Class 10 Bengali

মাধ্যমিক বাংলা নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

মাধ্যমিক বাংলা নদীর বিদ্রোহ (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ২.১‌ ‘আমি চললাম হে!’-কে, কাকে এ কথা বলেছে?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি রওনা করিয়ে, তার সহকারীকে কর্তব্যভার বোঝানোর সময় তাকে এ কথা বলেছে।

প্রশ্ন ২.২ ‘আজ্ঞে হ্যাঁ।’—কে, কোন্ প্রসঙ্গে এই কথাটি বলেছিল?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে পাস করিয়ে নতুন সহকারীকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে চলে যাবার কথা জানায়। উত্তরে সহকারী সম্মতিসূচক উক্তিটি করে।

প্রশ্ন ২.৩ ‘আজে না।’-বক্তার এই কথাটি বলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করো।

উত্তর:- নদেরচাঁদ বিকেলের প্যাসেঞ্জার ট্রেনটিকে পাস করিয়ে, দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সময় সহকারীকে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে সহকারী উদ্ধৃত উক্তিটি করেন।

প্রশ্ন ২.৪ ‘পাঁচ দিন নদীকে দেখা হয় নাই।’-এই উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের যে-আন্তরিক আকৃতি ফুটে উঠেছে, তার পরিচয় দাও।

উত্তর:- নদেরচাঁদের ছোটো থেকেই নদীর প্রতি বড়ো টান। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জন্য সে নদীর কাছে যেতে পারেনি। তাই বৃষ্টি থামতেই নদীকে দেখার জন্য সে উৎসুক হয়ে উঠল।

প্রশ্ন ২.৫ ‘নদেরচাঁদ ছেলেমানুষের মতো ঔৎসুক্য বোধ করিতে লাগিল।’- ‘ছেলেমানুষের মতো’ বলার কারণ কী?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে অবিশ্রান্ত বৃষ্টির কারণে নদীকে দেখতে না- পেয়ে নদেরচাঁদের মধ্যে যে-আকুলতা সৃষ্টি হয়েছিল, তা সাধারণত কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে দেখা যায় না। এই আগ্রহ বা ঔৎসুক্যবোধকেই ‘ছেলেমানুষের মতো’ বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৬ ‘কিছুক্ষণ নদীকে না দেখিলে সে বাঁচিবে না।’-এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তর:- এ কথার মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের সঙ্গে নদীর গভীর বন্ধুত্বকে বোঝানো হয়েছে। একটানা পাঁচ দিন বৃষ্টির পরে নদীকে দেখার জন্য তার মধ্যেকার আকুলতাকে প্রকাশ করছে এই উদ্ধৃতি।

প্রশ্ন ২.৭ ‘তা হোক।’- কী হওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘তা হোক’ শব্দটির সাহায্যে বৃষ্টির পূর্বাভাসকে উপেক্ষা করাকে বোঝানো হয়েছে। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণের শেষে নদীকে দেখার সুযোগ নদেরচাঁদ কোনো মতেই হাতছাড়া করতে চায় না।

প্রশ্ন ২.৮ ‘রেলের উঁচু বাঁধ ধরিয়া হাঁটিতে হাঁটিতে…’- হাঁটতে হাঁটতে নদেরচাঁদ কী ভাবছিল?

উত্তর:- পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির ফলে নদেরচাঁদের নদী দেখা হয়নি। বৃষ্টি থামলে নদীকে দেখতে যাওয়ার সময় দু-দিকের মাঠঘাট দেখে সে বর্ষণ-পুষ্ট নদীর পরিপূর্ণ রূপের কথা ভাবছিল।

প্রশ্ন ২.৯ ‘ত্রিশ বছর বয়সে নদীর জন্য নদেরচাঁদের এত বেশি মায়া একটু অস্বাভাবিক।’-এ কথা বলার কারণ কী ছিল?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহে’ নদেরচাঁদের নদীকে নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের ঔৎসুক্যবোধ অনেকটা ছেলেমানুষের মতো। ত্রিশ বছর বয়সে নদীকে নিয়ে নদেরচাঁদের এতটা মায়া একটু অস্বাভাবিকই লাগে।

প্রশ্ন ২.১০ ‘কেবল বয়সের জন্য নয়,’-বয়স ছাড়া আর কোন্ কোন্ কারণ উল্লেখ করা হয়েছে?

