Higher Secondary Geography

উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল ভৌমজলের কার্য ও সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ত্ত উত্তর

উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল ভৌমজলের কার্য ও সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ত্ত উত্তর

1.ভৌমজলের অপর নাম হল-

A)উপপৃষ্ঠীয় জল
B)সহজাত জল
C)উৎস্যন্দ জল
D)কোনোটিই নয়

Ans-A

2.যেসব প্রস্রবণ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়, তাকে বলে

A)অবিরাম প্রস্রবণ
B)সবিরাম প্রস্রবণ
C)গিজার
D)আর্টেজীয় কূপ

Ans-B

3.কোনো একটি রেখা বরাবর অনেকগুলি প্রস্রবণ থাকলে তাকে বলে-

A)অ্যাকুইরেখা
B)প্রস্রবণরেখা
C)সম্পৃক্তরেখা
D)কোনোটিই নয়

Ans-B

4.মরু অঞ্চলে ভৌমজলের পরিমাণ

A) খুবই বেশি
B) মাঝারি
C) কম
D) কোনোটিই নয়

Ans-C

5.ভূ-অভ্যন্তরে অ্যাকুইফারের ভূমিকা পালন করে-

A)প্রবেশ্য শিলাস্তর
B)আংশিক প্রবেশ্য শিলাস্তর
C)অপ্রবেশ্য শিলাস্তর
D)কোনোটাই নয়

Ans-A

6.গিজার হল এক ধরনের-

A) ডাইক প্রস্রবণ
B) উয় প্রস্রবণ
C) শীতল প্রস্রবণ
D) সমান্তরাল প্রস্রবণ

Ans- B

7. নিম্নলিখিত যেখান থেকে সর্বদা জল নির্গত হয় তা হল-

A)গিজার
B)আর্তেজীয় কূপ
C)অবিরাম প্রস্রবণ
D)সবিরাম প্রস্রবণ

Ans-C

৪. ‘ফনটেন দ্য ভক্লস’ যে ধরনের প্রস্রবণের উদাহরণ-

A)সন্ধি প্রস্রবণ
B)দ্রবণ প্রস্রবণ
C)আগ্নেয় প্রস্রবণ
D)গিজার

Ans-B

9. নিম্নলিখিত কোনটি অ-অভিকর্ষজ প্রস্রবণ নয়?

A)আর্তেজীয় প্রস্রবণ
B)আগ্নেয় প্রস্রবণ
C)গিজার
D)ডাইক প্রস্রবণ

Ans- D

10.ভূগুতটের পাদদেশে বিশেষত চক ও চুনাপাথর যখন কাদাপাথরের ওপরে থাকে তখন এর সংযোগস্থল দিয়ে যে প্রস্রবণ নির্গত হয় তাকে বলে-

A)অবিরাম প্রস্রবণ
B)বিদার প্রস্রবণ
C)সংযোগ প্রস্রবণ
D)সন্ধি প্রস্রবণ

Ans-C

11. অভিকর্ষজ প্রস্রবণ নয়-

A)ডাইক প্রস্রবণ
B)চ্যুতি প্রস্রবণ
C)ভক্লুসিয়ান প্রস্রবণ
D)আর্তেজীয় প্রস্রবণ

Ans- D

12. ভৌমজলের ভাণ্ডার অব্যাহত থাকে যার মাধ্যমে

A)জলচক্রের
B)বায়ুচক্রের
C)শিলাচক্রের
D)ভুরাসায়নিক চক্রের

Ans-A

13. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইয়েলোস্টোন ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত ‘ওল্ড ফেথফুল’ কীসের উদাহরণ?

A) আর্তেজীয় কূপ
B) গিজার
C) শীতল প্রস্রবণ
D)চ্যুতি প্রস্রবণ

Ans- B

14.বৃষ্টিপাত ও তুষারগলা জলে পুষ্ট ভৌমজলকে বলে-

A)সহজাত জল
B)মহাসাগরীয় জল
C)আবহিক জল
D)উৎস্যন্দ জল

Ans- C

15.যে ভূতাত্ত্বিক স্তরের মধ্য দিয়ে জল পরিবাহিত, ক্ষরিত ও পরিপুরিত হয়, তাকে বলে-

A) ভাদোস জল
B) ভৌমজলস্তর
C) গিজার
D) অ্যাকুইফার

Ans-B

16.সম্পৃক্ত শিলাস্তরের ওপর অসম্পৃক্ত শিলাস্তর থাকলে তাকে বলে-

A)ফ্রিয়েটিক স্তর
B)ভার্ব
C)কৈশিক স্তর
D)ভাদোস স্তর

Ans- D

17. ভৌমজলতলের ওপর প্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্য দিয়ে বাহিত জলকে বলে-

A)ভাদোস জল
B)সহজাত জল
C)উৎস্যন্দ জল
D)ঘনীভূত জল

Ans- A

18. শুধু বর্ষাকালে যে স্তর থেকে সাময়িকভাবে ভৌমজল পাওয়া যায় সেই স্তরের নাম হল-

A) কৈশিক স্তর
B)অবিরাম অসম্পৃক্ত স্তর
C)সবিরাম সম্পৃক্ত স্তর
D)ভাদোস স্তর

Ans- C

19.যে ঋতুতে কেবল সবিরাম প্রস্রবণ থেকে জল পাওয়া যায়-

A) আর্দ্র ঋতু
B) শুষ্ক ঋতু
C) শীত ঋতু
D) কোনোটিই নয়

Ans- A

20.পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বক্রেশ্বরে দেখা যায়-

A) উষ্ণ প্রস্রবণ
B) শীতল প্রস্রবণ
C) গিজার
D) সন্ধি প্রস্রবণ

Ans-

21. যে প্রস্রবণ থেকে সারাবছর জল নির্গত হয় তাকে বলে-

A) অবিরাম প্রস্রবণ
B) সবিরাম প্রস্রবণ
C) আর্তেজীয় কূপ
D)ডাইক প্রস্রবণ

Ans- A

22. ম্যাগমার সঙ্গে উৎক্ষিপ্ত জলকে বলা হয়-

A)উৎস্যন্দ জল
B)মহাসাগরীয় জল
C)সহজাত জল
D)আবহিক জল

Ans- A

23. ভূপৃষ্ঠের কোনো অংশে ভূগর্ভের জল স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে এলে তাকে বলে-

A) প্রস্রবণ
B) জলধারা
C) ঝরনা
D) খাত প্রবাহ

Ans- A

24.বায়ুমণ্ডল, শিলামণ্ডল ও বারিমণ্ডলের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অবস্থায় জলের যে অবিরাম স্থানান্তর ঘটে তাকে বলা হয়-

A)জলস্রোত
B)জলপ্রবাহ
C)জলচক্র
D)জলাধার

Ans-C

25.কোন্ প্রকার শিলাস্তরে ভৌমজলের সঞ্চয় সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে?

A)চুনাপাথর
B)কাদাপাথর
C)বেলেপাথর
D)গ্যাব্রো

Ans-C

26. সম্পৃক্ত শিলাস্তরের ওপর অবস্থিত অসম্পৃক্ত শিলাস্তরকে বলা হয়-

A) অ্যাকুইফার
B) ভাদোস স্তর
C) স্থায়ী অসম্পৃক্ত স্তর
D) অস্থায়ী অসম্পৃক্ত স্তর

Ans- B

27.ভারতের একটি শীতল প্রস্রবণের উদাহরণ হল-

A)তাতাপানি
B)সহস্রধারা
C)লুপুঙ্গুটুর
D)সোনামুড়া

Ans-B

28.মৃত্তিকার মধ্যে দিয়ে জল চুইয়ে চুইয়ে ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করার প্রক্রিয়াকে বলে-

A) সম্পৃক্তকরণ
B) অনুস্রবণ
C) প্রস্রবণ
D) প্রবাহ

Ans-B

29. যে স্তর ভৌমজলে পূর্ণ থাকে, তাকে বলে-

A) সম্পৃক্ত স্তর
B) অর্ধসম্পৃক্ত স্তর
C) অসম্পৃক্ত স্তর
D) কোনোটিই নয়

Ans- A

30. যে স্তর জল ধরে রাখে না তাকে বলে-

A) ভাদোস স্তর
B) অ্যাকুইফার
C) কৈশিক স্তর
D) কোনোটিই নয়

Ans-A

31. ভাদোস স্তরের সবচেয়ে নীচের স্তরটি হল-

A)মৃত্তিকা বায়ুস্তর
B)কৈশিক স্তর
C)মৃত্তিকা জলস্তর
D)কোনোটিই নয়

Ans- B

32. পশ্চিমবঙ্গে উয় প্রস্রবণ দেখা যায়-

A)বক্রেশ্বরে
B)কার্শিয়াং-এ
C)ডুয়ার্সে
D)আদ্রাতে

Ans- A

33. ভারতের যে রাজ্যে প্রস্রবণ রেখা দেখা যায় তা হল

A)কর্ণাটক
B)বিহার
C)পশ্চিমবঙ্গ
D)মেঘালয়

Ans- D

34. ভৌমজলের দ্রবণ ক্ষমতা বেশি হওয়ার কারণ সাধারণ জল অপেক্ষা এই জলের-

A)চাপ ও তাপমাত্রা বেশি
B)চাপ ও তাপমাত্রা কম
C)চাপ বেশি তাপমাত্রা কম
D)চাপ ও তাপমাত্রা সমান

Ans- A

35.ভৌমজলের পরিমাণ বাড়ে যখন ভূভাগে

A)ভূমির ঢাল বেশি হয়
B)বাষ্পীভবন বেশি হয়
C)শিলার প্রবেশ্যতা বেশি হয়
D)নিরেট শিলার উপস্থিতি বেশি হয়

Ans- C

36. ভূপৃষ্ঠে কাদামাটির স্তর থাকলে ভৌমজলের পরিমাণ

A)বেশি হয়
B)খুব বেশি হয়
C)মোটামুটি হয়
D)কম হয়

Ans- D

37.নিম্নলিখিত কোন্ নিয়ন্ত্রক মাটিতে জলের অনুস্রবণ বেশি ঘটায়?

