Class 10 Bengali

দশম শ্রেণী বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

দশম শ্রেণী বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ২.১ ‘যাদের জন্য বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থ বা প্রবন্ধ লেখা হয় তাদের মোটমটি দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে।’-শ্রেণি দুটি কী কী?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধের লেখক রাজশেখর বসুর মতে, বিজ্ঞান-বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়- (১) যারা ইংরেজি জানে না বা অতি অল্প জানে এবং (২) যারা ইংরেজি জানে এবং ইংরেজি ভাষায় অল্পাধিক বিজ্ঞান পড়েছে।

প্রশ্ন ২.২ বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের মধ্যে যারা লেখকের মতে প্রথম শ্রেণিভুক্ত, তাদের বিবরণ দাও।

উত্তর:- বিজ্ঞান বিষয়ক বাংলা গ্রন্থের পাঠকদের মধ্যে প্রথম শ্রেণিভুক্তরা হয় ইংরেজি জানেন না অথবা অতি অল্প জানেন। সাধারণত কমবয়সি ছেলেমেয়ে এবং অল্পশিক্ষিত বয়স্ক লোকেরাই এই শ্রেণিতে পড়েন।

প্রশ্ন ২.৩ পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাবমুক্ত হলে কী সুবিধা হয়?

উত্তর:- পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাবমুক্ত হলে বাংলা পরিভাষা আয়ত্ত করে বাংলায় বিজ্ঞান শেখা সহজতর হয়ে যায়। কারণ তার বাংলা ভাষার বিরোধী সংস্কার থাকে না।

প্রশ্ন ২.৪ ‘তার মানেও স্পষ্ট হবে না।’-কীসের মানে স্পষ্ট না-হওয়ার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ইংরেজি জানা বা ইংরেজিতে পড়াশোনা করা পাঠকদের পক্ষে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান-সংক্রান্ত প্রবন্ধ পাঠ খুব সহজ নয়। কারণ, বিষয়টি তাঁদের কাছে অর্থগত দিক থেকে স্পষ্ট হবে না।

প্রশ্ন ২.৫ ‘আমাদের সরকার ক্রমে ক্রমে রাজকার্যে দেশি পরিভাষা চালাচ্ছেন,’-তাতে অনেকে মুশকিলে পড়েছেন কেন?

উত্তর:- আমাদের সরকার রাজকার্যে যেভাবে দেশি পরিভাষা ক্রমশ ব্যবহার করাচ্ছেন তাতে অনেকে মুশকিলে পড়ছে, কেন-না তাদের নতুন করে সেগুলি শিখতে হচ্ছে।

প্রশ্ন ২.৬ ‘তাঁদের নূতন করে শিখতে হচ্ছে।-কী শেখার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- সরকারি কাজকর্মে বাংলা পারিভাষিক শব্দ ব্যবহার শুরু হওয়ায় অনেক ইংরেজি জানা ব্যক্তি মুশকিলে পড়েছেন। কারণ তাঁদের সেই পরিভাষা নতুন করে শিখতে হচ্ছে।

প্রশ্ন ২.৭ কোন্ ধরনের পাঠকের পাশ্চাত্য পাঠকের তুলনায় বেশি চেষ্টা প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেছেন?

উত্তর:- দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠক অর্থাৎ ইংরেজি জানা ও ইংরেজি ভাষায় বিজ্ঞান পাঠের অভিজ্ঞতা আছে যাদের, তাদের পাশ্চাত্য পাঠকদের তুলনায় বেশি চেষ্টা করতে হবে।

প্রশ্ন২.৮ ‘পারিভাষিক শব্দ’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর:- ‘পারিভাষিক শব্দ’-এর অর্থ হল পরিভাষা-সম্বন্ধীয়। পরিভাষা এক ধরনের সংজ্ঞাবিশেষ, যার কোনোরকম অর্থান্তর ঘটে না। ইংরেজিতে একে ‘Glossary’ বা ‘Technical term’ বলে।

প্রশ্ন ২.৯ ‘অনেক বৎসর পূর্বে…’- অনেক বছর আগের কোন্ প্রসঙ্গ এখানে উত্থাপন করা হয়েছে?