উত্তর:- নদেরচাঁদ একজন স্টেশনমাস্টার। মেল, প্যাসেঞ্জার, মালগাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা তার কাজ। যন্ত্রের গতি নির্ধারণ যার কাজ, তার এতটা আবেগপ্রবণ হওয়াটা খুব স্বাভাবিক লক্ষণ নয়।

প্রশ্ন ২.১১ ‘নিজের এই পাগলামিতে যেন আনন্দই উপভোগ করে।’ কোন্ পাগলামির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- নদেরটাঁদের নদী সম্পর্কে একটা শিশুসুলভ উন্মাদনা ছিল। নদীর সামান্য অদর্শনে সে অধৈর্য হত। অন্যের কাছে এটা পাগলামি মানে হলেও, সে নিজে এই পাগলামিতে আনন্দ পেত।

প্রশ্ন ২.১২ ‘নিজেকে কেবল বুঝাইতে পারে না।’- নিজেকে শ্রী বোঝাতে পারে না নদেরচাঁদ?

উত্তর:- প্রাপ্তবয়স্ক নদেরচাঁদ ট্রেন চলাচল নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত। তার নদীকে দেখার মতো শিশুসুলভ ঔৎসুক্য সাড়ে না-এ কথা সে মনকে বোঝাতে পারে না।

প্রশ্ন ২.১৩ ‘অস্বাভাবিক হোক, কোন্ বিষয়কে অস্বাভাবিক বলা হয়েছে?

উত্তর:- নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিল। বর্ষণপুষ্ট নদীকে একটানা পাঁচ দিন না-দেখার জন্য তার মধ্যে যে শিশুসুলভ উন্মত্ততা দেখা দিয়েছিল সেটাই অস্বাভাবিক।

প্রশ্ন ২.১৪ নদীকে ভালোবাসার পিছনে নদেরচাঁদের কী কৈফিয়ত ছিল?

উত্তর:- নদেরচাঁদের নদীর প্রতি আকর্ষণ, শিশুসুলভ পাগলামি হলেও এর পিছনে তার একটি নিজস্ব যুক্তি ছিল। কারণ তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নদীর ধারেই। তাই তার নদীর প্রতি এই ভালোবাসা আবাল্য।

প্রশ্ন ২.১৫ ‘কিন্তু শৈশবে, কৈশোরে, আর প্রথম যৌবনে বড়োছোটোর হিসাব কে করে?’-উল্লিখিত সময়ে বড়ো-ছোটোর হিসাব না-করার কারণ কী?

উত্তর:- শৈশব, কৈশোর ও প্রথম যৌবনে মানুষ বুদ্ধি-বিবেচনার পরিবর্তে ব্যক্তিমনের আবেগ-আকাঙ্ক্ষাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। তাই তার কাছে তখন ছোটো-বড়ো, ভালোমন্দের চেয়ে বেশি মূল্যবান নিজের ভালোলাগা।

প্রশ্ন ২.১৬ ‘সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল;’- তার কেঁদে ফেলার কারণ কী?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদের ছোটোবেলা থেকেই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির সঙ্গে ভারি বন্ধুত্ব। একবার অনাবৃষ্টিতে নদীর জলস্রোত প্রায় শুকিয়ে যেতে বসায় সে কেঁদে ফেলেছিল।

প্রশ্ন ২.১৭ ‘অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পাইয়াছিল। কাকে, কেন ‘অসুস্থ দুর্বল আত্মীয়া’ বলা হয়েছে?

