শিকার জীবানন্দ দাশ (কবিতা)
প্রশ্ন ও উত্তর
১. ‘শিকার’ কবিতার রচয়িতা জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ-
ক) বনলতা সেন
খ)রূপসী বাংলা
গ)মহাপৃথিবী
ঘ)ঝরাপালক
উত্তর:-ঝরাপালক
২. ‘শিকার’ কবিতাটি শুরু হয়েছে যে শব্দ দিয়ে-
ক) সকাল
খ) ভোর
গ) বিকাল
ঘ) সন্ধ্যা
উত্তর:-ভোর
৩. ‘শিকার’ কবিতার মোট পক্তি সংখ্যাক
ক) ৩০
খ) ৩৬
গ) ৩৫
ঘ) ৩৯
উত্তর:-৩৬
৪. ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলায় আকাশের রং-
ক) ঘাসফড়িঙের দেহের মতো
খ) মোরগফুলের মতো
গ) টিয়ার পালকের মতো
ঘ) মচকাফুলের মতো
উত্তর:-ঘাসফড়িঙের দেহের মতো
৫. “… ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল” কীসের রং?
ক) ঘাসের
খ) হরিণের
গ) চিতাবাঘিনির
ঘ)আকাশের
উত্তর:-আকাশের
৬ . ঘাসফড়িঙের দেহের রং কেমন নীল ছিল?
ক) হালকা
খ) গাঢ়
গ) কোমল
ঘ) ঘন
উত্তর:-কোমল
৭. “টিয়ার পালকের মতো সবুজ” কীসের রং?
ক) অশ্বথ ও কলা গাছের
খ) পেয়ারা ও অশ্বথ গাছের
গ) পেয়ারা ও নোনা গাছের
ঘ) আম, জাম, কাঁঠাল গাছের
উত্তর:-পেয়ারা ও নোনা গাছের
৮. “এখনও আকাশে রয়েছে” কর্ণটি তারা?
ক) একটি
খ) দুটি
গ) তিনটি
ঘ) বহু
উত্তর:-একটি
৯. “…এখনও আকাশে রয়েছে”-যার কথা বলা হয়েছে-
ক) একটি তারা
খ) দিনের আলো
গ) একটি পাখি
ঘ) গোধূলির রং
উত্তর:-একটি তারা
১০. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে…”কারণ-
ক) রাতের অন্ধকার তখনও কাটেনি
খ) কর্মব্যস্ত সকাল শুরু হয়নি
গ) গভীর রাত ছিল তখন
ঘ) আকাশ তখন মেঘাচ্ছন্ন ছিল
উত্তর:-রাতের অন্ধকার তখনও কাটেনি
১১. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে..”-কার মতো? ক) ঘাসফড়িঙের দেহের মতো
খ) কুঙ্কুমের মতো মেয়েটির মতো
গ) মোরগফুলের মতো
ঘ) গোধূলিমদির মেয়েটির মতো
উত্তর:-গোধূলিমদির মেয়েটির মতো
১২. ‘শিকার’ কবিতায় পাড়াগাঁ-র বাসরঘরের মেয়েটিকে কবির মনে হয়েছিল-
ক) সাহসিনী
খ) গোধূলিমদির
গ) তন্দ্রালসা
ঘ) চমকপ্রদ
উত্তর:-গোধূলিমদির
১৩. ‘গোধূলিমদির’ মেয়েটি ছিল-
ক) শহরের রাজপথে
খ) গ্রামের আলপথে
গ) পাড়াগাঁর বাসরঘরে
ঘ) নির্জন কুটিরে
উত্তর:-পাড়াগাঁর বাসরঘরে
১৪.- মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা/আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল…”
ক) মিশরের
খ) বাংলার
গ) হৃদয়ের
ঘ) মানুষের
উত্তর:-মিশরের
১৫. “মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে যে মুক্তা/আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল” কখন?
ক) লক্ষ লক্ষ বছর আগে এক রাতে
খ) কোটি কোটিবছর আগে এক রাতে
গ) বহু বহু বছর আগে এক রাতে
ঘ) হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে
উত্তর:-হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে
১৬. “আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল”-কে রেখেছিল?
