Class 10 Bengali

দশম শ্রেণী বাংলা অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান কবিতা প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ২.১ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কী ফেলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:-‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২ ‘অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো’- কোথায় অস্ত্র ফেলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি জয় গোস্বামী অস্ত্রকে হাত থেকে নামিয়ে পায়ে রাখার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৩ ‘অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো পায়ে’ বলতে কী বলা হয়েছে?
অথবা,
‘অস্ত্র ফ্যালো’- কবি অস্ত্র ফেলার কথা বলেছেন কেন?

উত্তর:-কবির মতে, অস্ত্রের ব্যবহারে হিংসা, বিদ্বেষ বা মৃত্যুর মতো মানবতা-বিরোধী শক্তির বিকাশ ঘটে। এই অশুভ শক্তির বিনাশার্থে কবি ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় অস্ত্রকে পায়ে রাখতে বা পরিহার করতে বলেছেন।

প্রশ্ন ২.৪ অস্ত্রের বিরুদ্ধে কবির হাজার হাতে-পায়ে এগিয়ে আসার অর্থ কী।

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অনুসারে অস্ত্র যেহেতু মানুষের দানববৃত্তির প্রকাশ, তাই তাকে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করতেই কবি হাজার হাতে-পায়ে এগিয়ে আসার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২.৫ ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় হাত নাড়িয়ে কী তাড়ান।

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি হাত নাড়িয়ে বন্দুকের গুলি বা বুলেট তাড়ান। অর্থাৎ মানুষের পাশবিক প্রবৃত্তিকে অবজ্ঞা করে এগিয়ে চলেন।

প্রশ্ন ২.৬ কবি ছুটে আসা বুলেটের প্রতিরোধ করতে কী ব্যবস্থা নেন?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অনুসারে কবি বন্দুক থেকে ছুটে ■ আসা বুলেটের প্রতিরোধ গড়তে গানের বর্ম ধারণ করেন।

প্রশ্ন ২.৭ ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’ বলার কারণ কী?

উত্তর:- কবির মতে, অশুভ শক্তির সঙ্গে অসহায় মানুষের ও মানবতার যে-সংগ্রাম, সেই সংগ্রামে অসহায় মানুষের অঙ্গাবরণ হল গান। গানই পারে অমঙ্গলের হাত থেকে মানবতাকে বাঁচাতে।

প্রশ্ন ২.৮ ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’-গানের বর্ম পরিধান করে কবি কোন্ কাজ করতে পারেন?

উত্তর:- জয় গোস্বামী তাঁর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় আত্মবিশ্বাসী এই ভেবে যে, বিশ্বব্যাপী অস্ত্রের ঝনঝন শব্দকে তিনি গান দিয়ে জয় করবেন। তাই তিনি গানের বর্ম পরেছেন।

প্রশ্ন ২.৯ ‘গান তো জানি একটা দুটো- ‘একটা দুটো’ মানে কী?

উত্তর:- জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় তিনি ‘একটা দুটো’ বলতে সামান্য কিছুকে ইঙ্গিত করেছেন। কবিতায় শব্দবন্ধটিকে কবি • তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করে সাধারণের স্বল্প সাধ্যের কথা তুলে ধরেছেন।

প্রশ্ন ২.১০ ‘গান তো জানি… খড়কুটো- বলার কারণ কী?

উত্তর:- উদ্ধত অস্ত্রের কাছে মানবতা আজ অসহায়। কবির বিশ্বাস সামান্য গানকে সম্বল করেই মানবতা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে জয়ী হওয়া সম্ভব। গানের সীমিত শক্তিকে বোঝাতে ‘খড়কুটো’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন ২.১১ ‘খড়কুটো’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর:- ‘খড়কুটো’ শব্দটির প্রকৃত অর্থ বিচালি বা শুকনো ঘাস। দিশেহারা মানুষের সামনে মুক্তি পাওয়ার সামান্যতম অবলম্বন বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ২.১১ ‘রস্ত মুছি গানের গায়ে’ কথাটির অর্থ কী?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার কথক গানের গায়ে রক্ত মোছেন। এখানে ‘রক্ত’ হয়ে ওঠে মনুষ্যত্বের অপচয়ের প্রতীক। আর এই অপচয়কে রুখতে পারে একমাত্র মানুষের সৃষ্টিশীলতা।

প্রশ্ন ২.১৩ কবির গানের গায়ে রক্ত মোছার কারণটি কী?

