Class 12 Bengali

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ভারতবর্ষ গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ভারতবর্ষ গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর

১.”আবার জমে গেল।”-প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আড্ডা কীভাবে আবার জমে গেল তা লেখো ?

উত্তর প্রসঙ্গ-সহ আড্ডার বিবরণ: কথামুখ:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ ছোটোগল্পে আমরা দেখি যে, পৌষমাসের অকাল দুর্যোগের মধ্যে রাঢ়বাংলার এক ছোট্ট বাজারের এক চায়ের দোকানে বসে কয়েকজন অলস কর্মহীন গ্রামবাসী জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল। বুড়ির আগমন: এমন সময় এক থুথুদ্ধে ভিখিরি বুড়ি ভিজতে ভিজতে সেখানে এসে উপস্থিত হলে সে আড্ডায় ছেদ পড়ে। আরাম করে চা খাওয়ার পর বৃদ্ধা বসে-থাকা সকলের মুখের দিকে নিঃশব্দে চায়। একজন জিজ্ঞাসা করে যে, সে কোথা থেকে এসেছে। বুড়ি মেজাজের সঙ্গে জানায়-“সে-কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?” এ কথা শুনে সবাই একসঙ্গে হেসে ওঠে এবং একজন গ্রামবাসী বুড়িকে ব্যঙ্গ করে টাট্টু ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করে। বৃদ্ধা তীক্ষ্ণ ভাষায় পালটা উত্তর দেয়। এরপর সে চায়ের দাম মিটিয়ে দিয়ে নড়বড় করে হাঁটতে হাঁটতে রাস্তায় নেমে যায়। আড্ডাধারীদের চিৎকার: চায়ের দোকানের আড্ডাধারীরা তখন তাকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করে জানায় যে, সে নির্ঘাত মরবে। এ কথা শুনে ঘুরে দাঁড়িয়ে বুড়ি তাদের এবং তাদের শতগুষ্টির মৃত্যু কামনা করে। তারপর সে বৃষ্টি- বাদলের মধ্যে বটতলায় গিয়ে আশ্রয় নিলে তা নিয়েও আলোচনা চলতে থাকে। কয়েকজন গ্রামবাসী বলে, বটগাছতলার পরিবর্তে বারোয়ারিতলায় আশ্রয় নিলেই বুড়ি ভালো করত। ইতিকথা: এইভাবে বুড়িকে নিয়ে ‘অনেক কথা’ এসে পড়ায় আড্ডা আবার জমে ওঠে।

2. “সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার।”-বাজারটি কোথায় অবস্থিত ছিল? এই বাজারটির বর্ণনা দাও। ১+৪

উত্তর বাজারটির অবস্থান:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটি গড়ে উঠেছে রাঢ়বাংলার একটি ছোট্ট গ্রাম্য বাজারকে কেন্দ্র করে। পিচের সড়ক আদ্যিকালের এক বটগাছের পাশে যেখানে বাঁক নিয়েছে, সেখানেই গড়ে উঠেছিল বাজারটি।

বাজারটির বর্ণনা:- বাজারটিতে সবমিলিয়ে ছিল তিনটি চায়ের দোকান, দুটো সন্দেশের দোকান, তিনটি পোশাকের দোকান, একটা মনোহারির দোকান এবং দুটি মুদিখানা। এ ছাড়াও একটি আড়ত এবং একটি হাস্কিং মেশিনেরও দোকান ছিল সেখানে। বাজারটির উত্তরে ছিল বিরাট একটি মাঠ এবং পেছনে ছিল বাঁশবন। চারপাশের গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এখানেই কেনাকাটা করতে আসত।
পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ-সংযোগ না থাকলেও বাজারে বিদ্যুৎ ছিল। সকাল থেকে শুরু করে রাত নটা পর্যন্ত এই বাজার খোলা থাকত। চারপাশের গ্রামের মানুষদের কাছে এটা তাই একটা আড্ডার জায়গাও ছিল। ‘সভ্যতার ছোট্ট উনোনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে’ তারা প্রায়শই বাজারে আসত, বিশেষত সন্ধ্যায়, যখন গ্রামগুলি প্রায় অন্ধকার থাকত। রাত নটায় বাজার ফাঁকা হয়ে গেলে জনহীন বাজারের বৈদ্যুতিক আলোয় দু-একটা নেড়িকুত্তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যেত। একটা-দুটো ট্রাক কখনো-সখনো রাস্তা দিয়ে শহরের দিকে চলে যেত। রাতে নিস্তব্ধ বাজারের পাশের বটগাছ থেকে প্যাঁচার ডাক শোনা যেত।

