১. গুরু নানকের শিষ্যের নাম ছিল ?
ক) গোবিন্দ সিংহ
খ) তেগবাহাদুর
গ) মর্দানা
ঘ) রামদাস
উত্তর:-মর্দানা
২. তৃষ্ণার্ত মর্দানার কোথাও জল না পাওয়ার ঘটনাকে নানক কি বলেছিলেন ?
ক)ঈশ্বরের অভিশাপ
খ)ভগবানের অভিপ্রায়
গ) প্রকৃতির প্রতিশোধ
ঘ) শত্রু চক্রান্ত
উত্তর:-ভগবানের অভিপ্রায়
৩. বলী কান্ধারী ছিলেন একজন-
ক) তান্ত্রিক
খ) সুফিসাধক
গ) ভক্তিবাদী
ঘ) দরবেশ
উত্তর:-দরবেশ
৪. বলী কান্ধারীর জলের উৎস ছিল-
ক) কুয়ো
খ) সমূদ্র
গ) ঝরনা
ঘ) সরোবর
উত্তর:-কুয়ো
৫. নানক সম্পর্কে নীচের কোন্ বিশেষণটি গল্পে পাওয়া যায় ?
ক) সাধু
খ) মহাত্যাগী
গ) ফকির
ঘ) পির
উত্তর:-পির
৬.গুরু নানক ঈশ্বরকে সম্বোধন করেছিলেন-
ক) ‘জয় নিরকার’ বলে
খ) ‘জয় সত্যসাই’ বলে
গ) ‘জয় ভবানীশংকর’ বলে
ঘ) ‘জয় শ্রীভগবান’ বলে
উত্তর:-জয় নিরকার’ বলে
৭.পাথর সরানোর পরে মর্দানা কী দেখতে পেয়েছিল।
ক) জলের ঝরনা
খ) গুপ্তধন
গ) বিষধর সাপ
ঘ) গৃহামুখ
উত্তর:-জলের ঝরনা
৮. নানক অনুচর-সহ বসেছিলেন___
ক) বাবলাতলায়
খ) নদীর ধারে
গ) পাথরের ওপরে
ঘ) কুটির প্রাঙ্গণে
উত্তর:-বাবলাতলায়
৯. হাসান আব্দালের বর্তমান নাম-
ক) হাসান সাহেব
খ) পঞ্জা সাহেব
গ) নানা সাহেব
ঘ)বশী সাহেব
উত্তর:-পঞ্জা সাহেব
১০. বলী কান্ধারী মর্দানাকে কত বার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন?
ক) চার বার
খ) দুবার
গ) এক বার
ঘ) তিন বার
উত্তর:-তিন বার
১১. “চারিদিক সুনসান।”-কোন্ স্থান?
ক) হাসান আন্দালের জঙ্গল
খ) শেখ হাসানের জঙ্গল
গ) শেখ আদালের জঙ্গল
ঘ)শেখ মহম্মদের জঙ্গল
উত্তর:-হাসান আন্দালের জঙ্গল
১২. “কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।” তাঁর দুশ্চিন্তার কারণ-
ক) মর্দানার অসুস্থতা
খ) মর্দানার খিদে পাওয়া
গ) মর্দানার জলতেষ্টা
ঘ) মর্দানার আত্মহত্যার ইচ্ছা
উত্তর:-মর্দানার জলতেষ্টা
১৩. ‘সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।”-প্রশ্নটি কী?
ক) গড়িয়ে পড়া পাথর থামানো সম্ভব কি না
খ) নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর কারা পুলি চালাল
গ) মর্দানা কোথায় জল পাবে
ঘ) মদীনা কোথা থেকে এসেছে
উত্তর:-মদীনা কোথা থেকে এসেছে
১৪. ‘ অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানককে বলা হয়েছে-
ক)মহাপ্রভু
খ)স্বামীজি
গ)ঋষি
ঘ) সদগুর
উত্তর:-সদগুর
১৫. ‘এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।”-কাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেছেন লেখক?
ক) মর্দানার প্রবল জলতেষ্ট।
খ) বলী কাম্বারীর জলদান না করা
গ) বলী কান্ধারীর মর্দানার সাথে দুর্ব্যবহার করা
ঘ) বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল না থাকা
উত্তর:-মর্দানার প্রবল জলতেষ্ট
১৬. বলী কান্ধরি থাকতেন-
ক) পাহাড়তলিতে
খ) গুহার ভিতরে
গ) সমতলে
ঘ) পাহাড়চূড়ায়
উত্তর:-পাহাড়চূড়ায়
১৭. নানক শিষ্য মর্দানাকে জলের জন্য কোথায় যেতে বলেন ?
ক) ঝরনার ধারে
খ) নদীর ধারে
গ) পাহাড়চূড়ায়
ঘ) সমতলে
উত্তর:-পাহাড়চূড়ায়
১৮. গুরু নানক তৃয়ার্ত মর্দানাকে বলী কান্ধারীর কাছে যেতে বলেছিলেন কেন?