উত্তর:- বিশ্বব্যাপী যে-হানাহানি শুরু হয়েছে তা আসলে মনুষ্যত্বের অবক্ষয়। মানুষের সৃজনশীলতাই একমাত্র এই অবক্ষয় রুখতে পারে। তাই কবি রক্তকে গানের গায়ে মুছতে চান।

প্রশ্ন ২.১৪ ‘মাথায় কত শকুন বা চিল’- ‘শকুন বা চিল’ শব্দটি কবিতায় কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতানুসারে ‘শকুন বা চিল’ এই দুটি মাংসাশী পাখিকে যুদ্ধবাজ, ক্ষমতালিপ্স ও সুযোগসন্ধানী মানুষের প্রতীকরূপে ব্যবহার করা হয়েছে। সংখ্যায় এরা অল্প হলেও, মানবেতিহাসে এদের উপস্থিতি চিরকালীন।

প্রশ্ন ২.১৫ কবি কাকে সম্বল করে গান বাঁধতে চান?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতানুসারে কবি শুধু তাঁর বুকের ভেতরের কোকিলটিকে নিয়ে নানান উপায়ে গান বাঁধবার কৌশল আয়ত্ত করে অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চান।

প্রশ্ন ২.১৬ অন্য কোনো গান গাওয়া পাখির উপস্থিতি না-ঘটিয়ে কবিতায় কেন কোকিলের অবতারণা করা হয়েছে?

উত্তর:- হিংসাকে জয় করতে পারে হৃদয়ের মাধুর্য, তারুণ্য ও যৌবন। কোকিল হল বসন্তের অগ্রদূত, তারুণ্য ও মাধুর্যের প্রতীক। তাই ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কোকিলের অবতারণা করা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.১৭ কবি কেন কোকিলকে সহস্র উপায়ে গান বাঁধতে বলেছেন?

উত্তর:- কোকিলের সহস্র উপায়ে গান বাঁধা বলতে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে লড়াইতেও কৌশলী হওয়া কাম্য, তা বোঝাতেই কবি এমন উক্তি করেছেন।

প্রশ্ন ২.১৮ কবিতায় ‘অস্ত্র রাখো, অস্ত্র ফ্যালো পায়ে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- অস্ত্রের অবস্থান কখনও উচ্চ আসনে হতে পারে না। তার অবস্থান সবসময় পায়ে অর্থাৎ নীচে হওয়াই বাঞ্ছনীয় বলে উক্ত পঙ্ক্তিতে বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.১৯) ‘বর্ম খুলে দ্যাখো আদুড় গায়ে’ বলতে কবি কী বলেছেন?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে গৃহীত আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে কবি, ‘বর্ম’ বলতে ক্ষমতা, বিদ্বেষ, অহংকার, লোভ, মোহ প্রভৃতির ‘বর্ম’ খুলে দেখার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২২০‌ ‘আদুড়’ শব্দটি কবিতায় কোন্ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর:- ‘আদুড়’ শব্দের অর্থ খোলা বা অনাবৃত। কবিতায় এই শব্দটি ব্যবহারের মাধ্যমে কবি হিংসা বা বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাবের আবরণ খুলে উদার হওয়ার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২.২১ গানকে প্রচারের মুখ্য সহায়ক হিসেবে রেখে কবিতায় আর কার আবির্ভাব ঘটেছে?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় গানকে প্রচারের মুখ্য সহায়ক হিসেবে রেখে মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা এক ঋষিবালকের আবির্ভাব হয়েছে।

প্রশ্ন ২.২২ কবিতায় ব্যবহৃত ঋষিবালকের মধ্যে কার ছায়াপাত ঘটেছে বলে তোমার ধারণা?
অথবা, ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতার ঋষিবালক কীসের প্রতীক?

উত্তর:- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ঋষিবালকের মধ্যে যেন রাখাল বালক শ্রীকৃষ্ণের ছায়াপাত ঘটিয়েছেন কবি। এই ঋষিবালকের মতো, তাঁরও মাথায় ময়ূরপালক গোঁজা থাকত বলে কল্পনা করা হয়। কবিকল্পিত ঋষিবালক যেন সুরপ্লাবী এক শান্তিময় পৃথিবীর দূত বা প্রতীক।

প্রশ্ন ২.২৩ গান মানুষের সঙ্গী হয়ে কোথায় কোথায় বেড়াবে বলে কবিতায় উল্লেখ আছে?
অথবা, ‘তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান’-গান তোমায় নিয়ে কোথায় বেড়াবে?

উত্তর:-‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অনুসারে গান মানুষকে সঙ্গী করে ঘুরে বেড়াবে নদীতে, দেশে ও গাঁয়ে অর্থাৎ গানের মধ্যে দিয়ে শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের জীবনগাথা দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়বে এমনটাই কবির বিশ্বাস।

প্রশ্ন ২.২৪ কবির শেষ পঙ্ক্তিতে ‘গানের দুটি পায়ে’ বলার কারণ কী?