৩.’ভারতবর্ষ’ গল্প অবলম্বনে বাজারের চায়ের দোকানে বসে- থাকা গ্রামবাসীদের আড্ডার পরিচয় দাও ?

উত্তর:- বাজারের চায়ের দোকানে বসে-থাকা গ্রামবাসীদের আড্ডার পরিচয়:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বৈচিত্র্যহীন গ্রাম্যজীবনে অলস সময় উদ্যাপনে গ্রামের মানুষেরা প্রায়শই আসত, বাজারের চায়ের দোকানে।
অকাল দুর্যোগ:- পৌষমাসের অকাল-দুর্যোগের শেষ দিনটিতে তেমনিভাবেই বাজারের চায়ের দোকানে এসে বসেছিল কয়েকজন অলস গ্রামবাসী। অসময়ের দুর্যোগে ধানের প্রভূত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় তাদের মেজাজ তিরিক্ষে হয়েছিল। চায়ের দোকানে বসে গল্পচ্ছলে তাই তারা রৌদ্রোজ্জ্বল দিনের অপেক্ষা করছিল। ঈশ্বরের

উদ্দেশে বক্তব্য:- কেউ কেউ হতাশ হয়ে ঈশ্বর বা আল্লার মুণ্ডুপাতও করছিল। একজন যুবক চাষি তো চরম ক্ষোভ ও হতাশায় চিৎকার করে বলতে শুরু করল যে, তাদের মাথার ওপর ঈশ্বর বা আল্লা নামধারী কোনো নিয়ন্ত্রক নেই-কেউই নেই। আড্ডার নানান ধরন: আড্ডার কোনো নির্দিষ্ট প্রসঙ্গ ছিল না। বোম্বাইয়ের চলচ্চিত্র-জগতের গায়ক ও অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী এবং বিধায়ক থেকে পাড়ার সরা বাউরির প্রসঙ্গ চলে আসে আলোচনায়।
ইতিকথা:- এইভাবে আড্ডা যখন জমে ওঠে, তখনই সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে সেখানে এক বৃদ্ধার আগমন ঘটে।

৪.’ভারতবর্ষ’ ছোটোগল্পটিতে অকাল-দুর্যোগ সম্বন্ধে যে আলোচনা করা হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো ?

উত্তর অকাল-দুর্যোগ সম্বন্ধে আলোচনা: সময়কাল:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটিতে পৌষমাসের এক মঙ্গলবার রাঢ়বাংলার একটি গ্রাম্য বাজারে হঠাৎই উত্তরের মাঠ থেকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস ধেয়ে আসতে শুরু করেছিল। তারপরই ছাইরঙের মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। পৌষে বাদলা ও ডাওর: রাঢ়ের প্রবল জাঁকালো শীত সেই বৃষ্টিপাতের ফলে তীক্ষ্ণতর হয়। পৌষের এই বৃষ্টিকে ভদ্রলোকে বলে ‘পউষে বাদলা’, ছোটো জাতের লোকেরা বলে ‘ডাওর’। ফাঁপি: কিন্তু যেহেতু পৌষের বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বাতাসও চলছিল, তাই অবস্থাটা ইতরজনের ভাষায় ছিল ‘ফাঁপি’ অর্থাৎ সংকটজনক অবস্থা।
ক্ষতির আশঙ্কা:- খেতের ধান তখনও যেহেতু কেটে নেওয়া হয়নি, তাই কৃষিজীবী গ্রামবাসীরা ফসলের ক্ষতির আশঙ্কায় তিরিক্ষে- মেজাজের হয়ে উঠেছিল। অলস সময়ের আড্ডা:- অকালবর্ষণের সেই দিনগুলিতে চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে-আসা গরিব মানুষগুলি গল্পগুজব করতে করতে তাই রোদ-ঝলমল দিনের অপেক্ষা করছিল। সেখানে বসে হতাশ হয়ে কেউ কেউ ঈশ্বর বা আল্লার মুণ্ডুপাতও করছিল।

৫.”সেই সময় এল এক বুড়ি।”-লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো?

