1. তর্কবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
A)Logic
B) Logike
C)Logos
D)Metaphysics
Ans-Logic
2. তর্কবিদ্যার সমার্থক শব্দ কী?
A)নীতিবিদ্যা
B)সমাজবিদ্যা
C)মূল্যবিদ্যা
D)যুক্তিবিদ্যা
Ans-যুক্তিবিদ্যা
3. তর্কবিদ্যা সম্পর্কে কোন্ বিশেষণটি প্রয়োগ করা যায়?
A)আধুনিক শাস্ত্র
B)প্রাচীন শাস্ত্র
C)মধ্যযুগীয় শাস্ত্র
D)অযৌক্তিক শাস্ত্র
Ans-)প্রাচীন শাস্ত্র
4. তর্কবিদ্যা কাকে বলে?
A)বৈধ চিন্তার নিয়মাবলির আলোচনাকে
B)চিন্তার আলোচনাকে
C)ভাষার আলোচনাকে
D)মানুষের ব্যবহারের আলোচনাকে
Ans-বৈধ চিন্তার নিয়মাবলির আলোচনাকে
5. Logos শব্দটির অর্থ
A)অনুমান
B)চিন্তা
C)জ্ঞান
D)সংবেদন
Ans-চিন্তা
6. হেতুবাক্যের সাহায্যে যাকে প্রমাণ করা হয় তাকে কী বলে?
A)যুক্তিবাক্য
B)সিদ্ধান্ত
C)প্রধান যুক্তিবাক্য
D)অঙ্গবাক্য
Ans-সিদ্ধান্ত
7. তর্কবিদ্যার মূল উৎস কী?
A)ভাষা
B)চিন্তা
C)অনুমান
D)যুক্তি
Ans- চিন্তা
৪. Logic (তর্কবিদ্যা) শব্দটি হল একটি-
A)ইংরেজি শব্দ
B)গ্রিক শব্দ
C)লাতিন শব্দ
D)স্প্যানিশ শব্দ
Ans- ইংরেজি শব্দ
9. তর্কবিদ্যায় ‘চিন্তা’ (thought) শব্দটির অর্থ কী?
A)মানসিক প্রক্রিয়া
B)বাক্য
C)বচন
D)যুক্তি
Ans- যুক্তি
10. যুক্তি কাকে বলে?
A)অনুমানের ভাষাগত রূপকে
B)মানসিক প্রক্রিয়াকে
C)মনের কল্পনাকে
D)মনের আকাঙ্ক্ষাকে
Ans-অনুমানের ভাষাগত রূপকে
11. যে বাক্যের ওপর নির্ভর করে কোনো যুক্তিতে সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাকে কী বলে?
A)সিদ্ধান্তবাক্য
B)হেতুবাক্য
C)সাধ্যবাক্য
D)সহকারী বাক্য
Ans- হেতুবাক্য
12. কোনো যুক্তিতে যে বাক্যকে প্রমাণ করা হয়, তাকে বলে-
A)সিদ্ধান্তবাক্য
B)হেতুবাক্য
C)পক্ষবাক্য
D)সহযোগীবাক্য
Ans- সিদ্ধান্তবাক্য
13. তর্কবিদ্যাকে ‘সর্বশাস্ত্রের প্রদীপ’ বলেছেন-
A)অ্যারিস্টট্ল
B)প্লেটো
C)অন্নমভট্ট
D)চার্বাক
Ans- অন্নমভট্ট
14. জ্ঞাত সত্য থেকে অজ্ঞাত সত্যে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলা হয়?
A)কল্পনা
B)অনুমান
C)শব্দ
D)প্রত্যক্ষ
Ans- অনুমান
15. চিন্তার মূল নীতিসমূহের বিজ্ঞান কাকে বলা হয়?
A)মনোবিদ্যাকে
B)তর্কবিদ্যাকে
C)নীতিবিদ্যাকে
D)দর্শনকে
Ans- তর্কবিদ্যাকে
16. যুক্তিবাক্যের অপর নাম
A)হেতুবাক্য
B)সিদ্ধান্তবাক্য
C)ন্যায়বাক্য
D)সাধ্যবাক্য
Ans- হেতুবাক্য
17. তর্কবিদ্যা আমাদের কী শেখায়?