ক) ব্যাবিলনের মানুষী
খ) মিশরের মানুষী
গ) রোমের মানুষী
ঘ) গ্রিসের মানুষী
উত্তর:-মিশরের মানুষী
১৭. “আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল”-কী?
ক) মুস্তা
খ) টিয়ার পালক
গ)সবুজ সুগন্ধি ঘাস
ঘ সিগারেটের ধোঁয়া
উত্তর:-মুস্তা
১৮. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।”-কেমন?
ক) মিশরের মানুষীর বুকে থাকা মুক্তোর মতো
খ) কুঙ্কুমের মতো
গ) ঘাসফড়িঙের দেহের মতো
ঘ) মোরগফুলের মতো
উত্তর:-মিশরের মানুষীর বুকে থাকা মুক্তোর মতো
১৯. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।”-কখন?
ক) সন্ধ্যাবেলায়
খ) ভোরবেলায়
গ) সকালবেলায়
ঘ) বিকেলবেলায়
উত্তর:-ভোরবেলায়
২০. “হিমের রাতে শরীর ‘উম্’ রাখবার জন্য দেশোয়ালিরা/সারারাত মাঠে”-
ক) গান করেছে
খ) নাচ করেছে
গ) খেলায় মেতেছে
ঘ) আগুন জ্বেলেছে
উত্তর:-আগুন জ্বেলেছে
২১. “… সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে..”-কারা আগুন জ্বেলেছে?
ক) প্রবাসীরা
খ) অলিথিবৃন্দ
গ) দেশোয়ালিরা
ঘ) বনবাসীরা
উত্তর:-দেশোয়ালিরা
২২. সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বলেছিল তা ছিল-
ক) প্রখর সূর্যের মতো
খ) কুঙ্কুমের মতো
গ) মচকাফুলের পাপড়ির মতো
ঘ) মোরগফুলের মতো
উত্তর:-মোরগফুলের মতো
২০. “সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে-“-কেন?
ক) অন্ধকার দূর করার জন্য
খ) হরিণের মাংস তৈরির জন্য
গ) শরীর উন্ন রাখার জন্য
ঘ) আত্মরক্ষার জন্য
উত্তর:-শরীর উন্ন রাখার জন্য
২৪. দেশোয়ালিদের আগুন ভোরবেলাতেও জ্বলছিল-
ক) খড়ের গাদায়
খ) মেহগনির বনে
গ) শুকনো অশ্বত্থপাতায়
ঘ) মাঠের ঘাসে
উত্তর:- শুকনো অশ্বত্থপাতায়
২৫. দেশোয়ালিরা আগুন জ্বালিয়েছিল কোন্ পাতা দিয়ে?
ক) পেয়ারা
খ) নোনা
গ) অশ্বথ
ঘ) মেহগনি
উত্তর:-অশ্বথ
২৬. সূর্যের আলোয় তার রং কীসের মতো নেই?
ক) কুসুমের
খ) বাবুদের
গ) কুঙ্কুমের
ঘ) মুক্তার
উত্তর:-কুঙ্কুমের
২৭ “সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;”-তার রং কীসের মতো হয়ে গেছে?
ক) শুকনো পাতার ধূসর ইচ্ছার মতো
খ) কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজগ
গ) রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো
ঘ) নীল আকাশের মরা চাঁদের আলোর মতো
উত্তর:-রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো
২৮. “সূর্যের আলোয় তার রং কুঙ্কুমের মতো নেই আর;”-কীসের রং?
ক) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের
খ) তারার আলোর
গ) মচকাফুলের
ঘ) হরিণের মাংস রাঁধবার আগুনের
উত্তর:-দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের
২৯. ‘হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার’ সঙ্গে যার যোগ-
ক) রোগা শালিক
খ) পাড়াগাঁর বাসরঘরের মেয়ে
গ) মিশরের মানুষী
ঘ) ঘুমহীন ক্লান্ড হরিণ
উত্তর:-রোগা শালিক
৩০. “….রাগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।”-
ক) কবির হৃদয়ের রং
খ)আকাশের রং
গ) সূর্যের আলোর রং
ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং
উত্তর:- দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং
৩১. ‘রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো’ হয়ে গিয়েছিল কী?