উত্তর বুড়ির বর্ণনা: কথামুখ:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ-এর ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে আমরা এক থুথুরে বুড়ির কথা জানতে পারি। এক বৃষ্টিভেজা শীতের দিনে গ্রামের কর্মহীন মানুষেরা চায়ের দোকানে ‘অলস সময় কাটাচ্ছিল আর নিজেদের মধ্যে নানারকম তর্কবিতর্কে মেতে উঠেছিল। সেই সময় সেখানে আগমন ঘটে থুথুড়ে কুঁজো এক ভিখিরি বুড়ির। চেহারার বর্ণনা: লেখকের কথায় তার ‘রাক্ষুসী চেহারা’। একমার্থা সাদা চুল, পরনে একটা ছেঁড়া নোংরা কাপড়, গায়ে জড়ানো চিটচিটে তুলোর কম্বল, আর হাতে তার একটা বেঁটে লাঠি। পিচের রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে একই তালে অবিচলিত ভঙ্গিতে হেঁটে সে চায়ের দোকানে এসে ঢুকল। তার ক্ষয়া ও খর্বাকৃতি চেহারা এবং মুখে “সুদীর্ঘ আয়ুর চিহ্ন প্রকট।” চেহারার থেকেও বিস্ময়কর ছিল তার চড়া মেজাজ। বুড়ির স্বাধীনচেতা স্বভাব: প্রবল বৃষ্টিতে তার আগমনে বিস্মিত মানুষজন জানতে চাইল যে সে কোথা থেকে এসেছে। বুড়ি তখন রাগত ভঙ্গিতে জবাব দেয়- “সে কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?” তার তেজ নিয়ে উপস্থিত মানুষেরা কিছু কৌতুক করলে বৃদ্ধা আরও ঝাঁজালো উত্তর দিয়ে বলে-“তোমাদের কত্তাবাবা টাট্টু।” চায়ের দাম মিটিয়ে বৃদ্ধা যখন আবার রাস্তায় নেমে যায়, তখন তারা তার মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করলে বৃদ্ধার উত্তর ছিল “তোরা মর্, তোদের শতগুষ্টি মরুক।” গল্প শেষে যখন তার তথাকথিত মৃতদেহের অধিকার নিয়ে হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংঘাতের মুখোমুখি তখন তার নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বৃদ্ধা বলেছে- “আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে? চোখ গেলে দোবো। “ইতিকথা: নিজস্ব মেজাজে বৃদ্ধা যেন হয়ে উঠেছে ধর্মান্ধতার এক প্রবল প্রতিবাদ।

৬.”তোরা মর্, তোদের শতগুষ্টি মরুক।”-কে মন্তব্যটি করেছে? মন্তব্যটির প্রেক্ষাপট আলোচনা করো? ১+৪

উত্তর বক্তা: সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বৃষ্টি বিঘ্নিত শীতের দিনে চায়ের দোকানে আগডুক বৃদ্ধাটি উল্লিখিত মন্তব্যটি করেছেন।