A)বাক্ যুদ্ধ করতে শেখায়
B)কল্পনা করতে শেখায়
C)যথাযথ ব্যবহার করতে শেখায়
D)যথাযথভাবে যুক্তি বা তর্ক করতে শেখায়
Ans- যথাযথভাবে যুক্তি বা তর্ক করতে শেখায়
18. যুক্তি হল-
A)বাহ্যিক প্রক্রিয়া
B)শারীরিক প্রক্রিয়া
C)মানসিক প্রক্রিয়া
D)রাসায়নিক প্রক্রিয়া
Ans-মানসিক প্রক্রিয়া
19. “তর্কবিদ্যা হল ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান”-এ হল তর্কবিদ্যার
A)ব্যুৎপত্তিগত অর্থ
B)সাধারণ অর্থ
C)লৌকিক অর্থ
D)একমাত্র অর্থ
Ans- ব্যুৎপত্তিগত অর্থ
20. “তর্কবিদ্যা হল চিন্তার বা বুদ্ধির মূলনীতিসমূহের বিজ্ঞান”-এ কথা বলেছেন-
A)প্লেটো
B)অ্যারিস্টট্ট্ল
C)অ্যারিস্টিপ্পাস
D)ইমান্যুয়েল কান্ট
Ans- ইমান্যুয়েল কান্ট
21. “তর্কবিদ্যা হল এমন কতকগুলি পদ্ধতি বা নীতির আলোচনা, যা যথার্থ (উত্তম) যুক্তিকে অযথার্থ (মন্দ) যুক্তি থেকে পৃথক করে।”-এ কথা বলেছেন-
A)জোশেফ
B)কোপি
C)বেন
D)মিল
Ans- কোপি
22. “তর্কবিদ্যা হল যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ায় এক কলাকৌশল।”-এরূপ অভিমতটি হল- A)অযথার্থ
B)যথার্থ
C)সংশয়াত্মক
D)এদের কোনোটিই নয়
Ans- যথার্থ
23. “সবিচার চিন্তার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করাই হল তর্কবিদ্যার মূল কাজ।”-এ কথা বলেছেন-
A)জোশেফ
B)অ্যামব্রোস
C)স্টেবিং
D)ক্যানিংহাম
Ans-স্টেবিং
24. তর্কবিদ্যা সম্পর্কে কান্টের অভিমতের সঙ্গে ঐক্যমত পোষণ করেছেন-
A)বার্কলে
B)হিউম
C)দেকার্ত
D)অ্যারিস্টটল
Ans- হিউম
25. যুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়-
A)মনোবিদ্যায়
B)তর্কবিদ্যায়
C)নীতিবিদ্যায়
D)পদার্থবিদ্যায়
Ans- তর্কবিদ্যায়
26.তর্কবিদ্যায় যুক্তি হল
A)অনুমান
B)অনুমানের কারণ
C)অনুমানের প্রকাশিত রূপ
D)অনুমানের বিতর্ক
Ans- অনুমানের প্রকাশিত রূপ
27. অনুমান হল একটি-
A)মানসিক প্রক্রিয়া
B)বাহ্যিক প্রক্রিয়া
C)ভাষাগত প্রক্রিয়া
D)তার্কিক প্রক্রিয়া
Ans- মানসিক প্রক্রিয়া
28. যুক্তি, যুক্তির স্বরূপ ও নিয়মাবলি প্রভৃতি আলোচিত হয়েছে-
A)নীতিশাস্ত্রে
B)সমাজবিদ্যায়
C)মনোবিদ্যায়
D)তর্কশাস্ত্রে
Ans- তর্কশাস্ত্রে
29. অনুমান ও যুক্তি একই অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে-এ কথা-
A)যথার্থ
B)যথার্থ নয়
C)সন্দেহজনক
D)আপতিক
Ans- যথার্থ নয়
30. কোনো যুক্তির সব অংশই হল তার
A)অবয়ব
B)ভিত্তি
C)কারণ
D)কার্য
Ans- অবয়ব
31. অবয়ব ছাড়া কোনো যুক্তি গঠিত হতে পারে না-এ কথা-
A)যথার্থ
B)অযথার্থ
C)সংশয়াত্মক
D)এদের কোনোটিই নয়
Ans- যথার্থ
32.যুক্তির অবয়ব যে নামে চিহ্নিত হতে পারে, তা হল-
A)প্রধান যুক্তিবাক্য
B)অপ্রধান যুক্তিবাক্য
C)সিদ্ধান্ত
D)এদের মধ্যে যে-কোনো একটি
Ans- এদের মধ্যে যে-কোনো একটি
33. তর্কবিদ্যায় গঠনগত দিক থেকে যুক্তি হল-
A)এক প্রকারের
B)দু-প্রকারের
C)তিন প্রকারের
D)চার প্রকারের
Ans- তিন প্রকারের