উত্তর:- নদেরচাঁদ যে-নদীর ধারে জন্মেছে, বড়ো হয়েছে, যাকে ভালোবেসেছে, সেই নদীটি বর্ষণপুষ্ট নদীর মতো বড়ো ছিল না। ক্ষীণস্রোতা নদীটি নদেরচাঁদের কাছে ছিল অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ার মতো।

প্রশ্ন ২.১৮ ‘নদীটি অসুস্থ্য দুর্বল আত্মীয়ার মতোই তার মমতা পাইয়াছিল।’- নদীটির এই মমতা পাওয়ার কারণ কী।

উত্তর:- নদেরচাঁদের আবাল্যের সঙ্গী নদীটির স্রোতধারা ছিল অতি ক্ষীণ। তাই অসুস্থ, দুর্বল আত্মীয়ের প্রতি মানুষের যেমন সহানুভূতি ও মমতা থাকে, নদেরচাঁদের ও নদীটির প্রতি তাই ছিল।

প্রশ্ন ২.১৯ ‘সেই ক্ষীণস্রোতা নির্জীব নদীটি’-কোন নদীর কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে নদেরচাঁদের দেশের সরু, ক্ষীণস্রোতা নদীটির সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে। আবাল্যের সঙ্গী এই নদীটিকে সে নিজের অসুস্থ ও দুর্বল আত্মীয়ার মতো গণ্য করত।

প্রশ্ন ২.২০ ‘মানুষ যেমন কাঁদে- কে, কেন কেঁদেছিল?

উত্তর:- পরমাত্মীয়কে দুরারোগ্য রোগে মারা যেতে দেখলে মানুষ যেমন কাঁদে, নদেরচাঁদও অনাবৃষ্টিতে তার গ্রামের ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে শুকিয়ে যেতে দেখে তেমনি কেঁদে ফেলেছিল।

প্রশ্ন ২.২১ ‘চিরদিন নদীকে সে ভালোবাসিয়াছে।- নদীকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে নদেরচাঁদের চরিত্রের কোন্ দিকটি প্রকাশিত?

উত্তর:- ত্রিশ বছর বয়সি নদেরচাঁদের নদীর প্রতি তীব্র ভালোবাসা অস্বাভাবিক হলেও নদেরচাঁদ প্রকৃতিপ্রেমী ও আবেগপ্রবণ। তাই সংবেদনশীল শিল্পী চরিত্রদের মতোই সে নদীকে ভালোবেসেছে।

প্রশ্ন ২.২২ ‘একটা কৈফিয়ত নদেরচাঁদ দিতে পারে।’- কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন কী ছিল?

উত্তর:- নদীর প্রতি নদেরচাঁদের তীব্র আকর্ষণ বাস্তববাদী মানুষের মনে প্রশ্ন জাগাতে পারে। তাই একটা কৈফিয়ত দেওয়া যে প্রয়োজন, তা সে অনুভব করে।

প্রশ্ন ২.২৩ ‘নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হইয়া গেল।’- নদেরচাঁদ কেন স্তম্ভিত হয়ে গেল?

উত্তর:- পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পরে নদীর ধারে গিয়ে আপাতশান্ত নদীর উন্মত্ত রূপ দেখে নদেরচাঁদ স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন ২.২৪ ‘প্রথমবার নদীর দিকে দৃষ্টিপাত করিয়াই…’ -‘প্রথমবার’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে, ‘প্রথমবার’ বলতে পাঁচ দিন মুশলধারে বৃষ্টির পর নদেরচাঁদ প্রথম যখন নদীকে দেখে ও তার উন্মত্ততা অনুভব করে, সে-কথাই বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৫ ‘নদীর পঙ্কিল জলস্রোতে সে চাঞ্চল্য দেখিয়া গিয়াছে’- এই চাঞ্চল্যের স্বরূপ কী ছিল?

