১.১ ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটির রচয়িতা-
ক) মালিক মুহম্মদ জায়সী
খ) সৈয়দ আলাওল
গ) মাগন ঠাকুর
ঘ) থদোমিন্তা
উত্তর:-সৈয়দ আলাওল
১.২ ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের মূল গ্রন্থ ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের রচয়িতা-
ক)মালিক মুহম্মদ জায়সী
খ) মাগন ঠাকুর
গ) সৈয়দ আলাওল
ঘ) থদোমিন্তা
উত্তর:-মালিক মুহম্মদ জায়সী
১.৩ ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
ক)লোরচন্দ্রাণী
খ) সতীময়না
গ) পদ্মাবতী
ঘ) তোহফা
উত্তর:-পদ্মাবতী
১.৪ ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের যে-খন্ড থেকে ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি গৃহীত, সেটি হল-
ক) পদ্মা সমুদ্র খণ্ড
খ) লক্ষ্মী সমুদ্র খণ্ড
গ) পদ্মাবতী রত্নসেন খন্ড
ঘ) রত্নসেন বন্ধন খণ্ড
উত্তর:-পদ্মা সমুদ্র খণ্ড
১.৫ সৈয়দ আলাওল যে-সময়কার কবি, তা হল-
ক) সপ্তদশ শতক
খ) ষোড়শ শতক
গ) অষ্টাদশ শতক
ঘ) ত্রয়োদশ শতক
উত্তর:-সপ্তদশ শতক
১.৬ ‘দিব্য পুরী’ শব্দটির অর্থ হল-
ক) সুন্দর প্রাসাদ
খ) শপথ নিলাম
গ) সুন্দর বাগান
ঘ) দৈব মহিমা
উত্তর:-সুন্দর প্রাসাদ
১.৭ ‘দিব্য পুরী’ ছিল-
ক) পিতৃপুরে
খ) জলের মাঝারে
গ) সমুদ্র মাঝারে
ঘ) উদ্যানের মাঝে
উত্তর:-সমুদ্র মাঝারে
১.৮ ‘সমুদ্রনৃপতি সুতা’ কে?
ক) লক্ষ্মী
খ) উমা
গ) পদ্মা
ঘ) বারুণী
উত্তর:-পদ্মা
১.৯ ‘প্রত্যুষ’ শব্দের অর্থ হল-
(ক) রাত্রি
খ) দ্বিপ্রহর
গ) অপরাহ্ণ
ঘ) ভোর
উত্তর:-ভোর
১.১০ ‘তুরিত গমনে আসি’- তুরিত গমনে এসেছেন-
ক) সখীগণ
খ) পদ্মা
গ) আলাওল
ঘ) সমুদ্রনৃপতি
উত্তর:-পদ্মা
১.১১ ‘মধ্যেতে যে কন্যাখানি’ সে ছিল-
ক) সংজ্ঞাহীন
খ) আনন্দিত
গ) স্নেহপ্রবণ
ঘ) নিরাশ
উত্তর:-সংজ্ঞাহীন
১.১২ ‘বিস্মিত হইল বালা’-‘বালা’ শব্দের অর্থ হল-
ক) সঙ্গিনী
খ) কন্যা
গ) সখী
ঘ) দুখিনি
উত্তর:-কন্যা
১.১৩ ‘অনুমান করে নিজ চিতে’- সে অনুমান করেছিল যে-
ক) মেয়েটি হল দেবী
খ) মেয়েটি হল পরি
গ) মেয়েটি হল রাজকন্যা
ঘ) মেয়েটি হল বিদ্যাধরি
উত্তর:-মেয়েটি হল বিদ্যাধরি
১.১৪ বিদ্যাধরি স্বর্গভ্রষ্ট হতে পারত-
ক) ইন্দ্রের অভিশাপে
খ) স্বেচ্ছায়
গ) মুনির অভিশাপে
ঘ) অসাবধানতায়
উত্তর:-ইন্দ্রের অভিশাপে
১.১৫ ‘ভাঙ্গিল প্রবল বাও’- ‘বাও’ শব্দের অর্থ হল-
ক) প্রণাম
খ) বজ্র
গ) বায়ু
ঘ) আঘাত
উত্তর:-বায়ু
১.১৬ ‘আছয়’ শব্দের গদ্যরূপ হল-
ক) আশ্রয়
খ) ছয় সংখ্যা
গ) আছে