34. তর্কবিদ্যায় প্রকৃতিগত দিক থেকে যুক্তি হল-
A)দু-প্রকারের
B)তিন প্রকারের
C)চার প্রকারের
D)এক প্রকারের
Ans- তিন প্রকারের
35.নিরপেক্ষ যুক্তির সমস্ত অবয়বগুলিকেই বলা যায়-
A)সাপেক্ষ বচন
B)বৈকল্পিক বচন
C)নিরপেক্ষ বচন
D)প্রাকল্পিক বচন
Ans- নিরপেক্ষ বচন
36. অমিশ্র সাপেক্ষ যুক্তির সমস্ত অবয়বগুলিই হল-
A)নিরপেক্ষ বচন
B)সাপেক্ষ বচন
C)বৈকল্পিক বচন
D)এগুলির কোনোটিই নয়
Ans- সাপেক্ষ বচন
37. মিশ্র যুক্তির অবয়বগুলি হল-
A)নিরপেক্ষ বচন
B)সাপেক্ষ বচন
C)সাপেক্ষ ও নিরপেক্ষ উভয়ই
D)কোনোটিই নয়
Ans- সাপেক্ষ ও নিরপেক্ষ উভয়ই
38. মিশ্র যুক্তিকে আর যে নামে অভিহিত করা হয়, তা হল-
A)অযৌগিক যুক্তি
B)যৌগিক যুক্তি
C)অনুমানিক যুক্তি
D)অ-অনুমানিক যুক্তি
Ans- অনুমানিক যুক্তি
39. যুক্তিকে সাপেক্ষ, নিরপেক্ষ এবং মিশ্র এই তিন হিসেবে বিভাজন করা যায় তার
A)গঠনগত দিকের পরিপ্রেক্ষিতে
B)তাৎপর্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতি
C)প্রকৃতি বা স্বরূপের পরিপ্রেক্ষিতে
D)আকারের পরিপ্রেক্ষিতে
Ans- প্রকৃতি বা স্বরূপের পরিপ্রেক্ষিতে
40. বচন আগে, পরে যুক্তি-এ কথা কি ঠিক?
A)ঠিক
B)ঠিক নয়
C)সংশয়পূর্ণ
D)এদের কোনোটিই ঠিক নয়
Ans- ঠিক
41. বচন থেকেই বাক্যের উদ্ভব-এ কথা-
A)ঠিক
B)ঠিক নয়
C)নিশ্চিত
D)সংশয়পূর্ণ
Ans- ঠিক নয়
42. যুক্তি, যুক্তির নিয়ম, বাক্য, বচন-এ সমস্ত কিছুই হল-
A)মনোবিদ্যার আলোচ্য বিষয়
B)নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়
C)তর্কবিদ্যার আলোচ্য বিষয়
D)সমাজবিদ্যার আলোচ্য বিষয়
Ans- তর্কবিদ্যার আলোচ্য বিষয়
43. যদি বৃষ্টি পড়ে তবে মাটি ভেজে। বৃষ্টি পড়েছে। মাটি ভিজেছে। এটি হল একটি
A)আরোহ যুক্তি
B)অবরোহ যুক্তি
C)যৌগিক বা মিশ্র যুক্তি
D) প্রাকল্পিক যুক্তি
Ans- যৌগিক বা মিশ্র যুক্তি
44. যুক্তি বলতে বোঝায়-
A)যে-কোনো বাক্য
B)সিদ্ধান্ত বাক্য ও হেতুবাক্যের সম্মিলিত রূপ
C)একটি হেতুবাক্য
D)একটি সিদ্ধান্তবাক্য
Ans- সিদ্ধান্ত বাক্য ও হেতুবাক্যের সম্মিলিত রূপ
45. অনুমান ও যুক্তির মূল পার্থক্য হল-
A)প্রকাশগত
B)অর্থগত
C)তাৎপর্যগত
D)বচনের সংখ্যাগত
Ans- প্রকাশগত
46.’যুক্তি গঠিত হয় শুধুমাত্র হেতুবাক্য বা আশ্রয়বাক্য নিয়ে’- বিবৃতিটি
A)সঠিক
B)সঠিক নয়
C)সংশয়াত্মক
D)আপতিক
Ans- সঠিক নয়
47. ‘যুক্তি গঠিত হয় শুধুমাত্র সিদ্ধান্তের সহযোগে’- বিবৃতিটি
A)সঠিক
B)সন্দেহজনক
C)সংশয়াত্মক
D)সঠিক নয়
Ans- সঠিক নয়
48. ‘যুক্তি গঠিত হয় যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্ডের সমন্বয়ে’- বিবৃতিটি
A)সঠিক
B)সঠিক নয়
C)সন্দেহজনক
D)সম্ভাব্য
Ans- সঠিক
49. ‘একটি যুক্তিতে থাকে একাধিক সিদ্ধান্ত ও একটি হেতুবাক্য’-এরূপ বিবৃতিটি হল-
A)অযথার্থ
B)যথার্থ
C)স্বতঃসত্য
D)নিশ্চিত
Ans- অযথার্থ
50.যুক্তিতে আমরা সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই কোনো যুক্তিবাক্যে উপনীত হতে পারি-বিষয়টি
A)মিথ্যা
