীর মুখে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে মেঘনাদের রোষের বহিঃপ্রকাশ কীভাবে ঘটেছিল?

উত্তর:- প্রমোদোদ্যানে ছদ্মবেশী লক্ষ্মীর মুখে প্রিয় ভাই বীরবাহুর মৃত্যুসংবাদ শুনে মেঘনাদ ফুলমালা ছিঁড়ে, সোনার আভরণ ছুড়ে ফেলে নিজেকে ধিক্কার জানায়।

প্রশ্ন ২.১৯ ‘হা ধিক্ মোরে।-বক্তা কেন নিজেকে ধিক্কার দিয়েছিলেন?

উত্তর:- স্বর্ণলঙ্কা যখন শত্রুপক্ষের ঘেরাটোপে, প্রিয় ভাই যখন নিহত, পিতা যুদ্ধযাত্রার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তখন প্রমোদকাননে মেয়েদের মাঝে বিলাসিতা শোভন নয়-তাই এই আত্মধিক্কার।

প্রশ্ন ২.২০ ‘ঘুচাব ও অপবাদ, বধি রিপুকূলে।’-অপবাদটি কী?

উত্তর:-রামচন্দ্রের হাতে লঙ্কার আক্রান্ত হওয়া ও প্রিয়ানুজ বীরবাহুর মৃত্যুকালে মেয়েদের মাঝে প্রমোদোদ্যানে সময় কাটানো এবং কর্তব্যের গাফিলতিকেই ইন্দ্রজিৎ অপবাদ বলেছেন।

প্রশ্ন ২.২১ ‘সাজিলা রথীন্দ্রর্ষভ বীর-আভরণে’-‘রথীন্দ্রর্ষভ’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে এবং তিনি কোন্ কোন্ বীরের মতো আভরণে ভূষিত হয়েছেন?

উত্তর:- ‘রথীন্দ্রর্যভ’ বা শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা মেঘনাদ তারকাসুর বধ কালে কার্তিকের মতো ও বিরাটরাজের গোধন রক্ষার্থে বৃহন্নলারূপী কিরীটীর মতো বীর আভরণে ভূষিত হয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২.২২ মায়াবী মানব বলতে কাকে চিহ্নিত করা হয়েছে?

উত্তর:-‘অভিষেক’ নামাঙ্কিত পাঠ্য রচনাংশে মায়াবী মানব বলতে লক্ষ্মী, রঘুবর রামচন্দ্রকে চিহ্নিত করেছেন।

প্রশ্ন ২.২৩ ‘তব শরে মরিয়া বাঁচিল।’-কার শর প্রয়োগে কে মরে বেঁচে উঠেছিলেন?

উত্তর:- আলোচ্য ‘অভিষেক’ কবিতায় রক্ষকুলবীর ইন্দ্রজিতের তিরের আঘাতে রাঘব মরেও বেঁচে উঠেছিলেন।

প্রশ্ন ২.২৪ ‘যাও তুমি ত্বরা করি;’-কে কাকে ‘ত্বরা করি’ যাত্রা করতে বলেছেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতানুসারে, স্বর্ণলঙ্কার বর্তমান অবস্থা নিরীক্ষণ করে লক্ষ্মী ত্বরা অর্থাৎ শীঘ্র ইন্দ্রজিৎকে সেখানে যাত্রা করতে বলেছেন।

প্রশ্ন ২.২৫ ‘কালসমরে’ শব্দার্থ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর:- পাঠ্য ‘অভিষেক’ কবিতায়, ‘কালসমরে’ বলতে রাবণের সঙ্গে রামচন্দ্রের সম্ভাব্য ঘোরতর যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৬ ইন্দ্রজিৎকে ‘রক্ষঃ-চূড়ামণি’ বলার কারণ কী?

