1.তটভূমির ওপরে ছোটো ছোটো নুড়ি, বালি প্রভৃতির অবক্ষেপনে সৃষ্টি হয়
A)স্ট্যাক
B)সৈকতভূমি
C)টম্বোলো
D)ফিয়র্ড
Ans-B
2. আদি সৈকতভূমি বা তরঙ্গকর্তিত মঞ্চ বর্তমান সমুদ্রতল অপেক্ষা অনেক উঁচুতে অবস্থান করলে, তাকে বলা হয়
A)উত্থিত সৈকত
B)অবনত সৈকত
C)পুরোদেশীয় তটভূমি
D)কাস্পেট পুরোভূমি
Ans-A
3.সৈকতভূমির নিম্নাংশের ঢাল হয়
A)10°-20°
B)2°-3°
C)9°-10°
D)40°-50°
Ans- B
4.সমুদ্রতরঙ্গের ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্টি হয়
A)সৈকতভূমি
B)পুরোদেশীয় বাঁধ
C)ব্লো-হোল
D)প্রবাল প্রাচীর
Ans-C
5. সামুদ্রিক অবক্ষেপনের ফলে উপকূলে সৃষ্টি হয়
A)ভৃগু
B)স্পিট
C)স্ট্যাক
D)জিও
Ans-B
6.পুরোদেশীয় বাঁধের এক ভিন্ন রূপ হল-
A)অনুতটীয় বাঁধ
B)স্পিট
C)বেলাভূমি
D)সৈকতশিরা
Ans-B
7.ওডিশার চিলকা হ্রদের কাছে অবস্থান করছে একটি
A)স্পিট
B)বেরিয়ার বিচ
C)পুরোদেশীয় বাঁধ
D)ফিয়র্ড
Ans- A
৪.বিস্তারের প্রকৃতি অনুযায়ী স্পিটকে ভাগ করা যায়-
A)তিন ভাগে
B)দুই ভাগে
C)চার ভাগে
D)পাঁচ ভাগে
Ans-A
9. হুক-এর অপর নাম হল
A)ঘূর্ণন স্পিট
B)পুনর্বক্র স্পিট
C)কাম্পেট স্পিট
D)কাস্পেট পুরোভূমি
Ans-B
10. অগ্রভূমির প্রান্তভাগে দু-দিকে দুটি স্পিট প্রসারিত হলে, তাকে বলে
A)ঘূর্ণন স্পিট
B)কাম্পেট স্পিট
C)প্রতিবন্ধক সৈকত
D)পক্ষযুক্ত অগ্রভূমি
Ans-D
11.কর্ণাটক ও কেরলে কোন্ ধরনের উপকূল দেখা যায়?
A)নিমজ্জিত উপকূল
B)ডালমেশিয়ান উপকূল
C)উত্থিত উপকূল
D)যৌগিক উপকূল
Ans- D
12.সৈকতভূমির ওপর সৃষ্ট আঁকাবাঁকা শিরার মতো ভূমিরূপকে কী বলে?
A)সামুদ্রিক বাঁধ
B)পুরোদেশীয় বাঁধ
C)বালিয়াড়ি
D)সৈকতশিরা
Ans- D
13.সৈকতশিরার মতো দেখতে বালিয়াড়িকে স্থানীয় ভাষায় বলে-
A)ফ্রিও
B)বার্চ
C)কয়াল
D)টেরিস
Ans- D
14. যুগোস্লাভিয়ার পূর্ব উপকূলটি হল-
A)রিয়া উপকূল
B)ফিয়র্ড উপকূল
C)ডালমেশিয়ান উপকূল
D)নিমজ্জিত উপকূল
Ans- C
15.হিমবাহ অধ্যুষিত অঞ্চলে দেখা যায়-
A)রিয়া উপকূল
B)ফিয়র্ড উপকূল
C)ডালমেশিয়ান উপকূল
D)টম্বোলো
Ans- B
16.ফিয়র্ডের দেশ বলা হয়
A)সুইডেনকে
B)ডেনমার্ককে
C)নরওয়েকে
D)জাপানকে
Ans- C
17. ইংল্যান্ডের ডার্সেট উপকূলে চেসিল সৈকত ও পোর্টল্যান্ড দ্বীপটি যার দ্বারা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত তা হল-
A)পুরোদেশীয় বাঁধ
B)বেরিয়ার বিচ
C)স্পিট
D)টম্বোলো
Ans-D
18.উপসাগরের সম্মুখভাগে বর্ধিত স্পিট দ্বারা গঠিত বাঁধকে বলে-
A)লুপ বার