প্রেক্ষাপট:- প্রবল বৃষ্টিতে গ্রামের মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে চায়ের দোকানে আড্ডারত, সেই সময়েই সেখানে আগমন ঘটে বয়সের ভারে জীর্ণ বৃদ্ধার, যিনি প্রবল বৃষ্টিতেও চলাফেরায় সাবলীল। চায়ের দোকানে চা পান করে তিনি উপস্থিত সকলের মুখের দিকে তাকান, কিন্তু নিজে কিছু বলেন না। তখন কৌতূহলী মানুষদের মধ্যে থেকে কেউ একজন জানতে চান যে কোথা থেকে তাঁর আগমন ঘটছে। মেজাজি বৃদ্ধা রাগত ভঙ্গিতে পালটা প্রশ্ন করেন-“সে কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?” উপস্থিত মানুষেরা সেই তেজ দেখে হেসে ওঠে এবং তির্যক মন্তব্য করে- “এই বাদলায় তেজি টাটুর মতন বেরিয়ে পড়েছে।” বৃদ্ধাও পালটা প্রতিক্রিয়া দেন-“তোমাদের কত্তাবাবা টাট্টু।” উপস্থিত জনতাকে তিনি ‘অকথাকুকথা’ বলতে নিষেধও করেন। শেষপর্যন্ত বৃদ্ধা কম্বলের ভিতর থেকে একটি ন্যাকড়ায় বাঁধা পয়সা খুলে চায়ের দাম মিটিয়ে আবার রাস্তায় নেমে যায়। যা দেখে সকলে আশঙ্কা প্রকাশ করে যে বৃদ্ধার নিশ্চিত মৃত্যু হবে। আর তা শুনতে পেয়েই বৃদ্ধা ঘুরে দাঁড়ায় এবং বলে ”তোরা মর, তোদের শতগুষ্টি মরুক।”

৭. “কতক্ষণ সে এই মারমুখী জনতাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারত কে জানে”-‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? জনতা মারমুখী হয়ে উঠেছিল কেন? ১+৪

উত্তর ‘সে’র পরিচয়:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের প্রশ্নোদ্ভূত অংশে ‘সে’ বলতে নীল উর্দি-পরা, এলাকার চৌকিদারের কথা বলা হয়েছে।

জনতার মারমুখী হয়ে ওঠার কারণ:- পৌষমাসের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে চায়ের দোকানে আগত বৃদ্ধার মৃতদেহ কয়েকদিন পরে বটগাছের খোঁদলের কাছে দেখতে পাওয়া যায় এবং তা নিয়ে হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাতের সূচনা হয়। হিন্দুরা চ্যাংদোলা করে মৃতদেহটি নদীর চরে ফেলে এলেও মুসলিমরা সেটি গ্রামে ফিরিয়ে আনে মুসলিম মতে সৎকার করার জন্য। কারণ, গ্রামের মোল্লাসাহেব জানিয়েছেন যে, মামলার কাজে শহরের বাস ধরতে যাওয়ার সময় তিনি বুড়িকে কলমা পড়তে শুনেছেন। হিন্দুদের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ আসে। ভটচাজমশাই জানান যে মোল্লাজির সঙ্গেই একই বাস ধরতে যাওয়ার সময় তিনি বুড়িকে শ্রীহরি বলতে শুনেছেন। এইভাবেই নকড়ি নাপিত বনাম ফজলু সেখ, নিবারণ বাগদি বনাম করিম ফরাজি, হিন্দু বনাম মুসলমান দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়ে ওঠে। তর্কাতর্কি, উত্তেজনার পরে বাঁশের চ্যাংদোলা নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। চারপাশের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। গ্রাম থেকে ছুটে আসে সশস্ত্র মানুষেরা। বুড়ির মৃতদেহের পাশে অস্ত্রহাতে জনতা দাঁড়িয়ে যায়। উভয়পক্ষ ‘নারায়েতকবির’, ‘আল্লাহু আকবর’ আর ‘জয় মা কালী’ চিৎকার করে মৃতদেহের অধিকারের জন্য পরস্পরের প্রতি মারমুখী হয়ে ওঠে।

৮. “বিজ্ঞ চৌকিদারের পরামর্শ মানা হল।”- চৌকিদার কী পরামর্শ দিয়েছিল? সেই পরামর্শ মেনে কী করা হয়েছিল? ৩+২