উত্তর:- ‘রক্ষঃ-চূড়ামণি’ শব্দের অর্থ রাক্ষসদের মধ্যে কুলশ্রেষ্ঠ বা শিরোমণি। প্রবল শক্তির অধিকারী ইন্দ্রজিৎ রাক্ষসদের মধ্যে বীর যোদ্ধা, তাই তাকে ‘রক্ষঃ-চূড়ামণি’ বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৭ মহাবলী মেঘনাদের কুসুমদাম ছেঁড়ার কারণ কী?

উত্তর:- প্রভাষা ছদ্মবেশধারী লক্ষ্মীর কাছে ইন্দ্রজিৎ স্বর্ণলঙ্কার দুর্দশার কথা এবং রাঘবকে সংহার করা সত্ত্বেও তাঁর বেঁচে থাকার কথা জানতে পেরে মেঘনাদ প্রচন্ড রোষে কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেললেন।

প্রশ্ন ২.২৮ ইন্দ্রজিতের কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলা ও অন্যান্য জিনিস ছুড়ে ফেলাকে কীসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতায় ইন্দ্রজিতের কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলা ও অন্যান্য জিনিস ছুড়ে ফেলাকে, অশোক গাছের তলায় অশোক ফুলের আভা বিচ্ছুরণের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৯ মহাবলী মেঘনাদ প্রচন্ড রোষে কী কী করলেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে, মহাবলী মেঘনাদ প্রচণ্ড রোষে কুসুমদাম ছিঁড়ে ফেলে, সোনার আভরণ ছুড়ে ফেলে সকল সাজ নষ্ট করলেন।

প্রশ্ন ২.৩০ প্রচণ্ড রোষে মেঘনাদ নিজেকে কী বলে ধিক্কার দিলেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতানুসারে, যখন শত্রুরা স্বর্ণলঙ্কা গ্রাস করতে উদ্যত, তখন ইন্দ্রজিৎ নারীদের মাঝে প্রমোদরত-এই ভাবনা প্রকাশ করে তিনি নিজেকে ধিক্কার দিলেন।

প্রশ্ন ২.৩১ ‘বৈরিদল বেড়ে/স্বর্ণলঙ্কা,- ‘বৈরিদল’ বলতে ■ কাদের বোঝানো হয়েছে? ‘বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর:- এখানে ‘বৈরিদল’ অর্থাৎ শত্রুপক্ষ বলতে রামচন্দ্র ও তাঁর সৈন্যদের বোঝানো হয়েছে। ‘বেড়ে স্বর্ণলঙ্কা’ বলতে বোঝানো হয়েছে – স্বর্ণলঙ্কাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৩২ ‘কাঁপিলা লঙ্কা, কাঁপিলা জলধি!’-‘লঙ্কা’ ও ‘জলধি’ কেঁপে ওঠার কারণ কী?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে প্রভাষার মুখে লঙ্কার দুঃসংবাদ শুনে প্রমোদ উদ্যান থেকে যুদ্ধ যাত্রাকালে রথে চেপে আকাশপথে ধাবমান মেঘনাদ ধনুকের ছিলায় যে-টংকার দিয়েছিলেন, তাতে এমন অবস্থা হয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৩৩ ‘আন রথ ত্বরা করি;’-ত্বরা করে রথ এনে ইন্দ্রজিৎ কী করবেন?

উত্তর:- পাঠ্য ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে, শীঘ্র রথ নিয়ে রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমোদকানন ত্যাগ করে স্বর্ণলঙ্কার অভিমুখে যাত্রা করবেন।

প্রশ্ন ২.৩৪ হৈমবতীসুত কী করেছিলেন?

উত্তর:- দেবলোকে ত্রাস সঞ্চারকারী মহাবলশালী তারকাসুরকে বধ করে ‘হৈমবতীসূত’ অর্থাৎ কার্তিকেয় স্বর্গরাজ্য নিষ্কণ্টক করেছিলেন।

প্রশ্ন ২.৩৫ ‘বৃহন্নলারূপী কিরীটি’ কে?