B)টম্বোলো
C)বে-বার
D)কাস্পেট স্পিট
Ans-C
19.উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন ভূমিরূপটি হল-
A)স্পিট
B)টম্বোলো
C)পুরোদেশীয় বাঁধ
D)হুক
Ans- C
20. নীচের ভূমিরূপগুলির মধ্যে যেটি উপকূলের সাথে সংযুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় তা হল-
A)স্পিট
B)পুরোদেশীয় বাঁধ
C)বেরিয়ার দ্বীপ
D)কোনোটিই নয়
Ans- A
21.সমুদ্রে জলরাশির উল্লম্ব সম্মলনকে বলে
A)সমুদ্রতরঙ্গ
B)সমুদ্রস্রোত
C)জলপ্রবাহ
D)ফেচ
Ans-A
22.ভারতে অবস্থিত একটি উপহ্রদ বা লেগুন হল-
A)পুলিকট হ্রদ
B)লোকটাক হ্রদ
C)সম্বর হ্রদ
D)ডাল হ্রদ
Ans-A
23.ভারতের পূর্ব উপকূলের একটি বিখ্যাত উপহ্রদ হল
A)ডাল
B)উলার
C)সম্বর
D)চিলকা
Ans-D
24. পৃথিবীর বৃহত্তম লেগুনটির নাম হল
A)চিলকা
B)পুলিকট
C)নিউ ক্যালিডোনিয়ান
D)গারাবোগাজ
Ans- C
25.জলমগ্ন নদী উপত্যকা যে উপকূল সৃষ্টি করে তা হল
A)উত্থিত উপকূল
B)ফিয়র্ড উপকূল
C)ডালমেশিয়ান উপকূল
D)রিয়া উপকূল
Ans- D
26. হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে দেখতে পাওয়া যায়
A)রিয়া উপকূল
B)ডালমেশিয়ান উপকূল
C)যৌগিক উপকূল
D)নিরপেক্ষ উপকূল
Ans- D
27.একটি বাঁধ কোনো একটি দ্বীপকে উপকূলের সঙ্গে যুক্ত করলে তাকে বলে-
A)টম্বোলো
B)বে-বার
C)লুপ-বার
D)স্ট্যাক
Ans- A
28. হিমবাহ উপত্যকা সমুদ্রে নিমজ্জিত হয়ে যে উপকূল গড়ে তোলে তাকে বলে-
A)রিয়া উপকূল
B)ডালমেশিয়ান উপকূল
C)ফিয়র্ড উপকূল
D)যৌগিক উপকূল
Ans- C
29. নরওয়ে উপকূল একপ্রকার
A)ডালমেশিয়ান উপকূল
B)রিয়া উপকূল
C)ফিয়র্ড উপকূল
D)উত্থিত উপকূল
Ans- C
30. কেরলের উপকূলে পুরোদেশীয় বাঁধের পিছনে বহু সংখ্যায় দেখা যায়-
A)প্রবাল প্রাচীর
B)হ্রদ
C)কয়াল
D)বালিয়াড়ি
Ans-C
31. সমুদ্রতরঙ্গ দ্বারা সৃষ্ট অত্যন্ত লম্বা ও গভীর খাঁড়িকে বলে-
A)জিও
B)ব্রো-হোল
C)কোভ
D)স্ট্যাক
Ans- A
32. কঠিন শিলাস্তরে গঠিত ভুগুর মধ্যে সামুদ্রিক ক্ষয়ের ফলে যে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি হয় তাকে বলে-
A)খিলান
B)স্ট্যাক
C)ব্রো-হোল
D)গৃহা
Ans- D
33. ন্যাচারাল আর্চ (Natural Arch) বলা হয়
A)ব্রো-হোলকে
B)খিলানকে
C)গুহাকে
D)টম্বোলোকে
Ans- B
34. মূল ভূভাগ ও পুরোদেশীয় বাঁধের মাঝখানের অগভীর জলাভূমিকে বলে-
A)ডোবা
B)উপসাগর
C)লেগুন
D)বাইট
Ans- C
35. সঞ্চয়কার্য কম পরিমাণে সংঘটিত হয়-
A)রিয়া উপকূলে
B)নিমজ্জিত উপকূলে
C)উত্থিত উপকূলে
D)ডালমেশিয়ান উপকূলে