উত্তর:- মানুষ তার ঔদ্ধত্যকে যেভাবে দেবতার চরণে নিবেদন করে তেমনই কবি অস্ত্রের বলে বলীয়ান অহংকারীদের মানবতার প্রতীক গানের পায়ে তাদের ঔদ্ধত্যের অস্ত্রকে সমর্পণ করতে বলেছেন।

প্রশ্ন ২.২৫ অস্ত্র ধরার পরিবর্তে কবি জয় গোস্বামী কী নিতে বলেছেন?

উত্তর:- অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি জয় গোস্বামী অস্ত্র ধরার পরিবর্তে গানের সম্মোহনী শক্তিকে সম্বল করে পথ চলার কথা বলেছেন

প্রশ্ন ২.২৬ ঋষিবালকের মাথায় কী গোঁজা রয়েছে?

উত্তর:- জয় গোস্বামীর ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা অনুসারে ঋষিবালকের মাথায় ময়ূরের পালক গোঁজা রয়েছে।

প্রশ্ন ২.২৭ ‘গান দাঁড়াল ঋষিবালক’-এ কথা বলার অর্থ কী?

উত্তর:- গান কেবল প্রতিবাদের বাহন নয়, যুদ্ধকে প্রতিহত করতে পারলে এই গানের মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায় শান্তি ও স্নিগ্ধতার মধুর সুর। এই কারণেই গান হয়ে যায় ‘ঋষিবালক’-এর ন্যায় শান্ত, স্নিগ্ধ।

প্রশ্ন ২.২৮ ‘আঁকড়ে ধরে সে-খড়কুটো’- ‘সে-খড়কুটো’ বলাতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর:- ‘খড়কুটো’ শব্দটির অর্থ শুকনো ঘাস বা বিচালি। ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি যুদ্ধ কিংবা মারণাস্ত্রের প্রয়োগে বিপর্যস্ত পৃথিবীর বুকে দিশাহীন মানুষকে খড়কুটোর মতো সামান্য কিংবা তুচ্ছ অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরেই এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বলেছেন।

প্রশ্ন ২.২৯ ‘আমি এখন হাজার হাতে পায়ে/এগিয়ে আসি, উঠে দাঁড়াই-কাদের এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে গৃহীত প্রদত্ত অংশটিতে যুদ্ধবিরোধী সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২.৩০ ‘গানের বর্ম আজ পরেছি গায়ে’- গানের বর্ম পরে কী করছেন?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি বন্দুক থেকে ছুটে আসা বুলেট প্রতিরোধের জন্য গানের বর্ম ধারণ করেছেন। অর্থাৎ তিনি মানুষের পৈশাচিক সত্তাকে প্রতিহত করতে গানের মূর্ছনাকে রক্ষাকবচ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

প্রশ্ন ২.৩১ ‘অস্ত্র ফ্যালো’- এই শব্দবন্ধটি বারবার উচ্চারণের কারণ কী?

উত্তর:- মানবতা-বিরোধী সমস্ত রকম শক্তিকে প্রতিহত করতে উন্মুখ কবি ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় ‘অস্ত্র ফ্যালো’ শব্দবন্ধনটিকে ধ্রুবপদের মতো বারবার উচ্চারণ করেন।

প্রশ্ন ২.৩২ ‘হাত নাড়িয়ে বুলেট তাড়াই’- কবি কেন এ কথা বলেছেন?

উত্তর:- প্রশ্নোদৃত উক্তিটির মাধ্যমে ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতায় কবি মানুষের দানবীয় ও পৈশাচিক হিংস্রতাকে অবজ্ঞা করে, সৎসাহস আর মানবিকতায় ভর করে এগিয়ে চলার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২.৩৩ ‘বর্ম খুলে দ্যাখো’- ‘বর্ম’ খুললে কী দেখা যায়?

উত্তর:- ‘অস্ত্রের বিরুদ্ধে গান’ কবিতা থেকে গৃহীত উদ্ধৃতিতে কবি ‘বর্ম’ বলতে এখানে, হিংসা, লোভ-বিদ্বেষ-ক্ষমতা ও অহংকারের অমানুষী বর্ম খুলে দেখার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ২.৩৪ ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতার নাম কী?

উত্তর:- ‘উন্মাদের পাঠক্রম’ কাব্যগ্রন্থটির রচয়িতার নাম জয় গোস্বামী।

You may also like

Class 10 Bengali

জ্ঞানচক্ষু গল্প (আশাপূর্ণা দেবী)মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প ) লেখক-আশাপূর্ণা দেবী জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে গুরুত্বপূর্ণ 40 টি MCQ   ১. কথাটা শুনে তপনের চোখ- (ক) লাল