A)খাড়া ভূমিঢাল
B)উদ্ভিদ আচ্ছাদন
C)অতিরিক্ত বাষ্পীভবন
D)সড়ক ও পাকাবাড়ি দ্বারা আচ্ছাদিত ভূমি

Ans- B

38. শিলা গঠনের সময় পাললিক শিলার মধ্যে অবশিষ্ট সমুদ্রের জলকে বলা হয়-

A)সামুদ্রিক জল
B)সহজাত জল
C)আবহিক জল
D)উৎস্যন্দ জল

Ans- B

39. নগরাঞ্চলে ভৌমজলের ভাণ্ডার কম হওয়ার কারণ হল-

A)বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও স্থায়িত্ব কম
B)অধিক বাষ্পীভবন
C)ভূমি ব্যবহারে সড়ক ও পাকাবাড়ির প্রাধান্য
D)উদ্ভিদের অভাব

Ans- C

40.ভূপৃষ্ঠে পতিত বৃষ্টির জল অনুসৃত হয়ে ভৌমজলস্তর গঠন করলে তাকে বলা হয়-

A)সহজাত জল
B)মহাসাগরীয় জল
C)ম্যাগমা জল
D)আবহিক জল

Ans- D

41. ভৌমজল পরিবহণে সক্ষম শিলাস্তরকে বলে-

A)অ্যাকুইটার্ড
B)অ্যাকুইকুড
C)অ্যাকুইফার
D)কোনোটিই নয়

Ans- C

42.ধীরগতিসম্পন্ন জলবাহী স্তর যে নামে পরিচিত তা হল-

A)অ্যাকুইটার্ড
B)অ্যাকুইকুড
C)অ্যাকুইফার
D)কোনোটিই নয়

Ans- A

43. আর্তেজীয় কূপের জল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যে অ্যাকুইফার থেকে তা হল

A)মুক্ত অ্যাকুইফার
B)আবদ্ধ অ্যাকুইফার
C)স্থানীয় অ্যাকুইফার
D)অ্যাকুইকুড

Ans- B

44. দুটি অপ্রবেশ্য স্তরের মাঝে প্রবেশ্য স্তর থাকলে কোন্ প্রকার অ্যাকুইফার সৃষ্টি হতে পারে?

A)অ্যাকুইফিউজ
B)পার্চড অ্যাকুইফার
C)আবদ্ধ অ্যাকুইফার
D)মুক্ত অ্যাকুইফার

Ans- C

45. নীচের বিকল্পগুলির মধ্যে অ্যাকুইফার হল-

A)গিজার
B)প্রবেশ্য শিলাস্তর
C)জলবাহী স্তর
D)প্রস্রবণ

Ans-C

46.কোন্ ধরনের ভূমিরূপে অ্যাকুইফার দেখা যায়?

A)প্রবেশ্য শিলার নীচে
B)অপ্রবেশ্য শিলার মধ্যে
C)নীচে প্রবেশ্য শিলার মধ্যে অপ্রবেশ্য শিলার
D)অপ্রবেশ্য শিলার ওপরে প্রবেশ্য শিলার মধ্যে

Ans- D

47. মুক্ত জলবাহী স্তরের মধ্যে অবস্থিত গৌণ জলবাহী স্তরটি কী নামে পরিচিত?

A)অ্যাকুইটার্ড
B)অ্যাকুইফিউজ
C)অ্যাকুইকুড
D)পার্চড অ্যাকুইফার

Ans- C

48. চামচের মতো স্থানীয় বা পার্চড অ্যাকুইফারের অবস্থান কোথায় দেখা যায়?

A)মুক্ত জলবাহী স্তরের
B) মধ্যে আবদ্ধ জলবাহী স্তরের মধ্যে
C) অ্যাকুইকুডের মধ্যে
D)অ্যাকুইফিউজের মধ্যে

Ans- A

49. দুর্বল প্রবেশ্যতাজনিত কারণে শুকিয়ে যাওয়া ভূতাত্ত্বিক গঠনের স্তরকে বলে-

A)অ্যাকুইফিউজ
B)অ্যাকুইকুড
C)অ্যাকুইফার
D)কোনোটিই নয়

Ans- A

50. প্রদত্ত যে তথ্যটি জলচাপ তলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়-

A) আবদ্ধ অ্যাকুইফারে দেখা যায়
B) জলচাপ তল ওঠা-নামা করে
C) সৃষ্টির সহায়ক হয়
D)স্থায়ী ভৌম-জলপৃষ্ঠ রূপে অবস্থান করে আর্তেজীয় কূপ

Ans- D

51. কূপ ও নলকূপে সঞ্চারিত জলকে বলা হয়-

A)কৈশিক জল
B)সহজাত জল
C)ভাদোস জল
D)ফ্রিয়েটিক জল

Ans-D

52. শিলাস্তরের কোন্ বৈশিষ্ট্যের জন্য অ্যাকুইকুড তৈরি হয়?

A) সচ্ছিদ্রতা ও প্রবেশ্যতা উভয়ই বেশি
B) সচ্ছিদ্রতা বেশি, প্রবেশ্যতা কম
C) সচ্ছিদ্রতা ও প্রবেশ্যতা উভয়ই কম
D) সচ্ছিদ্রতা কম, প্রবেশ্যতা বেশি

Ans- B

1. ভাদোস জল কাকে বলে?

Ans- জলপীঠের ওপরে অবস্থিত প্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্য দিয়ে যে জল প্রবাহিত হয় তাকে ভাদোস জল বলে।

2. সবিরাম প্রস্রবণ কাকে বলে?

Ans- যে সকল প্রস্রবণ থেকে কেবল আর্দ্র ঋতুতে জল নির্গত হয়, তাকে সবিরাম প্রস্রবণ বলে।

3. জলপীঠ কাকে বলে?

Ans- ভূ-অভ্যন্তরে সম্পৃক্ত স্তরে সঞ্চিত জলের ঊর্ধ্বসীমা বা শীর্ষদেশগুলিকে যুক্ত করে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে জলপীঠ বলা হয়।

4. সম্পৃক্ত স্তর কাকে বলে?

Ans- মৃত্তিকা বা শিলাস্তরের ছিদ্র বা রশ্নগুলি যখন জলে পরিপূর্ণ হয়, তখন তাকে সম্পৃক্ত স্তর বলে। এই সম্পৃক্ত স্তরেই ভৌমজল অবস্থান করে।

5. অসম্পৃক্ত স্তর কাকে বলে?

Ans- মৃত্তিকা বা শিলাস্তরের যে স্তরের মধ্য দিয়ে জল সহজেই নীচে চলে যায় অর্থাৎ যে স্তর জল ধরে রাখতে পারে না, তাকে অসম্পৃক্ত স্তর বলে।

6. অ্যাকুইফার কাকে বলে?

Ans- যে ভূতাত্ত্বিক স্তরের মধ্যে দিয়ে জল পরিবাহিত, ক্ষরিত ও পরিপুরিত হয়, তাকে অ্যাকুইফার বলে।

7. সম্পূর্ণ আবদ্ধ অ্যাকুইফার কাকে বলে?

Ans- স্বল্প পরিসর স্থানযুক্ত অ্যাকুইফারের একদিকে অ্যাকুইটার্ড ও বাকি তিন দিকে অ্যাকুইফিউজ ও অ্যাকুইকুড থাকলে, তাকে সম্পূর্ণ আবদ্ধ অ্যাকুইফার বলে।

৪. অ্যাকুইটার্ড কী?

Ans- বেলে-দোআঁশ মাটিতে গঠিত উপপৃষ্ঠীয় অংশের স্বল্প প্রবেশ্যতাযুক্ত সম্পৃক্ত স্তরকে অ্যাকুইটার্ড বলে।

9. ভৌমজলের উৎস কী কী?