Ans- C
36. ভারতের যে সমুদ্র উপকূলে স্ট্যাক ও স্ট্যাম্প দেখা যায় তা হল-
A)ওডিশার উপকূল
B) গোয়ার উপকূল
C)পশ্চিমবঙ্গের উপকূল
D)মহারাষ্ট্রের উপকূল
Ans- B
37. দক্ষিণ-পশ্চিম আয়ার্ল্যান্ডের উপকূল যে উপকূলের একটি উদাহরণ তা হল-
A)রিয়া উপকূল
B) উত্থিত উপকূল
C)ডালমেশিয়ান উপকূল
D)যৌগিক উপকূল
Ans- A
38. ভারতের যে উপকূলে যৌগিক উপকূল দেখা যায় তা হল-
A)উত্তর সরকার উপকূল
B)মালাবার উপকূল
C) করমণ্ডল উপকূল
D)গুজরাত উপকূল
Ans- B
39. সমুদ্রতরঙ্গের ক্ষয়কার্যে সৃষ্ট খিলানের ক্ষয়প্রাপ্ত যে ভূমিরূপটি কেবলমাত্র ভাটার সময় দেখা যায় তা হল-
A)স্ট্যাক
B)স্ট্যাম্প
C)জিও
D)ভূগু
Ans- B
40. স্ট্যাক ক্ষয়ীভূত হয়ে ক্ষুদ্রাকার রূপ ধারণ করলে তাকে বলে-
A)টম্বোলো
B)স্ট্যাম্প
C)জিও
D)খিলান
Ans- B
41. উপকূল থেকে বিচ্ছিন্ন এবং সাধারণ জলতলের ওপরে স্তম্ভরূপে দণ্ডায়মান ভূমিরূপটি হল-
A)স্বাভাবিক খিলান
B)স্ট্যাক
C)স্ট্যাম্প
D)জিও
Ans- B
42. অগ্রভূমির ক্ষয়ের ফলে ক্রমান্বয়ে সৃষ্ট সামুদ্রিক ভূমিরূপগুলিকে পরপর সাজালে যা হয়-
A)সামুদ্রিক গুহা, খিলান, স্ট্যাক, স্ট্যাম্প
B)স্ট্যাক, স্ট্যাম্প, সামুদ্রিক গুহা, খিলান
C)স্ট্যাম্প, স্ট্যাক, খিলান, সামুদ্রিক গুহা
D)খিলান, সামুদ্রিক গুহা, স্ট্যাম্প, স্ট্যাক
Ans- A
43.একাধিক রো-হোলের সংযুক্তিকরণের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘ ও সংকীর্ণ খাড়িকে বলে
A)সামুদ্রিক গুহা
B)খিলান
C)জিও
D)কোভ
Ans-C
44.যে তটভূমি কেবল ঝটিকা তরঙ্গের মাধ্যমেই প্লাবিত হয় সেটি হল-
A)সম্মুখ তটভূমি
B)পশ্চাৎ তটভূমি
C)পুরোদেশীয় তটভূমি
D)একটিও নয়
Ans- B
45.সমুদ্রজলের ঊর্ধ্ব জলসীমা থেকে ভূগতট পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে বলে-
A)সম্মুখ তটভূমি
B)পশ্চাৎ তটভূমি
C)পুরোদেশীয় তটভূমি
D)একটিও নয়
Ans- B
46.সমুদ্র জলের নিম্নসীমা থেকে ঊর্ধ্বসীমা পর্যন্ত উপকূলের অংশকে বলে-
A)পুরোদেশীয় তটভূমি
B)সম্মুখ তটভূমি
C)পশ্চাৎ তটভূমি
D)খাঁড়ি
Ans- B
47.সমুদ্রের সর্বনিম্ন জলসীমা থেকে ভূগুতট পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অংশকে বলে-
A)তটভূমি
B)পশ্চাৎ তটভূমি
C)পুরোদেশীয় তটভূমি
D)মধ্যবর্তী তটভূমি
Ans- A
48.সমুদ্রের নিম্ন জলসীমা থেকে মহিসোপান পর্যন্ত অংশকে বলা হয়-
A)সম্মুখ তটভূমি
B)পশ্চাৎ তটভূমি
C)পুরোদেশীয় তটভূমি
D)কোনোটিও নয়
Ans- C
49. সমুদ্র ও স্থলভাগের সংযোগস্থলকে বলে-