ঘ) ছন্নছাড়া
উত্তর:-আছে
১.১৭ ‘চিকিৎসিমু’ শব্দের গদ্যরূপ হল-
ক) চিকিৎসা করব
খ) চিকিৎসক
গ) চিকিত্সা করা হয়েছে
ঘ) চিকিৎসা
উত্তর:-চিকিৎসা করব
১.১৮ ‘কৃপা কর…’- পদ্মা যাঁর কৃপা চাইছেন, তিনি হলেন-
ক) ইন্দ্র
খ) সমুদ্রনৃপতি
গ) মাগনগুনি
ঘ) নিরঞ্জন
উত্তর:-নিরঞ্জন
১.১৯ ‘সখী সবে আজ্ঞা দিল’- আজ্ঞা যে দিল, সে হল-
ক) পদ্মা
খ) বিদ্যাধরী
গ) মনোরমা
ঘ) আলাওল
উত্তর:-পদ্মা
১.২০ অচেতন কন্যাদের সংখ্যা ছিল-
ক) পাঁচ
খ) ছয়
গ) চার
ঘ) তিন
উত্তর:-পাঁচ
১.২১ অচেতন পঞ্চকন্যাকে সারিয়ে তোলা হল-
ক) ফল-মূল দিয়ে
খ) কন্দ-শিকড় দিয়ে
গ) তন্ত্র-মন্ত্র-মহৌষধি দিয়ে
ঘ) ভেষজ ওষুধ দিয়ে
উত্তর:-তন্ত্র-মন্ত্র-মহৌষধি দিয়ে
১.২২ ‘শ্রীযুত মাগন’ হলেন-
ক) পদ্মার পিতা
খ) আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
গ) মোহন্ত
ঘ) ইন্দ্র
উত্তর:-আলাওলের পৃষ্ঠপোষক
১.২৩ ‘হীন আলাওল সুরচন।।’- কাব্যের মধ্যে কবির আত্মপরিচয় দানের এই রীতিকে বলে-
ক) গৌরচন্দ্রিকা
খ) উপস্থাপনা
গ) উপসংহার
ঘ) ভনিতা
উত্তর:-ভনিতা
১.২৪ সিন্ধুতীরে রহিছে মাঞ্জুস।’-‘মাঞ্জুস’ শব্দটির অর্থ-
ক) বেলা
খ) জাহাজ
গ) লহর
ঘ) বজরা
উত্তর:-ভেলা
১.২৫ বিদ্যাধরি’ আসলে কে?
ক) ইন্দ্রের সভার নৃত্যশিল্পী
খ) ব্রহ্মার মানসকন্যা
গ) ইন্দ্রের সভার বাচিক শিল্পী
ঘ) ইন্দ্রের সভার গায়িকা
উত্তর:-ইন্দ্রের সভার গায়িকা
১.২৬) বাহুরক কন্যার জীবন।’-এক্ষেত্রে ‘কন্যা’ কে?
ক) বিদ্যাধরি
খ) পদ্মা
গ) পদ্মাবতী
ঘ) অপ্সরা
উত্তর:-পদ্মাবতী
১.২৭) সিন্ধুতীরের উপরের পর্বত ছিল-
ক) পশুপাখিতে ভরা
খ) জনমানুষে পূর্ণ
গ) ফল ফুলে সজ্জিত
ঘ) ঘরবাড়িতে পূর্ণ
উত্তর:-ফল ফুলে সজ্জিত
১.২৮ অতি মনোহর দেশ’ বলতে বোঝানো হয়েছে-
ক) সিংহলকে
খ) চিতোরকে
গ) সমুদ্রকে
ঘ) সমুদ্র পার্শ্ববর্তী পার্বত্য অঞ্চলকে
উত্তর:-সমুদ্র পার্শ্ববর্তী পার্বত্য অঞ্চলকে
১.২৯ ‘তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি …’-‘টঙ্গি’ শব্দের অর্থ-
ক) টালি
খ) তিরধনুক
গ) গাছপালা
ঘ) প্রাসাদ
উত্তর:-প্রাসাদ
১.৩০ ‘কন্যারে ফেলিল যথা …’-এই ‘কন্যা’ হলেন-
ক) রত্নসেনের স্ত্রী পদ্মাবতী
খ) রত্নসেনের কন্যা পদ্মাবতী
গ) পদ্মাবতীর পঞ্চম সখী
ঘ) সমুদ্রকন্যা পদ্মা
উত্তর:-রত্নসেনের স্ত্রী পদ্মাবতী
১.৩১ বাহুরক কন্যার জীবন।’-‘বাহুরক’ শব্দের অর্থ-
ক) স্বস্তি পাক
খ) ফিরে আসুক
গ) বেরিয়ে যাক
ঘ) সফল হোক
উত্তর:-ফিরে আসুক
১.৩২ ক-টি দন্ডের মধ্যে পঞ্চকন্যা চেতন পেয়েছিল?