ক) বলী কান্ধারী পথিকদের জলপান করাতেন
খ) বলী কান্ধারীর আশ্রমে প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল থাকত
গ) বলী কান্ধারীর কুয়ো ছাড়া কাছে কোথাও জল ছিল না
ঘ) অলৌকিক ক্ষমতাশালী বলী কান্ধারী মর্দানার জলতেষ্টা মেটাতেন
উত্তর:-বলী কান্ধারীর কুয়ো ছাড়া কাছে কোথাও জল ছিল না
১৯.গুরু নানক দ্বিতীয়বার বলী কাম্বারীর কাছে গিয়ে মর্দানাকে কী বলতে বললেন?
ক) সে নানক পিরের অনুচর
খ) সে নানক দরবেশের অনুচর
গ) সে কাফেরের অনুচর
ঘ) জয় নিরঙ্কার
উত্তর:-সে নানক দরবেশের অনুচর
২০.গুরু নানক শেষবার বলী কাম্বারীর কাছে গিয়ে মর্দানাকে কী বলতে বললেন?
ক) সে নানক পিরের অনুচর
খ) সে নানক দরবেশের অনুচর
গ) সে নানক কাফেরের অনুচর
ঘ) জয় নিরঙ্কার
উত্তর:-জয় নিরঙ্কার
২১.”আমি পির নানকের সঙ্গী।” বক্তা কে?
ক)বলী কান্ধারী
খ)লেখক
গ)মর্দানা
ঘ) লেখকের মাস্টারমশাই
উত্তর:-মর্দানা
২২.কখন “পিঠে হাত বুলিয়ে, সাহস জুগিয়ে উনি তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন”?
ক) বলী কান্ধারীর কুয়োর জল ফুরিয়ে গেলে
খ) নানক যখন অনুচর-সহ বাবলাতলে বসেছিলেন
গ) বলী কান্ধারী মর্দানাকে জলদান না করে তাড়িয়ে
দিলে
ঘ) মর্দানা যখন নানকের পায়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়ল
উত্তর:-মর্দানা যখন নানকের পায়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়ল
২৩.নিমেষেই চারিদিকে থৈ থৈ।” এমনটি হওয়ার কারণ কী ছিল?
ক) মেঘভাঙা বৃষ্টি
খ) হড়পা বান
গ) মর্দানার তোলা পাথরের নীচ থেকে বেরোনো
ঝরনা
ঘ) ওপর থেকে মর্দানার জল ঢালা
উত্তর:-মর্দানার তোলা পাথরের নীচ থেকে বেরোনো
ঝরনা
২৪.” উনি রীতিমত হতভম্ব।”-‘উনি’ কে?
ক) নানক
খ) মর্দানা
গ) বলী কান্ধারী
ঘ) লেখকের মা
উত্তর:-বলী কান্ধারী
২৫.উনি রীতিমত হতভম্ব।” বলী কান্ধারী হতভম্ব হলেন কেন।
ক) ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি শুনে
খ)কুয়োয় একটুও জল নেই বলে
গ) নানক শিষ্যের ভুয়া মেটাতে অপারগ হওয়ায়
ঘ) নানকের অনুচর তাঁর কাছে এসেছে বলে
উত্তর:-কুয়োয় একটুও জল নেই বলে
২৬.দৃশ্যটা দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই।”-কোন্ দৃশ্য দেখে?
ক) বলী কান্ধারী নানককে যথেচ্ছ গালিগালাজ করছেন
খ) কয়েদি-ভরতি ট্রেনটা লাইনে শোওয়া মানুষদের পিষে ফেলছে
গ) বলী কান্ধারী পাহাড়ের ওপর থেকে পাথরের চাঙড় ঠেলে ফেলছেন
ঘ)নিমেষে চারিদিকে জলে থইথই
উত্তর:-বলী কান্ধারী পাহাড়ের ওপর থেকে পাথরের চাঙড় ঠেলে ফেলছেন
২৭.”…এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন।”-‘দরবেশ’ শব্দটির অর্থ হল-
ক)ডাকাত
খ)গুরু
গ)ফকির
ঘ)বাজী
উত্তর:-ফকির
২৮. বলী কান্ধারী নানককে কী বলেছিলেন?
ক) কাফের
খ)শয়তান
গ) ভণ্ড সাধু
ঘ) চোর
উত্তর:-কাফের
২৯. “আমি নানক দরবেশের অনুচর”-‘আমি’ অর্থাৎ-
ক) গুরু গোবিন্দ
খ ) গুরু তেগবাহাদুর
গ) ভাই মর্দানা
ঘ) বলী কান্ধারী
উত্তর:- ভাই মর্দানা
৩০. “… বলী পাথরের একখানা চাঙড় নীচে গড়িয়ে দেন”-
ক) ক্ষিপ্ত হয়ে
খ) রেগে গিয়ে
গ) বিরক্ত হয়ে
ঘ) মেজাজ হারিয়ে
উত্তর:-ক্ষিপ্ত হয়ে
৩১. গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে কোথায় এসে পৌঁছোলেন?
ক) এক গাঁয়ে
খ) এক শহরে
গ) হাসান আবদলের জঙ্গলে
ঘ) এক নির্জন প্রান্তরে
উত্তর:-হাসান আবদলের জঙ্গলে
৩২. ‘অলৌকিক’ গল্পের অনুবাদক কে?