Ans- ভৌমজল বিভিন্ন উৎস থেকে আসে। যেমন-(i) বৃষ্টির জল, (ii) তুষারগলা জল, (iii) পাললিক শিলায় আবদ্ধ সমুদ্র ও হ্রদের জল, (iv) ম্যাগমার মধ্যে সঞ্চিত উত্তপ্ত ও খনিজসমৃদ্ধ জল, (v) শিলায় প্রবেশকারী সামুদ্রিক বা মহাসাগরীয় জল ইত্যাদি।

10. অ্যাকুইক্লুড কী?

Ans- ভূত্বকের উপপৃষ্ঠীয় অংশে কাদাগঠিত স্তরকে অ্যাকুইকুড বলে। এই স্তর জলধারণে সক্ষম কিন্তু জলক্ষরণে অক্ষম।

11. ভাদোস স্তর কাকে বলে?

Ans- ভূপৃষ্ঠ থেকে জলপীঠ পর্যন্ত বিস্তৃত উপপৃষ্ঠীয় স্তরের যে অংশ কখনও সম্পৃক্ত হয় না, কেবল জল অভিকর্ষের টানে এই স্তরের মধ্য দিয়ে সম্পৃক্ত স্তরে পৌঁছোয়, তাকে ভাদোস স্তর বলে।

12. প্রকৃতিগত পার্থক্য অনুযায়ী ভাদোস স্তর কয়প্রকার ও কী কী?

Ans- প্রকৃতিগত পার্থক্য অনুযায়ী ভাদোস স্তর তিনপ্রকার। যথা- (i) মৃত্তিকা জলস্তর, (ii) কৈশিক স্তর এবং (iii) মধ্যবর্তী ভাদোস স্তর।

13. প্রস্রবণরেখা কাকে বলে?

Ans- ভৌমজল যখন ভূপৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট রেখা বরাবর নির্গত হয়, তখন তাকে প্রস্রবণরেখা বলে।

14. প্রপাতরেখা কাকে বলে?

Ans- সুদীর্ঘ চ্যুতিরেখা বরাবর যখন অসংখ্য প্রস্রবণ থেকে ছোটো ছোটো জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়, তখন তাকে প্রপাতরেখা বলে। যেমন- অ্যাপালেচিয়ান পর্বতমালার পূর্বসীমায় প্রপাতরেখা দেখা যায়।

15. ফ্রিয়েটিক স্তর কাকে বলে?

Ans- অপ্রবেশ্য শিলার ওপর প্রবেশ্য শিলার যে অংশ জল দ্বারা সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত থাকে, সেই সম্পৃক্ত স্তরকে ফ্রিয়েটিক স্তর বা ভৌমজলস্তর বলে।

16. গিজার কাকে বলে?

Ans- যেসব প্রস্রবণ দিয়ে ভূগর্ভে সঞ্চিত উয় জল ও বাষ্প নিয়মিতভাবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে সশব্দে প্রবল বেগে ফোয়ারার মতো ভূপৃষ্ঠের ওপরে উৎক্ষিপ্ত হয়, সেসব উয় প্রস্রবণকে গিজার বলে।

17. কোন্ ধরনের ভৌগোলিক পরিবেশে গিজার বেশি গড়ে ওঠে?

Ans- আগ্নেয়গিরি অধ্যুষিত অঞ্চলে যেখানে প্রস্রবণের নলটি ম্যাগমা অঞ্চল বা উত্তপ্ত আগ্নেয়শিলা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, সেই ধরনের ভৌগোলিক পরিবেশে গিজার বেশি গড়ে ওঠে।

18. ভারতের কোথায় উয় প্রস্রবণ দেখা যায়?

Ans- ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর, ঝাড়খন্ডের রাজগির, হিমাচল প্রদেশের তাতাপানি এবং বিপাশার উপনদী পার্বতীর পূর্ব তীরে মণিকরণে উন্ন প্রস্রবণ দেখা যায়।

19. গিজার ও প্রস্রবণের প্রধান পার্থক্য কী?

Ans- গিজার ও প্রস্রবণের প্রধান পার্থক্য হল, গিজারের ক্ষেত্রে উয় জল বাষ্পচাপের কারণে ফোয়ারার মতো ভূপৃষ্ঠের ওপরে উৎক্ষিপ্ত হয়। অন্যদিকে, প্রস্রবণের ক্ষেত্রে ভূগর্ভস্থ জল ভূপৃষ্ঠে স্বাভাবিকভাবে উদক চাপের কারণে নির্গত হয়।

20. আর্তেজীয় বা আর্টেজীয় কূপ কাকে বলে?

Ans- আবদ্ধ জলবাহী স্তরে সঞ্চিত ভৌমজল পাম্পের সাহায্য ছাড়াই যে কুপ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফোয়ারার মতো ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, তাকে আর্তেজীয় বা আর্টেজীয় কূপ বলে।

21. পাম্পের সাহায্য ছাড়াই আর্তেজীয় কূপ থেকে জল উঠে আসে কেন?

Ans- আর্তেজীয় স্তরে জলের ঊর্ধ্বমুখী চাপ থাকায় পাম্পের সাহায্য ছাড়াই কূপ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভৌমজল ফোয়ারার মতো ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে।

22. মিটিওরিক জল কাকে বলে?

Ans- বৃষ্টিপাত ও তুষারগলা জল ভূপৃষ্ঠের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ভূ-অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভৌমজলে পরিণত হয়, একে মিটিওরিক জল বলে।

23. সহজাত জলের উৎস কী?

Ans- সমুদ্র বা হ্রদের তলদেশে পাললিক শিলা সৃষ্টির সময়কালে শিলার মধ্যে সঞ্চিত জলই হল সহজাত জলের উৎস।

24. উৎস্যন্দ জল (Juvenile Water)-এর উৎস কী?

Ans- অগ্ন্যুৎপাতের সময় যখন ম্যাগমা নির্গত হয় তখন ম্যাগমার সাথে বিভিন্ন প্রকার খনিজ মিশ্রিত গরম জলও বেরিয়ে আসে, একে উৎস্যন্দ জল বা ম্যাগমা জল বলে। এই জল ভূগর্ভ থেকে ভূপৃষ্ঠে প্রথমবার উৎসারিত হয় বলে একে উৎস্যন্দ জল বলে।

25. মত্তিকার সচ্ছিদ্রতা কাকে বলে?

Ans- একটি নির্দিষ্ট আয়তনের মৃত্তিকায় মোট মৃত্তিকারন্দ্রের আয়তন ও মৃত্তিকার মোট আয়তনের অনুপাতকে মৃত্তিকার সচ্ছিদ্রতা বলে।

26. প্রবেশ্য শিলা কাকে বলে?

Ans- যেসব শিলার মধ্যে দিয়ে জল সহজেই ভূগর্ভে প্রবেশ করে, তাকে প্রবেশ্য শিলা বলে। যেমন-বেলেপাথর, চুনাপাথর ইত্যাদি।

27. ভূ-অভ্যন্তরের যে শিলাস্তর জলশোষণ ও সরবরাহে অক্ষম তাকে কী স্তর বলে?

Ans- ভূ-অভ্যন্তরের যে শিলাস্তর জলশোষণ ও সরবরাহে অক্ষম তাকে অপ্রবেশ্য স্তর বলে।

28. অপ্রবেশ্য শিলার কয়েকটি উদাহরণ দাও।

Ans- অপ্রবেশ্য শিলার উদাহরণ হল-প্লেট, শেল, গ্যাব্রো ইত্যাদি।

29. ‘সচ্ছিদ্র হলেও প্রবেশ্য নয়’-এরূপ একটি শিলার উদাহরণ দাও।

Ans- ‘সচ্ছিদ্র হলেও প্রবেশ্য নয়’-এরূপ একটি শিলা হল কাদাপাথর।

30. ভৌমজলের প্রধান নিয়ন্ত্রকগুলি কী?

Ans- ভৌমজলের প্রধান নিয়ন্ত্রকগুলি হল-(i) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও স্থায়িত্ব, (ii) ভূমির ঢাল, (iii) মৃত্তিকার সচ্ছিদ্রতা ও প্রবেশ্যতা, (iv) প্রবেশ্য শিলার নীচে অপ্রবেশ্য শিলার অবস্থান প্রভৃতি।

31. জলপীঠের ঢেউ খেলানো আকতি কীসের ওপর নির্ভর করে?

Ans- জলপীঠের ঢেউ খেলানো আকৃতি শিলার ভূতাত্ত্বিক গঠনের ওপর নির্ভর করে।

32. মহানগরগুলির ভৌমজলস্তর কেন সম্পূর্ণ পুরিত হয় না?

Ans- মহানগরগুলির ভূমি, কংক্রিটের রাস্তা ও পাকাবাড়ি দ্বারা ঢাকা থাকায় ভূপৃষ্ঠীয় জল ভূ-অভ্যন্তরে ভালোভাবে প্রবেশ করতে পারে না বলে ভৌমজলস্তর সম্পূর্ণ পূরিত হয় না।

33. মরু অঞ্চলে ভৌমজলের পরিমাণ কম হওয়ার কারণ কী?