উত্তর:- অনেক বছর আগে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তি বিভিন্ন বিষয়ের পরিভাষা রচনা করেছিলেন। এখানে সেই প্রসঙ্গের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.১০ বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ত্রুটি কী ছিল?

উত্তর:- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সঙ্গে যুক্ত বিদ্বান ব্যক্তিবর্গ পরিভাষা রচনায় উদ্যোগী হলেও তাঁরা একসঙ্গে কাজ না-করে পৃথকভাবে কাজ করেছিলেন।

প্রশ্ন ২.১১ কবে, কাদের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বার পরিভাষা সমিতি নিযুক্ত হয়েছিল?

উত্তর:- ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন বিষয়ের দিপালদের নিয়ে যে-পরিভাষা সমিতি গঠন করা হয়েছিল, তাকেই দ্বিতীয় বারের পরিভাষা সমিতির নিযুক্তিকরণ বলা হয়।

প্রশ্ন ২.১২ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সমিতিতে কারা ছিলেন?

উত্তর:- ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে নিযুক্ত পরিভাষা সমিতিতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতত্ত্ববিদ, সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত এবং কয়েকজন লেখককে নিযুক্ত করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ২.১৩ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সংকলনটি কতখানি সাফল্যমন্ডিত হয়েছিল?

উত্তর:- কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিভাষা সংকলনটি লেখক রাজশেখর বসুর মতে খুব বড়ো নয়। এতে আরও শব্দের প্রয়োজন আছে এবং তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

প্রশ্ন ২.১৪ লেখক রাজশেখর বসু প্রয়োজন মতো বাংলা শব্দ পাওয়া না-গেলে কী করা উচিত বলে জানিয়েছেন?

উত্তর:- রাজশেখর বসু জানিয়েছেন যে, প্রয়োজন মতো বাংলা শব্দ না-পাওয়া গেলে বৈজ্ঞানিক রচনায় ইংরেজি শব্দই বাংলা বানানে চালানো যেতে পারে।

প্রশ্ন ২.১৫ ‘কোনও বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।’- এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তর:- রাজশেখর বসুর মতে পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের প্রাথমিক বিজ্ঞানের সঙ্গে যথেষ্ট পরিচয় না-থাকায় বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ বোঝা কঠিন।

প্রশ্ন ২.১৬ ‘তখন বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে।’-কখন সুসাধ্য হবে বলে লেখকের ধারণা?

উত্তর:- ভারতবর্ষের সাধারণ মানুষের প্রাথমিক বিজ্ঞান সম্বন্ধে ধারণা অত্যন্ত কম। এই দেশে বিজ্ঞানশিক্ষা বিস্তৃত হলে বৈজ্ঞানিক সাহিত্য রচনা সুসাধ্য হবে বলে লেখকের মত।

প্রশ্ন ২.১৭ বিজ্ঞান আলোচনার রচনাপদ্ধতির মূল ত্রুটি কী?

উত্তর:- বিজ্ঞান আলোচনার রচনাপদ্ধতি এখনও বহু লেখকের আয়ত্তের বাইরে। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের ভাষার আড়ষ্টতা ও ইংরেজির আক্ষরিক অনুবাদ রচনাকে দুর্বহ করে তোলে।

প্রশ্ন ২.১৮ ‘কিন্তু তাও কেউ কেউ লিখে থাকেন।’-কী লেখার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ইংরেজি থেকে আক্ষরিক অনুবাদের ত্রুটির কথা বলতে গিয়ে লেখক ‘Sensitized Paper’-এর বাংলা অনুবাদের কথা বলেছেন। এই শব্দটির অনুবাদ ‘স্পর্শকাতর কাগজ’ করলেও, হওয়া উচিত ‘সুগ্রাহী কাগজ’।

প্রশ্ন ২.১৯ ‘এতে রচনা উৎকট হয়।’- কী করলে রচনা উৎকট হয়?