ক) নবারুণ ভট্টাচার্য
খ)অনিন্দ্য সৌরভ
গ)শঙ্খ ঘোষ
ঘ) কর্তার সিং দুগ্গাল
উত্তর:-অনিন্দ্য সৌরভ
৩৩. “মর্দানা শুনেই ছুটে গেল।” মর্দানা কোথায় ছুটে গেল?
ক) গুরু নানকের কাছে
খ) গড়িয়ে পড়া পাথরের দিকে
গ) বলী কান্ধারীর কাছে
ঘ) রেললাইনের দিকে
উত্তর:-বলী কান্ধারীর কাছে
৩৪. নানকের গল্প নিয়ে গল্পের কথক কার সঙ্গে তর্ক করেছিলেন?
ক) ছোটোবোনের সঙ্গে
খ) মা-এর সঙ্গে
গ)বন্ধুর সঙ্গে
ঘ) গুরু নানকের সঙ্গে
উত্তর:-মা-এর সঙ্গে
৩৫.পাঞ্জাসাহেবে কী হয়েছিল?ক
ক)অনশন
খ)সাকা
গ)আন্দোলন
ঘ) ধর্মঘট
উত্তর:-সাকা
৩৬. ‘সাকা’ হলেই অনিবার্য ছিল-
ক)উৎসব
খ)উপবাস
গ)অরন্ধন
ঘ)প্রার্থনা
উত্তর:-অরন্ধন
৩৭. নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপরে গুলি চালিয়েছিল কারা?
ক) পুলিশরা
খ)ডাকাতরা
গ)ফিরিঙ্গিরা
ঘ) স্বদেশিরা
উত্তর:-ফিরিঙ্গিরা
৩৮. পাঞ্জাসাহেবে ট্রেন থামানোর জন্য কার কাছে আবেদন জানানো হয়?
ক) স্টেশন মাস্টারের কাছে
খ) ট্রেনের চালকের কাছে
গ) সরকারের কাছে
ঘ) স্থানীয় প্রশাসনের কাছে
উত্তর:-স্টেশন মাস্টারের কাছে
৩৯. পাঞ্জাসাহেবের ট্রেনের ঘটনাটি গল্পকথককে শুনিয়েছিলেন তাঁর-
ক) মা
খ) মা-এর বান্ধবী
গ) মাস্টারমশাই
ঘ) বন্ধু
উত্তর:-মা-এর বান্ধবী
৪০. “…ব্যাপারটা মেজাজ বিগড়ে দিল।” ব্যাপারটা কী?
ক) বলী কান্ধারীর নানককে যথেচ্ছ গালিগালাজ
খ) বলী কান্ধারীর প্রচণ্ড তৃষ্ণার্ত মর্দানাকে জল না দেওয়া
গ) নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙর থামানো
ঘ) ফিরিঙ্গিদের নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি করা
উত্তর:-নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙর থামানো
৪১. “এ কি আদৌ সম্ভব?”-কোন্ ঘটনা?
ক) পাথরের তলা থেকে ঝরনা বেরোনো
খ)হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়ে দেওয়া
গ) কুয়ো থেকে জল সরে যাওয়া
ঘ) নানক তার শিষ্যের তৃশ্না মেটাতে অপারগ
উত্তর:-হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়ে দেওয়া
৪২. “মনে হয় পরে কেউ খোদাই করেছে,”-কীসের কথা বলা হয়েছে?
ক) স্তম্ভের ওপর পায়ের ছাপ
খ) পাথরের ওপর আঙুলের ছাপ
গ) পাথরের চাঙড়ের ওপর হাতের ছাপ
ঘ) স্তূপের ওপর আঙুলের ছাপ
উত্তর:-পাথরের চাঙড়ের ওপর হাতের ছাপ
৪৩. “স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানানো হল।” কীসের আবেদন জানানো হল?
ক) ট্রেনটাকে চালানোর
খ) ট্রেনটাকে থামানোর
গ)নতুন ট্রেনের ব্যবস্থা করার
ঘ) ট্রেনটাকে বাতিল করার
উত্তর:-ট্রেনটাকে থামানোর
৪৪. “পাঞ্জা সাহেবেই গুরু নানক মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন।”-পাঞ্জাসাহেবের পূর্বনাম কী ছিল?