ক) একটি তারা
খ) আকাশের রং
গ) সিগারেটের ধোঁয়া
ঘ) আগুন
উত্তর:-আগুন
৩২. “শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।”-কবিতায় শালিকটির বিশেষণ হলক
ক) রোগা
খ) লাল
গ) নীল
ঘ) সবুজ
উত্তর:-রোগা
৩৩. ‘চারি দিকের বন ও আকাশ’ কীসের মতো ‘ঝিলমিল করছে’?
ক) ঘাসফড়িঙের দেহের মতো
খ) ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো
গ) কচি বাতাবিলেবুর মতো
ঘ) টিয়ার সবুজ নীল ডানার মতো
উত্তর:-ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো
৩৪. শিশিরে চারিদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো_______
ক) ঝিলমিল করছে
খ) চকমক করছে
গ) ফিকে হয়ে আছে
ঘ) উজ্জ্বল রূপ ধারণ করেছে
উত্তর:-ঝিলমিল করছে
৩৫. “চারিদিকে পেয়ারা আর নোনার গাছ-“
ক) গোধূলিমদির মেয়েটির মতো
খ) মচকাফুলের পাপড়ির মতো
গ) ভোরের রৌদ্রের মতো
ঘ)টিয়ার পালকের মতো
উত্তর:-টিয়ার পালকের মতো
৩৬. “ময়ূরের সবুজনীল ডানার মত ঝিলমিল করছে
ক) বন ও আকাশ
খ) আকাশ ও মাঠ
গ) মাঠ ও বন
ঘ) সুন্দরীর বন ও অর্জুনের বন
উত্তর:-বন ও আকাশ
১. ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলার আকাশ ও গাছপালা দেখে কবির কেমন মনে হয়েছিল?
অথবা,
শিশিরভেজা সকালে বন ও আকাশের রূপ কেমন?
উত্তর:- ‘শিকার’ কবিতায় কবির ভোরের আকাশকে ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল এবং গাছপালাকে টিয়ার পালকের মতো সবুজ মনে হয়েছিল।
২. “… ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল…”-কে বা কী ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল’?
অথবা,
“ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল…”-কার সঙ্গে কবি এ তুলনা করেছেন?
উত্তর :- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল’।
৩. ‘শিকার’ কবিতায় প্রদত্ত দুটি গাছের নাম লেখো ?
উত্তর:- ‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত গাছগুলির অন্যতম হল পেয়ারা ও নোনার গাছ।
৪. “চারিদিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ”-পেয়ারা ও নোনার গাছের রংকে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর:- পেয়ারা ও নোনার গাছের রংকে কবি টিয়াপাখির পালকের সবুজ রঙের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
৫. ‘শিকার’ কবিতায় “…টিয়ার পালকের মতো সবুজ।” কী?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলায় চারদিকের পেয়ারা ও । নোনার গাছকে টিয়ার পালকের মতো সবুজ লেগেছে।
৬. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে…”-কবি কোন্ তারার কথা বলেছেন?
উত্তর:-ভোরের আকাশে একটি তারা বলতে কবি শুকতারার কথা বলতে চেয়েছেন ।
৭. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে…”-‘এখনও’ বলতে কোন্ সময়কে বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘এখনও’ বলতে রাতশেষের ভোরকে বোঝানো হয়েছে।
৮. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে।”-আকাশের তারাকে কেন্দ্র করে কবির কোন্ ভাবনা এখানে প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর :- ভোরের আকাশে তারাটির উপস্থিতিকে কবি তুলনা করেছেন পাড়াগাঁর বাসরঘরের গোধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে কিংবা হাজার বছর আগের মিশরের মানুষীর বুকের থেকে কবির নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তার সঙ্গে।
৯. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে” তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর:- কবি জীবনানন্দ দাশ ‘শিকার’ কবিতায় রাতজাগা তারাটিকে প্রথমে পাড়াগাঁর বাসরঘরের সবথেকে গোধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে এবং পরে মিশরের মানুষীর বুকের মুক্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
১০. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও”-তারাটিকে দেখে কবির কী কী মনে হয়েছে?