উত্তর:- রাজশেখর বসুর মতানুসারে, অনেক লেখক তাঁদের বক্তব্য ইংরেজিতে ভাবেন এবং যথার্থ বাংলা অনুবাদে তা প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। এতে রচনা সাবলীলতা হারায়।

প্রশ্ন ২.২০ ‘এতে রচনা উৎকট হয়।’-‘উৎকট’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে ভাষার আড়ষ্টতা ও দুর্বোধ্যতা বোঝাতে ‘উৎকট’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২১ ‘এ রকম বর্ণনা বাংলা ভাষায় প্রকৃতিবিরুদ্ধ। -প্রকৃতিবিরুদ্ধ বলার কারণ কী?

উত্তর:- ইংরেজি থেকে বাংলা ভাষায় হুবহু অনুবাদ অর্থাৎ আক্ষরিক অনুবাদ সম্পর্কে বিতৃয়া প্রকাশ করতে গিয়ে লেখক বলেছেন যে, এটি বাংলা ভাষার প্রকৃতিবিরুদ্ধ।

প্রশ্ন ২.২২) ‘The atomic engine has not even reached the blue print stage.’-বাক্যটির যথার্থ বাংলা অনুবাদ কী হওয়া উচিত?

উত্তর:- উপরোক্ত ইংরেজি বাক্যটির যথার্থ বাংলা অনুবাদ হওয়া উচিত-‘পরমাণু ইঞ্জিনের নকশা পর্যন্ত এখনও প্রস্তুত হয়নি।’

প্রশ্ন ২.২৩ When sulphur burns in air the nitrogen toes not take part in the reaction’-বাকাটির একটি যথার্থ বাংল অনুবাদ করো।

উত্তর:- উপরোক্ত ইংরেজি বাক্যটির যথার্থ বাংলা অনুবাদ হওয় উচিত-‘যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে, তখন নাইট্রোজেনের কোনে পরিবর্তন হয় না।’

প্রশ্ন ২.২৪ ‘বাংলা ভাষা বজায় থাকে।’-এ কথা বলার অর্থ কী।

উত্তর:- আলোচ্য উদ্ধৃতির অর্থ হল ইংরেজি থেকে বাংলা আক্ষরির অনুবাদের পরিবর্তে ভাবানুবাদ বাংলা ভাষার স্বকীয়তা ও সাবলীলায় বজায় রাখে।

প্রশ্ন ২.২৫ ‘এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়।’-কোন্ ধারণার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- অনেকের মতে বিজ্ঞান আলোচনায় পারিভাষিক শব্দ বদ দিয়ে সাধারণ শব্দ ব্যবহার করলে রচনা সহজ ও বোধগম্য হয়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ঠিক নয়।

প্রশ্ন ২.২৬ পরিভাষার উদ্দেশ্য কী?

উত্তর:- পরিভাষার উদ্দেশ্য হল, ভাষাকে সংক্ষিপ্ত করা এবং তার অর্থ সুনির্দিষ্ট করা। অনর্থক বর্ণনা পরিহার করে বিষয়কে সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশ করাই হল পরিভাষার কাজ।

প্রশ্ন ২.২৭ পারিভাষিক শব্দের অর্থ পাঠককে বোঝানোর জন্য কোন্ পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত?

উত্তর:- সাধারণ মানুষের জন্য লেখা বৈজ্ঞানিক রচনায় অল্পপরিচিত বা নতুন পরিভাষা প্রথমবার প্রয়োগের সময় তার ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। পরে শুধু শব্দটি দিলেই চলে।

প্রশ্ন ২.২৮ ‘আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন’-কোন্ ‘ত্রিবিধ কথা’-র প্রসঙ্গ লেখক স্মরণ করেছেন?
অথবা, ‘আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের ত্রিবিধ কথা বলেছেন- শব্দের ত্রিবিধ কথা’ কী?

উত্তর:- আমাদের আলংকারিকগণ শব্দের যে-ত্রিবিধ প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করেছেন, সেগুলি হল অভিধা, লক্ষণা ও ব্যগুনা।

প্রশ্ন ২.২৯ অভিধা কাকে বলে?