A)উপসাগর
B)সামুদ্রিক
C)বাঁধ উপকূলরেখা
D)সৈকত
Ans- C
50. তটভূমির যে অংশে নুড়ি, বালি দ্বারা সঞ্চয়জাত ভূভাগ গড়ে ওঠে তাকে বলে-
A)বার্ম
B)বাঁধ
C)সৈকত
D)ভূগ
Ans- C
51. সম্মুখ ও পশ্চাৎ তটভূমির সংযোগস্থলে শিলাখণ্ডে তৈরি সরু সোপানকে বলে-
A)উপকূলরেখা
B)তটভূমি
C)পুরোদেশীয় বাঁধ
D)বার্ম
Ans-D
1. সামুদ্রিক প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
Ans- সামুদ্রিক প্রক্রিয়া বলতে সমুদ্র তরলের ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজকে বোঝায়।
2. উপকূল কাকে বলে?
Ans- ভৃগুর পশ্চাতে বিস্তৃত ভূভাগের যে অংশ পর্যন্ত সমুদ্রের প্রভাব থাকে (যেমন, বালিয়াড়ির অস্তিত্ব) তাকে উপকূল বলে।
3. তটভূমি কাকে বলে?
Ans- উপকূলের সমুদ্রমুখী অর্থাৎ সামনের দিকের ভূমিভাগকে তটভূমি বলে।
4. ফেচ বলতে কী বোঝায়?
Ans-উন্মুক্ত সমুদ্রে বাতাস বাধাহীনভাবে যতখানি দূরত্ব অতিক্রম করে, সেই দূরত্বকে ফেচ বলে।
5. উপকূলরেখা কাকে বলে?
• Ans-সমুদ্র ও স্থলভাগের সংযোগস্থলকে উপকূলরেখা বলে।
6. সৈকত বা বেলাভূমি বলতে কী বোঝায়?
Ans-সমুদ্রতরঙ্গ দ্বারা বাহিত পদার্থ তটভূমির ওপর সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট সমতলভূমিকে সৈকত বা বেলাভূমি বলে।
7. তরঙ্গঙ্গদৈর্ঘ্য বলতে কী বোঝায়?
Ans-পরপর দুটি তরঙ্গশীর্ষ বা দুটি তরঙ্গ দ্রোণিতলের মধ্যবর্তী অনুভূমিক দূরত্বকে তরঙ্গদৈর্ঘ্য বলে।
৪. সমুদ্রতরঙ্গ সৃষ্টির দুটি প্রাকৃতিক কারণ লেখো।
Ans-সমুদ্রতরঙ্গ সৃষ্টির দুটি প্রাকৃতিক কারণ হল-(i) সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে বায়ুপ্রবাহের ঘর্ষণ এবং (ii) সমুদ্রের তলদেশে ভূকম্পন।
9. সমুদ্রতরঙ্গ সৃষ্টির দুটি কৃত্রিম কারণ লেখো।
Ans- সমুদ্রতরঙ্গ সৃষ্টির দুটি কৃত্রিম কারণ হল-(i) জলযান চলাচল এবং (ii) সমুদ্রের তলদেশে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ।
10. বিনাশকারী তরঙ্গ কাকে বলে?
Ans- যে শক্তিশালী তরঙ্গের প্রভাবে উপকূলভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত ও বিনষ্ট হয়, তাকে বিনাশকারী তরঙ্গ বলে।
11. কোন্ প্রকার বিনাশকারী সমুদ্রতরণ উপকূলকে অধিক ক্ষয় করে?
Ans- উত্তাল সম্মুখতরঙ্গ বা সোয়াশ উপকূলকে অধিক ক্ষয় করে।
12. কখন বিনাশকারী তরঙ্গের সৃষ্টি হয়?
Ans- সুনামির আবির্ভাব ঘটলে অথবা প্রবল ঝড়ে সমুদ্র উত্তাল হলে বিনাশকারী তরঙ্গ সৃষ্টি হয়।
13. গঠনকারী তরণ কাকে বলে?