উত্তর:- নদেরচাঁদ বর্ষণপুষ্ট নদীর পঙ্কিল জলস্রোতের চাঞ্চল্য দেখেই বুঝেছিল সারাবছরের ক্ষীণস্রোতা নদীটির বর্ষার জলে পরিপূর্ণতার কাহিনি যেন তার চাঞ্চল্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হচ্ছিল।

প্রশ্ন ২.২৬ ‘কিন্তু সে চাঞ্চল্য যেন ছিল পরিপূর্ণতার আনন্দের প্রকাশ। কোন্ পরিপূর্ণতার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- নদীর পরিপূর্ণতা তার জলরাশির উচ্ছলতায়। নদেরচাঁদ বর্ষার জলে পুষ্ট নদীর যে-চাঞ্চল্য লক্ষ করেছিল, সেই পরিপূর্ণতার কথা এক্ষেত্রে বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৭ ‘আজ যেন সেই নদী খেপিয়ে গিয়াছে,’ কোন্ নদীর কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদের কর্মস্থল থেকে মাইলখানেক দূরে তার প্রিয় নদীটি অবস্থিত ছিল। এখানে সেই নদীটির কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৮ ‘আজ যেন সেই নদী খেপিয়া গিয়াছে;’- ‘আজ’ বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে ‘আজ’ বলতে পাঁচদিনের অঝোরধারায় বৃষ্টির পর যেদিন নদেরচাঁদ প্রথম নদীকে দেখতে গিয়েছিল, সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৯ ‘আজ যেন সেই নদী খেপিয়া গিয়াছে,’- নদীর খেপে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে সারাবছর জলাভাবে ভুগতে থাকা ক্ষীণস্রোতা নদীটি একটানা পাঁচদিনের বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে উঠেছিল। এটাই নদীর খেপে যাওয়ার কারণ।

প্রশ্ন ২.৩০ ‘নদেরচাঁদ একটি সংকীর্ণ ক্ষীণস্রোতা নদীর কথা ভাবিতেছিল।’-কোন্ নদীর কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- নদেরচাঁদ তার কর্মস্থলের অনতিদূরে চার বছর ধরে একটি ক্ষীণস্রোতা নদীকে দেখে আসছে। টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে সেই নদী ফুলেফেঁপে উঠলেও দাঁড়িয়ে সে সেই ক্ষীণস্রোতা নদীটির কথাই ভাবছিল।

প্রশ্ন ২.৩১ ‘তার চার বছরের চেনা এই নদীর মূর্তিকে তাই যেন আরও বেশি ভয়ংকর, আরও বেশি অপরিচিত মনে হইল।’- তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তর:- নদেরচাঁদের কর্মক্ষেত্রের পাশ দিয়ে প্রবাহিত ক্ষীণস্রোতা নদীটিকে সে প্রতিদিন দেখত। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বর্ষণে সে নদীর জল ফুলেফেঁপে ভয়ংকর রূপ ধারণ করলে চার বছরের চেনা নদীটিকে নদেরচাঁদের অচেনা লাগে।

প্রশ্ন ২.৩২ ‘সে প্রতিদিন নদীকে দেখে।’- ‘সে’ কে? সে কোন্ নদীকে কেন দ্যাখে?

উত্তর:- ‘সে’ হল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদ।
■নদেরচাঁদ তার কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরের নদীটিকে প্রতিদিন দেখত। কারণ এমনই এক নদীর ধারে তার শৈশব কেটেছিল।

প্রশ্ন ২.৩৩ ‘আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল।- কে, কোথায় গিয়ে বসল?

উত্তর:- স্টেশনমাস্টার নদেরটাদের তার কাজের অবসরে কর্মক্ষেত্র থেকে মাইলখানেক দূরে নদীর উপরকার ব্রিজের মাঝামাঝি ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে এসে বসল।

প্রশ্ন ২.৩৪ ‘ধারকস্তম্ভের শেষপ্রান্তে বসিয়া সে প্রতিদিন নদীকে দেখে।’- তার প্রতিদিন নদীকে দেখার কারণ কী?

উত্তর:- নদেরচাঁদের নদীর সঙ্গে সখ্য ছোটোবেলার, তার গ্রামে থাকাকালীন। কর্মস্থলে এসেও সে তা ভুলতে পারেনি। তাই নদীকে সে প্রতিদিন না-দেখে থাকতে পারত না।

প্রশ্ন ২.৩৫ ‘আজও সে সেইখানে গিয়া বসিল।- ‘আজও’ বলার কারণ কী?