B)সত্য
C)অনির্দিষ্ট
D)এদের কোনোটিই নয়
Ans- মিথ্যা
51. যুক্তির কৌশল হল যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার এক প্রক্রিয়া-বিশেষ-এটি হল-
A) মিথ্যা
B) সত্য
C) সংশয়াত্মক
D) আপতিক
Ans- সত্য
52. অনুমান হল দেখা থেকে অদেখায় যাওয়ার এক প্রক্রিয়াস্বরূপ-এরূপ অভিমত হল-
A) যথার্থ
B) যথার্থ নয়
C)সম্ভাব্য
D)সংশয়াত্মক
Ans- যথার্থ
53. যুক্তিবিজ্ঞানকে ভাগ করা যায়-
A)সাবেকি ও সাংকেতিক যুক্তিবিজ্ঞানে
B)উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক যুক্তিবিজ্ঞানে
C)ভারতীয় ও পাশ্চাত্য যুক্তিবিজ্ঞানে
D)জোশেফের ও কোপির যুক্তিবিজ্ঞানে
Ans- সাবেকি ও সাংকেতিক যুক্তিবিজ্ঞানে
54. সাবেকি যুক্তিবিজ্ঞানের অপর নাম হল-
A)গ্রিক যুক্তিবিজ্ঞান
B)অ্যারিস্টট্লীয় যুক্তিবিজ্ঞান
C)কান্টের যুক্তিবিজ্ঞান
D)অ্যারিস্টিগ্লাসের যুক্তিবিজ্ঞান
Ans- অ্যারিস্টট্লীয় যুক্তিবিজ্ঞান
55. সাংকেতিক যুক্তিবিজ্ঞানের অপর নাম হল-
A)ধারাবাহিক যুক্তিবিজ্ঞান
B) হিউমের যুক্তিবিজ্ঞান
C)আঙ্কিক যুক্তিবিজ্ঞান
D)অধিবিদ্যাগত যুক্তিবিজ্ঞান
Ans- আঙ্কিক যুক্তিবিজ্ঞান
56. আধুনিক যুক্তিবিজ্ঞানের মুখ্য প্রবক্তারূপে উল্লেখ করা যায়-
A)হিউমকে
B)কান্টকে
C)জর্জ বুলকে
D)দেকার্তকে
Ans- জর্জ বুলকে
57. যুক্তিবিদ্যা একপ্রকার
A)বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান
B)আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান
C)সংকীর্ণ বিজ্ঞান
D)ব্যাপকতর বিজ্ঞান
Ans- আদর্শনিষ্ঠ বিজ্ঞান
58. বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞানরূপে উল্লেখ করা যায়-
A)নীতিবিদ্যাকে
B)তর্কবিদ্যাকে
C)মনোবিদ্যাকে
D)এদের কোনোটিই নয়
Ans-মনোবিদ্যাকে
1. যুক্তি কাকে বলে?
Ans- যুক্তি হল অনুমানের ভাষায় প্রকাশিত রূপ।
2. তর্কবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
Ans- তর্কবিদ্যার ইংরেজি প্রতিশব্দ হল Logic।
3. Logic শব্দটি কোন্ শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে?
Ans- গ্রিক Logike শব্দ থেকে Logic শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে।
4. Logos শব্দটির অর্থ কী?
Ans- Logos শব্দটির অর্থ হল চিন্তা বা চিন্তার বাহন।
5. গ্রিক Logike শব্দটি কোথা থেকে উদ্ভূত হয়েছে?
Ans- লাতিন Logos শব্দ থেকে Logike শব্দটি উদ্ভূত হয়েছে।
6. পদ কাকে বলা হয়?
Ans- বচনের উদ্দেশ্য অথবা বিধেয়কে বলা হয় পদ (term)।
7. পদের উদ্ভব কীভাবে হয়?
Ans- পদের উদ্ভব হয় ধারণা (concept) থেকে।
৪. ধারণা কাকে বলে?
Ans- মনে মনে একাধিক বিষয়ের সংযুক্তিকরণ বা বিযুক্তিকরণকে বলা হয় ধারণা (concept)।
9. একাধিক ধারণার সমন্বয়ে কী গঠিত হয়?
Ans- একাধিক ধারণার সমন্বয়ে গঠিত হয় অবধারণ (judgement)।
10. অবধারণ থেকে কীসের উদ্ভব হয়?
Ans- অবধারণ থেকে উদ্ভব হয় বাক্য (sentence)-এর।
11. বাক্য থেকে কী সৃষ্টি হয়?