Ans- যে তরঙ্গ তটভূমিতে বিভিন্ন পদার্থের সঞ্চয় ঘটিয়ে প্রশস্ত বেলাভূমি গঠন করে, তাকে গঠনকারী তরঙ্গ বলে।
14. সমুদ্রতরণের প্রধান নিয়ন্ত্রকগুলি কী?
Ans- বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্প হল সমুদ্রতরঙ্গের প্রধান নিয়ন্ত্রক।
15. সমুদ্রস্রোতের নিয়ন্ত্রকগুলি কী?
Ans- নিয়ত বায়ুপ্রবাহ, উপকূলের রূপরেখা, সমুদ্রের জলের উন্নতা ও লবণতার পার্থক্য প্রভৃতি সমুদ্রস্রোতের নিয়ন্ত্রক।
16. ক্ল্যাপোটিস কাকে বলে?
Ans- প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গ ও সম্মুখ তরঙ্গ দু-দিক থেকে মিলিত হয়ে যে তরঙ্গ উৎপন্ন করে তাকে ক্ল্যাপোটিস বলে।
17. সমুদ্রতরণ সৃষ্টির প্রধান কারণ কী?
Ans- সমুদ্রের ওপর দিয়ে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রের তলদেশে ভূকম্পন হল সমুদ্রতরঙ্গ সৃষ্টির প্রধান কারণ।
18. তরণশীর্ষ বলতে কী বোঝায়?
Ans- সমুদ্রতরঙ্গের উর্ধ্বভঙ্গের উচ্চতম অংশ তরঙ্গশীর্ষ নামে পরিচিত।
19. তরঙ্গের পর্যায়কাল কাকে বলে?
Ans- কোনো একটি স্থানের নির্দিষ্ট বিন্দুতে পরপর দুটি তরঙ্গশীর্ষ আসার অন্তর্বর্তী সময়কালকে তরঙ্গের পর্যায়কাল বলে।
20. তরঙ্গের গতিবেগ বলতে কী বোঝায়?
Ans- একটি পর্যায়কালের মধ্যে তরঙ্গটি যতটা দূরত্ব যেতে পারে, তাকে তরঙ্গের গতিবেগ বলে।
21. অনুপ্রস্থ তরঙ্গ কাকে বলে?
Ans- বৃত্তাকার কক্ষপথে জলকণাসমূহ ওঠা-নামার মাধ্যমে যে তরঙ্গ সৃষ্টি করে, তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে।
22. প্লান্তরেখা কাকে বলে?
Ans- যে রেখা বরাবর উর্মিভঙ্গ ঘটে, তাকে প্লাঞ্জরেখা বলে।
23. তরঙ্গদ্রোণি কী?
Ans- তরঙ্গের অধোভঙ্গের সর্বনিম্ন অংশকে বলে তরঙ্গদ্রোণি।
24. সম্মুখ তরঙ্গ বা সোয়াশ কাকে বলে?
Ans- তরঙ্গ সমুদ্র থেকে এসে অগভীর উপকূল পেরিয়ে সৈকতের ওপর আছড়ে পড়লে তাকে সম্মুখ তরুণ বা সোয়াশ বলে।
25. পশ্চাদগামী তরণ বা ব্যাকওয়াশ বলতে কী বোঝ?
Ans- সম্মুখ তরঙ্গ সৈকতের ওপর আছড়ে পড়ার পর আবার ভূমির ঢাল বরাবর সমুদ্রে ফিরে যায়। একে বলে পশ্চাদ্গামী তরঙ্গ বা প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গ বা ব্যাকওয়াশ।
26. বার্ম কাকে বলে?
Ans- যখন ঝটিকা তরঙ্গের মাধ্যমে আসা নুড়ি, বালি প্রভৃতি সম্মুখ তটভূমি এবং পশ্চাৎ তটভূমির সংযোগস্থলে সঞ্চিত হয়ে অনুদৈর্ঘ্য স্বল্পোচ্চ ভূমি গঠন করে, তখন তাকে বার্ম বলে।
27. উর্মিভঙ্গ কী?