উত্তর:- নদীর প্রতি অমোঘ আকর্ষণে নদেরচাঁদ প্রতিদিন নদীকে দেখতে যেত। পাঁচ দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে তাতে ছেদ পড়ে। ষষ্ঠ দিনে বৃষ্টি কমলে সে আবার সেই একই জায়গায় গিয়ে বসে। ‘আজ’ বলতে উক্ত দিনটিকে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৩৬ বলা হয়েছে? ‘মনে হয় ইচ্ছা করিলে…’- কোন্ ইচ্ছার কথা

উত্তর:- বৃষ্টি শেষে নদীর ধারকস্তম্ভে বসে নদেরচাঁদ নদীকে দেখছিল। নদীর জলরাশি মাঝেমধ্যে ফুলেফেঁপে উঠছিল। সেই ফুলেফেঁপে ওঠা জলরাশিকে স্পর্শ করার ইচ্ছার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৩৭ ‘এত উঁচুতে জল উঠিয়া আসয়িাছে যে… – জল উঁচুতে উঠে এসেছে কেন?

উত্তর:- ক্ষীণস্রোতা নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের ধারকস্তম্ভগুলিতে বর্ষার সময় নদীর স্রোত বাধা পায় এবং ফেনিল আবর্ত রচনা করে। তাই জল উঁচুতে উঠে আসে।

প্রশ্ন ২.৩৮ ‘নদেরচাঁদের ভারী আমোদ বোধ হইতে লাগিল।’ -নদেরচাঁদের আমোদ বোধ হওয়ার কারণ কী?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে ব্রিজের ধারকস্তম্ভে বসে নদেরচাঁদ বারবার স্তম্ভের গায়ে আঘাত খেয়ে বর্ষণপুষ্ট নদীর ফুলে ওঠা জল ছুঁতে চেষ্টা করছিল। এতেই সে আমোদিত হয়ে উঠেছিল।

প্রশ্ন ২.৩৯ ‘সে স্রোতের মধ্যে ছুড়িয়া দিল।’- ‘সে’ কে? সে স্রোতের মধ্যে কী ছুড়ে দিল?

উত্তর:- ‘সে’ হল ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ।

চিরপরিচিত ক্ষীণকায় নদীকে বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে উঠতে দেখে উৎফুল্ল নদেরচাঁদ পুরোনো চিঠি সেই উন্মত্ত স্রোতের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৪০ ‘চোখের পলকে কোথায় যে অদৃশ্য হইয়া গেল চিঠিখানি!’- কোন্ চিঠির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- বর্ষণপুষ্ট জলে ক্ষীণস্রোতা নদীর উন্মত্ততা লক্ষ করে নদেরচাঁদ তার প্রিয়ার চিঠি স্রোতের মধ্যে ফেলে দেয়। এখানে সেই চিঠির কথাছ বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৪১ ‘উন্মত্ততার জন্যই জলপ্রবাহকে আজ তাহার জীবন্ধ মনে হইতেছিল, এই উন্মত্ততার পরিচয় দাও।

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরটাদ শীর্ণকায় যে-নদীকে দেখে অভান্ত ছিল তা বর্ষণপৃষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত উন্মত্ত জলপ্রবাহের আবর্ত রচনা করায় সেই জলরাশিকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৪২ ‘তার সঙ্গে খেলায় যোগ দিয়া…’- কথা বলা হয়েছে? কোন্ সেলার

উত্তর:- একটানা বর্ষায় ফুলেফেঁপে ওঠা নদীর উন্মত্ত জলরাশিতে পুরোনো চিঠি খেলার ছলে ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলেছিল নদেরচাঁদ। এখানে সেই খেলার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৪৩ ‘চিঠি পকেটেই ছিল।’-কোন্ চিঠির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- বর্ষার সঙ্গে বিরহের সুর মিলিয়ে বাড়ি থেকে বহুদূরে কর্তব্যরত স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ তার বউকে পাঁচ পাতার একটি চিঠি লিখেছিল। এখানে সেই চিঠির কথাই বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৪৪ ‘একটু মমতা বোধ করিল বটে,’-কী বিষয়ে মমতা বোধ করার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- উন্মত্ত নদীর জলে, স্ত্রীকে লেখা বিরহ-বেদনাপূর্ণ চিঠির এক-একখানি পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে ফেলে দেওয়ার সময় নদেরচাঁদ স্ত্রীর প্রতি মমতাবোধ করেছিল।

প্রশ্ন ২.৪৫ ‘লোভটা সে সামলাইতে পারিল না,’- কোন্ লোভের কথা বলা হয়েছ?