Ans- বাক্য থেকে বচন (proposition)-এর সৃষ্টি হয়।
12. বচন থেকে কীসের উদ্ভব হয়?
Ans- বচন থেকে উদ্ভব হয় যুক্তি (argument)-র।
13. যুক্তি গঠিত হয় কী দিয়ে?
Ans- যুক্তি গঠিত হয় বচন দিয়ে।
14. বচনগুলিকে যুক্তির কী বলা হয়?
Ans- বচনগুলিকে যুক্তির অবয়ব বলা হয়।
15. হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য কাকে বলে?
Ans- যে বাক্য থেকে সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠিত বা প্রমাণিত হয়, তাকেই বলে হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য।
16. সিদ্ধান্তবাক্য কাকে বলে? অথবা, সিদ্ধান্ত বলতে কী বোঝ?
Ans- কোনো যুক্তিতে যে বাক্যকে প্রমাণ করা হয়, তাকেই বলে সিদ্ধান্তবাক্য।
17. যুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের সংখ্যা কয়টি?
Ans- যুক্তির ক্ষেত্রে যুক্তিবাক্যের সংখ্যা এক বা একাধিক হতে পারে।
18. তর্কবিদ্যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কী?
Ans- ব্যুৎপত্তিগত অর্থে তর্কবিদ্যা হল ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্বন্ধীয় বিজ্ঞান।
19. তর্কবিদ্যাকে চিন্তা বা বুদ্ধির মূলনীতিসমূহের বিজ্ঞানরূপে কারা অভিহিত করেছেন?
Ans- তর্কবিদ্যাকে চিন্তা বা বুদ্ধির মূলনীতিসমূহের বিজ্ঞানরূপে হিউম এবং কান্ট অভিহিত করেছেন।
20. তর্কবিদ্যাকে কোপি কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেন?
Ans- কোপির মতে, তর্কবিদ্যা হল এমন কতকগুলি পদ্ধতি বা নীতির আলোচনা যা উত্তম যুক্তিকে মন্দ যুক্তি থেকে পৃথক করতে পারে।
21. তর্কবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?
Ans- যুক্তি, যুক্তির আকার, যুক্তির বৈধতা বিচার, বচন, বচনের আকার, অনুমান প্রভৃতি হল তর্কবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।
22. তর্কবিদ্যাকে কেন বলা হয় যে, তা যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া এক কলাকৌশল?
Ans- তর্কবিদ্যার মূল বিষয় যে যুক্তি, সেখানে হেতুবাক্য তথা যুক্তিবাক্য থেকে সর্বদা একটি সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে তর্কবিদ্যাকে যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার এক কলাকৌশল বলা হয়।
23. “সবিচার চিন্তার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করাই হল তর্কবিদ্যার মূল কাজ”-এ কথা কে বলেন?
Ans- “সবিচার চিন্তার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করাই হল তর্কবিদ্যার মূল কাজ”-এ কথা বলেন স্টেবিং (Stebbing)।
24. তর্কবিদ্যায় যুক্তির অংশগুলিকে কী বলা হয়?
Ans- তর্কবিদ্যায় যুক্তির অংশগুলিকে বলা হয় অবয়ব।
25. যুক্তির অবয়ব কয়প্রকার ও কী কী?
Ans- যুক্তির অবয়ব দু-প্রকার-যুক্তি বাক্য বা হেতুবাক্য এবং সিদ্ধান্ত।
26. তর্কবিদ্যায় গঠনের দিক থেকে যুক্তি কয়প্রকার ও কী কী?
Ans- তর্কবিদ্যায় গঠনের দিক থেকে যুক্তি দু-প্রকার-অবরোহ ও আরোহ।
27. প্রকৃতিগত দিক থেকে যুক্তি কয়প্রকার ও কী কী?
Ans- প্রকৃতিগত দিক থেকে যুক্তি তিনপ্রকার-নিরপেক্ষ যুক্তি, সাপেক্ষ যুক্তি ও মিশ্র যুক্তি
28. নিরপেক্ষ যুক্তির অবয়বগুলি কীরূপ?
Ans- নিরপেক্ষ যুক্তির অবয়বগুলি সবই হল নিরপেক্ষ বচন।
29. সাপেক্ষ যুক্তির অবয়বগুলি কীরূপ?
Ans- সাপেক্ষ যুক্তির অবয়বগুলি সবই হল সাপেক্ষ বচন।
30. মিশ্র যুক্তি কাকে বলে?
Ans- যে যুক্তিতে নিরপেক্ষ ও সাপেক্ষ উভয়প্রকার অবয়বই থাকে, তাকে বলে মিশ্র যুক্তি।
31. মিশ্র যুক্তির অপর নাম কী?