উত্তর:- তারাটিকে দেখে কবির পাড়াগাঁয়ের বাসরঘরের লজ্জাশীলা মেয়ে এবং মিশরের মানুষীর বুকের থেকে নীল মদের গেলাসে রাখা মুঝো মনে হয়েছিল।
১১. “…গোধূলিমদির মেয়েটির মতো…”-কার বা কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় “গোধূলিমদির মেয়েটির মতো ভোরের আকাশে জেগে থাকা তারার কথা বলা হয়েছে।
১২. “… গোধূলিমদির মেয়েটির মতো;”-মেয়েটিকে কোথায় দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর:- গোধূলিমদির মেয়েটিকে পাড়াগাঁর বাসরঘরে দেখতে পাওয়া যায়।
১৩. জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় কবে মিশরের মানুষীর সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ হয়েছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর সঙ্গে কবির সাক্ষাৎ হয়েছিল হাজার হাজার বছর আগের এক রাতে।
১৪. তার বুকের থেকে যে মুক্তা…”-কার বুকের মুক্তার কথা বলা বিরহয়েছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর বুকের মুক্তার কথা এখানে বলা হয়েছে।
১৫. “-তার বুকের থেকে যে মুক্তা…”-মুক্তাটি কোথায় রেখেছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষী তার বুকের মুক্তাটি কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।
১৬. “আমার নীল মদের গেলাসে রেখেছিল…” কবে, কখন, কী রেখেছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় হাজার হাজার বছর আগের এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের মুঝা কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।
১৭. ‘হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে’ কী হয়েছিল?
উত্তর:- হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে এক মুক্তা তুলে কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।
১৮. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।” কী বোঝাতে ‘তেমনি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর:-‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর বুকের থেকে কবির নীল মদের গেলাসে রাখা মুস্তাকে বোঝাতে ‘তেমনি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
১৯. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলেছে এখনও।”-‘এখনও’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:-ভোরের আলো ফুটলে অন্য তারাগুলি অস্ত গেলেও আকাশে একটা তারা জ্বলতে থাকে। তাই কবি ‘এখনও’ শব্দের মাধ্যমে বলেছেন যে, ভোর হওয়া সত্ত্বেও একটি তারা আকাশে জ্বলছে।
২০. ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে কেন?
অথবা,
“মাঠে আগুন জ্বেলেছে”- কেন মাঠে আগুন জ্বেলেছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে শীতের রাতে শরীরকে গরম রাখার জন্য।
২১. হিমের রাতে শরীর উম্ রাখার জন্য কী করা হচ্ছে?
উত্তর:- হিমের রাতে শরীর উম্ অর্থাৎ গরম রাখার জন্য সারারাত ধরে মাঠে দেশোয়ালিরা আগুন জ্বেলেছে।
২২. “…সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে”- সেই আগুন দেখতে কেমন?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বলেছিল তা দেখতে ছিল মোরগফুলের মতো লাল।
২৩. “…সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছে”-সেই আগুনে ভোরে কী পুড়ছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত মাঠে যে আগুন জ্বালা হয় তাতে ভোরবেলায় শুকনো অশ্বত্থপাতা পুড়ছিল।
২৪. “মোরগফুলের মতো…”-মোরগফুলের সঙ্গে কীসের তুলনা করা হয়েছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় মোরগফুলের সঙ্গে সারারাত জ্বলতে থাকা লাল আগুনের তুলনা করা হয়েছে।
২৫. “মোরগফুলের মতো লাল আগুন” কখন, কেন এই আগুন দেশোয়ালিরা জ্বালিয়েছিল?