Ans- বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি হওয়ায় কৈশিক প্রক্রিয়ায় ভৌমজল নীচ থেকে ওপরে উঠে এসে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এই কারণে মরু অঞ্চলে ভৌমজলের পরিমাণ কম হয় ।

34. আবহিক জলের উৎসগুলি কী?

Ans-আবহিক জলের উৎসগুলি হল-বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, শিশির বিন্দু, তুহিন প্রভৃতি ।

35. ‘অ্যাকুইফার’ শব্দের অর্থ কী?

Ans- ‘অ্যাকুইফার’ শব্দের অর্থ জলবাহী স্তর বা জলবহনকারী স্তর।

36. পার্চড অ্যাকুইফার কী?

Ans- মুক্ত অ্যাকুইফারের ওপরে চামচ বা লেন্সের মতো অপ্রবেশ্য শিলাস্তর থাকলে তার ওপর জলবাহী স্তরে কিছুটা জল সঞ্চিত হয়, একে পার্চড অ্যাকুইফার বলে।

37. অ্যাকুইফারের নিম্নতল কোন্ প্রকার শিলাস্তরের ওপর অবস্থান করে?

Ans- অ্যাকুইফার বা জলবাহী স্তরের নিম্নতল কাদাপাথর, শেল, নিরেট চুনাপাথর, আগ্নেয়শিলার ন্যায় অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের ওপর অবস্থান করে।

38. কোন্ ধরনের অ্যাকুইফার থেকে আর্তেজীয় কূপের জল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

Ans- আবদ্ধ অ্যাকুইফার থেকে আর্তেজীয় কূপের জল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

39. আবদ্ধ জলবাহী স্তর বা জলচাপযুক্ত অ্যাকুইফার কখন সৃষ্টি হয়?

Ans- দুটি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্যে প্রবেশ্য শিলাস্তর থাকলে এবং ওই স্তরটি ভূপৃষ্ঠের বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানে উন্মুক্ত থাকলে আবদ্ধ জলবাহী স্তর সৃষ্টি হয়।

40. শিলার রন্দ্রের মাধ্যমে জল চলাচল করার ক্ষমতাকে কী বলে?

Ans- শিলার রন্দ্রের মাধ্যমে জল চলাচল করার ক্ষমতাকে শিলার প্রবেশ্যতা বলে।

41. অসম্পৃক্ত স্তরের নিম্নগামী জলকে কী বলে?

Ans- অসম্পৃক্ত স্তরের নিম্নগামী জলকে ভাদোস জল বলে।

42. জলচাপতল কাকে বলে?

Ans- আবদ্ধ অ্যাকুইফারে জলের ঊর্ধ্বমুখী চাপে জল যে উচ্চতা পর্যন্ত উঠে এসে ভারসাম্য অবস্থা লাভ করে সেই ভারসাম্যযুক্ত জলতলগুলিকে যোগ করলে যে রেখা পাওয়া যায়, তাকে জলচাপতল বলে।

43. Piezometer দিয়ে কী মাপা হয়?

Ans- Piezometer দিয়ে চাপে থাকা ভৌমজলের ভূপৃষ্ঠীয় উচ্চতা মাপা হয়।

44. আর্তেজীয় কূপ বলতে কী বোঝায়?

Ans- যে নলকূপের মধ্য দিয়ে ভূগর্ভস্থ জল ঊর্ধ্বমুখী চাপের ফলে ফোয়ারার মতো আপনা-আপনি বেরিয়ে আসে, সেই কূপকে বলা হয় আর্তেজীয় কূপ।

45. স্থানীয় জলবাহী স্তর কোথায় অবস্থান করে?

Ans- মুক্ত জলবাহী স্তরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে অপেক্ষাকৃত অপ্রবেশ্য স্তরের ওপর পৃথকভাবে স্থানীয় জলবাহী স্তর অবস্থান করে।

46. স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তরের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?

Ans- সারাবছর সম্পৃক্ত থাকে অর্থাৎ সারাবছর ধরে জল পাওয়া যায়, এমনকি শুষ্ক ঋতুতেও নির্দিষ্ট জলপৃষ্ঠের নীচে জলস্তর নেমে যায় না।

47. সাময়িক সম্পৃক্ত স্তরের প্রধান বৈশিষ্ট্য কী?,

Ans- বর্ষাকালে জলপৃষ্ঠ ওপরে উঠে যায় এবং শুষ্ক ঋতুতে জলপৃষ্ঠ নীচে নেমে যায়, অর্থাৎ স্থায়ী বা স্থির জলপীঠ থাকে না।

48. আর্তেজীয় রূপ কী ধরনের শিলাস্তরে দেখা যায়?

Ans- ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের অধোভঙ্গে দুটি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের মাঝে প্রবেশ্য শিলাস্তর থাকলে সেখানে আর্তেজীয় কূপ দেখা যায়।

49. কৃষিকাজ কীভাবে ভৌমজলের সঞ্চয়ে সাহায্য করে?

Ans- কৃষিকাজের ফলে মাটি আলগা হওয়ায় জলের অনুস্রবণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ভৌমজলের সঞ্চয়ে সাহায্য করে।

50. ভাদোস স্তরের একেবারে ওপরের অংশ কী নামে পরিচিত?

Ans- ভাদোস স্তরের একেবারে ওপরের অংশ মৃত্তিকা জলস্তর নামে পরিচিত।

51. ভাদোস স্তরের সর্বনিম্ন অংশ কোনটি?

Ans- ভাদোস স্তরের সর্বনিম্ন অংশ হল কৈশিক স্তর।

52. মৃত্তিকা জলস্তর ও কৈশিক স্তরের মধ্যে ভাদোস স্তরের কোন অংশটি অবস্থিত?

Ans- মৃত্তিকা জলস্তর ও কৈশিক স্তরের মধ্যে ভাদোস স্তরের মধ্যবর্তী মৃত্তিকা বায়ুস্তর অংশটি অবস্থিত।

53. আর্তেজীয় কূপের খনন প্রথম শুরু হয় কোথায়?

Ans- 1126 সালে ফ্রান্সের আর্তোয়েস অঞ্চলে প্রথম আর্তেজীয় কূপের খনন শুরু হয়।

54. জলচক্র কী?

Ans- বায়ুমণ্ডল থেকে পৃথিবীপৃষ্ঠে এবং পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে পুনরায় বায়ুমণ্ডলে জলের বিরামহীন চক্রাকার আবর্তনকে জলচক্র বলে।

55. কৈশিক জল কাকে বলে?

Ans- মাটির প্রতিটি কণা বেষ্টনকারী জলকে কৈশিক জল বলে। এই জল মাটির কৈশিক স্তরে অবস্থান করে।

56. কৈশিক নল কী?

Ans- মৃত্তিকার রন্দ্রগুলি সরু সরু নল দ্বারা পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে, এদের কৈশিক নল বলে।

57. কোন্ মাধ্যমগুলির সাহায্যে জলচক্র সম্পাদিত হয় ?

Ans- বাষ্পীভবন, ঘনীভবন ও অধঃক্ষেপণের মাধ্যমগুলির সাহায্যে জলচক্র সম্পাদিত হয়।

58. স্বাভাবিক উদর চাপে ভৌমজলের ভূপৃষ্ঠে নির্গমনকে কী বলে? অথবা, প্রস্রবণ কাকে বলে?

Ans- স্বাভাবিক উদক চাপে ভৌমজলের ভূপৃষ্ঠে নির্গমনকে প্রস্রবণ বলে।

59. সবিরাম প্রস্রবণ কী?

Ans- যেসব প্রস্রবণগুলি থেকে ভূগর্ভস্থ জল সারাবছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নির্গত হয়-না, তাকে সবিরাম প্রস্রবণ বলে।

60. ভূপৃষ্ঠের কোনো দুর্বল অংশ দিয়ে উয় জল প্রবাহরূপে বেরিয়ে এলে তাকে কী বলে?

Ans- ভূপৃষ্ঠের কোনো দুর্বল অংশ দিয়ে উয় জল প্রবাহরূপে বেরিয়ে এলে তাকে উয় প্রস্রবণ বলে।

61. উত্তর ভারতের কোথায় উদ্বু প্রস্রবণ লক্ষ করা যায়?

Ans- উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের মণিকরণে উয় প্রস্রবণ লক্ষ করা যায়।

62. নতি প্রস্রবণ কাকে বলে?

Ans- নতি বরাবর অপ্রবেশ্য ও প্রবেশ্য শিলাস্তরের সংযোগস্থলে জলপীঠ উন্মুক্ত হয়ে যে প্রস্রবণ সৃষ্টি হয়, তাকে নতি প্রস্রবণ বলে।

63. ডাইক প্রস্রবণ কী?