ক) তিন
খ) পাঁচ
গ) চার
ঘ) সাত
উত্তর:-চার
১.৩৩ ‘… বেথানিত হৈছে কেশ বেশ।’-‘বেথানিত’ শব্দের অর্থ-
ক) ছিন্ন
খ) ব্যক্ত
গ) সিক্ত
ঘ) অসংবৃত
উত্তর:-অসংবৃত
১.৩৪ ‘মধ্যেতে যে কন্যাখানি রূপে অতি রম্ভা জিনি…’-মধ্যের কন্যাটি হলেন-
ক) বিজয়া
খ) পদ্মা
গ) পদ্মাবতী
ঘ) নাগমতী
উত্তর:-পদ্মাবতী
১.৩৫ চেতনাহীন কন্যাকে দেখে পদ্মার মনে কীসের উদয় হয়েছিল?
ক) দ্বেষ
খ) স্নেহ
গ) মমতা
ঘ) করুণা
উত্তর:-স্নেহ
১.৩৬ নীচের কোন্ রচনাটি সৈয়দ আলাওলের নয়-
ক)তোহফা
খ) নাগাষ্টক
গ) সেকেন্দরনামা
ঘ) লোরচন্দ্রানী
উত্তর:-নাগাষ্টক
২.১ ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটির রচয়িতা কে?
উত্তর:- সপ্তদশ শতকে আরাকান রাজসভার কবি সৈয়দ আলাওল ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি রচনা করেন।
২.২ সৈয়দ আলাওল কোন্ রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।
২.৩ ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন্ কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত?
উত্তর:- ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থের ‘পদ্মা সমুদ্র’ খন্ড (৩৫-তম) থেকে গৃহীত।
২.৪ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থটি কোন্ কাব্যের অনুসরণে রচিত?
উত্তর:- আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থটি হিন্দি কবি মালিক মুহম্মদ জায়সী রচিত ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের
অনুসরণে রচিত।
২.৫ পাঠ্য হিসেবে নির্বাচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের কোন্ খণ্ড থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর:- পাঠ্য হিসেবে নির্বাচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের ‘পদ্মা সমুদ্র’ নামক ৩৫-তম খণ্ড থেকে নেওয়া হয়েছে।
২.৬ ‘পদ্মা সমুদ্র’ খণ্ড থেকে গৃহীত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন্ ছন্দে লেখা?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের ‘পদ্মা সমুদ্র’ খণ্ড থেকে গৃহীত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি ত্রিপদী ছন্দে রচিত।
২.৭ ‘দিব্য পুরী সমুদ্র মাঝার।’-‘দিব্য পুরী’-র বৈশিষ্ট্য কী ছিল?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘দিব্য পুরী’ বলতে এক অতিমনোহর নগরীর কথা বলা হয়েছে। সেখানে কোনো দুঃখকষ্ট নেই, সর্বদা সত্যধর্ম ও সৎ-আচরণ পালিত হয়।
২.৮ ‘সমুদ্রনৃপতি সুতা’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- আলাওল তাঁর ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘সমুদ্রনৃপতি সুতা’ অর্থাৎ সমুদ্ররাজের কন্যা বলতে, পদ্মা নামের এক গুণবতী কন্যাকে বুঝিয়েছেন। ‘জায়সী’-র লেখা মূল কাব্যে অবশ্য এঁর নাম ‘লক্ষ্মী’।
২.৯ ‘সিন্ধুতীরে দেখি দিব্যস্থান।-স্থানটিকে ‘দিব্যস্থান’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর:- আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় সমুদ্রের নিকটস্থ নগরটিকে ‘দিব্যস্থান’ বলা হয়েছে নগরটির সৌন্দর্য, মানুষের দুঃখকষ্টহীনতা, সত্যধর্ম ও সৎ আচরণ পালনের জন্য। নগরটির সৌন্দর্য স্বর্গের উদ্যানের সঙ্গে তুলনীয়।
২.১০ ‘তার পাশে রচিল উদ্যান।।-কে, কীসের পাশে উদ্যান রচনা করল?
