১. বাজারে চায়ের দোকান ছিল-
ক) একটা
খ) দুটো
গ) তিনটে
ঘ) চারটে
উত্তর:-তিনটে
২. বাজারের উত্তরদিকে ছিল-
ক) গ্রাম
খ) ইটভাটা
গ) বাঁশবন
ঘ) মাঠ
উত্তর:-মাঠ
৩. বাজারে জমাটিভাব থাকে-
ক) সন্ধ্যা সাতটা অবধি
খ) রাত আটটা অবধি
গ) রাত নটা অবধি
ঘ) রাত দশটা অবধি
উত্তর:-রাত নটা অবধি
৪) শীতের বৃষ্টিকে ভদ্রলোকে বলে-
ক) ডাওর
খ) ডাক
গ) ফাঁপি
ঘ) পউষে বাদল
উত্তর:-পউষে বাদল
৫. “এমনিতেই খুব জাঁকানো” যার কথা বলা হয়েছে-
ক) রাঢ়বাংলার গরম
খ) রাঢ়বাংলার বর্ষা
গ) রাঢ়বাংলার শীত
ঘ) রাঢ়বাংলার কুয়াশা
উত্তর:-রাঢ়বাংলার শীত
৬. রাঢ় বাংলার শীতে ধারালো বৃষ্টিপাতকে ছোটোলোকে বলে-
ক) শীতবৃষ্টি।
খ) ভাওর
গ) বৃষ্টির ধারাপাত
ঘ) পউষে বাদলা
উত্তর:-ভাওর
৭)… বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে তারা বলে”-
ক) পউষে বাদলাখ
খ) ডাওর
গ) কাপিঘ
ঘ) ঝড়-বৃষ্টি
উত্তর:-কাপিঘ
৮. ‘ডাওর’ কথাটির অর্থ-
ক) ভদ্রলোক
খ) ছোটোলোক
গ) শহরের লোক
ঘ) গ্রামের লোক
উত্তর:-ছোটোলোক
৯. চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে প্রতীক্ষা করছিল-
ক) গরম চায়ের
খ) রোদ ঝলমল একটা দিনের
গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের
ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের
উত্তর:-রোদ ঝলমল একটা দিনের
১০. চায়ের দোকানের আড্ডাবাজরা বুড়ির সঙ্গে তুলনা করেছিল-
ক) ঘোড়ার
খ) টাট্রর
গ) হরিণের
ঘ) খরগোশের
উত্তর:-টাট্রর
১১. ডাকের মতে পৌষমাসে শনিবার বৃষ্টি শুরু হলে তা থাকবে-
ক) একদিন
খ) তিনদিন
গ) পাঁচদিন
ঘ) সাতদিন
উত্তর:-সাতদিন
১২. ডাকপুরুষের বচন অনুযায়ী পৌষমাসে মঙ্গলবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-
ক) একদিন
খ) তিনদিন
গ) পাঁচদিন
ঘ)সাতদিন
উত্তর:-পাঁচদিন
১৩. ডাক তার বচনে বলেছেন যে, পৌষমাসে বুধবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-
ক) একদিন
খ) তিনদিন
গ) পাঁচদিন
ঘ) সাতদিন
উত্তর:-তিনদিন
১৪. ডাক তার বচনে বলেছেন যে, পৌষমাসে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি শুরু হলে থাকবে-
ক) একদিন
খ) তিনদিন
গ )পাঁচদিন
ঘ) সাতদিন
উত্তর:-একদিন
১৫. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল-
ক) সোমবার
খ) মঙ্গলবার
গ) বুধবার
ঘ) বৃহস্পতিবার
উত্তর:-মঙ্গলবার
১৬. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বৃক্ষবাসিনী বুড়ি কোথায় আশ্রয় নিলে ভালো করত বলে কয়েকজন গ্রামবাসী মনে করেছিল?
ক) বটতলায়
খ) চায়ের দোকানে
গ) বারোয়ারিতলায়
ঘ) আড়তে
উত্তর:- বারোয়ারিতলায়
১৭. চায়ের দোকানে হঠাৎ আসা বুড়ির হাতে ছিল-
ক) মোটা লাঠি
খ) বেঁটে লাঠি
গ) ন্যাকড়ার থলে
ঘ) তুলোর কম্বল
উত্তর:-বেঁটে লাঠি
১৮. বাজারে মুদিখানার সংখ্যাক
ক)এক
খ) দুই
গ)তিন
ঘ) চার
উত্তর:-দুই
১৯. বাজারে হাস্কিং মেশিনের পিছনে কী ছিল?