Ans- মিশ্র যুক্তির অপর নাম হল যৌগিক যুক্তি।
32. মিশ্র যুক্তির কোন্ অবয়বটি সাপেক্ষরূপে গণ্য?
Ans- মিশ্র যুক্তির প্রথম অবয়বটি সাপেক্ষরূপে গণ্য।
33. মিশ্র যুক্তির সিদ্ধান্তটি কোন্ ধরনের বচন?
Ans- মিশ্র যুক্তির সিদ্ধান্তটি হল একটি নিরপেক্ষ বচন।
34. যুক্তির অবয়বগুলিকে কী বলা হয়?
Ans- যুক্তির অবয়বগুলিকে বচন বা বাক্য বলা হয়।
35. তর্কবিদ্যায় চিন্তন সূত্র (laws of thought) বলে কিছু আছে কি?
Ans- হ্যাঁ, অবশ্যই আছে এবং এগুলির দ্বারাই আমরা আমাদের চিন্তার প্রকাশ ঘটাই।
36. অনুমান ও যুক্তির মূল পার্থক্য কোথায়?
Ans- অনুমান ও যুক্তির মূল পার্থক্য হল অপ্রকাশ ও প্রকাশের মধ্যে।
37. দূরের কোনো পাহাড়ে ধোঁয়া দেখে মনে মনে চিন্তা করা হয় যে, সেখানে আগুন থাকতে পারে, একে কী বলা হয়?
Ans- দূরের কোনো পাহাড়ে ধোঁয়া দেখে মনে মনে চিন্তা করা হয় যে, সেখানে আগুন থাকতে পারে, একে অনুমান বলা হয়।
38. যুক্তি ও অনুমানের মধ্যে কোন্ বিষয়টি আগে আসে?
Ans- যুক্তি ও অনুমানের মধ্যে অনুমানের বিষয়টি আগে আসে।
39. যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়-এ কথা কি ঠিক?
Ans- হ্যাঁ, যুক্তিবাক্য থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়।
40. সিদ্ধান্ত থেকে কি যুক্তিবাক্য পাওয়া যায়?
Ans- না, সিদ্ধান্ত থেকে যুক্তিবাক্য পাওয়া যায় না।
41. কোনো যুক্তিকে কি মানসিক ক্রিয়া বলা যায়?
Ans- না, যুক্তিকে মানসিক ক্রিয়া বলা যায় না।
42. একটি মাত্র বচন দিয়ে কি কোনো যুক্তি গঠিত হতে পারে?
Ans- না, একটি মাত্র বচন দিয়ে কোনো যুক্তি গঠিত হতে পারে না।
43. যুক্তিগঠনের জন্য কমপক্ষে কয়টি বচনের প্রয়োজন হয়?
Ans- যুক্তিগঠনের জন্য কমপক্ষে দুটি বচনের প্রয়োজন হয়।
44. নিরপেক্ষ ন্যায়যুক্তির জন্য মোট কয়টি বচনের প্রয়োজন হয়?
Ans- নিরপেক্ষ ন্যায়যুক্তির জন্য মোট তিনটি বচনের প্রয়োজন হয়।
45. নিরপেক্ষ ন্যায়যুক্তির অন্তঃস্থিত বচনগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক কী?
Ans- নিরপেক্ষ ন্যায়যুক্তির অন্তঃস্থিত বচনগুলির পারস্পরিক সম্পর্ক হল হেতুবাক্য এবং সিদ্ধান্তের সম্পর্ক।
46. নিরপেক্ষ ন্যায়ে কয়টি হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য থাকে?
Ans- নিরপেক্ষ ন্যায়ে দুটি হেতুবাক্য বা যুক্তিবাক্য থাকে।
47. নিরপেক্ষ ন্যায়ের দুটি হেতুবাক্য কী কী?
Ans- নিরপেক্ষ ন্যায়ের হেতুবাক্য দুটি হল-প্রধান হেতুবাক্য ও অপ্রধান হেতুবাক্য।
48. প্রধান হেতুবাক্য কোল্টিন্টকে বলে?
Ans- যুক্তির প্রথম বচনটিকে বলা হয় প্রধান হেতুবাক্য।
49. দ্বিতীয় হেতুবাক্যকে কী বলা হয়?
Ans- দ্বিতীয় হেতুবাক্যকে অপ্রধান হেতুবাক্য বলা হয়।
50. প্রধান হেতুবাক্যের অপর নাম কী?
Ans- প্রধান হেতুবাক্যের অপর নাম হল প্রধান যুক্তিবাক্য বা সাধ্যবাক্য।
51. অপ্রধান হেতুবাক্যের অপর নাম কী?
Ans- অপ্রধান হেতুবাক্যের অপর নাম হল অপ্রধান যুক্তিবাক্য বা পক্ষবাক্য।
52. কোনো যুক্তির শেষ অবয়বটিকে কী বলা হয়?