ক) শেখ হাসান
খ) হাসান আব্দাল
গ) হোসেন আবদুল
ঘ) হাসান রাজা
উত্তর:-হাসান আব্দাল
৪৫. “কিছুতেই ট্রেনটাকে থামানো যাবে না।”-কারণ-
ক) স্টেশন মাস্টারের হুকুম
খ) কয়েদিরা পালাতে পারে
গ) ফিরিঙ্গিদের আদেশ
ঘ) ফিরিঙ্গিদের হুকুম
উত্তর:-ফিরিঙ্গিদের হুকুম
৪৬. “সেই শহর দিয়ে খিদে-তেষ্টায় কাতর কয়েদিদের ট্রেন যাবে এ হতে পারে না।” কারণ-
ক) পাঞ্জাসাহেব গুরু নানকের জন্মস্থান
খ) পাঞ্জাসাহেবে গুরু নানক মর্দানার তৃষ্ণা মিটিয়েছিলেন
গ) পাঞ্জাসাহেবে মর্দানার মৃত্যু হয়েছিল
ঘ) পাঞ্জাসাহেবে বলী কান্ধারীর কুটির ছিল
উত্তর:-পাঞ্জাসাহেবে গুরু নানক মর্দানার তৃষ্ণা মিটিয়েছিলেন
৪৭. ট্রেনের যাত্রীদের জন্য পাঞ্জাসাহেবের মানুষ স্টেশনে কী মজুত করেছিল?
ক) প্রচুর অর্থ
খ)অস্ত্রশস্ত্র
গ)খাবার
ঘ) ফুলের মালা
উত্তর:-খাবার
৪৮. “চোখের জলটা তাদের জন্য।”-কাদের জন্য?
ক) বলী কাশ্বারী ও তাঁর অনুচরদের জন্য
খ) গুরু নানক ও তাঁর শিষ্যদের জন্য
গ)জীবন তুচ্ছ করে যাঁরা অভুক্ত কয়েদিদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাঁদের জন্য
ঘ) নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর যারা গুলি চালিয়েছিল তাদের জন্য
উত্তর:-জীবন তুচ্ছ করে যাঁরা অভুক্ত কয়েদিদের খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, তাঁদের জন্য
৪৯. “চোখের জলটা তাদের জন্য।”-কাদের কথা বলা হয়েছে?
ক) নানক ও মর্দানার কথা
খ) পাঞ্জাসাহেবের সর্বত্যাগী মানুষদের কথা
গ) বলী কান্ধারীর কথা
ঘ) ইংরেজ শাসকদের কথা
উত্তর:-পাঞ্জাসাহেবের সর্বত্যাগী মানুষদের কথা
৫০. “গল্পটা শুনতে বেশ ভালো লাগছিল।”-গল্পটা হল-
ক) শিষ্য মর্দানার পাথর ভাঙার গল্প
খ) শিষ্য মর্দানার জল পানের গল্প
গ) বলী কান্ধারীর গল্প
ঘ) গুরু নানকের ধ্যানের গল্প
উত্তর:-শিষ্য মর্দানার জল পানের গল্প
৫১. দূরের শহরের ফিরিঙ্গিরা গুলি করেছিল-
ক) বিপ্লবীদের ওপর
খ) নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর
গ) সৈন্যদের ওপর
ঘ) শ্রমিকদের ওপর
উত্তর:-নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর
১.”…তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।”- এই কাকুতিমিনতির কারণ কী ছিল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানা প্রবল তৃয়ায় জলের জন্য কাকুতিমিনতি করেছিল।
২. “আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না”-‘কাফের’ এবং ‘কাফেরের শিষ্য’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বক্তা বলী কান্ধারী ‘কাফের’ বলতে গুরু নানককে আর ‘কাফেরের শিষ্য’ বলতে নানকের শিষ্য মর্দানাকে বুঝিয়েছেন।
৩. “… ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছোলেন…”-কে, কোথায় পৌঁছেছিলেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক ঘুরতে ঘুরতে হাসান আন্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছিলেন।
৪. “…ঘুরতে ঘুরতে এসে পৌঁছোলেন…”-যে সময় পৌঁছেছিলেন তখন চারদিকের অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক যখন হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছেছিলেন তখন ভয়ানক গরম পড়েছিল আর গনগনে রোদে চারদিক শুনসান ছিল।
৫. “কোথাও একটা জনমানুষ নেই।”-কোথায়, কখন একটাও জনমানুষ ছিল না?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক যখন হাসান আব্দালের জঙ্গলে পৌঁছেছিলেন তখন সেখানে একটাও জনমানুষ ছিল না।
৬. “কোথাও একটা জনমানুষ নেই।”-একটাও জনমানুষ নেই কেন?
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছোনোর সময়ে গনগনে রোদ আর ভয়ানক গরম থাকায় সেখানে একটাও জনমানুষ ছিল না।
৭. “ভাই মর্দানা, সবুর করো।”-বক্তা কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশের বস্তা গুরু নানক।
৮. “ভাই মর্দানা, সবুর করো।”-বক্কা মর্দানাকে সবুর করতে বলেছেন কেন?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক তাঁর শিষ্য তৃয়ার্ত মর্দানাকে সবুর করতে বলেছিলেন কারণ তিনি জানতেন পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে।
৯. “কিন্তু তার কাকুতি-মিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।”- কার কাকুতিমিনতি শুনে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন এবং কেন?