ক) মন্দির
খ) ইটভাটা
গ) জলের কল
ঘ) স্কুল
উত্তর:-ইটভাটা
২০. ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে বোঝায়-
ক) গঙ্গার পূর্ববর্তী অঞ্চল
খ) গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল
গ) দামোদরের দক্ষিণ অঞ্চল
ঘ) অজয় নদের উত্তর অঞ্চল
উত্তর:-গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী অঞ্চল
২১. আমেদাবাদ শহরটি যে রাজ্যে অবস্থিত-
ক) পশ্চিমবঙ্গ
খ) গুজরাট
গ) রাজস্থান
ঘ) মহারাষ্ট্র
উত্তর:-গুজরাট
২২. “… শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন-বাকি সব দিন-দিন।”-এটি হল একটি
ক) বচন
খ) গান
গ) উক্তি
ঘ) ছড়া
উত্তর:-বচন
২৩. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের লেখক সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ যুক্ত ছিলেন-
ক) তরজার সঙ্গে
খ) আলকাপের সঙ্গে
গ) রামযাত্রার সঙ্গে
ঘ) থিয়েটারের সঙ্গে
উত্তর:-আলকাপের সঙ্গে
২৪. যে গ্রন্থটি সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের লেখা নয়-
ক) অলীক মানুষ
খ) রণভূমি
গ) উত্তর জাহ্নবী
ঘ) চোখের বালি
উত্তর:-চোখের বালি
২৫. হাস্কিং মেশিন থেকে কী বের হয়?
ক) তেল
খ) রস
গ) চাল
ঘ) গম
উত্তর:-চাল
২৬. ‘সাবেককাল’ বলতে বোঝায়
ক) আদ্যিকাল
খ) মধ্যকাল
গ) আধুনিক কাল
ঘ) অতি আধুনিক কাল
উত্তর:-আদ্যিকাল
২৭. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটি যে ঋতুর পটভূমিতে রচিত, তা হল-
ক) গ্রীষ্ম
খ) বসন্ত
গ) হেমন্ত
ঘ) শীত
উত্তর:-শীত
২৮. “.. একঘেয়েমি দূর করতেই নানান কথা আসে।”-তাদের মধ্যে একটি হল-
ক) বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী
খ) টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী
গ) কলকাতার অভিনেতা-অভিনেত্রী
ঘ)বোম্বাইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী
উত্তর:-বোম্বাইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী
২৯. “… সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার।”-বাজারটি গড়ে উঠেছে-
ক) পিচের রাস্তা যেখানে শেষ হয়েছে।
খ) ছোটো সড়কের সঙ্গে মিশেছে
গ) পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে
ঘ) ইটপাতা রাস্তার ধারে বড়ো সড়কটি যেখানে
উত্তর:-পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে
৩০. “মাঝে-মাঝে বিমর্ষ সভাতার মুখ চোখে পড়ে।”-কারণ-
ক) গ্রামটিতে ভাঙা মন্দিরের ছড়াছড়ি
খ) গ্রামে বিদ্যুৎ নেই
গ) গ্রামের চারপাশে ছড়িয়ে আছে ভাঙা ইটের স্তূপ
ঘ) গ্রামে সভা মানুষের বসবাস খুবই কম
উত্তর:-গ্রামে বিদ্যুৎ নেই
৩১.চারপাশের গ্রাম থেকে লোকেরা আসে।”- লোকেরা আসে__
ক) তাই রাত ন-টা অবধি জোর জমাটিভার থাকে
খ) তাই জায়গাটিতে মেলা বসে যায়
গ) তাই লোকেরা সবাই সবাইকে চেনে
ঘ) তাই বাজারে বেচাকেনা হয় খুব
উত্তর:-তাই রাত ন-টা অবধি জোর জমাটিভার থাকে
৩২. “আবার সব চুপচাপ।”-সেই স্বত্থতার অন্তগত-
ক) শেয়ালের ডাক