Ans- জলবাহী স্তরের জলপীঠ ভূগর্ভস্থ ডাইকের উচ্চতাকে অতিক্রম করলে ভূগর্ভস্থ জল প্রস্রবণের আকারে নির্গত হয়, একে ডাইক প্রস্রবণ বলে।

64. চ্যুতি প্রস্রবণ কাকে বলে?

অপ্রবেশ্য শিলা দ্বারা আবদ্ধ জলবাহী শিলাস্তরের জল চ্যুতি বরাবর ভূপৃষ্ঠের ওপরে উঠে এলে, তাকে চ্যুতি প্রস্রবণ বলে।

65. কোন প্রকার শিলাগঠিত অঞ্চলে ভক্লুসিয়ান প্রস্রবণ গড়ে উঠতে দেখা যায়?

Ans- চুনাপাথর দ্বারা গঠিত অঞ্চলে ভক্লুসিয়ান প্রস্রবণ গড়ে উঠতে দেখা যায়।

66. ভক্লুসিয়ান প্রস্রবণ নামটি কোথা থেকে সৃষ্টি হয়েছে?

Ans- ভক্লুসিয়ান প্রস্রবণ নামটি ফ্রান্সের ‘ফন্টেন দ্য ভল্লুস’ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

67. ভারতের একটি অরিরাম প্রস্রবণের উদাহরণ দাও।

Ans- ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের অমরকণ্টকের শোন নদীর উৎসস্থলে অবস্থিত সোনামুড়া প্রস্রবণটি একটি অবিরাম প্রস্রবণের উদাহরণ।

68. জলপীঠের স্থায়িত্ব অনুযায়ী ফ্রিয়েটিক জলস্তর কয়প্রকার ও কী কী?

Ans- জলপীঠের স্থায়িত্ব অনুযায়ী ফ্রিয়েটিক জলস্তর দুইপ্রকার। যথা- (i) স্থায়ী সম্পৃক্ত বস্তার এবং (ii) সাময়িক সম্পৃক্ত স্তর।

69. কোন্ ধরনের শিলায় অ্যাকুইক্লুড গড়ে ওঠে?

Ans- কাদাপাথর গঠিত শিলায় অ্যাকুইক্লড গড়ে ওঠে।

70. কোন্ ধরনের শিলা বা মৃত্তিকায় অ্যাকুইটার্ড গড়ে ওঠে?

Ans- প্রধানত বেলে-দোআঁশ মৃত্তিকায় অ্যাকুইটার্ড গড়ে ওঠে।

71. ভূগর্ভে শিলারন্দ্রে জমে থাকা জলকে কী বলে?

Ans- ভূগর্ভে শিলারন্দ্রে জমে থাকা জলকে ভৌমজল বা ভুজল বলে।

72. ‘কার্স্ট’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ কী?

Ans- ‘কার্স্ট’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ উন্মুক্ত প্রস্তর ক্ষেত্র।

73. স্পিলিওথেম বা কেড ট্রাভারটাইন কী?

Ans- কার্স্ট বা চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলের সঞ্চয়জাত ভূমিরূপগুলিকে সম্মিলিতভাবে স্পিলিওথেম বা কেভ ট্রাভারটাইন বলা হয়।

74. কার্স্ট ভূমিরূপ গঠনের বা বিকাশের শর্তগুলি কী?

Ans- কার্স্ট ভূমিরূপ গঠনের বা বিকাশের শর্তগুলি হল- (i) দ্রবণীয় শিলাস্তরের (চুনাপাথরের) উপস্থিতি, (ii) পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টিপাত, (iii) সমুদ্র থেকে উচ্চে অবস্থান, (iv) নদীর উপস্থিতি প্রভৃতি।

75. কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূপৃষ্ঠের অবনমিত দুটি ভূমিরূপের নাম লেখো।

Ans- কার্স্ট অঞ্চলে ভৌমজলের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূপৃষ্ঠের অবনমিত দুটি ভূমিরূপের নাম হল উভালা ও ডোলাইন।

76. কার্স্ট ভূমিরূপ দেখা যায় এমন একটি অঞ্চলের উদাহরণ দাও।

Ans- যুগোস্লাভিয়ার অ্যাড্রিয়াটিক সাগরের তীরবর্তী অঞ্চলে কার্স্ট ভূমিরূপ দেখা যায় ।

77. ‘কার্স্ট’ ভূমিরূপ সৃষ্টির জন্য বিশুদ্ধ চুনাপাথরে ক্যালশিয়াম কার্বনেটের মাত্রা কত হওয়া প্রয়োজন?

Ans-‘কার্স্ট’ ভূমিরূপ সৃষ্টির জন্য বিশুদ্ধ চুনাপাথরে ক্যালশিয়াম কার্বনেটের মাত্রা 40 শতাংশের বেশি হওয়া প্রয়োজন।

78. ফুডিওকার্স্ট কী?

Ans- যেখানে চুনাপাথরের বিস্তার ও গভীরতা কম থাকে সেখানে নদীর কার্যের সাথে সম্পর্কিত কার্স্ট ভূমিরূপকে ফ্লভিওকার্স্ট বলে।

79. সিউডোকার্স্ট কী?

Ans- চুনাপাথর ছাড়া অন্য কোনো শিলাগঠিত অঞ্চলে চুনাপাথরের বৈশিষ্ট্যযুক্ত ভূমিরূপকে সিউডোকার্স্ট বলে।

80. নিভালকাস্ট কী?

Ans- শীতল জলবায়ু অঞ্চলে চুনাপাথরের উপস্থিতি থাকলে তুষারগলা জলের দ্বারা যে কার্স্ট ভূমিরূপ গঠিত হয়, তাকে নিভালকার্স্ট বলে।

81. ‘কার্স্ট’ (karst) শব্দটির উৎপত্তি কীভাবে হয়েছে?

Ans- ‘কার্স্ট’ (karst) কথাটি স্লোভেন শব্দ ‘ক্লাস’-এর (kras) জার্মান রূপ থেকে এসেছে।

82. বড়ো মাপের গ্রাইককে কী বলে?

Ans- বড়ো মাপের গ্রাইককে ক্লফ কারেন বা গ্রাইক বোগাজ বলে।

83. নদীর দ্বারা কার্স্ট অঞ্চলে কী কী ভূমিরূপ গঠিত হয়?

Ans- নদীর দ্বারা কার্স্ট অঞ্চলে যেসকল ভূমিরূপ গঠিত হয় সেগুলি হল- (i) গিরিখাত, (ii) অশ্ব উপত্যকা, (iii) শুষ্ক উপত্যকা এবং (iv) প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ ও প্রাকৃতিক সেতু।

84. কারেন কী?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে দ্রবণ খাতবিশিষ্ট কার্স্ট ভূমিরূপকে জার্মানিতে কারেন বলে।

85. রুফ পেনডেন্ট কী?

Ans- চুনাপাথরের গুহার ছাদ থেকে কীলকের মতো বা ছুরির ফলার মতো আকৃতির অভিক্ষিপ্ত প্রস্তরখণ্ডকে রুফ পেনডেন্ট বলে।

86. ফ্লোস্টোন কাকে বলে?

Ans- গুহার ভেতরে প্রবহমান জলের মাধ্যমে সৃষ্ট ভূমিরূপকে ফ্লোস্টোন বলে।

87. ড্রিপস্টোন কাকে বলে?

Ans- চুনাপাথরের ছাদ থেকে জল চুইয়ে সৃষ্ট সঞ্চিত ভূমিরূপকে ডেভিস ড্রিপস্টোন বলে উল্লেখ করেছেন।

88. অ্যানথোডাইট কী?

Ans- কার্স্ট অঞ্চলে গুহার ছাদ থেকে চুনাপাথরের দ্রবণ জমে অনেকসময় ফুলের পাপড়ির মতো ভূমিরূপ গঠিত হয়, একে অ্যানথোডাইট বলে।

89. রাবণভাটা কাকে বলে?

Ans- ছত্তিশগড়ের রায়পুর জেলার মধ্যভাগে শেল দ্বারা গঠিত হামসগুলিকে রাবণভাটা বলে।

90. সিংক হোলের পরবর্তী নদী উপত্যকার নাম কী?

Ans- সিংক হোলের পরবর্তী নদী উপত্যকার নাম শুষ্ক উপত্যকা।

91. কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন কোন উপাদানটি চুনাপাথরকে দ্রবীভূত করে?

Ans-কার্বন ডাইঅক্সাইড ও জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন কার্বনিক অ্যাসিড চুনাপাথরকে দ্রবীভূত করে ।

92. টেরারোসা দেখতে উয়মণ্ডলের কোন মৃত্তিকার মতো হয়?

Ans- টেরারোসা দেখতে উয়মন্ডলের ল্যাটেরাইট মৃত্তিকার মতো হয়।

93. পৃথিবীর কোন্ অঞ্চলকে আদর্শ কার্স্ট ভূমিরূপ বলা হয়?