উত্তর চৌকিদারের পরামর্শ:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে শীতের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গ্রামের বটতলার খোঁদলে আশ্রয় নিয়েছিল যে বৃদ্ধা, পরের দিন বৃষ্টি থামলে দেখা যায় সে নিঃসাড় অবস্থায় পড়ে আছে। নাড়ি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বৃদ্ধা মারা গেছে। এই অবস্থায় চৌকিদার পরামর্শ দেয় যে, ‘ফাঁপি’তে অর্থাৎ প্রবল শীতে বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ায় এক ভিখিরির মৃত্যুতে থানাপুলিশ করার কোনো প্রয়োজন নেই। পাঁচ ক্রোশ দূরের থানায় খবর দিলে পুলিশ আসতে যে দীর্ঘ সময় ব্যয় হবে তাতে মৃতদেহ পচে দুর্গন্ধ বেরোবে। কারণ চৌকিদারের কথায়, ইতিমধ্যে মৃতদেহ ‘ফুলে ঢোল হয়েছে’। এই অবস্থায় গ্রামের সকলে পরামর্শ চাইলে চৌকিদার মৃতদেহটি নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে আসতে বলে। সেখানে তার যা গতি হওয়ার তা হবে বলে মন্তব্য করে সে। এই পরামর্শই গ্রামের সকলে মেনে নিয়েছিল।

পরামর্শ অনুযায়ী গ্রামবাসীদের কৃতকাজ:- চৌকিদারের পরামর্শমতো গ্রামের মানুষেরা দুই মাইল দূরে অবস্থিত শীতকালে শুকিয়ে-যাওয়া নদীর চড়ায় বাঁশের চ্যাংদোলায় নিয়ে গিয়ে বুড়ির মৃতদেহ ফেলে আসে। বুড়ির শরীর উজ্জ্বল রোদে তপ্ত বালিতে চিত হয়ে পড়ে থাকে। আর গ্রামে ফিরে এসে সকলে দিগন্তে চোখ রাখে, ঝাঁকে ঝাঁকে কখন শকুন নামবে তার জন্য।

৯.”শেষ রোদের আলোয় সে দূরের দিকে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল।”- কার কথা বলা হয়েছে? সে ক্রমশ আবছা হয়ে গেল কেন? ১+৪

উত্তর উদ্দিষ্ট ব্যক্তি:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে শীতের দিনে ‘ফাঁপি’র প্রতিকূল আবহাওয়ায় গ্রামে চলে-আসা বৃদ্ধা-যার মৃতদেহকে ঘিরে হিন্দু এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হয়েছিল-সেই বৃদ্ধার কথাই এখানে বলা হয়েছে।

উদ্দিষ্ট ব্যক্তির আবস্থা হয়ে যাওয়ার কারণ:- গ্রামের মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা নদীর চড়ায় ফেলে আসা বৃদ্ধার মৃতদেহকে গ্রামে ফিরিয়ে আনে এবং তাকে মুসলমান দাবি করে কবরস্থ করার উদ্যোগ নেয়। এই নিয়ে হিন্দু এবং মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষের উপক্রম হয়। মোল্লাসাহেবের নেতৃত্বে একপক্ষ থেকে চিৎকার ওঠে “আল্লাহু আকবর”, অন্যপক্ষ থেকে ভটচাজমশাইয়ের নেতৃত্বে গর্জন শোনা যায়-“জয় মা কালী।” এই সময়েই দেখা যায় এক অদ্ভুত দৃশ্য। বুড়ির মৃতদেহটি নড়ছে এবং আস্তে আস্তে তা উঠে বসার চেষ্টা করছে। বুড়ি উঠে দাঁড়ায়, ভিড়কে দেখে এবং বিকৃত মুখে হেসে ওঠে। তারপর ধীরে ধীরে রাস্তা ধরে সে এগিয়ে যায়। যুযুধান মানুষেরা সরে গিয়ে তাকে পথ করে দেয়। দূরের দিকে ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে- যাওয়া বৃদ্ধা যেন ভারতবর্ষের অন্তরাত্মার প্রতীক হয়ে ওঠে, যেখানে বিদ্বেষ বা উগ্রতার কোনো জায়গা নেই।

১০ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের মোল্লাসাহেব এবং ভটচাজমশাইয়ের চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা করো ?