Ans-‘উর্মি’ কথাটির অর্থ তরঙ্গ বা ঢেউ। তরঙ্গ যখন ভেঙে পড়ে তখন তাকে বলে উর্মিভঙ্গ।
28. ব্যাকওয়াশ কেন বেশি শক্তিশালী তরণরূপে পরিচিত?
Ans- ব্যাকওয়াশ ঢাল বেয়ে সমুদ্রে প্রত্যাবর্তনের সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অনুকূলে কাজ করায় বেশি শক্তিশালী হয়।
29. সোয়াশ বা সম্মুখ তরঙ্গ কীভাবে শক্তি হারায় বা দুর্বল হয়?
Ans- প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গ দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় বলে এবং অভিকর্ষ টানের প্রতিকূলে কাজ করায় সম্মুখতরঙ্গ শক্তি হারায় ও দুর্বল হয়।
30. কোন্ ধরনের সামুদ্রিক জলস্রোত চোরাস্রোত নামে পরিচিত?
Ans- উজানি তটীয় প্রবাহ বা স্রোত চোরাস্রোত নামে পরিচিত।
31. ব্যাকওয়াশ কীভাবে প্রবাহিত হয়?
Ans- ভূমির ঢালের অনুকূলে ব্যাকওয়াশ প্রবাহিত হয়।
32. অনুদৈর্ঘ্য তরণ কী?
Ans- অনুপ্রস্থ তরঙ্গ সমুদ্রবক্ষে ধাক্কা খেয়ে উল্লম্বভাবে ওঠা-নামা করার পরিবর্তে তটভূমির সমান্তরালে উপকূলের দিকে প্রবাহিত হলে, তাকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে।
33. অনুতটায় স্রোত কী?
Ans- তটভূমিকে অনুসরণ করে যে স্রোত প্রবাহিত হয়, তাকেই বলে অনুতটীয় স্রোত।
34. তলদেশ প্রবাহ বা উজানি তটীয় প্রবাহ বা চোরাস্রোত কাকে বলে?
Ans- দুটি অনুতটীয় তরঙ্গ উভয়দিক থেকে এসে একত্রে মিলিত হয়ে অধিক ঢাল বরাবর সমুদ্রগর্ভের দিকে প্রবল বেগে অগ্রসর হলে তাকে চোরাস্রোত বলে। এটিই তলদেশ প্রবাহ বা উজানি তটীয় প্রবাহ নামে পরিচিত।
35. সমুদ্রের উচ্চ ও নিম্ন জলসীমার মধ্যে কোন্ সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ গড়ে ওঠে?
Ans- সমুদ্রের উচ্চ ও নিম্ন জলসীমার মধ্যে সঞ্চয়ের ফলে সৈকতভূমি গড়ে ওঠে।
36. সম্মুখ তটভূমির বিস্তার কতদূর?
Ans- মরা কোটালে ভাটার সময় চিহ্নিত জলতলের সর্বনিম্ন সীমা এবং ভরা কোটালে জোয়ারের সময় চিহ্নিত জলতলের সর্বোচ্চ সীমার মধ্যবর্তী অংশ পর্যন্ত সম্মুখ তটভূমি বিস্তৃত।
37. পশ্চাৎ তটভূমি কী?
Ans- সম্মুখ তটভূমির ঊর্ধ্বসীমা থেকে ভূগুতটের পাদদেশ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল পশ্চাৎ তটভূমি নামে পরিচিত।
38.সম্মুখ তটভূমি ও পশ্চাৎ তটভূমির মধ্যে পার্থক্য কী?
Ans- সমুদ্রজলের নিম্নসীমা থেকে উর্ধ্বসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে সম্মুখ তটভূমি বলে। অপরপক্ষে, সম্মুখ তটভূমির উর্ধ্বসীমা থেকে ভৃগুর পাদদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত অংশকে পশ্চাৎ তটভূমি বলে।
39. পুরোদেশীয় তটভূমি কাকে বলে?
Ans- সম্মুখ তটভূমির নিম্নসীমা থেকে মহীসোপানের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলকে পুরোদেশীয় তটভূমি বলে।
40. সমুদ্রস্রোত বলতে কী বোঝায়?
Ans- বায়ুপ্রবাহের মতো সমুদ্রের জলরাশির এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রবাহকে সমুদ্রস্রোত বলে।
41. জলপ্রবাহজনিত ক্ষয় কাকে বলে?