উত্তর:-গুরু নানক তৃয়ার্ত মর্দানার কাকুতিমিনতি শুনে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন, কারণ জল না পেয়ে যদি মর্দানা পথ চলতে না পারে তাহলে সকলকেই অসুবিধায় পড়তে হবে।
১০. “অথচ সে বেঁকে বসলে সবাইকেই ঝক্কি পোয়াতে হবে।”-এখানে ‘সে’ কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশে ‘সে’ বলতে তৃয়ার্ত মর্দানাকে বোঝানো হয়েছে।
১১. “এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।”-বক্তা কে?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে উপর্যুক্ত উক্তিটির বস্তা হলেন গুর নানক।
১২. “পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি।” তিনি ধ্যানে বসলেন কেন?
উত্তর:- ভূয়ার্ত মর্দানা যখন গুরু নানকের উপদেশ শুনেও চলতে রাজি হলেন না, তখন সমস্যামুক্তির জন্য নানক ধ্যানে বসলেন।
১০. “পরিস্থিতি দেখে ধ্যানে বসলেন তিনি। তিনি ধ্যান শেষে কী দেখলেন?
উত্তর:- গুরু নানক ধ্যান শেষ করার পরে দেখলেন মর্দানা তেষ্টার চোটে জল ছাড়া মাছের মতো ছটফট করছে।
১৪. “সদগুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,”-‘সদগুরু’ কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশে ‘সদ্গুরু’ হলেন গুরু নানক।
১৫. “সদগুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,”কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- দুপালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে ধ্যান শেষে গুরু নানক যখন মর্দানাকে তেষ্টায় ছটফট করতে দেখে ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে তাঁকে তৃয়া নিবারণের উপায় বলেছিলেন, এখানে সেই সময়ের কথা বলা হয়েছে।
১৬, “সদ্গুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,”-সদগুরু কী বলেছিলেন?
উত্তর:- সদগুরু ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বলেছিলেন যে, পাহাড়ের চূড়োয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কুটিরের কুয়োতেই একমাত্র জল পাওয়া যেতে পারে। এই তল্লাটে আর কোথাও জল নেই।
১৭. ‘সদ্গুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন,”সদ্গুরুর কথা শুনে শ্রোতা তখন কী করল?
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে সদগুরুর কথা শুনে শ্রোতা মর্দানা বলী কান্ধারীর কুটিরের উদ্দেশ্যে ছুটে গেল।
১৮.”… এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন।”-উল্লিখিত দরবেশের নাম কী?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পে উল্লিখিত দরবেশের নাম বলী কান্ধারী।
১৯.”… এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন।”-দরবেশ কোথায় কুটির বেঁধে থাকতেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে দরবেশ বলী কান্ধারী পাহাড়ের চূড়ায় কুটির বেঁধে থাকতেন।
২০. “মর্দানা শুনেই ছুটে গেল।” মর্দানা কোথায় ছুটে গেল?
উত্তর:- তৃয়ার্ত মর্দানা জলের জন্য পাহাড় চূড়োয় বলী কাশারীর কাছে ছুটে গেল।
২১. “পাল্লা সাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।”-খবরটি কী?
উত্তর:-খবরটি হল-ফিরিঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলি নিক্ষেপ করছে বাকিদের অন্য শহরের জেলে পাঠানো হচ্ছে। হুকুম হয়েছে খিদে-তেষ্টায়- কাতর, মৃতপ্রায় কয়েদিতে ভরা ট্রেনটি কোথাও থামবে না।
২২. “হাঁপাতে হাঁপাতে শেষ অবধি অনেক কষ্টে উঠতে পারল।”-অনেক কষ্ট হওয়ার কারণ কী?
উত্তর:- ‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানা তেষ্টায় অত্যন্ত কাতর ছিল। তাই অত্যধিক গরমে পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরে পৌঁছোতে তার অনেক কষ্ট হয়েছিল।
২৩. “সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।”-‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদৃত অংশে ‘সে’ বলতে গুরু নানকের শিষ্য মর্দানার কথা বলা হয়েছে।
২৪. “সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।”-কার মনে প্রশ্ন জাগল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানা কুয়োর দিকে এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে বলী কান্ধারীর মনে প্রশ্ন জাগল।
২৫. “সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।”-প্রশ্নটা কী ছিল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কাশারীর মনে যে প্রশ্নটি জেগেছিল সেটি হল, মর্দানা কোথা থেকে এসেছে।
২৬. “সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।”-প্রশ্নের উত্তরে ‘সে’ কী বলেছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারীর প্রশ্নের উত্তরে মর্দানা জানিয়েছিল যে, সে পির নানকের সঙ্গী, ঘুরতে ঘুরতে সেখানে এসে পড়েছে।
২৭. “…বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।”-‘বলী’ কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশে ‘বলী’ হলেন পাহাড় চুড়োয় কুটির বেঁধে থাকা দরবেশ বলী কান্ধারী।
২৮.”…বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।” বলী রেগে গেলেন কেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে মর্দানা নানকের শিষ্য হওয়ায় বলী কান্ধারী রেগে গিয়েছিলেন।
২৯. “…বলী রেগে তাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।” বলী কাকে তাড়িয়ে দিলেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারী রেগে গিয়ে মর্দানাকে তাড়িয়ে দিলেন।
৩০. “নেমে সে নালিশ জানাল।”-কে, কার কাছে নালিশ জানিয়েছিল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে পাহাড় চুড়ো থেকে নেমে এসে মর্দানা গুরু নানকের কাছে নালিশ জানিয়েছিল।
৩১. “নেমে সে নালিশ জানাল।” যাঁর কাছে নালিশ জানাল তিনি কী বললেন?