উত্তর মোল্লাসাহেব এবং ভটচাজমশাইয়ের চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের মোল্লাসাহেব এবং ভটচাজমশাই-এই দুজন দুই সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীদের নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন। বুড়ির মৃতদেহের অধিকার নিয়ে হিন্দু-মুসলমানের যে সংঘাত হয়, তাতে মোল্লাসাহেব মুসলিম পক্ষের মুখপাত্র হন। বলেন সকালে বাস ধরতে যাওয়ার সময় তিনি মুমূর্ষু বুড়িকে স্পষ্ট কলমা পড়তে শুনেছেন। ঠিক সেই সময়েই ভটচাজমশাই সদ্য বাস থেকে নেমে সেই ভিড়ের মধ্যে ঢোকেন এবং মোল্লাসাহেবের কথার প্রতিবাদ করে জানান যে, সকালে মোল্লাসাহেবের সঙ্গে একই বাসে ওঠার আগে তিনি মুমূর্ষু বুড়িকে ‘শ্রীহরি’ জপ করতে স্পষ্ট শুনেছেন। সুতরাং এভাবেই দুই সম্প্রদায়ের দুই নেতা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করেন। শুধু তাই নয়, মোল্লাসাহেব এরপর নিজ-সম্প্রদায়ের মানুষকে প্ররোচিত করতে ‘জেহাদ’ অর্থাৎ ধর্মযুদ্ধের ঘোষণা করেন। উলটোদিকে ভটচাজমশাইও একইভাবে হিন্দু জনতাকে প্ররোচিত করতে যবন হত্যার উদ্দেশ্যে মা কালীর আবির্ভাব আহ্বান করতে থাকেন।
সুতরাং মোল্লাসাহেব এবং ভটচাজমশাই-দুজনেই উগ্র এবং ধর্মান্ধ হয়ে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের সহজসরল মানুষকে ভয়ংকর সংঘর্ষে প্ররোচিত করেছেন, মানবতার বিপক্ষে যাদের অবস্থান।

১১.’ভারতবর্ষ’ গল্পের চৌকিদারের চরিত্র বিশ্লেষণ করো।

উত্তর চৌকিদারের চরিত্র: কথামুখ:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের চৌকিদার চরিত্রের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।
বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্নতা:- বাজার-পার্শ্ববর্তী বটগাছতলায় বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে ভেবে গ্রামের লোকেরা চৌকিদারকে খবর দেয়। চৌকিদার অকুস্থলে এসে গ্রামবাসীকে খবরটা থানায় দিতে বারণ করে। পৌষের অকাল-দুর্যোগে এক ভিখারিনি বুড়ির মৃত্যু থানায় খবর দেওয়ার মতো তত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তা ছাড়া, থানা যেহেতু সেখান থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরে, তাই খবর পেয়ে থানার লোকেদের আসতে আসতে মাঝরাত্রি হয়ে যাবে। ততক্ষণে লাশের দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে। তাই সে বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে আসার বাস্তবোচিত পরামর্শ দেয়। তবে বাস্তববুদ্ধির অধিকারী চৌকিদারের পর্যবেক্ষণে একটু ভুল হয়েছিল। কেন-না সে জীবন্ত বুড়িকে দেখে বলেছিল যে, লাশ ফুলে উঠেছে।

কর্তব্যসচেতনতা:- বুড়ির মৃতদেহের অধিকার নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হলে, বিপন্ন চৌকিদার শুধুমাত্র একটি লাঠিকে সম্বল করে দু-পক্ষকে নিরস্ত করতে শেষ পর্যন্ত লড়ে যায়। সশস্ত্র কোনো পক্ষ যখনই এক কদম এগোনোর চেষ্টা করছিল, তখনই নীল-ইউনিফর্ম-পরা চৌকিদার তার লাঠিটা পিচে ঠুকে ‘সাবধান’ বা ‘খবরদার’ বলে গর্জন করে উঠছিল। বুড়ি উঠে না দাঁড়ালে সে হয়তো একা দাঙ্গা ঠেকাতে সমর্থ হত না, কিন্তু কর্তব্যসচেতন চৌকিদারের মরিয়া চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।