খ)প্যাঁচার ডাক
গ) শকুনের ডাক
ঘ) রিঝির ঢাক
উত্তর:-প্যাঁচার ডাক
৩৩. ” লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”-লোকের মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার তারণ-
ক) অকালবর্ষণে বাড়িঘর ডুবে যাবে
খ) প্রচন্ড শীতে ছেলেপিলেরা ঠান্ডায় কাঁপবে
গ) একাল দুর্যোগে ধানের প্রচন্ড ক্ষতি হবে
ঘ) গরমের দাবদাহে চাষের খেত ফুটিফাটা হবে
উত্তর:-একাল দুর্যোগে ধানের প্রচন্ড ক্ষতি হবে
৩৪. “.. মাথার ওপর আর কোনো শালা নেই রে-কেউ নাই।” কথাটি বলেছিল-
ক) গ্রামের কোনো যুবক চাষি
খ) গ্রামের মোড়লেরা
গ) এক ভবঘুরে
ঘ) গ্রামের এক গণ্যমান্য চাষি
উত্তর:-গ্রামের কোনো যুবক চাষি
৩৫.তখন যা খুশি করা যায়।”-যা খুশি করা যায়, তখন, যখন কিনা-
ক) মাথার ঠিক থাকে না
খ) মাথার যখন ব্যথা থাকে না
গ) মাথা ঘামানোর কিছু থাকে না
ঘ) মাথার উপর কেউ থাকে না
উত্তর:-মাথার উপর কেউ থাকে না
৩৬) . ‘সবাই চলে আসে”-সবাই আসে, কারণ-
ক) একলা ঘরে বসে থাকার জো নেই
খ) গ্রামের ঘরে বসে কারও সময় কাটে না
গ) সবাইকেই এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়
ঘ) বাজারে ভালোমন্দ খাবার পাওয়া যায়
উত্তর:-গ্রামের ঘরে বসে কারও সময় কাটে না
৩৭. “ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে।”-কেন-না-
ক) লোকের হাতে পয়সা নেই
খ) অকাল দুর্যোগে এ সব ধান নষ্ট হয়ে গেছে
গ) আজ না-হোক, কাল পয়সা পাবেই
ঘ) চাওয়ালা খুব দিলদবিয়া লোক ছিল
উত্তর:-আজ না-হোক, কাল পয়সা পাবেই
৩৮. “.. সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”-সবাই অবাক হল কারণ-
ক) এই প্রবল ঝড়ে চায়ের দোকানটা কীভাবে টিকে রইল
খ)এই শুখা মরশুমে বাউবিরা নতুন বাড়ি বানাল কী করে
গ) এই দুর্যোগে কীভাবে ভিখিরি বুড়িটা হেঁটে চায়ের দোকানে এল
ঘ) এই অকালবর্ষণে জমির ধানগুলো অক্ষত রইল কীভাবে
উত্তর:-এই দুর্যোগে কীভাবে ভিখিরি বুড়িটা হেঁটে চায়ের দোকানে এল
৩৯.. “সে-কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?”-কথাটি হল-
ক) সে কোথা থেকে এসেছে
খ) সে কোথায় যাবে
গ)তার সঙ্গে আর কে আছে
ঘ) সে কেন এখানে এসেছে
উত্তর:-সে কোথা থেকে এসেছে
৪০. “মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা।”- লোকেদের এমন কথা বলে চিৎকার করে ওঠার কারণ-
ক) হঠাৎ একটা ট্রাক এসে পড়েছিল
খ) বুড়িটা হাত-পা সেঁকার জন্য আগুনের খুব কাছে চলে গিয়েছিল
গ) তাড়াহুড়োয় চা খেতে গিয়ে বুড়িটির বিষম লেগেছিল ঘ) দুর্যোগের মধ্যে বুড়ি আবার রাস্তায় গিয়ে
উত্তর:-দুর্যোগের মধ্যে বুড়ি আবার রাস্তায় গিয়ে
৪১.”…বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।”-এখানে বুড়ির যে অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে, তা হল-
ক) লোকের টিটকিরি সহ্য করা
খ) না খেয়ে থাকা
গ) গাছতলায় থাকা
ঘ) ফুটপাথে থাকা
উত্তর:-গাছতলায় থাকা
৪২. “কেউ কেউ বলল…।”-কেউ কেউ কী বলল?