উত্তর:- মর্দানা নালিশ জানালে নানক তাকে আবার বলী কাম্বারীর কাছে গিয়ে নিজেকে নানক দরবেশের অনুচর হিসেবে পরিচয় দিতে বললেন।
৩২. “ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল।”-কে, কোথায় আবার গিয়েছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে মর্দানা আবার পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারীর কুটিরে গিয়েছিল।
৩৩. “ক্ষোভে দুঃখে বিড়বিড় করতে করতে সে আবার গেল।”-তার ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ কী ছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে তৃয়ার্ত মর্দানাকে বলী কাম্বারীর বারবার তাড়িয়ে দেওয়াই ছিল মর্দানার ক্ষোভ ও দুঃখের কারণ।
৩৪. “আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না” বক্তা কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশের বস্তা হলেন দরবেশ বলী কাম্বারী।
৩৫. “আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।”-কে, কার আদেশ অমান্য করতে পারল না?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পে শিষ্য মর্দানা গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে পারল না।
৩৬. “আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।”-আদেশ অমান্য করতে পারল না কেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের প্রতি শ্রদ্ধা ও আনুগত্যের কারণেই মর্দানা তাঁর আদেশ অমান্য করতে পারল না।
৩৭. “আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল”-সে কোথায় রওনা দিয়েছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা পাহাড় চূড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরের উদ্দেশ্যে পুনরায় রওনা দিয়েছিল।
৩৮. “আদেশ অমান্য করতে না পেরে সে ফের রওনা দিল।”-উদ্দিষ্ট স্থানে গিয়ে সে কী করল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে নানকের আদেশ অমান্য করতে না পেরে মর্দানা পাহাড় চূড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরে অতি কষ্টে পৌঁছে তার পায়ের কাছে লুটিয়ে পড়লেন।
৩৯. “… নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ…”-বক্তা কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোধৃত অংশটির বস্তা দরবেশ বলী কাম্বারী।
৪০. “… নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ…”-কে নিজেকে পির বলে জাহির করে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারীর মতে, গুরু নানক নিজেকে পির বলে জাহির করেন।
৪১. “… নিজেকে পির বলে জাহির করে অথচ…”-বক্তা ‘অথচ’ শব্দটির দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর:- ‘অথচ’ শব্দটির দ্বারা বলী কান্ধারী বোঝাতে চেয়েছেন যে, নানক নিজেকে পির বলে জাহির করলেও শিষ্যের জন্য সামান্য জলও জোগাড় করার ক্ষমতা তাঁর নেই।
৪২. “নিমেষেই চারিদিকে থৈ থৈ।” কখন চারিদিক থইথই করতে লাগল?
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারীর কাছে প্রত্যাখ্যাত মর্দানা নানকের কথায় সামনের পাথরটা সরাতেই পাথরের তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসল এবং চারিদিক থইথই করতে লাগল।
৪৩. “ঠিক সেই সময় বলী কান্ধারীর জলের দরকার হয়েছে।”-কোন্ সময়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- নানকের কথায় মর্দানা পাথর সরানোয় চারিদিক যখন জলে থইথই করছে ঠিক সেই সময়ে বলী কান্ধারীর জলের দরকার হয়েছে।
৪৪. “ঠিক সেই সময় বলী কান্ধারীর জলের দরকার হয়েছে।” জলে- প্রয়োজন হওয়ায় বলী কাম্পারী কী দেখল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে জলের প্রয়োজনের সমনে বলী কান্ধারী দেখলেন তাঁর কুয়োয় একটুও জল নেই।
৪৫. “উনি রীতিমত হতভম্ব”-কে, কখন, কেন হতভম্ব হয়েছিলেন?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারী তাঁর কুয়োতে একটুও জল না দেখে হতভম্ব হয়েছিলেন।
৪৬. “উনি রীতিমত হতভম্ব।”-হতভম্ব হয়ে উনি কী দেখলেন?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে হতভম্ব বলী কান্ধারী দেখলেন তাঁর কুয়োতে একটুও জল নেই অথচ নীচে জলস্রোত বয়ে যাচ্ছে, আর বাবলাতলায় নানক তাঁর অনুচর-সহ বসে আছেন।
৪৭. “উনি রীতিমত হতভম্ব।”-হতভম্ব হয়ে উনি কী করলেন?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে হতভম্ব বলী কাথারী ক্ষিপ্ত হয়ে পাথরের একটা চাঙড় নীচে নানকের দিকে গড়িয়ে দিলেন।
৪৮. “দৃশ্যটা দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই…”-মর্দানা কেন চেঁচিয়ে উঠল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বিরাট পাথরের চাঙড পাহাড়ের ওপর থেকে তাঁদের দিকে গড়িয়ে আসতে দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠল
৪৯. “কাছে আসতেই তিনি হাত দিয়ে… থামিয়ে দিলেন”-গুরু নানক হাত দিয়ে কী থামিয়ে দেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক হাত দিয়ে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথর থামিয়ে দেন।
৫০. “…তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন”। পাথরটা তোলার পর কী দেখা গিয়েছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের কথামতো মর্দানা পাথরটা তোলার পরে তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে এসেছিল।
৫১. “আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি।” কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে লেখকের মা লেখককে গুরু নানকের গল্প বলতে বলতে একটু থামলে বাকি অংশটুকু শোনার জন্য লেখক কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।
৫২. “ওঁর কাছে জল পেতে পার।”- কার কাছে জল পাওয়া যেতে পারে। জলের প্রয়োজন হয়েছিল কেন?