Ans- পূর্বতন যুগোস্লাভিয়ার অন্তর্ভুক্ত সার্বিয়া-মন্টেনিগ্রো এবং বসনিয়া-হার্জেগোভিনা দেশ দুটির অ্যাড্রিয়াটিক সাগর তীরবর্তী চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলটি আদর্শ কার্স্ট ভূমিরূপ হিসেবে পরিচিত ।

94. ভারতের কোথায় অসংখ্য ডোলাইনের অবস্থান লক্ষ করা যায়?

Ans- ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বোরা গুহা অঞ্চলে অসংখ্য ডোলাইনের অবস্থান লক্ষ করা যায়।

95. কার্স্ট জানালা কী?

Ans- কার্স্ট অঞ্চলে ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গের ছাদের ফাঁকা অংশকে কার্স্ট জানালা বলে।

96. চুনাপাথরের মেঝে বা কারেন ক্ষেত্র কাকে বলে?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে দ্রবণের ফলে অসংখ্য কারেন ও ক্লিন্টস গড়ে উঠলে যে এবড়োখেবড়ো ভূপৃষ্ঠ সৃষ্টি হয়, তাকে চুনাপাথরের মেঝে বা কারেন ক্ষেত্র বলে।

97. সলিউশন প্যান কাকে বলে?

Ans- কার্স্ট ভূমিতে জলের দ্রবণ কার্যের ফলে এমন অনেক গর্ত সৃষ্টি হয় যেগুলি ডোলাইনের তুলনায় অগভীর কিন্তু আয়তনে বিশাল হয়, এদের সলিউশন প্যান বলা হয়।

98. গ্রাইকগুলির দু-পাশে উঁচু পাঁচিলের মতো শিরাগুলিকে কী বলা হয়?

Ans- গ্রাইকগুলির দু-পাশে উঁচু পাঁচিলের মতো শিরাগুলিকে ক্লিন্টস বলা হয়।

99. কার্স্ট অঞ্চলে গুহার মেঝে থেকে স্তম্ভের আকারে ওপরের দিকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ক্যালশিয়াম কার্বনেটের সঞ্চয়কে কী বলে?

Ans- কার্স্ট অঞ্চলে গুহার মেঝে থেকে স্তম্ভের আকারে ওপরের দিকে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ক্যালশিয়াম কার্বনেটের সঞ্চয়কে স্ট্যালাগমাইট বলে।

100. ড্রেপ কী?

Ans- গৃহার ছাদে চুন জমে জমে তা যখন ঝোলানো পর্দার মতো দেখতে লাগে, তাকে বলে ড্রেপ।

101. পোলজি কাকে বলে?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে উভালা অপেক্ষা বৃহদাকৃতির সমতল তলদেশবিশিষ্ট ও খাড়া পার্শ্বদেশযুক্ত উপবৃত্তাকার অবনত ভূভাগকে পোলজি বলে।

102. রিমস্টোন বা কিনারা প্রস্তর কী?

Ans- গুহাবক্ষে উপচে পড়া জলপ্রবাহের মাধ্যমে গুহার দুই কিনারায় যে ভূমিরূপগুলি গড়ে ওঠে সেগুলিকে রিমস্টোন বা কিনারা প্রস্তর বলে।

103. টেরারোসা কী? •

Ans- ভূপৃষ্ঠে অদ্রাব্য লৌহযৌগ সঞ্চিত হয়ে লাল কর্দমযুক্ত যে মৃত্তিকা সৃষ্টি হয়, তাকে টেরারোসা বলে।

104. গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত, এলোমেলোভাবে বিন্যস্ত ক্যালশিয়াম কার্বনেটের দ্রবণজনিত সঞ্চয়কে কী বলে?

Ans- গুহার ছাদ থেকে ঝুলন্ত, এলোমেলোভাবে বিন্যস্ত ক্যালশিয়াম কার্বনেটের দ্রবণজনিত সঞ্চয়কে হেলিকটাইট বলে। এগুলি তীর্যকভাবে বা বক্রাকারে বৃদ্ধি পায়।

105. চুনাপাথর ছাড়া অপর কোন্ শিলাস্তরে কার্স্ট ভূমিরূপ গড়ে উঠতে দেখা যায়?

Ans- চুনাপাথর ছাড়া ডলোমাইট ও জিপসাম শিলাস্তরে কার্স্ট ভূমিরূপ গড়ে উঠতে দেখা যায়।

106. কার্স্ট অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব কী?

Ans- কার্স্ট অঞ্চল পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটায় এবং বিভিন্ন খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হওয়ায় খনিজ দ্রব্যের চাহিদাকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটে।

107. কার্বনেট শিলার সঙ্গে কার্বনিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় সৃষ্ট দ্রবণজনিত ভূমিরূপ কী নামে পরিচিত?

Ans- কার্বনেট শিলার সঙ্গে কার্বনিক অ্যাসিডের বিক্রিয়ায় সৃষ্ট দ্রবণজনিত ভূমিরূপ কার্স্ট ভূমিরূপ নামে পরিচিত।

108. উভালা কীভাবে গঠিত হয়?

Ans- একাধিক সিংক হোল বা ডোলাইন পরস্পরের সাথে মিলিত হয়ে উভালা গঠন করে।

109. চুনাপাথরের গৃহা বা ভূগহবর কীভাবে সৃষ্টি হয়?

Ans- ভাদোস জলস্তরে কার্বন ডাইঅক্সাইড মিশ্রিত জলের দ্রবণ ক্রিয়ার ফলে চুনাপাথরের গুহা বা ভূগহ্বর সৃষ্টি হয়।

110. বৃহদাকৃতির গুহাকে কী বলা হয়?

Ans- বৃহদাকৃতির গুহাকে ভূগহবর বলা হয়।

111. নদীপ্রবাহের যে অংশটি সিংক হোলের মধ্যে প্রবেশ করে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় তাকে কী বলে?

Ans- নদীপ্রবাহের যে অংশটি সিংক হোলের মধ্যে প্রবেশ করে হঠাৎ শেষ হয়ে যায়, তাকে বলে অন্ধ উপত্যকা।

112. নদী সিংক হোলে প্রবেশ করার পর সিংক হোলের পরবর্তী নদী উপত্যকাকে কী বলে?

Ans- নদী সিংক হোলে প্রবেশ করার পর সিংক হোলের পরবর্তী নদী উপত্যকাকে বলে শুষ্ক উপত্যকা।

113. অন্ধ উপত্যকা কাকে বলে?

Ans- কার্স্ট অঞ্চলের নদী সিংক হোলের মধ্যে প্রবেশ করলে নদী উপত্যকা সিংক হোল পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে হঠাৎ শেষ হয়ে যায়, এরূপ উপত্যকাকে অন্ধ উপত্যকা বলে।

114. শুষ্ক উপত্যকা কাকে বলে?

Ans- নদী সিংক হোলে প্রবেশ করলে নদী উপত্যকার পরবর্তী অংশটি জলশূন্য হয়ে পড়ে, একেই শুষ্ক উপত্যকা বলে।

115. গ্রাইক কী?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে জলের দ্রবণ কার্যের ফলে দারণ বা সন্ধিস্থল বরাবর গভীর রৈখিক ও দীর্ঘ গর্ত সৃষ্টি হলে তাকে গ্রাইক বলে।

116. ক্লিন্টস কী?

চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে গ্রাইকের মধ্যবর্তী প্রায় সমতল পৃষ্ঠবিশিষ্ট আয়তাকার উঁচু শিলাখন্ডকে ক্লিন্টস বলে।

117. ভারতের কোথায় গ্রাইক ও ক্লিন্টস ভূমিরূপ লক্ষ করা যায়?

Ans- ভারতের মধ্যপ্রদেশের নন্দিনী খনি অঞ্চলে গ্রাইক ও ক্লিন্টস ভূমিরূপ লক্ষ করা যায়।

118. চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও ঘনসন্নিবদ্ধভাবে গঠিত কারেনকে কী বলে?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে অত্যন্ত ক্ষুদ্র ও ঘনসন্নিবদ্ধভাবে গঠিত কারেনকে বলে রিলেন কারেন।

119. চুনাপাথরের গুহায় ছাদ থেকে ঝুলতে থাকা ভূমিরূপটির নাম কী?’

Ans- চুনাপাথরের গুহায় ছাদ থেকে ঝুলতে থাকা ভূমিরূপটির নাম স্ট্যালাকটাইট।

120. কার্স্ট হ্রদ কাকে বলে?

Ans- ডোলাইনে জল সঞ্চিত হয়ে যে হ্রদ সৃষ্টি হয়, তাকে কার্স্ট হ্রদ বলে।

121. হামস কী?

Ans- পোলজি বা পোলজির ওপরে ক্ষয়প্রাপ্ত অবশিষ্ট টিলাগুলি হামস নামে পরিচিত।

122. হামসের অপর নাম কী?

Ans- হামসের অপর নাম হে-স্ট্যাক পাহাড় বা পেপিনো পাহাড়।

123. ডোলাইন কয়প্রকার ও কী কী?