ক) বৃষ্টির মধ্যে বুড়ির রাস্তায় নামা উচিত হয়নি
খ) বুড়ি বারোয়ারিতলায় গেলেই ভালো করত
গ) বুড়ির নিশ্চয় কোনো কুমতলব আছে
ঘ) বুড়ির পুটলিতে অনেক টাকাপয়সা আছে
উত্তর:-বুড়ি বারোয়ারিতলায় গেলেই ভালো করত
৪৩) “আবার জমে গেল..।”-এক্ষেত্রে আড্ডা আবার জমে যাওয়ার কারণ-
ক) বৃষ্টি থেমে গেল
খ) বাজারে নতুন নতুন লোক এল
গ) বুড়ির প্রসঙ্গে কথা উঠল
ঘ) বাউরিবাড়ির মেয়েটির প্রসঙ্গ এল
উত্তর:-বুড়ির প্রসঙ্গে কথা উঠল
৪৪. “অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার।”-‘পউষে বাদলা’ প্রসঙ্গে ডাকপুরুষের বচনে না থাকা দিনগুলি হল-
ক) শনি, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি
খ) সোম, মঙ্গাল, শুক্র, শনি
গ) রবি, সোম, বুধ, শনি
ঘ) রবি, সোম, বৃহস্পতি, শুক্র
উত্তর:-রবি, সোম, বৃহস্পতি, শুক্র
৪৫) সবাই আবিষ্কার করল
ক) ভারতবর্ষ
খ) বটতলায় বুড়ির অসাড় দেহ
গ) শকুনের ঝাঁক
ঘ) পড়ে থাকা পুটলি
উত্তর:- বটতলায় বুড়ির অসাড় দেহ
৪৬. বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস জোরালো হলে বলা হয়-
ক) পউষে বাদলা
খ) ডাওর
গ) কালবৈশাখী
ঘ) ফাঁপি
উত্তর:-ফাঁপি
৪৭) পিচের সড়ক বাঁক নিয়েছে যেখানে, সেখানেই গড়ে উঠেছে”-
ক) একটি মিষ্টির দোকান
খ) একটি ছোট বাজার
গ) একটি শনি মন্দির
ঘ) একটি চায়ের দোকান
উত্তর:-একটি ছোট বাজার
১. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বাজারটির পিছনে কী কী ছিল?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বাজারটির পিছনে ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা একটি গ্রাম এবং ইটভাটা।
২. বাজারটিতে রাতের বেলায় কী কী দেখা যেত?
উত্তর:- বাজারটিতে রাত্রিবেলায় দূরে শহরের দিকে চলে যাওয়া দু-একটা চলমান ট্রাক এবং নেড়িকুত্তাকে দেখা যেত।
৩. বাজারটিতে রাত্রিবেলায় কী শোনা যেত?
উত্তর:- নিস্তব্ধ বাজারটিতে রাত্রিবেলায় মাঝে মাঝে শহরের দিকে যাওয়া চলমান ট্রাকের শব্দ এবং বটগাছে পেঁচার ডাক শোনা যেত।
৪. বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটির বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তর:- বাজার-পার্শ্ববর্তী গ্রামটি ছিল ঘন বাঁশবনে ঢাকা এবং সেই গ্রামে বিদ্যুৎ- সংযোগ ছিল না।
৫. বাজারটি কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তর:- পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছিল, সেখানেই বাজারটি গড়ে উঠেছিল।
৬. বাজারে কোন্ কোন্ দোকান ছিল?
উত্তর:- বাজারটিতে তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটে পোশাকের দোকান, একটা মনোহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা ছিল।
৭. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে কোন বাংলা মাস এবং কোন্ বাংলা ঋতুর কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে?
উত্তর:- গল্পটিতে পৌষ মাস এবং ঋতু হিসেবে শীতকালের কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে।
৮. রাঢ়বাংলার শীতের চরিত্র কেমন?
উত্তর:- রাঢ়বাংলার শীত খুব জাঁকালো প্রকৃতির, বৃষ্টি হলে তা হয় ধারালো।
৯. “তাই লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে।”- লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর:- পৌষের শীতে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইতে শুরু করায় ধানের প্রচন্ড ক্ষতি হয়ে যাবে বলে লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।
১০. “চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে” কীসের প্রতীক্ষা করছিল?
উত্তর:- চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে রোদ ঝলমলে দিনের প্রতীক্ষা করছিল।
১৯. “চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-দিতে”-কার মুণ্ডুপাত করছিল?
উত্তর:- চাষাভুসো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে আল্লা তথা ভগবানের। মুণ্ডুপাত করছিল।
১২. শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় কীসের ক্ষতি হয়?