উত্তর:- অভিধা হল শব্দের আভিধানিক অর্থ। যেমন, ‘অরণা’ বলতে বোঝায় বন, জঙ্গল ইত্যাদি। এর চেয়ে বিশদ কোনো অর্থ বোঝায় না।

প্রশ্ন ২.৩০ লক্ষণা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর:- লক্ষণা হল শব্দের বৃত্তিবিশেষ। শব্দের মুখ্য অর্থের চেয়ে তার অন্য অর্থই যখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন তাকে বলে লক্ষণা। যেমন, অরণ্যের দিনরাত্রি’-র অর্থ অরণ্যবাসীদের রোজনামচা।

প্রশ্ন ২.৩১ ব্যঞ্জনা কী?

উত্তর:- ব্যঞ্চনা হল কাব্যের নিগূঢ় অর্থ প্রকাশক বৃত্তি। অভিধা ও লক্ষণার দ্বারা যে-অর্থ বোঝানো সম্ভব হয় না. তা ব্যঞ্ছনার দ্বারা বোঝানো হয়। যেমন, ‘অরণ্যে রোদন’ কথার অর্থ হল ‘নিষ্ফল আবেদন’।

প্রশ্ন ২.৩২ লেখক বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে অলংকারের প্রয়োগ কম করতে বলেছেন কেন?

উত্তর:- লেখক রাজশেখর বসু বৈজ্ঞানিক সাহিত্যে অলংকারের প্রয়োগ কম করতে বলেছেন, কারণ বৈজ্ঞানিক বিষয়ের ভাষা হওয়া উচিত সহজসরল ও স্পষ্ট।

প্রশ্ন ২.৩৩ একটি দোষ প্রায় নজরে পড়ে।’-কোন্ দোষের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- বাংলা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে লেখক রাজশেখর বসু যে-দোষটি প্রায়ই দেখতে পেয়েছেন, তা হল না-জেনে বা কম জেনে তথ্য পরিবেশন করা।

প্রশ্ন ২.৩৪ সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।-কী সাধারণ পাঠকের পক্ষে অনিষ্টকর।

উত্তর:- বাংলায় লেখা বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধগুলিতে লেখকরা না-জেনে বা কম জেনে ভুল তথ্য পরিবেশন করছেন। পাঠক সেই ভুলকেই ঠিক ভেবে নিচ্ছেন, যা নাকি অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

প্রশ্ন ২.৩৫ বিশ্ববিদ্যালয়-নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নাম সম্বন্ধে কী বিধান দিয়েছিলেন?

উত্তর:- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধ অনুসারে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি বিধান দিয়েছিল যে, নবাগত রাসায়নিক বস্তুর ইংরেজি নামই বাংলা বানানে চলবে। যেমন: অক্সিজেন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২.৩৬ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনায় লেখক ছেলেবেলায় কার লেখা, কী বিষয় পড়েছিলেন?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনার লেখক রাজশেখর বসু ছেলেবেলায় ব্রহ্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতি পড়েছিলেন।

প্রশ্ন ২.৩৭ ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় এখনও নানারকম বাধা আছে।’- বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় অন্যতম বাধা কোন্টি?

উত্তর:- লেখক রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনা অনুসারে; বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার অন্যতম প্রধান বাধাটি হল পারিভাষিক শব্দের অভাব।

প্রশ্ন ২.৩৮ ‘গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ হয়তো তারা শিখেছে,’-শব্দগুলি কী কী?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনা অনুসারে প্রথম শ্রেণির পাঠকেরা যে গুটিকতক ইংরেজি পারিভাষিক শব্দ শিখেছে; সেগুলি হল টাইফয়েড, আয়োডিন, মোটর, ক্রোটন, জেব্রা প্রভৃতি।

প্রশ্ন ২.৩৯ বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিত্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গেছে কোন্ দোষ কাটিয়ে ওঠা উচিত বলে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু মনে করেন।

উত্তর:- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে বাংলা বৈজ্ঞানিক সাহিতারে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে গেলে অলংকারের প্রয়োগ কমিয়ে সরল ও স্পষ্ট ভাষার সাহিত্য রচনা করতে হবে।