১২. “ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল ঝাঁকে ঝাঁকে কখন শকুন নামবে।” সকাল থেকে ঘটা ঘটনাবলির আনুপূর্বিক বিবরণ দাও। সবাই এমনটা করেছিল কেন? ৪+১

উত্তর আনুপূর্বিক ঘটনাবলির বিবরণ:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ ছোটোগল্পের থুখুড়ে বৃদ্ধাটি দুর্যোগময় বৃষ্টির দিনে বাজার-সংলগ্ন বটগাছতলায় আশ্রয় নিয়েছিল। পরের দিন তাকে সেখানেই চিত হয়ে অসাড়ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। চাওয়ালা জগা বলে-“নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা।” এরপর নিঃসাড় বুড়ির চারপাশে ক্রমশ-জড়ো-হওয়া লোকজন বুড়ির শরীরের এবং নাড়ির স্পন্দনহীনতা পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে আসে যে, বুড়ি মৃত। চৌকিদারকে খবর দেওয়া হলে সে এসে সব দেখেশুনে খবরটা থানায় দিতে বারণ করে। থানা যেহেতু সেখান থেকে পাঁচ ক্রোশ দূরে, তাই সেখানে খবর দিতে এবং খবর পেয়ে তারপর থানার লোকেদের অকুস্থলে আসতে মাঝরাত্রি হয়ে যাবে। ততক্ষণে লাশের দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে বলে চৌকিদার জানায়। চৌকিদারের পরামর্শ মতো উপস্থিত কয়েকজন মিলে বাঁশের মাচায় বুড়িকে ঝুলিয়ে নিয়ে দু-মাইল দূরবর্তী শুকনো নদীর চড়ায় ফেলে দিয়ে আসে। উজ্জ্বল রোদে নদীর চড়ায় গরম বালির ওপর বুড়ির দেহ চিত হয়ে পড়ে থাকে।
উদ্দিষ্ট আচরণের কারণ:- নদী থেকে বাজারে ফিরে এসেই সবাই দিগন্তের আকাশে চোখ রেখেছিল। বুড়ির মৃতদেহের লোভে কখন ঝাঁক ঝাঁক শকুন নেমে আসে-তা দেখার আশায়।

১৩. ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে বুড়ির দীর্ঘনিদ্রাভঙ্গ কীভাবে দুই সম্প্রদায়ের মারমুখী জনতাকে শান্ত করল, তা আলোচনা করো?

উত্তর:- সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পের শেষদিকে বুড়ির মৃতদেহের অধিকার নিয়ে সশস্ত্র হিন্দু ও মুসলমান গ্রামবাসীদের মধ্যে যখন রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখনই বুড়ির দীর্ঘনিদ্রা ভঙ্গ হয়। বাঁশের মাচায় শায়িত বুড়ি হঠাৎ নড়ে উঠে বসতে চেষ্টা করে। দু-পক্ষের মারমুখী জনতা এবং চৌকিদার বিস্ময়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকে। বুড়ি এরপর ক্রমে দাঁড়িয়ে পড়ে। তার দু-দিকে দু-দলের ভিড় দেখে তার মুখ ব্যাজার হয়ে যায়। সেই ব্যাজার মুখেই তারপর ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে ওঠে সে। চৌকিদারের “বুড়িমা। তুমি মরনি।”-এই বিস্ময়সূচক প্রশ্ন শুনে এরপর সে শতগুষ্টি-সহ চৌকিদারেরই মরণ কামনা করে। সমবেত জনতাও যখন চিৎকার করে একই কথা বলতে থাকে তখন বুড়ি তাদের ‘মুখপোড়া’ বলে গালি দিয়ে শাপশাপান্ত করে। বুড়ি হিন্দু না মুসলমান-এ কথা এরপর একজন জিজ্ঞাসা করলে প্রচন্ড রেগে গিয়ে বুড়ি জনতাকে জানায় যে, তারা তাদের চোখের মাথা খেয়েছে। ‘নরকখেকো’, ‘শকুনচোখো’ ইত্যাদি গালাগাল সহযোগে সে জনতাকে জানায় যে, তারা বুড়িকে দেখে তার ধর্মপরিচয় যেহেতু বুঝতে পারছে না, তাই বুড়ি তাদের সবার চোখ গেলে দেবে। জনতাকে দূর হতেও বলে সে। কথাগুলো বলে বুড়ি নড়বড় করতে করতে সেখান থেকে বেরোলে জনতা সরে গিয়ে তাকে পথ করে দেয়। দিনের শেষ রোদ্দুরে দূরের দিকে ক্রমে অস্পষ্ট হয়ে যায় বুড়ি। এভাবেই দীর্ঘনিদ্রা-থেকে-জেগে-ওঠা বুড়ি দু-সম্প্রদায়ের মারমুখী জনতাকে শান্ত করেছিল।