উত্তর:-শীতের অকাল বৃষ্টিতে রাঢ়বাংলায় ধানের ক্ষতি হয়।
১০ . পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় কী কী নামে পরিচিত?
উত্তর:- পৌষমাসের বৃষ্টি গ্রামবাংলায় ভদ্রলোকের কাছে ‘পউষে বাদলা’ অভিধায় এবং ছোটোলোকের কাছে ‘ডাওর’ নামে পরিচিত।
১৪. ফাঁপি’ কাকে বলে?
উত্তর:- শীতকালে বৃষ্টির সঙ্গে জোরালো বাতাস বইলে রাঢ়বাংলার গ্রাম্য, তথাকথিত ‘ছোটোলোকের’ ভাষায় সেই আবহাওয়াকে ‘ফাঁপি’ বলে।
১৫. চায়ের দোকানের আড্ডায় কোন্ কোন্ বিষয়ে গল্পগুজব চলছিল?
উত্তর:- চায়ের দোকানের আড্ডায় ‘বোমবাইয়ের’ অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক, ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে স্থানীয় লোকজনকে নিয়েও গল্পগুজব চলছিল।
১৬. “এইটুকুই যা সুখ তখন।”- কোন্ সুখের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগে ঘরে বসে গ্রামের মানুষদের সময় না কাটায় বাজারে এসে সেখানকার সভাতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নেওয়াই ছিল তাদের ‘সুখ’।
১৭. ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়ির চেহারা কেমন ছিল?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়িটি ছিল রাক্ষুসী চেহারার, কুঁজো এক সাদাচুলের থুথুড়ে বুড়ি। তার ক্ষয়ে-যাওয়া, ছোট্ট মুখমণ্ডলের বলিরেখাগুলি স্পষ্টভাবে
তার দীর্ঘ আয়ু প্রকাশ করছিল।
১৮. বৃদ্ধার পরনে কী ছিল?
উত্তর:- বৃদ্ধা নোংরা একটা কাপড় পরেছিল এবং তার গায়ে জড়ানো ছিল তুলোর চিটচিটে একটা কম্বল।
১৯. বৃদ্ধার হাতে কী ছিল?
উত্তর:- বৃদ্ধার হাতে ছিল বেঁটে একটা লাঠি।
২০. বৃদ্ধার মুখমণ্ডল কেমন ছিল?
উত্তর:- বৃদ্ধার মুখমণ্ডল ছিল ছোটো, ক্ষয়াটে এবং স্পষ্ট বলিরেখাযুক্ত।
২১. সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।” কী সবাইকে অবাক করেছিল? অথবা, “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।”-সবাই অবাক হয়েছিল কেন?
উত্তর:- থুথুড়ে কুঁজো বৃদ্ধা পৌষমাসের তুমুল বৃষ্টির মধ্যে কীভাবে বেঁচেবর্তে থেকে চায়ের দোকানে হেঁটে হেঁটে আসতে পারল-সেই ভাবনাই সবাইকে অবাক করেছিল।
২২. চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধা কী করেছিল?
উত্তর:- চায়ের দোকানে ঢুকে চা খাওয়ার ঠিক পরপরই বৃদ্ধা কোনো কথা না বলে দোকানে-বসে-থাকা সবার মুখের দিকে তাকিয়েছিল।
২৩. “তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল” কী জিজ্ঞাসা করেছিল?
উত্তর:-‘ভারতবর্ষ’ গল্পে চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের একজন সেইসময় বুড়িকে জিজ্ঞাসা করেছিল যে, সে কোথা থেকে এসেছে।
২৪. “তখন একজন তাকে জিজ্ঞেস করল…”-কখন?
উত্তর:- চায়ের দোকানে চা খেয়ে বৃদ্ধাটি কোনো কথা না বলে বসে-থাকা সবার মুখের দিকে তাকালে একজন তাকে প্রশ্ন করেছিল।
২৫. “ওরা হেসে উঠল…।”-ওদের হেসে ওঠার কারণ কী?