উত্তর:- এখানে ‘লোভ’ বলতে উন্মত্ত নদীর সঙ্গে নদেরচাঁদের খেলার লোভের কথা বলা হয়েছে। সেই লোভের বশবর্তী হয়ে নদেরচাঁদ স্ত্রীকে লেখা চিঠির পাতাগুলো একের-পর-এক নদীতে ছুড়ে ফেলেছিল।

প্রশ্ন ২.৪৬ ‘উঠল না’- কে, কোথা থেকে উঠল না?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে স্ফীতকায় জলরাশির সঙ্গে খেলতে খেলতে আত্মহারা নদেরচাঁদ প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে থাকলেও এক অজানা আত্মিক টানে নদীর ধার ছেড়ে উঠল না।

প্রশ্ন ২.৪৭ ‘নদেরচাঁদের মন হইতে ছেলেমানুষি আমোদ মিলাইয়া গেল, নদেরচাঁদের মন থেকে আমোদ মিলিয়ে গেল কেন?

উত্তর:- ব্রিজের ধারকস্তম্ভের ওপর বসে উত্তাল নদী থেকে উঠে আসা শব্দের সঙ্গে বৃষ্টির শব্দ মিশে তৈরি হওয়া শব্দ শুনতে শুনতে নদেরচাঁদের মন থেকে ছেলেমানুষি আমোদ মিলিয়ে গিয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৪৮ ‘তারপর সে অতিকষ্টে উঠিয়া দাঁড়াইল।’- ‘তারপর’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- নদী আর বৃষ্টির শব্দ মিলেমিশে নদেরচাঁদকে আচ্ছন্ন করে দিয়েছিল। এমন সময় ব্রিজের ওপর দিয়ে সশব্দে একটা ট্রেন চলে যায়। উদ্ধৃতাংশে ‘তারপর’ বলতে এর পরকেই বুঝিয়েছে।

প্রশ্ন ২.৪৯ ‘বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদেরচাদের। নদেরচাঁদ ভয় পেল কেন?

উত্তর:- বর্ষার জলে উন্মত্ত নদীর রোষে-ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা রূপ দেখে দিশেহারা নদেরচাঁদের ভয় হয়েছিল নদীর আর্তনাদি জলরাশি যেন গোটা ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রশ্ন ২.৫০ ‘তাহার উচিত হয় নাই।’- তার কী করা উচিত হয়নি?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র নদেরচাঁদের ক্ষোভে উন্মত্ত নদীর আর্তনাদি জলরাশির কয়েক হাত উঁচুতে ধারকস্তম্ভের ওপর এমন নিশ্চিন্ত মনে বসে থাকা উচিত হয়নি।

প্রশ্ন ২.৫১ ‘তাহাকে বিশ্বাস নাই।’ কাকে, কেন বিশ্বাস নেই?

উত্তর:- বর্ষার জলে ফুলেফেঁপে ওঠা নদীর বিদ্রোহী সত্তাকে নদেরচাঁদের বিশ্বাস হয় না। সে যে-কোনো মুহূর্তে তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে পারে।

প্রশ্ন ২.৫২ ‘নদীর বিদ্রোহের কারণ সে বুঝিতে পারিয়াছে।’ -নদীর বিদ্রোহের কারণ কী ছিল?

উত্তর:- আপাতদৃষ্টিতে বর্ষার কারণে নদী উন্মত্ত হয়ে উঠলেও সংবেদনশীল নদেরচাঁদ ভেবেছিল মানুষ বাঁধ দিয়ে নদীকে বন্দি করায় মুক্তি পাওয়ার জন্য নদী বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে।

প্রশ্ন ২.৫৩ ‘কিন্তু পারিবে কি?’-কার, কী পারার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে মানুষের তৈরি বাঁধ ভেঙে চুরমার করে নদীর প্রতিশোধ নিতে পারার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৫৪ ‘কাল মানুষ আবার সেই ব্রিজ আর বাঁধ গড়িয়া তুলিবে।’- এই ভবিষ্যদ্বাণীর কারণ কী?