উত্তর:- ‘বৃহন্নলারূপী কিরীটি’ হলেন বৃহন্নলার ছদ্মবেশধারী তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন।

প্রশ্ন ২.৩৬ গোধন উদ্ধার করতে কিরীটি কাকে সঙ্গে নিয়েছিলেন?

উত্তর:- বিরাট রাজাকে বিপন্মুক্ত করতে কিরীটি তথা অর্জুন গোধন উদ্ধারের জন্য বিরাটপুত্রকে সঙ্গে নিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২.৩৭ অর্জুনকে কিরীটি বলার কারণ কী?

উত্তর:- পান্ডবশ্রেষ্ঠ অর্জুন দেবরাজ ইন্দ্রের দেওয়া কিরীট বা মুকুট মাথায় পরেছিলেন বলে, অর্জুনকে কিরীটি বলা হয়।

প্রশ্ন ২.৩৮ ‘শমীবৃক্ষমূলে’ কথাটির মধ্যে কোন্ কাহিনির ইঙ্গিত আছে?

উত্তর:- ‘শমীবৃক্ষমূলে’ কথাটির মধ্যে বৃহন্নলারূপী অর্জুনের ছদ্মবেশ ত্যাগ করে যুদ্ধসজ্জার প্রসঙ্গের ইঙ্গিত আছে।

প্রশ্ন ২.৩৯ স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার সময় ইন্দ্রজিতের রথসজ্জার কথা

লেখো।

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার সময় ইন্দ্রজিতের অত্যন্ত দ্রুতবেগসম্পন্ন মেঘবর্ণ রথটির চাকায় ছিল বিজলির ছটা, পতাকা ছিল রংধনুর মতো সাতটি বর্ণে রঞ্জিত।

প্রশ্ন ২.৪০ ইন্দ্রজিৎ যখন স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তখন কে তার পথ রোধ করে দাঁড়ালেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতানুসারে ইন্দ্রজিৎ যখন স্বর্ণলঙ্কায় যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন তখন ইন্দ্রজিতের পত্নী প্রমীলা তাঁর পথ রোধ করে দাঁড়ালেন।

প্রশ্ন ২.৪১ ‘হেনকালে প্রমীলা সুন্দরী’- প্রমীলা কে?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতানুসারে প্রমীলা হলেন রক্ষকুলবধূ, ইন্দ্রজিৎ-মেঘনাদের পত্নী এবং অসাধারণ শক্তিময়ী নারী।

প্রশ্ন ২.৪২ প্রমীলার ইন্দ্রজিতের হাত দুটি ধরাকে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর:- কবি মধুসূদন ‘অভিষেক’ কবিতায় বলেছেন, স্বর্ণলতা যেভাবে বড়ো বৃক্ষকে জড়িয়ে ধরে, সেভাবেই প্রমীলা ইন্দ্রজিতের হাত দুটি ধরেছেন।

প্রশ্ন ২.৪৩ ‘কহিলা কাঁদিয়া ধনী;’- ‘ধনী’ কে?

উত্তর:- পাঠ্য ‘অভিষেক’ নামাঙ্কিত রচনাংশে কবি ‘ধনী’ বলতে প্রমীলাকে বুঝিয়েছেন। ‘ধনী’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নারী বা যুবতি।

প্রশ্ন ২.৪৪ প্রমীলার নিজেকে অভাগী বলার কারণ কী?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে, ইন্দ্রজিতের প্রমোদকানন ছেড়ে স্বর্ণলঙ্কার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার খবর পেয়ে স্বামীর সঙ্গসুখ বঞ্চিত এবং স্বামীর সঙ্গে যুদ্ধযাত্রায় অপারগ প্রমীলা নিজেকে অভাগী বলেছেন।

প্রশ্ন ২.৪৫ ‘যূথনাথ’ শব্দের অর্থ লেখো।

উত্তর:- হাতিদের দলপতিকে বলা হয় ‘যূথনাথ’।

প্রশ্ন ২.৪৬ ‘তবে কেন তুমি, গুণনিধি’-কে, কাকে গুণনিধি বলেছেন।

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতায় প্রমীলা রাবণপুত্র ইন্দ্রজিৎকে গর্ব করে গুণনিধি বলেছেন।

প্রশ্ন ২.৪৭ ‘তাজ কি কিঙ্করীরে আজি?’-কে, কেন নিজেকে কিঙ্করী বলেছেন?