উত্তর:- চায়ের দোকানে আসা বৃদ্ধাকে সে কোথা থেকে এসেছে জানতে চাওয়ায় তার মেজাজি পালটা প্রশ্ন ছিল যে, তাতে তাদের কাজ কী? বুড়ির এই অস্বাভাবিক আচরণে সবাই হেসে উঠেছিল।
২৬ “বুড়ি খেপে গেল।” কোন কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল।
উত্তর:- চায়ের দোকানে একজন বুড়িকে বলেছিল “ভারি তেজি দেখছি। এই বাদলায় তেজি টাট্রর মতন বেরিয়ে পড়েছে।” এই কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল।
২৭. একজন ঠান্ডা মাথায় বলল…”- কী বলেছিল?
উত্তর:- • একজন ঠান্ডা মাথায় বুড়িকে বলেছিল যে, বুড়ি কোথায় থাকে, তারা জিজ্ঞাসা করছে।
২৮. বুড়ি চায়ের দোকানে চা খেয়ে কীভাবে চায়ের দাম দিয়েছিল?
উত্তর:- বুড়ি চা খেয়ে তার কম্বলের ভেতর থেকে একটা ন্যাকড়া বের করে তার মধ্যে বাঁধা পয়সা বের করে চায়ের দাম দিয়েছিল।
২৯ “লোকেরা চেঁচিয়ে উঠল…”-চেঁচিয়ে উঠল কী বলে?
উত্তর:- “মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা।-এ কথা বলেই লোকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল
৩০. “লোকেরা চেঁচিয়ে উঠল…”-কখন লোকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল?
উত্তর:- বুড়ি চায়ের দোকানে ঢুকে চা খেয়ে, তার দাম মিটিয়ে যখন ভরা বর্ষার মধ্যে রাস্তায় আবার নেমেছিল তখনই লোকেরা চেঁচিয়ে উঠেছিল।
৩১. “বুড়ি ঘুরে বলল..”-কী বলেছিল?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বুড়িটা ঘুরে দাঁড়িয়ে চায়ের দোকানে বসে-থাকা লোকদের বলেছিল, “তোরা মর, তোদের শতপুষ্টি মন্ত্রক।”
৩২. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বুড়ি যে বটতলায় গিয়েছিল, সেই বটতলাটা সে-সময়ে কেমন ছিল?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে উল্লিখিত বটতলাটা সেইসময় জনহীন ছিল এবং সেখানকার মাটি ভিজে কাদা কাদা হয়ে গিয়েছিল।
৩৩. “বোঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।”-বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?
উত্তর:- বটগাছতলায় বটের গুঁড়ির কাছে থাকা একটি শিকড়ের ওপর বসে পেছনের খুঁড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসার অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলা হয়েছে।
৩৪. “কেউ কেউ বলল”-কেউ কেউ কী বলল?
উত্তর:-কেউ কেউ বলেছিল যে, বটগাছতলায় না গিয়ে গ্রামের বারোয়ারিতলায় গেলেই বুড়ি ভালো করত। দুর্যোগে বটগাছতলায় সে নির্ঘাত মারা পড়বে।
৩৫. বুড়িকে যখন ভালোভাবে তার নিবাস কোথায় তা জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন চা-দোকানের লোকদের বুড়ি কী উত্তর দিয়েছিল?
উত্তর:- চা-দোকানের লোকদের প্রশ্নের উত্তরে বুড়ি তাদের বলেছিল যে, তার নিবাস তাদের মাথায়।
৩৬. বুড়ি কোথায় পয়সা রেখেছিল?
উত্তর:- কম্বলের ভেতরে একটি ন্যাকড়ার মধ্যে বুড়ি পয়সা বেঁধে রেখেছিল।
৩৭. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্দ্বে কোন্ কোন্ বিশেষণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ব্যবহার করেছেন ?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের গল্পকথক বুড়ির স্বভাবচরিত্র সম্বন্ধে ‘বড়ো মেজাজি’ এবং ‘ভারি তেজি’-এই দুটি বিশেষণ ব্যবহার করেছেন।
৩৮. ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি সপ্তাহের কোন্ কোন বারে শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায় ?
উত্তর:- ডাকের মতে পৌষের বৃষ্টি রবিবার, সোমবার, বৃহস্পতিবার বা শুক্রবার শুরু হলে সেইদিনই থেমে যায়।
৩৯. ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে কী বলা আছে ?