১৪.সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী গল্প হিসেবে ‘ভারতবর্ষ’ ছোটোগল্পটি কতখানি সার্থক-তা আলোচনা করো m

উত্তর। সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী গল্প হিসেবে ‘ভারতবর্ষ’ ছোটোগল্পটির সার্থকতা:- নিজ প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ এবং নিজ- সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজন সম্বন্ধে ইতিবাচক এবং অন্যান্য ধর্ম, ধর্মগ্রন্থ এবং ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষজন সম্বন্ধে নেতিবাচক পক্ষপাতিত্ব পোষণ করার মানসিকতাকেই বলা হয় সাম্প্রদায়িকতা (Communalism)। সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে পৌষের অকাল-দুর্যোগে এক পুপুড়ে বৃদ্ধ ভিখারিনি দীর্ঘসময় ধরে মৃতের মতো হয়ে থাকলে, তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে সেই মৃতদেহের অধিকার নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের গ্রামবাসীর মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। মোল্লাসাহেবের উসকানিতে মুসলমানরা এবং ভটচাজমশাইয়ের উসকানিতে হিন্দুরা পরস্পরের বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে ওঠে এবং রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই সবাইকে অবাক করে দিয়ে বুড়িটি নড়েচড়ে উঠে দাঁড়ায়। ব্যাজার মুখে দু-দিকের ভিড়ে দৃষ্টিপাত করে দুই সম্প্রদায়ের ছেলেমানুষি কাণ্ডটা বুঝতে পেরে ফ্যাক ফ্যাক করে হেসে ওঠে সে। তারপর বুড়ি গালাগাল ও শাপশাপান্ত করে সেই অতি- কৌতূহলী, নির্বোধ জনতাকে। বুড়ি হিন্দু না মুসলমান-এ কথা একজন জিজ্ঞাসা করলে জনতাকে ‘নরকখেকো’, ‘শকুনচোখো’ বলে গালাগাল দিয়ে বুড়ি জানায় যে, তারা তাদের চোখের মাথা খেয়েছে। এভাবেই সেই বড়ো আকারের সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় জল ঢেলে দিয়ে বুড়ি উধাও হয়ে যায়।
‘ভারতবর্ষ’ গল্পে লেখক নিপুণভাবে সাম্প্রদায়িকতার স্বরূপ চিত্রিত করেছেন। গল্পের শেষে তিনি গল্পের জনতা এবং পাঠককে অসাম্প্রদায়িক এক মানবিক অনুভবে উত্তীর্ণ করেছেন। সুতরাং সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী গল্প হিসেবে ‘ভারতবর্ষ’ সার্থক ।

You may also like

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা কে বাঁচায় কে বাঁচে (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
Class 12 Bengali

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা কে বাঁচায় কে বাঁচে (গল্প) মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

1. “কে বাঁচায় কে বাঁচে” গল্পটি প্রথম কোন্ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়? – ক) কালিকলম খ) পুঁথিপত্র গ) ভৈরব ঘ) মহামন্বন্তর
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর
Class 12 Bengali

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

১) “ উনি হলেন দেবতার সেবিকা। ” – ‘ উনি ‘ বলতে কার কথা বােঝানাে হয়েছে? ক) বড়াে বউ খ)