উত্তর:- ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা অবলম্বনে, সমুদ্রের তীরে অবস্থিত, সৌন্দর্যময় মনোরম নগরীতে যে-সুউচ্চ পর্বত অবস্থিত, সমুদ্রকন্যা পদ্মা তার পাশে উদ্যান রচনা করেছিলেন।
২.১১ ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।।’-‘তা’ বলতে কোন্ স্থানের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশে ‘তথা’ বলতে সমুদ্রকন্যা পদ্মার নিজের হাতে রচিত উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত রত্নখচিত উচ্চ টঙ্গি অর্থাৎ রাজপ্রাসাদের কথা বলা হয়েছে।
২.১২ প্রত্যুষ কালে পদ্মা কী করতেন?
উত্তর:- সিন্ধুতীরে কবিতায়, সমুদ্রকন্যা পদ্মা পিতৃগৃহে হেসে-খেলে সুখে রাত্রিযাপন করতেন এবং প্রত্যুষে অর্থাৎ খুব সকালে সখীদের সঙ্গে নিয়ে নিজের তৈরি বাগানে ভ্রমণ করতেন।
২.১৩ ‘তুরিত গমনে আসি’-তুরিত গমনে এসে পদ্মা কী দেখতে পেলেন?
উত্তর:- ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতানুসারে ভোরবেলা সখীসহ বাগানে বেড়ানোর সময় পদ্মা সমুদ্রতীরে একটি ভেলা দেখতে পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে ভেলায় অচৈতন্য পাঁচ কন্যাকে দেখতে পেলেন।
২.১৪ ‘মধ্যেতে যে কন্যাখানি’- কোন্ কন্যার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে সমুদ্রকন্যা পদ্মা উদ্যান ভ্রমণে এসে সংজ্ঞাহীন পঞ্চকন্যার মধ্যে স্বর্গের অপ্সরার মতো সুন্দর সিংহল রাজকন্যা পদ্মাবতীকে আবিষ্কার করলেন। এখানে তাঁর কথাই বলা হয়েছে।
২.১৫ ‘দেখিয়া রূপের কলা/বিস্মিত হইল বালা/অনুমান করে নিজ চিতে।’- ‘বালা’ কী অনুমান করেছিল?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুসারে, সংজ্ঞাহীন অপরূপা কন্যাটিকে দেখে, সমুদ্রকন্যা পদ্মা অনুমান করেছিলেন যে, হয়তো-বা দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে কোনো বিদ্যাধরি স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে পৃথিবীতে এসে পড়েছেন কিংবা সামুদ্রিক ঝড়ের প্রকোপে এই অবস্থা।
২.১৬ পদ্মা আর কী অনুমান করেছিল?
উত্তর:- ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুসারে, সমুদ্রকন্যা পদ্মা ভেবেছিলেন যে, হয়তো প্রবল ঝড়ের প্রকোপে সমুদ্রের বুকে নৌকাডুবি হয়ে পঞ্চকন্যা সমুদ্রপীড়ায় আক্রান্ত হয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন।
২.১৭ ‘সখী সবে আজ্ঞা দিল’-সখীদের পদ্মা কী আজ্ঞা দিয়েছিলেন?
উত্তর:- আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় উদ্যানে ভ্রমণকালে সংজ্ঞাহীন পঞ্চকন্যাকে দেখে পদ্মা তাঁর সখীদের সেই পঞ্চকন্যাকে বসনে ঢেকে উদ্যানে আনার আদেশ দেন।
২.১৮ পদ্মা ও তাঁর সখীরা পঞ্চকন্যার কী চিকিৎসা করেছিলেন?
উত্তর:- ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় পদ্মা ও তাঁর সখীরা অচৈতন্য পঞ্চকন্যাকে মাথায় ও পায়ে গরম সেঁক দেন। পদ্মা তাঁর অর্জিত বিদ্যাবলে তন্ত্রমন্ত্র ও মহৌষধি দিয়ে তাদের চিকিৎসা করেন।
২.১৯ ‘পণ্যকন্যা পাইলা চেতন।’- পঞ্চকন্যা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল?