Ans- প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে উপকূলের শিলারাশি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে উপকূলভাগ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, একে জলপ্রবাহজনিত ক্ষয় বলে।
42. তরঙ্গ উচ্চতা বলতে কী বোঝায়?
Ans- তরঙ্গ দ্রোণিতল থেকে তরঙ্গশীর্ষ পর্যন্ত উল্লম্ব উচ্চতাকে তরল উচ্চতা বলে।
43. সোয়াশ কীভাবে প্রবাহিত হয়?
Ans- ভূমির ঢালের বিপরীতে সোয়াশ প্রবাহিত হয়।
44. সমুদ্রের উন্মুক্ত অংশের দৈর্ঘ্য কী নামে পরিচিত?
Ans- সমুদ্রের উন্মুক্ত অংশের দৈর্ঘ্য ফেচ নামে পরিচিত।
45. ‘ক্ল্যাপোটিস ক্ষয়’ বলতে কী বোঝ?
Ans- অগ্রগামী তরঙ্গ ও প্রত্যাবর্তনকারী তরঙ্গ দু-দিক থেকে মিলিত হলে ক্ল্যাপোটিস তৈরি হয়। ক্ল্যাপোটিস একই জায়গায় থেকে ওঠা-নাম করে। এর ফলে চাপের হ্রাস-বৃদ্ধিজনিত কারণে সমুদ্রগর্ভের শিলা ফেটে যায়, আলগা হয় এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
46. ঘর্ষণ ক্ষয় কাকে বলে?
Ans- তরঙ্গবাহিত বৃহৎ আকৃতির শিলাখণ্ডগুলি পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ছোটো আকৃতির শিলাখণ্ডে পরিণত হয়, একে ঘর্ষণ ক্ষয় বলে।
47. দ্রবণ ক্ষয় কাকে বলে?
Ans- চক, চুনাপাথর, ডলোমাইট প্রভৃতি শিলাদ্বারা গঠিত উপকূলভাগকে সমুদ্রজলে মিশ্রিত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষয় করে, তাকে দ্রবণ ক্ষয় বলে।
48. সামুদ্রিক ক্ষয়কারী প্রক্রিয়াগুলির নাম লেখো।
Ans- সামুদ্রিক ক্ষয়কারী প্রক্রিয়াগুলি হল-(i) জলপ্রবাহজনিত ক্ষয় (ii) অবঘর্ষ ক্ষয় (iii) ঘর্ষণ ক্ষয় (iv) দ্রবণ ক্ষয় (v) আবদ্ধ বায়ুর সংকোচন ও প্রসারণজনিত ক্ষয় (vi) ক্ল্যাপোটিস বা স্থির তরঙ্গজনিত ক্ষয়।
49. সমুদ্রতটের কোন্ অংশ পশ্চাৎ তটভূমি নামে পরিচিত?
Ans- উচ্চ জোয়ার জলের গড় সীমা থেকে ভৃগুর প্রান্তসীমা পর্যন্ত অংশ পশ্চাৎ তটভূমি নামে পরিচিত।
50. রিয়া উপকূল কীভাবে সৃষ্টি হয়?
Ans- ভূ-আন্দোলনের ফলে পার্বত্য অঞ্চল বা নদী উপত্যকা অবনমিত হলে অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান ঘটায় নদী উপত্যকা নিমজ্জিত হলে রিয়া উপকূলের সৃষ্টি হয়।
51. লেগুন কাকে বলে?
Ans- পুরোদেশীয় বাঁধের পেছনে জল আবদ্ধ হয়ে যে জলাভূমির সৃষ্টি করে তাকে লেগুন বলা হয়।
52. কয়াল কাকে বলে?
Ans- লেগুনকে কেরলের স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলে।
53. ভারতের বৃহত্তম কয়াল বা ব্যাক ওয়াটারের নাম কী?
Ans- ভারতের বৃহত্তম কয়াল বা ব্যাক ওয়াটারের নাম ডেমবানাদ কয়াল।
54. ফিয়র্ড উপকূল বলতে কী বোঝায়?
Ans- হিমবাহ অধ্যুষিত উপকূল সমুদ্রজলে নিমজ্জিত হলে, তাকে ফিয়র্ড উপকূল বলে।
55. নিরপেক্ষ উপকূল কীভাবে গড়ে ওঠে?