প্রশ্ন ২.৪০ আমাদের দেশে পপুলার সায়েন্স লেখার অসুবিধা কোথায়?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনা অনুসারে, আমাদের দেশে পরিণত বয়স্কদের জন্যে কিছু লিখলে, বিজ্ঞানের প্রাথমিক বিষয়গুলির সঙ্গে ঠিকঠাক পরিচয় না-থাকার কারণে প্রাথমিক বিজ্ঞানের মতো গোড় থেকে লিখতে হয়, তবেই বোধগম্য হয়।

প্রশ্ন ২.৪১ ‘অনেক লেখক মনে করেন’- কী মনে করেন?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনা অনুসারে অনেক লেখক মনে করেন যে, কোনো ইংরেজি শব্দের অর্থব্যাপ্তি বা Connotation যেন তার বাংলা প্রতিশব্দেও হুবহু ধরা পড়ে। এই উদ্দেশ্যে তাঁরা অনেক ক্ষেত্রে অদ্ভুত অদ্ভুত শব্দ ব্যবহার করেন। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়।

প্রশ্ন ২.৪২ অল্পপরিচিত পারিভাষিক শব্দের প্রথমবার প্রয়োগের সময় কী করা উচিত?

উত্তর:- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে অল্পপরিচিত পারিভাষিক শব্দের প্রথমবার প্রয়োগের সময় তার ব্যাখ্যা; দরকারে ইংরেজি নাম দেওয়া আবশ্যক। তবে পরে শুধু বাংলা পারিভাষিক শব্দটি দিলেই চলে।

প্রশ্ন ২.৪৩ ‘Sensitized Paper’-এর অনুবাদ লেখকের মতে কী করলে যথাযথ হয়?

উত্তর:-প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে ‘Sensitized paper’-এর বাংলা ‘সুগ্রাহী কাগজ’ লিখলে যথাযথ হয়।

প্রশ্ন ২.৪৪ ছেলেবেলায় রাজশেখর বসুকে কীরকম জ্যামিতি পড়তে হয়েছিল?

উত্তর:- ছেলেবেলায় রাজশেখর বসুকে ব্রহ্মমোহন মল্লিকের বাংলা জ্যামিতির বই পড়তে হয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৪৫ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের ভাষা কেমন হওয়া উচিত বলে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু মনে করেন?

উত্তর:- বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধের ভাষা সহজসরল ও স্পষ্ট হওয়া উচিত বলে প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসু মনে করেন।

প্রশ্ন ২.৪৬ কালিদাসের কোন্ উক্তি কাব্যের উপযুক্ত, ভূগোলের নয়?

উত্তর:- রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনা অনুসারে, হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড’- কালিদাসের এই উক্তিটি কবিতার পক্ষে উপযুক্ত কিন্তু ভূগোলের জন্য নয়।

প্রশ্ন২.৪৭ কী প্রসঙ্গে লেখক ‘মাছিমারা নকল’ কথাটি বলেছেন?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধ অনুসারে, ‘When sulphur burns in air the nitrogen does not take part in reaction’ -এই ইংরেজি বাক্যটির বাংলা ‘যখন গন্ধক হাওয়ায় পোড়ে তখন নাইট্রোজেন প্রতিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে না।’ লেখা হয়, এমন তরজমাকে লেখক ‘মাছিমারা নকল’ বলে অভিহিত করেছেন।

প্রশ্ন২.৪৮ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় কী বাধা আছে?

উত্তর:- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার এখনও নানারকম বাধা আছে। তার মধ্যে পারিভাষিক শব্দের অপ্রতুলতা, বিজ্ঞান সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণার অভাব, রচনাপদ্ধতির দুর্বলতা এবং ভাষার আড়ষ্টতা হল প্রধান।

প্রশ্ন ২.৪৯ কাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য?