Ans- ডোলাইন প্রধানত পাঁচপ্রকার, যথা- (i) দ্রবণ ডোলাইন, (ii) ধস ডোলাইন, (iii) দ্রবণ পাইপ ডোলাইন, (iv) অবনমিত ডোলাইন এবং (v) ককপিট ডোলাইন।

124. চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে প্রবহমান নদীর দ্রবণ বণ কার্যের ফলে যে গভীর ও খাড়া পাড়যুক্ত নদী উপত্যকা সৃষ্টি হয় তাকে কী বলে?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে প্রবহমান নদীর দ্রবণ কার্যের ফলে যে গভীর ও খাড়া পাড়যুক্ত নদী উপত্যকা সৃষ্টি হয়, তাকে গিরিখাত বলে।

125. প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ কী?

Ans- চুনাপাথরগঠিত অঞ্চলে জলের দ্রবণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট সুদীর্ঘ গর্তকে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ বলে।

 

1).ভৌমজল কাকে বলে? ভৌমজলের গুরুত্ব আলোচনা করো।

ডৌমজল:- ভূ-অভ্যন্তরে কিংবা মৃত্তিকা, রেগোলিথ এবং শিলারন্দ্রে যে জল অবস্থান করে, তাকে ভৌমজল বলে। ভৌমজলের প্রধান উৎস হল বৃষ্টি ও তুষারগলা জল। – বৃষ্টিপাত ও তুষারগলা জলের সামান্য অংশ পৃথিবীর অভিকর্ষজ টানে মাটির মধ্য দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরে অপ্রবেশ্য স্তর পর্যন্ত পৌঁছোয় এবং অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের ওপরে মৃত্তিকা ও শিলারকে সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত করে রাখে।

ডৌমজলের গুরুত্ব:-
মানবজীবনে ভৌমজলের গুরুত্ব অপরিসীম-

[ 1] পানীয় জলের উৎস:- ভৌমজল মানুষের পানীয় জলের প্রধান উৎস।

গভীর ও অগভীর নলকূপ, কুয়ো থেকে আমরা পানীয় জল সংগ্রহ করি। প্রস্রবণের মধ্য দিয়ে নির্গত ভৌমজলও পানীয় হিসেবে অনেক সময় ব্যবহৃত হয়।

[2] কৃষি ও শিল্পকর্মের প্রসার:- বহু অঞ্চলে ভৌমজলের সঞ্চয়নির্ভর কৃষিকাজ ও শিল্পকাজ গড়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গের বহু স্থানে গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে ভৌমজল উত্তোলন করে বহুফসলি শস্যের * উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

[3] ভূতাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন:- উন্ন প্রস্রবণ ও গিজারের উত্তপ্ত ভৌমজলকে কাজে লাগিয়ে ভূতাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।

[4] জনবসতি স্থাপন:- প্রস্রবণ থেকে নির্গত ভৌমজল জনবসতি গড়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পশ্চিমবঙ্গে শুশুনিয়া পাহাড়ের পাদদেশ থেকে প্রাপ্ত প্রস্রবণের জল ওই স্থানে জনবসতি গড়ে উঠতে সাহায্য করেছে।

[5] পশুদের পানীয় জলের জোগান:- চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলের ভূপৃষ্ঠ শুষ্ক প্রকৃতির। এই অঞ্চলের তৃণই প্রধান উদ্ভিদ। পশুপালনের জন্য প্রয়োজনীয় পানীয় জল এই অঞ্চলে গঠিত ভৌমজলের ভান্ডার থেকে সংগ্রহ করা হয়।

গুরুত্ব হিসেবে অতিরিক্ত পয়েন্টগুলি দ্যাখো-

রোগ নিরাময় গুণ:- চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে উয় প্রস্রবণের জলে কিছুকিছু রোগ নিরাময়কারী উপাদান থাকে। তাই ওইসব স্থানে মানুষের সমাগম বাড়ে।

1. পর্যটন শিল্পের প্রসার:- চুনাপাথর গঠিত অঞ্চলে কিছু বিশেষ ধরনের ভূমিরূপ গঠিত হয় যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে। ফলে ওই অঞ্চলে বা স্থানে পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠে।

2. মরুদ্যানের সৃষ্টি:- মরু অঞ্চলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বায়ুর দ্বারা বালুকারাশি অপসারিত হলে ভৌমজলপীঠ উন্মুক্ত হয়। যার ফলে মরুদ্যান সৃষ্টি হয় যা মানুষের চাষের কাজে ও বসতি স্থাপনে সাহায্য করে।

3. নদীর জলের উৎস:- নিত্যবহ নদীর জলের একটি উৎস হল প্রস্রবণ।

4. পানীয় প্রস্তুতের কাঁচামাল:- নরম পানীয় প্রস্তুত করতে বা খনিজ জল তৈরিতে ভৌমজল কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

2).ভৌমজলের নিয়ন্ত্রকগুলি কী? ভৌমজলের উৎসগুলি কী?

ডৌমজলের নিয়ন্ত্রকসমূহ:-
ভৌমজলের পরিমাণ কতকগুলি প্রাকৃতিক ও মানুষের কার্যাবলির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এগুলি হল-

[ 1] বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও স্থায়িত্ব:- কয়েকদিন ধরে একটানা ভারী

বৃষ্টিপাত হলে অনুস্রবণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে, ভৌমজলের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, স্বল্পস্থায়ী হালকা বৃষ্টিপাত হলে অনুস্রবণের মাত্রা কমে যায়। ফলে, ভৌমজলের সঞ্চয়ও কম হয়। শুষ্ক অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও স্থায়িত্ব কম হওয়ায় ওই অঞ্চলে ভৌমজলের সঞ্চয়ও কম হয়।

[2] শিলা বা মৃত্তিকার সচ্ছিদ্রতা ও প্রবেশ্যতা:- শিলার খনিজ কণা ও মাটির কণা সংঘবদ্ধভাবে বিন্যস্ত হলেও এদের মধ্যে ফাঁক বা শূন্যস্থান থেকে যায়। ওই রন্ধু বা ছিদ্রপথ দিয়ে বায়ু, জল প্রভৃতি চলাচল করে। শিলা বা মৃত্তিকার অধিক সচ্ছিদ্রতা ও প্রবেশ্যতা বেশি পরিমাণে ভৌমজল সঞ্চয়ে সাহায্য করে।

[ 3] মৃদু ভূমি ঢাল:- ভূমির ঢাল কম হলে জল ধীরে ধীরে নীচের দিকে গড়িয়ে যায়। তাই এই অবস্থায় অনুস্রবণের মাত্রা বাড়ে। ফলে, ভূত্বকের উপপৃষ্ঠীয় স্তরে জলের সঞ্চয় বাড়ে।

[4] প্রবেশ্য শিলাস্তরের নীচে অপ্রবেশ্য শিলান্তরের অবস্থান:- প্রবেশ্য শিলার নীচে অপ্রবেশ্য শিলা অবস্থান করলে জলের নিম্নগামিতা বাধা পায়। ফলে অপ্রবেশ্য শিলার ওপর প্রবেশ্য শিলাস্তরে জল সঞ্চিত হয়ে ভৌমজলের সঞ্চয় বাড়ায়।

5] বাষ্পীভবন:- বাষ্পীভবনের মাত্রা বেশি হলে অনুদ্রবণের মাত্রা কমে। ফলে ভৌমজলের সঞ্চয়ও কমে। বাষ্পীভবনের মাত্রা কমলে ভৌমজলের পরিমাণ বাড়ে।

[6] ভূমি ব্যবহারের প্রকৃতি:- কৃষিকাজের ফলে মাটি আলগা হয়, তাই অনুদ্রবণের মাত্রা বেড়ে যায় এবং ভৌমজলের সঞ্চয় বেশি হয়। শহর অঞ্চলে পাকা রাস্তা ও ঘরবাড়ির অবস্থানের জন্য জলের অনুপ্রবেশ ব্যাহত হয়। তাই, এই অঞ্চলে ভৌমজলের সঞ্চয় হয় না বললেই চলে।

ডৌমজলের উৎস

ভৌমজল নানাভাবে সৃষ্টি হতে পারে। প্রধানত 4টি উৎস থেকে ভৌমজল আসে। এগুলি হল-

[1] আবহিক জল:- আবহিক জলরূপে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ভৌমজলের প্রধান উৎস।

[2] সহজাত জল:- পাললিক শিলায় আবদ্ধ সহজাত জল হল ভৌমজলের আর-একটি উৎস।

[3] উৎস্যন্দ জল: ম্যাগমার মধ্যে সঞ্চিত উত্তপ্ত ও খনিজসমৃদ্ধ জল ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে এসে উৎস্যন্দ জল রূপে ভৌমজলের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে।

[4] মহাসাগরীয় জল:- অনেকসময় সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে সমুদ্রের জল শিলার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে মহাসাগরীয় বা সামুদ্রিক জল রূপে ভূ-অভ্যন্তরে ভৌমজলের সৃষ্টি করে।