উত্তর:- মানবসভ্যতা ও প্রকৃতির লড়াই চিরন্তন। লেখক বলতে চেয়েছেন নদী হয়তো মানুষের তৈরি বাঁধ বা ব্রিজ ভেঙে ফেলবে, কিন্তু মানুষ আবার তা গড়বে।

প্রশ্ন ২.৫৫ ‘ব্রিজটির জন্য এতকাল নদেরচাঁদ গর্ব অনুভব করিয়াছে।’- গর্ব অনুভব করার কারণ কী ছিল?

উত্তর:- প্রকৃতিপ্রেমিক নদেরচাঁদ যতই নদীকে ভালোবাসুক, সে মানবজাতিরই প্রতিভূ। তাই মানুষের উন্নত প্রযুক্তির নিদর্শন, সুন্দর ব্রিজটির জন্য সে গর্বই অনুভব করত।

প্রশ্ন ২.৫৬ ‘আজ তার মনে হইল কী প্রয়োজন ছিল ব্রিজের?’- তার এ কথা মনে হওয়ার পিছনে যে-কারণ ছিল, তা লেখো।

উত্তর:- মানবজাতির স্মারক হিসেবে নদেরচাঁদ ব্রিজটির জন্য গর্ব অনুভব করত। কিন্তু নদীর উন্মত্ততার মধ্যে যে-বিদ্রোহ সে দেখেছিল, তাতে তার মনে একটা অপরাধবোধ দেখা দেয় এবং তার মনে হয় প্রকৃতিকে বশ মানানোর মানবিক প্রচেষ্টায় যথেষ্ট গলদ আছে।

প্রশ্ন ২.৫৭ ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের শেষে নদেরচাঁদের কী পরিণতি হয়েছিল?

চিতার ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের শেষে অবসন্ন ও অন্যমনস্ক নদেরকে যখন লাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে স্টেশনের দিকে রওনা দিয়েছিল । তখন যন্ত্রদানবের মতো ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেন তাকে পিষে দিসে চলে গিয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৫৮ ‘এক একখানি পাতা ছিঁডিয়া দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া জলে ফেলিয়া দিতে লাগিল।’- উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কীসের পাতা জলে ফেলতে লাগল?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে নায়ক নদেরচাঁদের পকেটে স্ত্রীকে লেখা একটি পাঁচপাতা দীর্ঘ বিরহ-বেদনাপূর্ণ চিঠি ছিল। একটু মমতা হলেও উত্তাল নদীর সঙ্গে খেলা করে লোভে সে, তারই এক-একখানি পাতা ছিঁড়ে দুমড়ে-মুচড়ে জলে ফেলে দিচ্ছিল।

প্রশ্ন ২.৫৯ ‘নদীর ধারে তার জন্ম হইয়াছে’- নদীর ধারে কার জন্ম হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক এক রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদের নদীর ধারে জন্ম হয়েছিল। আর সে নদীর ধারে মানুষ হয়েছিল বলেই চিরদিন নদীকে ভালোবাসত।

প্রশ্ন ২.৬০) ‘সর্বাঙ্গ অবশ, অবসন্ন হইয়া আসিতেছে।’- কেন তাঁর এমন অবস্থা হয়েছিল?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ ব্রিজের ধারকস্তম্ভের ওপর বসে, নদীর উত্তাল স্রোতধারার সঙ্গে বৃষ্টির ঝমঝম শব্দের ভীষণ মধুর ধ্বনি-প্রতিধ্বনি শুনে সর্বাঙ্গে অবশ ও অবসন্ন বোধ করেছিল।

প্রশ্ন ২.৬১ ‘মানুষ কী তাকে রেহাই দিবে’- মানুষ তাকে রেহাই না-দিয়ে কী করবে?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে রোষে-ক্ষোভে উত্তাল নদী যদি আজ ব্রিজ আর বাঁধ ভেঙেও ফেলে, তর মানুষ তাকে রেহাই দেবে না। সে আবার সেই ব্রিজ আর বাঁধ গড়ে তুলবে।