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কাশারীর কাছে জল পাওয়া যেতে পারে বলে নানক মন্তব্য করেছিলেন।
মর্দানা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ায় জলের প্রয়োজন হয়েছিল।
৫৩. শিষ্য মর্দানার কখন জলতেষ্টা পেয়েছিল?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী যখন হাসান আব্দালের জঙ্গল দিয়ে অনুচরবর্গ-সহ গুরু নানক হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন মর্দানার জলতেষ্টা পেয়েছিল।
৫৪. “এ তল্লাটে ওঁর কুয়ো ছাড়া আর কোথাও জল নেই।”-কোন তল্লাটের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশটিতে হাসান আব্দালের জঙ্গল এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে।
৫৫. “আমি কাফেরের শিষ্যকে এক গণ্ডুষ জলও দেব না”-বলী কাম্বারী নানককে ‘কাফের’ বলেছেন কেন?
উত্তর:- জন্মসূত্রে মুসলমান ধর্মসাধক বলী কান্ধারী জন্মসূত্রে হিন্দু ধর্মসাধক নানকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে ‘কাফের’ অর্থাৎ ‘ইসলামবিরোধী’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
৫৬. “আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি” কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন?
উত্তর:- হাসান আব্দালের জঙ্গলে প্রচন্ড গরমে নানকের এসে পৌঁছানোর কথা মার মুখে শুনে গল্পের পরবর্তী অংশ শোনার জন্য বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।
৫৭. ” গুরু নানক শান্ত স্বরে ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিতে বললেন” কখন বললেন?
উত্তর:- বলী কান্ধারী পাথরের একটা চাঙড় নীচে নানক-মর্দানাকে লক্ষ করে গড়িয়ে দিলে ভয়ে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠতেই নানক এমনটা বললেন।
৫৮. নানকের নাম কানে যেতেই বলী কী করলেন?
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী নানকের নাম কানে যেতেই বলী কান্ধারী রেগে গিয়ে মর্দানাকে সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দিলেন।
৫৯. “খানিকক্ষণ অপেক্ষা করো”-এ কথার বক্তা কে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের অন্তর্গত প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটির বস্তা হলেন গুরু নানক।
৬০. “সমস্ত বৃত্তান্ত শুনে গুরু হাসেন”-গুরু হেসে কী বলেছিলেন?
উত্তর:- গুরু নানক হেসে শিষ্য মর্দানাকে বলেছিলেন যে, সে যেন পুনরায় দরবেশ বলী কাম্বারীর কাছে যায় এবং নম্রভাবে তাঁকে বলে যে, মর্দানা নানক দরবেশের অনুচর।
৬১. কীভাবে ঝরনার জল বেরিয়ে এসেছিল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে বলী কান্ধারীর কাছে প্রত্যাখ্যাত মর্দানা নানকের কথায় সামনের পাথরটা সরাতেই পাথরের তলা থেকে ঝরনার জল বেরিয়ে এসেছিল।
৬২. ‘সাকা’ হলে কী ঘটনা ঘটত?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী ‘সাকা’ হলে বাড়িতে অরন্ধন ঘটত।
৬৩. “চোখের জলটা তাদের জন্য।” কাদের জন্য চোখের জল পড়েছিল?
উত্তর:- দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে যাঁরা বন্দি ভারতীয়দের বুটি, জল পৌঁছে দিয়েছিল তাঁদের জন্য চোখের জল পড়েছিল।
৬৪. “এ কি আদৌ সম্ভব?” কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে পাহাড় চূড়া থেকে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরের চাঙড় নানক হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, এখানে তার সম্ভাব্যতার কথাই বলা হয়েছে।
৬৫. “গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।”-গল্পটা কী?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোদৃত অংশে পাহাড় চূড়ো থেকে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরকে নানকের হাত দিয়ে থামানোর গল্পের কথা বলা হয়েছে।
৬৬. “গল্পটা মনে পড়লেই হাসি পেত।”-হাসি পাওয়ার কারণ কী?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে নানকের হাত দিয়ে পাথর থামানোর যে ঘটনার উল্লেখ আছে, তাতে যুক্তি ও বাস্তবতার অভাব থাকায় লেখকের হাসি পেত।
৬৭. “যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না”-বক্তা কে?