উত্তর:- অভিষেক’ কবিতায় ইন্দ্রজিৎ যুদ্ধের উদ্দেশ্যে লঙ্কা অভিমুখে রওনা হলে, স্বামী-প্রেমে কাতরা প্রমীলা স্বামীর সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে বিচ্ছেদ বেদনায়; নিজেকে ‘কিঙ্করী’ বা সেবিকা বলে এমন মন্তব্য করেছেন।

প্রশ্ন ২.৪৮) প্রমীলার থেকে বিদায়কালে ইন্দ্রজিৎ তাঁকে কী কী উপমায় অলংকৃত করেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে ইন্দ্রজিৎ বিদায়কালে হৃদয়ের গভীর ভালোবাসায় আর্দ্র সুরে প্রমীলাকে ‘সতী’, ‘কল্যাণী’ ও ‘বিধুমুখী’ বলে অলংকৃত করেন।

প্রশ্ন ২.৪৯ ইন্দ্রজিৎ কাকে বধ করতে স্বর্ণলঙ্কায় যাত্রা করছেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে ইন্দ্রজিৎ ঘোরতর যুদ্ধে রামচন্দ্রকে বধ করতে স্বর্ণলঙ্কায় যাত্রা করছেন।

প্রশ্ন ২.৫০ ‘উঠিল পবন-পথে, ঘোরতর রবে, রখবর,’- ‘রখবর’

কে?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা থেকে গৃহীত আলোচ্য পঙ্ক্তিতে উল্লিখিত ‘রথবর’ হলেন স্বয়ং ইন্দ্রজিৎ।

প্রশ্ন ২.৫১ ইন্দ্রজিতের পবনপথে ঘোরতর রবকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতায় ইন্দ্রজিতের পবনপথে ঘোরতর রবকে কবি, সোনার পাখা মেলা বিশাল মৈনাক পর্বতের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন ২.৫২ ‘শিল্পিল্গুনী আকর্ষি রোষে,- ‘শিঞ্জিনী’ শব্দের অর্থ লেখো।

উত্তর:- ‘শিস্তিনী’ শব্দের অর্থ ধনুকের গুণ বা ছিলা।

প্রশ্ন ২.৫৩ ‘শিঙ্খিনী আকর্ষি রোষে, টঙ্কারিলা ধনুঃ বীরেন্দ্র’, -‘বীরেন্দ্র’ কে?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা থেকে উল্লিখিত অংশটিতে ‘বীরেন্দ্র’ হলেন প্রবল শক্তির অধিকারী ইন্দ্রজিৎ।

প্রশ্ন ২.৫৪ রাবণরাজা কীভাবে যুদ্ধযাত্রার জন্য সাজছেন?

উত্তর:- ‘অভিষেক’ কবিতা অনুসারে, রাবণরাজা বীরমদে মত্ত হয়ে ধযাত্রার জন্য সাজছেন। চারদিকে শোনা যাচ্ছে যুদ্ধের বাজনা, হাতির র্জন, ঘোড়ার ডাক ও পদাতিক সৈন্যের হুংকার। উড়ছে রেশমি পতাকা।

You may also like

Class 10 Bengali

জ্ঞানচক্ষু গল্প (আশাপূর্ণা দেবী)মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প ) লেখক-আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ 40 টি MCQ   ১. কথাটা শুনে তপনের চোখ- (ক) লাল