প্রশ্ন ২.৬২ ‘পারিলেও মানুষ কি তাকে রেহাই দিবে?’- কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে বর্ষায় উত্তাল-উন্মত্ত নদীটির কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৬৩ নদেরচাঁদ কোন্ ট্রেনে কাটা পড়েছিল?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে ৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেনে নদেরচাঁদ কাটা পড়েছিল।

প্রশ্ন ২.৬৪ ‘সে প্রায় কাঁদিয়া ফেলিয়াছিল- তার কেঁদে ফেলার কারণ কী?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের প্রধান চরিত নদেরচাঁদ একবার পরিণত বয়সেও অনাবৃষ্টির বছরে নদীর ক্ষীণ স্রোতধারাও প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে দেখে সে কেঁদে ফেলেছিল।

প্রশ্ন ২.৬৫ নদীর উন্মত্ততা দেখে নদেরচাঁদের কী মনে হয়েছিল?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পে নদেরটাদ শীর্ণকায় যে-নদীকে দেখে অভান্ত ছিল তা বর্ষণপৃষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত উন্মত্ত জলপ্রবাহের আবর্ত রচনা করায় সেই জলরাশিকে জীবন্ত বলে মনে হয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৬৬ ক-টার ট্রেন রওনা করান নদেরচাঁদ?

উত্তর:- মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে, স্টেশনের স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদ চারটে পঁয়তাল্লিশের ট্রেনটিকে রওনা করিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন ২.৬৭ ‘নদীর জন্য এমনভাবে পাগল হওয়া কি তার সাজে?’- কেন এ কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ একটি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার ছিলেন। স্টেশনটি ছোটো হলেও দিনরাত মেল-প্যাসেঞ্জার কিংবা মালগাড়ি যাতায়াতের দায়িত্ব সামলায় যারা, তিনি তাদেরই একজন। এমন দায়িত্বপূর্ণ পদে কর্মরত একজন ত্রিশ বছর বয়স্ক মানুষের পক্ষে, নদীর জন্য এ পাগলামি বেমানান; তাই এ কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৬৮ ‘সে তো একটা স্টেশনের। স্টেশনমাস্টার,’-মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের প্রধান চরিত্র নদেরচাঁদ স্টেশনমাস্টারের মতো দায়িত্বপূর্ণ পদে কর্মরত হলেও; নদীর প্রতি তার মায়া অস্বাভাবিক, যা প্রায় পাগলামিরই নামান্তর। তাই এমন মন্তব্য।

প্রশ্ন ২.৬৯ আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখে নদেরচাঁদের কী মনে হচ্ছিল?

উত্তর:-‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখে মনে হয়েছিল হয়তো কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার প্রবল বৃষ্টি নামবে কিন্তু আজ কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে নদীকে না-দেখলে সে বাঁচবে না।

প্রশ্ন ২.৭০ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কী?

উত্তর:- লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম ছিল প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রশ্ন ২.৭১ কীসের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নদেরচাঁদ বউকে একটা চিঠি লিখেছিল?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্পের নায়ক নদেরচাঁদ বাইরে প্রকৃতির অবিশ্রান্ত বৃষ্টির সঙ্গে সুর মিলিয়ে, বউকে প্রাণপণে একটা পাঁচপাতা লম্বা বিরহ-বেদনাময় চিঠি লিখেছিল।

প্রশ্ন ২.৭২ নদেরচাঁদের বয়স কত ছিল?

উত্তর:- ‘নদীর বিদ্রোহ’ গল্প অনুসারে স্টেশনমাস্টার নদেরচাঁদের বয়স ছিল ত্রিশ বছর।

You may also like

Class 10 Bengali

জ্ঞানচক্ষু গল্প (আশাপূর্ণা দেবী)মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প ) লেখক-আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ 40 টি MCQ   ১. কথাটা শুনে তপনের চোখ- (ক) লাল