Ans- কোনো যুক্তির শেষ অবয়বকে সিদ্ধান্ত বলা হয়।
53. যুক্তির প্রয়োজনীয়তা কী?
Ans- কোনো বিষয়কে প্রমাণ করার জন্যই যুক্তির প্রয়োজনীয়তা আছে।
54. কাঠবেড়ালি বেড়াল হয় কীভাবে?
Ans- যুক্তির মাধ্যমে কাঠবেড়ালি বেড়াল হতে পারে।
55. অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি কি যুক্তিবাক্য থেকে ব্যাপকতর?
Ans- না, অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্যের চেয়ে ব্যাপকতর নয়।
56. আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তগুলি কি যুক্তিবাক্যের চেয়ে ব্যাপকতর?
Ans- হ্যাঁ, আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তগুলি যুক্তিবাক্যের চেয়ে ব্যাপকতর।
57. অবরোহ যুক্তিতে কোন্ ধরনের সত্যতা আলোচনা করা হয়?
Ans- অবরোহ যুক্তিতে আকারগত সত্যতা আলোচনা করা হয়।
58. কোন্ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়?
Ans- অবরোহ যুক্তিতে সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।
59. আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত কি যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়?
Ans- না, আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত যুক্তিবাক্য থেকে অনিবার্যভাবে নিঃসৃত নয়।
60. অবরোহ যুক্তিতে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের সম্পর্ককে কী বলা হয়?
Ans- অবরোহ যুক্তিতে যুক্তিবাক্য ও সিদ্ধান্তের মধ্যে সম্পর্ককে প্রসক্তি সম্বন্ধ বলা হয়।
61. আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি কীরূপ হয়?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সবসময়ই সম্ভাব্য হয়।
62. অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত না সম্ভাব্য?
Ans- অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি নিশ্চিতরূপে গণ্য হয়।
63. আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত না সম্ভাব্য?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সম্ভাব্যরূপে গণ্য।
64. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্যকে অতিক্রম করে যায়?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি যুক্তিবাক্যকে অতিক্রম করে যায়।
65. কোনো অবরোহ যুক্তির যুক্তিবাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা হলে যুক্তিটি বৈধ না অবৈধ হবে?
Ans- যুক্তিটি এক্ষেত্রে অবৈধ হয়।
65. আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত সার্বিক না বিশেষরূপে গণ্য হয়?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্ত সার্বিকরূপে গণ্য।
66. কোন্ যুক্তিতে আকারগত সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়?
Ans- অবরোহ যুক্তিতে আকারগত সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
67. কোন্ যুক্তিতে বস্তুগত সত্যতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়?
Ans- আরোহ যুক্তিতে বস্তুগত সত্যতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
68. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি অনিবার্যভাবে নিঃসৃত হয়।
69. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সম্ভাব্যরূপে গণ্য?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সম্ভাব্যরূপে গণ্য।
70. আরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে কয়প্রকার ভিত্তির উল্লেখ করা হয়েছে?
Ans- আরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে দু-প্রকার ভিত্তির উল্লেখ করা হয়েছে।
71. আরোহ যুক্তির দু-প্রকার ভিত্তি কী কী?
Ans- আরোহ যুক্তির দু-প্রকার ভিত্তি হল আকারগত ভিত্তি ও বস্তুগত ভিত্তি।
72. আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি কয়টি নিয়মের ওপর নির্ভর করে?
Ans- আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তি দুটি নিয়মের ওপর নির্ভর করে।
73. আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তির নিয়ম দুটি কী কী?
Ans- আরোহ অনুমানের আকারগত ভিত্তির নিয়ম দুটি হল-[1] প্রকৃতির একরূপতা নিয়ম এবং [2] কার্যকারণ নিয়ম।
74. প্রকৃতির একরূপতার নিয়মটি কী?
Ans- প্রকৃতির একরূপতার নিয়মটি হল, প্রকৃতি সবসময় একই পরিবেশে একইরকম আচরণ করে।
75. কার্যকারণ নিয়মটি কী?
Ans- কার্যকারণ নিয়মটি হল জগতের প্রত্যেকটি জাগতিক ঘটনাই কার্যকারণ নিয়মে আবদ্ধ।
76. আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তি কয়টি নিয়মের ওপর নির্ভর করে?
Ans- আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তি দুটি নিয়মের ওপর নির্ভর করে।
77. আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তির নিয়ম দুটি কী কী?
Ans- আরোহ অনুমানের বস্তুগত ভিত্তির দুটি নিয়ম হল পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষণ।
78. পর্যবেক্ষণ কাকে বলে?