3).অ্যাকুইফার বলতে কী বোঝ? এটি কীভাবে সৃষ্টি হয়? জলচক্র সম্পর্কে টাকা লেখো।

অ্যাকুইফার:-
‘অ্যাকুইফার’ শব্দের উৎপত্তি দুটি লাতিন শব্দ ‘Aqua’ এবং ‘Ferre’ থেকে। ‘Aqua’ শব্দের অর্থ জল এবং ‘Ferre’ শব্দের অর্থ বহনকারী। অতএব, অ্যাকুইফার শব্দের অর্থ জলবহনকারী বা জলবাহী স্তর। যে ভূতাত্ত্বিক স্তরের মধ্য দিয়ে জল প্রবাহিত হয়, পরিপূরিত হয়, ক্ষরিত হয় এবং জলের ভাণ্ডাররূপে অবস্থান করে, তাকে অ্যাকুইফার বলে। অ্যাকুইফার ছাড়া ভৌমজল সৃষ্টি হতে পারে না।

অ্যাকুইফারের সৃষ্টি:-
অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের ওপর প্রবেশ্য শিলাস্তর অবস্থান করলে, ওই প্রবেশ্য শিলাস্তরে জল সঞ্চিত হয়ে মুক্ত অ্যাকুইফার গঠিত হয়। দুটি অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের মধ্যে থাকা প্রবেশ্য শিলাস্তরে জল সঞ্চিত হয়ে আবন্ধ অ্যাকুইফার | গঠিত হয়। মুক্ত অ্যাকুইফারের ওপরে চামচের মতো অথবা লেন্সের মতো অল্পপরিসর স্থানে অপ্রবেশ্য শিলাস্তর অবস্থান করলে ওই অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের ওপরে জলবাহী স্তরে সামান্য কিছু জল সঞ্চিত হয়। এটি হল স্থানীয় বা পার্চড অ্যাকুইফার। প্রবেশ্য শিলাস্তরে এইভাবে জলের সন্বয় ঘটিয়ে বিভিন্ন প্রকার অ্যাকুইফার সৃষ্টি হয়।

জলচক্র:-
বায়ুমণ্ডল, শিলামণ্ডল ও বারিমণ্ডলের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ভৌত অবস্থায় (কঠিন, তরল ও বাষ্প) চক্রাকারে জলের যে, অবিরাম স্থানান্তর ঘটে, তাকে জলচক্র বলে।

জলচক্রের পর্যায়:- বাষ্পীভবন, ঘনীভবন ও অধঃক্ষেপণের মাধ্যমে জলচক্র সম্পন্ন হয়। এই তিনটি প্রক্রিয়ার যে-কোনো একটি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হলে জলচক্রের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সূর্যের কিরণে জল বাষ্পে পরিণত হয়। বায়ুমণ্ডলের ওই বাষ্প অনুকূল পরিবেশে ঘনীভূত হয়ে জলভাগ ও স্থলভাগে বৃষ্টিপাত বা তুষাররূপে পতিত হয়। অধঃক্ষেপণের এক অংশ মৃত্তিকা শোষণ করে ভৌমজলের ভাণ্ডার গড়ে তোলে, এক অংশ পুকুর, হ্রদ, নদীতে সঞ্চিত হয় এবং বাকি অংশ পৃষ্ঠপ্রবাহরূপে সমুদ্রে ফিরে যায়। পুনরায় ওই জল বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমন্ডলে ফিরে যায়। প্রকৃতিতে জল এইভাবে আবর্তিত হয় ।

4).প্রকৃতি অনুসারে প্রস্রবণের শ্রেণিবিভাগ করো ?

প্রকৃতি অনুসারে প্রস্রবণের শ্রেণিবিভাগ
ভূপৃষ্ঠের কোনো অংশ দিয়ে ভূগর্ভস্থ জলের স্বাভাবিক নির্গমনকে প্রস্রবণ বলে। জল নির্গমনের প্রকৃতি অনুযায়ী প্রস্রবণকে প্রধানত 5টি ভাগে ভাগ করা যায়-[1] অবিরাম প্রস্রবণ, [2] সবিরাম প্রস্রবণ, [3] উয় প্রস্রবণ, [4] শীতল
প্রস্রবণ ও [5] গিজার।

[1] অবিরাম প্রস্রবণ:- যেসব প্রস্রবণ থেকে ভূগর্ভস্থ জল সারাবছর বিরামহীনভাবে নির্গত হয়, সেইসব প্রস্রবণকে অবিরাম প্রস্রবণ বলে। অপ্রবেশ্য ও প্রবেশ্য শিলাস্তরের সংযোগস্থলে স্থায়ী সম্পৃক্ত স্তর অবস্থান করলে এবং তা ভূপৃষ্ঠে উন্মুক্ত হলে অবিরাম প্রস্রবণ সৃষ্টি হয়। ছত্তিশগড় রাজ্যের অমরকণ্টকে শোন নদীর উৎসস্থলে অবস্থিত সোনামুড়া প্রস্রবণটি অবিরাম প্রস্রবণের উদাহরণ।

2] সবিরাম প্রস্রবণ:- শুষ্ক ঋতুতে সাময়িক সম্পৃক্ত স্তরে জলের সরবরাহ [বন্ধ হলে অথবা জলপীঠ সাময়িক সম্পৃক্ত স্তরের নীচে চলে গেলে প্রস্রবণগুলি শুকিয়ে যায়। কিন্তু বর্ষায় সাময়িক সম্পৃক্ত স্তরগুলি জলে পরিপূরিত হলে প্রস্রবণগুলি থেকে পুনরায় ভূগর্ভস্থ জল নির্গত হতে শুরু করে। এধরনের প্রস্রবণকে সবিরাম প্রস্রবণ বলে। ঝাড়খণ্ডের চাইবাসা জেলার লুপুঙ্গুটুর প্রস্রবণমালার কয়েকটি প্রস্রবণ বর্ষার শেষে শুকিয়ে যায়।

[3 ] উয় প্রস্রবণ: বৃষ্টির জল বা ভৌমজল ভূত্বকের দারণ বা ফাটলের মধ্যদিয়ে ভূত্বকের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে তা ভূ-অভ্যন্তরস্থ তাপীয় শক্তির প্রভাবে উত্তপ্ত হয়ে ভূপৃষ্ঠের কোনো দুর্বল অংশ দিয়ে উয় জল প্রবাহরূপে বেরিয়ে এলে তাকে উদ্বু প্রস্রবণ বলে। পশ্চিমবঙ্গের বক্রেশ্বর, ঝাড়খণ্ডের রাজগির, হিমাচল প্রদেশের তাতাপানি, মণিকরণের প্রস্রবণগুলি উয় প্রস্রবণের উদাহরণ।

4] গীতল প্রস্রবণ: যেসব প্রস্রবণের জলের উয়তা ভূপৃষ্ঠীয় জলের উন্নতা অপেক্ষা কম বা এর সমান, সেসব প্রস্রবণকে শীতল প্রস্রবণ বলে। উত্তরাঞ্চলের দেরাদুনের সহস্রধারা একটি শীতল প্রস্রবণের উদাহরণ।

[5] গিজার: যেসব প্রস্রবণ দিয়ে ভূগর্ভে সঞ্চিত অত্যুয় জল ও বাষ্প নিয়মিতভাবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে গর্জন করতে করতে প্রবল বেগে সংকীর্ণ উপপৃষ্ঠীয় পথে ভূপৃষ্ঠের ঊর্ধ্বে উৎক্ষিপ্ত হয়, সেসব উন্ন প্রস্রবণকে গিজার বলে (চিত্র 1.2.4)। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের পার্বত্য অঞ্চলে ইয়েলোস্টোন পার্কের ওল্ড ফেথফুল গিজার পৃথিবী বিখ্যাত ।

You may also like

সামুদ্রিক প্রক্রিয়াসমূহ ও সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর
Higher Secondary Geography

Class 12 Geography Chapter 3 Question And Answer সামুদ্রিক প্রক্রিয়াসমূহ ও সংশ্লিষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন ও উত্তর

1.তটভূমির ওপরে ছোটো ছোটো নুড়ি, বালি প্রভৃতির অবক্ষেপনে সৃষ্টি হয় A)স্ট্যাক B)সৈকতভূমি C)টম্বোলো D)ফিয়র্ড Ans-B 2. আদি সৈকতভূমি বা তরঙ্গকর্তিত
ক্ষয়চক্র গঠন ও প্রক্রিয়া উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর
Higher Secondary Geography

ক্ষয়চক্র গঠন ও প্রক্রিয়া উচ্চমাধ্যমিক ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন ও উত্তর

1. ডেভিস তাঁর স্বাভাবিক ক্ষয়চক্রের ধারণাটি প্রথম প্রকাশ করেন- A) 1980 সালে B) 1899 সালে C) 1910 সালে D) 1950