উত্তর:- ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’-এ পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে বলা আছে যে, শনিবার শুরু হলে সাত দিন, মঙ্গলবার হলে পাঁচ দিন এবং বুধবার হলে তিন দিন বৃষ্টি চলবে। অন্যবারে শুরু হলে বৃষ্টি সেদিনই থামবে ।
৪০. “অন্যদিনে লাগলে একদিনের ব্যাপার।” অন্যদিন বলতে কোন্ কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- অন্যদিন বলতে রবি, সোম, বৃহস্পতি ও শুরু এই চার দিনের কথা বলা হয়েছে।
৪১. “… কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন…”কী ছাড়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, সেই বৃষ্টি ছাড়ার অর্থাৎ থেমে যাওয়ার কথা এখানে বলা হয়েছে।
৪২. “… কিন্তু যেদিন ছাড়ল, সেদিন “কী দেখা গেল?
উত্তর:- পৌষের বৃষ্টি যেদিন ছাড়ল সেদিন আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল ।
৪৩. “…সবাই আবিষ্কার করল…”-কখন সবাই আবিষ্কার করল?
উত্তর:- পৌষের বৃষ্টি থেমে গেলে যেদিন পরিষ্কার আকাশে সূর্যের উজ্জ্বল মুখ দেখা গেল, সেদিনই সবাই আবিষ্কার করল।
৪৪. “… সবাই আবিষ্কার করল…”-কী আবিষ্কার করল?
উত্তর:- সবাই আবিষ্কার করল যে, বটগাছের গুঁড়ির কোটরে পিঠ রেখে বুড়ি চিৎ হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে রয়েছে।
৪৫. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বিশাল মাঠটি কোথায় ছিল?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বিশাল মাঠটি ছিল বাজারের উত্তরদিকে।
৪৬. ‘ডাওর’ কাকে বলে?
উত্তর:- রাঢ়বাংলার শীতকালে বৃষ্টি হালে সেই শীত আরও বেড়ে যায়। গ্রাম-বাংলার তথাকথিত ছোটোলোকদের ভাষায় সেই অবস্থাকে বলে ‘ডাওর’।
৪৭. “রাঢ়বাংলার শীত এমনিতেই খুব জাঁকালো।”- ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে কোন্ স্থানকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- ‘রাঢ়বাংলা’ বলতে এককথায় গঙ্গার পশ্চিম তীরবর্তী স্থানকে বোঝায়।
৪৮. কোথায় ‘গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার’?
উত্তর:- পিচের সড়ক আদ্যিকালের একটি বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই ‘ছোট্ট বাজার ‘টি গড়ে উঠেছে।
৪৯. “ধানের মরশুম আজ না-হোক, কাল পয়সা পাবেই…” ‘ধানের মরশুম’ বলতে কোন্ সময়কালকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- ধানের মরশুম বলতে এই গল্পে ধান কাটার সময়কে অর্থাৎ শীতকালকে বোঝানো হয়েছে। ।
৫০. “…মাঝে-মাঝে বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে…”-কখন?
উত্তর:- যখন গ্রামের কাঁচা রাস্তায় সবুজ ঝোপের ফাঁক দিয়ে বাজারের দিকে এগিয়ে আসে গ্রাম্য কোনো যুবক বা যুবতী, তখনই বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে।
৫১. “…এগিয়ে আসে কোনো যুবক বা যুবতী।”-এই যুবক বা যুবতী কোন্ পোশাকে সজ্জিত থাকে ?
উত্তর:- প্রশ্নোক্ত যুবক বা যুবতী আমেদাবাদের মিলে তৈরি সস্তা পোশাকে সজ্জিত থাকে।
৫২. ‘কিন্তু বাজারে বিদ্যুৎ আছে।”- লেখক ‘কিন্তু’ অব্যয়টি ব্যবহার করেছেন কেন ?
উত্তর:- বাজারের চারপাশের গ্রামগুলিতে যেহেতু বিদ্যুৎ-সংযোগ ছিল না, সে কারণেই লেখক ‘কিন্তু’ অব্যয় ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে, বাজারে বিদ্যুৎ আছে।
৫৩. “…বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তব্ধতার অন্তর্গত মনে হয়।” বটগাছটি কোথায় অবস্থিত ছিল?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে আমরা দেখি যে, পিচের সড়ক যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেই বাঁকের মুখেই বাজার-পার্শ্ববর্তী বটগাছটি অবস্থিত ছিল।
৫৪. “…বটগাছে পেঁচার ডাকও স্তন্দ্বতার অন্তর্গত মনে হয়।”-কখন?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের বটগাছ-পার্শ্বস্থ বাজারটি রাত নটার পর যখন অত্যন্ত নিস্তত্থ হয়ে যেত, তখন বটগাছে পেঁচার ডাকও স্বত্থতার অন্তর্গত মনে হত।
৫৫. “বৃষ্টিতে তা হল ধারালো।”-কী ধারালো হল বৃষ্টিতে?