Ans- অবাধ অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে উদ্দেশ্যমূলক কোনো প্রত্যক্ষকেই বলা হয় পর্যবেক্ষণ।
79. পরীক্ষণ কাকে বলে?
Ans- সুনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে কোনো ঘটনার পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষানিরীক্ষাকেই বলা হয় পরীক্ষণ।
80. আরোহ যুক্তির ক্ষেত্রে প্রসক্তি সম্পর্কের বিষয়টি কি উল্লেখ করা যায়?
Ans- না, উল্লেখ করা যায় না।
81. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্ত বচনটি বিশ্লেষকরূপে গণ্য?
Ans- অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি বিশ্লেষকরূপে গণ্য।
82. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সংশ্লেষকরূপে গণ্য?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সংশ্লেষকরূপে গণ্য।
83. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্তটি বিশেষ অথবা সামান্য হয়?
Ans- অবরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি বিশেষ অথবা সামান্য হয়।
84. কোন্ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সবসময়েই সামান্য হয়?
Ans- আরোহ যুক্তির সিদ্ধান্তটি সবসময়ই সামান্য হয়।
85. সমস্ত আরোহ অনুমান কি একই প্রকারের?
Ans- না, ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের হতে পারে।
86. যুক্তির আকার কাকে বলে?
Ans- যুক্তির কাঠামোকে বলা হয় যুক্তির আকার। অর্থাৎ, যুক্তির বক্তব্য বিষয়কে যে কাঠামোতে বর্ণপ্রতীকের মাধ্যমে উপস্থাপিত করা হয়, তাকেই বলে যুক্তির আকার।
87. যুক্তির আকারগত বৈধতা কাকে বলে?
Ans-যুক্তির আকারগত বৈধতার অর্থ হল-যুক্তিবাক্য বা আশ্রয়বাক্য থেকে সিদ্ধান্তের অনিবার্যভাবে নিঃসরণ হওয়া। অর্থাৎ, কোনো যুক্তির হেতুবাক্য সত্য এবং সিদ্ধান্ত মিথ্যা না হওয়াই হল আকারগত বৈধতা।
88.যুক্তির বস্তুগত সত্যতা কাকে বলে?
Ans- যুক্তির বস্তুগত সত্যতার অর্থ হল-তার বিষয়বস্তুর বাস্তব সত্যতা। অর্থাৎ, যুক্তির অন্তর্গত বচনগুলি বাস্তবে সত্য না মিথ্যা তা পর্যবেক্ষণ করা।
89.উপমা যুক্তির ভিত্তি কী?
Ans- দৃষ্টান্তগুচ্ছের মধ্যে সাদৃশ্যই হল উপমা যুক্তির মূল ভিত্তি।
90.উপমা যুক্তি কাকে বলে?
Ans-যে আরোহমূলক অনুমানে দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে এক বা একাধিক বিষয়ে সাদৃশ্য দেখে, অন্যকোনো বিষয়ে তাদের মধ্যে সাদৃশ্য অনুমান করা হয়, তাকে বলে উপমা যুক্তি।
91.যুক্তি কাকে বলে?
Ans- অনুমানের ভাষায় প্রকাশিত রূপকে বলে যুক্তি।
92.অবরোহ যুক্তি বলতে কী বোঝ?
Ans- যে যুক্তিতে সিদ্ধান্তগুলি অনিবার্যভাবে যুক্তিবাক্য বা আশ্রয়বাক্য থেকে নিঃসৃত হয় এবং সিদ্ধান্তগুলি কখনোই যুক্তিবাক্য যুক্তিবাক্য অপেক্ষা ব্যাপকতর নয়, সেই যুক্তিকেই বলা হয় অবরোহ যুক্তি।
93. সিদ্ধান্ত বলতে কী বোঝ?
Ans-যুক্তিবাক্য বা হেতুবাক্য থেকে যে বচনে উপনীত হওয়া যায়, তাকেই বলা হয় সিদ্ধান্ত। একে বলা হয় সাধ্য বচন।
94.যুক্তির বৈধতা বলতে কী বোঝায়?
Ans-যুক্তির বৈধতা বলতে বোঝায় যুক্তিবাক্য তথা হেতুবাক্য থেকে সিদ্ধান্তের অনিবার্যভাবে নিঃসরণ হওয়া। অর্থাৎ, হেতুবাক্য সত্য হলে সিদ্ধান্তের মিথ্যা না
হওয়া।
95.অনুমান ও যুক্তির মধ্যে পার্থক্য কী?
Ans- একাধিক অবধারণকে মনে মনে সংযুক্ত করার নামই হল অনুমান। এই অনুমানকে যখন ভাষায় ব্যক্ত করা হয় তখন তাকে বলে যুক্তি