Ans- কোনোরকম উত্থান বা নিমজ্জন ছাড়াই সামুদ্রিক সঞ্চয়কার্য, অগ্ন্যুৎপাত ও প্রবাল কীটের সঞ্চয় প্রভৃতির মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত বা এলোমেলোভাবে নিরপেক্ষ উপকূল গড়ে ওঠে।
56. ভারতের কোথায় নিরপেক্ষ উপকূলের অস্তিত্ব দেখা যায়?
Ans- ভারতের গঙ্গা, গোদাবরী, কুয়া ও কাবেরী নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে নিরপেক্ষ উপকূলের অস্তিত্ব দেখা যায়।
57. টম্বোলো কাকে বলে?
Ans- কোনো সামুদ্রিক বাঁধ কোনো দ্বীপকে উপকূলের সাথে যুক্ত করলে, তাকে টম্বোলো বলা হয়।
58. রিয়া উপকূল বলতে কী বোঝায়?
Ans- তটরেখা-সংলগ্ন নিমজ্জিত নদী-উপত্যকা সমন্বিত উপকূল রিয়া উপকূল নামে পরিচিত।
59. ‘রিয়া’ শব্দের অর্থ কী?
Ans-‘রিয়া’ শব্দের অর্থ-নদী উপত্যকার নিমজ্জিত অংশ।
60. রিয়া ও ফিয়র্ড উপকূলের একটি পার্থক্য লেখো।
Ans- রিয়া ও ফিয়র্ড উপকূলের একটি পার্থক্য হল-রিয়া উপকূলের আকৃতি ফানেলের মতো এবং ফিয়র্ড উপকূল ‘U’ আকৃতির হয়।
61. ডালমেশিয়ান উপকূল কীভাবে সৃষ্টি হয়?
Ans- ভূ-আন্দোলনের ফলে উপকূলের সমান্তরালে অবস্থিত পর্বতশ্রেণি আংশিকভাবে নিমজ্জিত হলে ডালমেশিয়ান উপকূল সৃষ্টি হয়।
62. অগ্রভূমি বা হেডল্যান্ড কাকে বলে?
Ans- সমুদ্র উপকূলের পশ্চাদপসরণকালে অপেক্ষাকৃত বেশি ক্ষয়প্রতিরোধকারী শিলা তটভূমি থেকে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে অবস্থান করলে এই রূপ অভিক্ষিপ্ত ভূভাগকে অগ্রভূমি বা হেডল্যান্ড বলে।
63. সৈকতভূমি কী কী পদার্থ দ্বারা গঠিত?
Ans- সৈকতভূমির উর্ধ্বাংশ বোল্ডার, নুড়ি ও পাথরের টুকরো প্রভৃতি স্থূল পদার্থে পঠিত, কিন্তু এর নিম্নাংশ অতি সূক্ষ্ম বালুকণা দিয়ে গঠিত।
64. সমুদ্রড়গু কাকে বলে?
Ans- সমুদ্রের ক্ষয়ের ফলে উপকূল প্রান্তে যে খাড়া তল সৃষ্টি হয় তাকে সমুদ্রভৃগু বলে।
65. দুর্বল ভগ্ন কাকে বলে?
Ans- যেসকল ভৃগু দুর্বল শিলায় (কাদাপাথরে) গঠিত সেইসব ভৃগুতে পুঞ্জিত স্খলন বেশি হয়, ফলে খুব দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এদের দুর্বল ভৃগু বলে।
66. কোন্ অবস্থায় তরঙ্গকর্তিত মঞ্চ সৃষ্টি হয়?
Ans- সমুদ্র তরঙ্গের আঘাতে উপকূলের ভৃগু পিছু হটার ফলে তরঙ্গকর্তিত মঞ্চ সৃষ্টি হয়।
67. সামুদ্রিক ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট কোন্ ভূমিরূপ থেকে জিও সৃষ্টি হয়?
Ans- সামুদ্রিক ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ ব্রো-হোল থেকে জিও সৃষ্টি হয়।
68. স্ট্যাম্প কখন সৃষ্টি হয়?
Ans- সমুদ্রতরঙ্গের দ্বারা স্ট্যাক ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে স্ট্যাম্প সৃষ্টি হয়।