উত্তর:- আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশের বর্ণনা অনুযায়ী, সমুদ্রকন্যা পদ্মা ও তাঁর সখীদের বহু যত্ন ও মন্ত্র-তন্ত্র-মহৌষধি সহযোগে চার দণ্ডব্যাপী চিকিৎসার ফলে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পেল।
২.২০ ‘শ্রীযুত মাগন গুণী’-আলাওল তাঁর কবিতার শেষে মাগনের নামোল্লেখ করেছেন কেন?
উত্তর:- কবি সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজসভার অমাত্য মাগন ঠাকুরের আদেশে ‘পদ্মাবতী’ রচনা শুরু করেন। তাই সেকালের মধ্যযুগীয় সাহিত্যরীতি অনুসারে তাঁর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে কবিতার শেষে মাগন ঠাকুরের নামোল্লেখ করা হয়েছে।
২.২১ ‘কন্যারে ফেলিল যথা’- কন্যাকে কোথায় ফেলা হল?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্গত। এখানে কন্যাটি হল সিংহলরাজ গন্ধর্বসেনের কন্যা এবং চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী। রাজা রত্নসেন সমুদ্রের মধ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে পড়ে সব হারান। তখন তিনি স্ত্রী পদ্মাবতীসহ চারসখীকে একটি মান্দাসে তুলে দিয়েছিলেন। মান্দাস প্রবল ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে তটভূমিতে আছড়ে পড়েছিল।
২.২২ ‘অতি মনোহর দেশ’- দেশটিকে মনোহর বলা হয়েছে কেন?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুসারে সমুদ্রসংলগ্ন দেশ বা নগরীটি স্বর্গীয় এবং অলৌকিক বৈচিত্র্যে ভরা। সেখানকার মানুষদের কোনো দুঃখ বা দুর্দশা নেই আর সকলে সৎ-ধর্মাচরণ করে।
২.২৩ ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ।।’- কন্যার বসবাসের জায়গাটি কেমন ছিল?
উত্তর:-‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত আলোচ্য অংশে ‘তথা’ বলতে সমুদ্রকন্যা পদ্মার নিজের হাতে রচিত উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত রত্নখচিত উচ্চ টঙ্গি অর্থাৎ রাজপ্রাসাদের কথা বলা হয়েছে।
২.২৪ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় উল্লিখিত দেশটিতে কী নেই?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘সমুদ্র মাঝার’-এ উল্লিখিত দেশটিতে মানুষের কোনো দুঃখদুর্দশা কিংবা কষ্ট ছিল না।
২.২৫ ‘তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি’- ‘টঙ্গি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর:- প্রশ্নোদ্ভূত অংশটি সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশ থেকে গৃহীত। ‘টঙ্গি’ শব্দের অর্থ হল প্রাসাদ।
২.২৬ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় দুজন নারীকে ‘কন্যা’ বলা হয়েছে, সেই দুই কন্যা কে কে?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশে, দুই কন্যার একজন হলেন চিতোররাজ রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী এবং আর একজন হলেন সমুদ্ররাজের কন্যা পদ্মা।
২.২৭ ‘নিপতিতা চেতন রহিত।।’-কে, কোথায় চেতনা হারিয়েছে?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘পদ্মাবতী’ কাব্যাংশ অনুসারে রাজা রত্নসেনের দ্বিতীয়া স্ত্রী পদ্মাবতী মান্দাসে শুয়ে ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে সমুদ্রতীরবর্তী একস্থানে এসে চেতনা হারিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ২.২৮ ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি কোন্ সময়ের বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন?
উত্তর:- কবি সৈয়দ আলাওল আনুমানিক ১৬৪৫ থেকে ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যটি রচনা করেন। পাঠ্য ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি ‘পদ্মাবতী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। সুতরাং, এটি সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।
২.২৯ ‘মোহিত পাইয়া সিন্ধু-ক্লেশ।।’- ‘সিন্ধু-ক্লেশ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- সৈয়দ আলাওলের ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা অনুসারে, অচেতন পদ্মাবতীকে দেখে সমুদ্রকন্যা পদ্মার মনে হয়েছিল সমুদ্রঝড়ে আক্রান্ত হয়ে নৌকাডুবি হওয়ার ফলে, সামুদ্রিক পীড়া বা সিন্ধু-ক্লেশের ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়েছেন।