উত্তর:- প্রশ্নোদ্ভূত অংশের বস্তা ‘অলৌকিক’ গল্পের লেখক কর্তার সিং দুগ্গালের স্কুলের মাস্টারমশাই।
৬৮. “যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না” কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথর ঠেকানোর কথাটিই বলা হয়েছে।
৬৯. “পাঞ্জাসাহেবে ‘সাকা’ হয়েছে।”-পাত্মাসাহেবের পূর্ব নাম কী ছিল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে উল্লেখিত পাঞ্জাসাহেবের পূর্ব নাম ছিল হাসান আব্দাল।
৭০. “পাপ্তা সাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।”- খবরটা কী ছিল?
উত্তর:-দুগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে ক্ষুধা-তৃয়ায় কাতর বন্দি ভারতীয়দের ট্রেনে করে অন্য শহরের জেলে পাঠানোর সময়ে কোথাও ট্রেন না থামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখানে এই খবরের কথাই বলা হয়েছে।
৭১. “.. ব্যাপারটা মেজাজ বিগড়ে দিল।”-কোন্ ব্যাপারটা?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্প অনুযায়ী নানক হাত দিয়ে পাহাড় চূড়া থেকে গড়িয়ে আসা পাথরের চাঙড়কে থামিয়ে দিয়েছেন-এই আজগুবি ব্যাপারটা লেখকের মেজাজ বিগড়ে দিয়েছিল।
৭২. “…মা চুপ করে গেলেন।”-মায়ের চুপ করার কারণ কী?
উত্তর:- মায়ের বলা নানাকের গল্পে নানক যে গড়িয়ে-পড়া চাঙড় হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, সে-কথা লেখক বিশ্বাস করেননি। তাঁর মুখ দেখে তা বুঝতে পেরেই মা চুপ করে গিয়েছিলেন।
৭৩. “কিন্তু এই ব্যাপারটাতে সবসময়েই মাথা বাঁকিয়েছি।” কোন ব্যাপারে লেখক সর্বদা মাথা বাঁকিয়েছেন?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী নানক যে হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় থামিয়েছিলেন, সেই ব্যাপারটাতে লেখক সবসময় মাথা বাঁকিয়েছিলেন।
৭৪. “…বলে উনি আমাকে চুপ করিয়ে দিলেন।”কী বলে?
উত্তর:- যারা পারে, তাদের পক্ষে কোনোভাবেই অসম্ভব নয়-এমন কথা বলে মাস্টারমশাই লেখককে চুপ করিয়ে দিয়েছিলেন।
৭৫. ‘সাকা’ হওয়ার খবর পাওয়ামাত্রই গল্পকথকের মা কী করেছিলেন?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী ‘সাকা’ হওয়ার খবর পাওয়ামাত্রই গল্পকথকের মা পাঞ্জাসাহেবের দিকে রওনা দিয়েছিলেন।
৭৬. “ঠিক হল, ট্রেনটা থামানো হবে”-এখানে কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- দুগগালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী যে ট্রেনে করে নিরস্ত্র ভারতীয়দের বন্দী করে দূরের শহরের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সেই ট্রেনের কথা বলা হয়েছে।
৭৭. ভারতীয় কয়েদিভরতি ট্রেনটি পিছোনোর ফলে কী হয়েছিল?
উত্তর:- ভারতীয় কয়েদিভরতি ট্রেনটি পিছোনোর ফলে লাশগুলি কেটে দুমড়ে- মুচড়ে গিয়েছিল।
৭৮. “স্বচক্ষে দেখেছি।” বক্তা স্বচক্ষে কী দেখেছেন?
উত্তর:- দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পানুযায়ী পাঞ্জাসাহেবের রেললাইনের পাশে খালপারের সেতুর দিকে রক্তের স্রোত বয়ে যেতে স্বচক্ষে দেখেছেন গল্পকথকের মায়ের বান্ধবী।
৭৯. “সারাদিন একফোঁটা জলও মুখে দিতে পারিনি।”-কেন?
উত্তর:- খিদে-তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশপ্রেমিকে বোঝাই ট্রেনটি থামানোর জন্যে সাধারণ মানুষের আত্মবলিদানের কথা শুনে গল্পকথক সারাদিন এক ফোঁটা জলও মুখে দিতে পারেননি।
৮০. ‘সাকা’কী?
উত্তর:-কোনো ন্যায়সংগত অধিকারের জন্য বা কোনো মহৎ উদ্দেশ্যে মৃত্যুবরণের ঘটনাকে পাঞ্জাবি ভাষায় বলা হত ‘সাকা’।
৮১. ‘অলৌকিক’ গল্পে রক্তের স্রোত কোন্ দিকে প্রবাহিত হয়েছিল?
উত্তর:- কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে খালপারের সেতুর দিকে রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয়েছিল।
৮২. “আমার চোখে জল” কারণ কী ছিল?
উত্তর:- পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে চলন্ত ট্রেন থামিয়ে খিদে-তেষ্টায় কাতর বন্দি ভারতীয়দের বুটি ও জল পৌঁছে দিয়েছিল বলেই তাদের জন্য চোখে জল পড়েছিল কথকের।