উত্তর:-‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালি মানুষেরা হিমের রাতে নিজেদের শরীর গরম রাখার জন্য মোরগফুলের মতো লাল আগুন জ্বালিয়েছিল।
২৬.. ‘মোরগফুলের মতো লাল আগুন’-এখানে ‘কোন্’ আগুনের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- এখানে হিমের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য দেশোয়ালিদের জ্বালানো লাল আগুনের কথা বলা হয়েছে।
২৭. “শুকনো অশ্বথপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের;”-কারা, কখন, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?
উত্তর:-‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালি মানুষেরা হিমের রাতে নিজেদের শরীর গরম রাখার জন্য মোরগফুলের মতো লাল আগুন জ্বালিয়েছিল।
২৮. “এখনও আগুন জ্বলেছে তাদের”-কেন ‘এখনও’ আগুন জ্বলছে?
উত্তর:- দেশোয়ালিরা শরীরকে গরম রাখার জন্য রাতে যে আগুন জ্বালিয়েছিল, দোমড়ানো, শুকনো অশ্বথপাতা সেই আগুনকে ভোর অবধি জ্বালিয়ে রেখেছিল।
২৯. “সূর্যের আলোয় তার রং…”-কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘তার রং’ বলতে দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রঙের কথা বলা হয়েছে।
৩০. “সূর্যের আলোয় তার রং…”-তার রং এখন কেমন?
অথবা, সূর্যের আলোয় দেশোয়ালিদের জ্বালা আগুনের রং কেমন ছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং সূর্যের আলোয় রোগা শালিকের ইচ্ছার মতো বিবর্ণ ছিল।
৩১. “সূর্যের আলোয় তার রং…”-তার রং আগে কেমন ছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সূর্যের আলোয় বিবর্ণ আগুনের রং আগে ছিল কুঙ্কুমের মতো এবং মোরগফুলের মতো লাল।
৩২. ‘শিকার’ কবিতায় উল্লিখিত কুঙ্কুম কী?
উত্তর:- কুঙ্কুম হল মেয়েদের কপালে টিপ পরার এক প্রসাধনসামগ্রী।
৩৩. “…কুঙ্কুমের মতো নেই আর;”-কেন/কী কারণে কুঙ্কুমের মতো নেই আর?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত জ্বলতে থাকা আগুনের রং সূর্যের আলোর কারণে আর কুকুমের মতো নেই।
৩৪. “কুঙ্কুমের মতো নেই আর;”-কীসের মতো হয়ে গেছে?
উত্তর:- আগুনের রং রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো হয়ে গেছে।
৩৫. “…শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো।” কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সারারাত জ্বলতে থাকা আগুনের রং সূর্যের আলোয় ম্লান হয়ে যে বিবর্ণ রূপ ধারণ করেছে, তার কথাই এখানে বলা ।
৩৬. ‘সকালের আলোয় টলমল শিশিরে ঝিলমিল করছে।” কী, কীভাবে ঝিলমিল করছে?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘সকালের আলোয় টলমল শিশিরে’ চারদিকের বন ও আকাশ ময়ূরের সবুজ-নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।
৩৭. ‘শিকার’ কবিতায় সকালের আলোয় বন ও আকাশকে দেখে কবির কী মনে হয়েছিল?
উত্তর:- ‘শিকার’ কবিতায় সকালের আলোয় টলমল করা শিশিরে, বন ও আকাশকে দেখে কবির মনে হয়েছিল তা ময়ূরের সবুজ-নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে।
৩৬. ‘শিকার’ কবিতায় ময়ূরের ডানার রং কী ছিল?
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ময়ূরের ডানার রং ছিল সবুজ- নীল।
৩৯. “সবুজ নীল ডানার মতো…” তুলনাটি উল্লেখ করো।
উত্তর:- জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সকালের আলোয় টলমল করা শিশিরে চারদিকের বন ও আকাশকে ময়ুরের সবুজ-নীল ডানার মতো ঝিলমিল করতে দেখেছেন কবি।