উত্তর:- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতে পাশ্চাত্য দেশের তুলনায় ভারতের জনসাধারণের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান নগণ্য।

প্রশ্ন ২.৫০ ‘পরিভাষা রচনা একজনের কাজ নয়’- কেন এমন কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধ অনুসারে পরিভাষা তৈরির কাজে বিজ্ঞানের অধ্যাপক, লেখক কিংবা ভাষাতাত্ত্বিকেরা থাকলে পরিভাষার সাম্য যেমন বজায় থাকে তেমনই ত্রুটি কম ঘটে। তাই পরিভাষা রচনায় একযোগে সমবেত উদ্যোগের প্রয়োজন হয়।

প্রশ্ন ২.৫১ ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতি অধিকতর সফল হয়েছিল কেন?

উত্তর:- লেখক রাজশেখর বসুর মতে ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতিতে বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতাত্ত্বিক এবং লেখকেরা একযোগে কাজ করায়; তাদের চেষ্টা অধিকতর সফল হয়েছিল।

প্রশ্ন ২.৫২ ‘সম্পাদকের উচিত’- কী করা উচিত?

উত্তর:- ‘অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী’ হয়ে ওঠার কারণে বাংলায় প্রকাশিত অনেক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদিতে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য ছাপা হয়। তাই রাজশেখর বসুর মতে অবিখ্যাত লোকের বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে; সম্পাদকের তা অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ২.৫৩ রাজশেখর বসু উল্লিখিত প্রথম শ্রেণির পাঠকদের সঙ্গে কীসের পূর্বপরিচয় নেই?

উত্তর:- রাজশেখর বসু উল্লিখিত প্রথম শ্রেণির পাঠকেরা ইংরেজি জানে না বা খুবই কম জানে। তাই তাদের বিজ্ঞানের সঙ্গে কোনো পূর্বপরিচয় নেই।

প্রশ্ন ২.৫৪ ‘এই শ্রেণির পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাব মুক্ত।’- এই শ্রেণির বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- প্রাবন্ধিক রাজশেখর বসুর মতো যারা ইংরেজি জানে না বা খুবই কম জানে; সেই সমস্ত পাঠক ইংরেজি ভাষার প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।

প্রশ্ন ২.৫৫ কোন্ উক্তিকে লেখক কাব্যের উপযুক্ত, ভূগোলের উপযুক্ত নয় বলেছেন?

উত্তর:- রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনা অনুসারে, হিমালয় যেন পৃথিবীর মানদণ্ড’- কালিদাসের এই উক্তিটি কবিতার পক্ষে উপযুক্ত কিন্তু ভূগোলের জন্য নয়।বসুর মতে অবিখ্যাত লোকের বৈজ্ঞানিক রচনা প্রকাশের আগে; সম্পাদকের তা অভিজ্ঞ লোককে দিয়ে যাচাই করে নেওয়া উচিত।

প্রশ্ন ২.৫৬ ‘এই কথাটি সকল লেখকেরই মনে রাখা উচিত।’ কথাটি কী?

উত্তর:- রাজশেখর বসুর ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ প্রবন্ধ অনুসারে কথাটি হল, যে-কোনো বৈজ্ঞানিক প্রসঙ্গের ভাষা অত্যন্ত সরল এবং স্পষ্ট হওয়া আবশ্যক।

প্রশ্ন ২.৫৭) কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতির বিশেষত্ব কী?

উত্তর:- ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত পরিভাষা সমিতিতে একযোগে বিজ্ঞানের অধ্যাপক, ভাষাতাত্ত্বিক এবং লেখকেরা কাজ করেছিলেন। এটাই ছিল সমিতির বিশেষত্ব।

প্রশ্ন ২.৫৮ বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- ‘বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান’ রচনায় ‘বৈজ্ঞানিক সন্দর্ভ’ বলতে বিজ্ঞান-বিষয়ক বিভিন্ন প্রবন্ধের কথা বলা হয়েছে।

You may also like

Class 10 Bengali

জ্ঞানচক্ষু গল্প (আশাপূর্ণা দেবী)মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প ) লেখক-আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ 40 টি MCQ   ১. কথাটা শুনে তপনের চোখ- (ক) লাল