উত্তর:- রাঢ়বাংলার প্রবল জাঁকালো শীত বৃষ্টিতে ধারালো হয়েছিল।
৫৬. ‘পউষে বাদলা’ কাকে বলে?
উত্তর:- পৌষমাসের বৃষ্টিকেই গ্রামবাংলার ভদ্রলোকে ‘পউষে বাদলা’ বলে।
৫৭. কেন “সবাই চলে আসে সভ্যতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে”?
উত্তর:- প্রচণ্ড শীতের প্রাকৃতিক দুর্যোগে গ্রামবাসীদের ঘরে বসে দিন কাটতে চায় না বলেই তারা বাজার-রূপ উনোনের কাছে চলে আসে।
৫৮. “…সে-সবই এসে পড়ে।”-কোন্-সব এসে পড়ে?
উত্তর:- বোম্বাইয়ের নায়ক-নায়িকা অথবা গায়ক, বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি ইত্যাদি নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ মানুষের কথা-সবই আড্ডায় এসে পড়ে।
৫৯. “সবাই চলে আসে সভ্যতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে।”-কাকে ‘সভ্যতার ছোট্ট উনোন’ বলা হয়েছে?
উত্তর:- ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে উল্লিখিত গ্রামীণ বাজারটিকেই ‘সভ্যতার ছোট্ট উনোন’ বলা হয়েছে।
৬০. “আজ না-হোক, কাল পয়সা পাবেই”-এমন নিশ্চয়তার কারণ কী?
উত্তর:-সেইসময় ধান কাটার মরশুম চলছিল বলে গ্রামের মানুষদের হাতে যেহেতু টাকার জোগান ছিল, তাই চাওয়ালা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল।
৬১. “সেই সময় এল এক বুড়ি।”-কোথায়, কীভাবে এসেছিল সেই বুড়ি?
উত্তর:- পিচের রাস্তা দিয়ে ভিজতে ভিজতে একই গতিতে হাঁটতে হাঁটতে চায়ের দোকানে এসে ঢুকেছিল বুড়ি।
৬২. “তাকে দেখে সবাই তর্ক থামাল।”-কাকে দেখে?
উত্তর:- এক থুথুরে, কুঁজো বুড়িকে চায়ের দোকানে ঢুকতে দেখে আড্ডা দেওয়া চাষাভুসো মানুষরা তাদের তর্ক থামিয়েছিল।
৬০. “মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা।”-এমন আশঙ্কার কারণ কী?
উত্তর:- প্রবল শীতের অকালবর্ষণে অপ্রতুল পোশাকে অশীতিপর বৃদ্ধাটি বাইরে বেরিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছিল বলেই এমন আশঙ্কা করা হয়েছে।
৬৪. “অর্থাৎ সে বৃক্ষবাসিনী।”-কেন তাকে ‘বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে?
উত্তর:- শীতের অকালবৃষ্টিতে ভেজা বুড়িটা বটগাছের নীচে গিয়ে গুঁড়ির পাশের একটা শিকড়ের ওপর বসে গুড়ির কোটরে পিঠ ঠেকিয়েছিল। বুড়ি সেখানে। থাকতে অভ্যন্ত ছিল বলেই তাকে ‘বৃক্ষবাসিনী’ বলা হয়েছে।
৬৫. “…গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’ আছে।”-কী সম্বন্ধে?
উত্তর:- পৌষের বৃষ্টি সম্বন্ধে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’ আছে।
৬৬. “গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো ‘বচন’ আছে।”-‘ডাকপুরুষ’ কে?
উত্তর:- গ্রামবাংলায় ‘ডাক’ নামক যে প্রখ্যাত গোপালক জ্ঞানীপুরুষ ছিলেন, তিনিই ‘ডাকপুরুষ’ নামে অভিহিত হন।
৬৭. পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের’ পুরোনো বচনে কী বলা আছে? [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৬]
উত্তর:-পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের ‘ডাকপুরুষের পুরোনো বচনে বলা আছে- “শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন বাকি সব দিন-দিন ।