১.১) পুলিশস্টেশনে যারা মোটঘাট নিয়ে বসেছিল, তারা জাতিতে ছিল-
ক) বর্মি
খ) ইংরেজ
গ) বাঙালি
ঘ) হিন্দিভাষী
উত্তর:-বাঙালি
১.২)পুলিশস্টেশনে মোটঘাট নিয়ে বসে থাকা বাঙালির সংখ্যা হল-
ক) আট জন
খ) ছ-জন
গ) সাত জন
ঘ) পাঁচ জন
উত্তর:-ছ-জন
১.৩)জগদীশবাবু পুলিশস্টেশনে বসে থাকা বাঙালিদের যেসব জিনিস খুলে দেখছিলেন, তা হল-
ক) টিনের তোরঙ্গ
খ) ছোটো-বড়ো পুঁটলি
গ) টিনের তোরঙ্গ ও বিছানাপত্র
ঘ) টিনের তোরঙ্গ ও ছোটো-বড়ো পুঁটলি
উত্তর:- টিনের তোরঙ্গ ও ছোটো-বড়ো পুঁটলি
১.৪) যে-লোকটির প্রতি পুলিশের অত্যন্ত সন্দেহ ছিল, তাকে আটকে রাখা হয়েছে-
ক) একটি ঘরে
খ) গারদে
গ) খাঁচায়
ঘ) দড়ির বাঁধনে
উত্তর:-একটি ঘরে
১.৫) জগদীশবাবু পেশায় ছিলেন-
ক) তেলের কারখানার মিস্ত্রি
খ) পুলিশ
গ) ডাক্তার
ঘ) পিয়াদা
উত্তর:-পুলিশ
১.৬)পুলিশ যাঁর খোঁজে তল্লাশি করছিল, তিনি ছিলেন একজন-
ক) দেশদ্রোহী
খ) রাজদ্রোহী
গ) খুনি
ঘ) অপরাধী
উত্তর:-রাজদ্রোহী
১.৭)পুলিশস্টেশনে বসে থাকা বাঙালিরা কাজ করত-
ক) বর্মা অয়েল কোম্পানিতে
খ) বর্মা পুলিশে
গ) ভামো শহরে
ঘ)ম্যান্ডালে
উত্তর:-বর্মা অয়েল কোম্পানিতে
১.৮)বর্মা অয়েল কোম্পানি অবস্থিত ছিল-
ক) রেঙ্গুনে
খ) উত্তর ব্রহ্মদেশে
গ) মিথিলায়
ঘ) ভামো শহরে
উত্তর:-উত্তর ব্রহ্মদেশে
১.৯) পোলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম ছিল-
ক) গিরীশ মহাপাত্র
খ) নিমাইবাবু
গ) সব্যসাচী মল্লিক
ঘ) রামদাস তলওয়ারকর
উত্তর:-সব্যসাচী মল্লিক
১.১০) গিরীশ মহাপাত্রের বয়স হল-
ক) পঞ্চাশ-বাহান্ন বছর
খ) কুড়ি-পঁচিশ বছর
গ) ত্রিশ-বত্রিশ বছর
ঘ) ষাট-সত্তর বছর
উত্তর:-ত্রিশ-বত্রিশ বছর
১.১১) গিরীশ মহাপাত্রের চেহারার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল-
ক) তার কথা বলার কায়দাখ
খ) তার উজ্জ্বল চোখ
গ) তার হাসি
ঘ) তার ফরসা রং
উত্তর:-তার উজ্জ্বল চোখ
১.১২ গিরীশ মহাপাত্রের চোখ দুটি ছিল-
ক) ধূর্ততায় ভরা
খ) উদাস ও স্নিগ্ধ
গ) নিষ্প্রভ ও বিষণ্ণ
ঘ) গভীর জলাশয়ের মতো
উত্তর:-গভীর জলাশয়ের মতো
১.১৩) গিরীশ মহাপাত্রের চেহারা ও পোশাক-পরিচ্ছদ ছিল-
ক) পরিপাটি ও সাফসুতরো
খ) নোংরা ও বিরক্তিকর
গ) সাদাসিধে
ঘ) অদ্ভুত ও হাস্যকর
উত্তর:-অদ্ভুত ও হাস্যকর
১.১৪) গিরীশ মহাপাত্রের চুলে যে-গন্ধ ছিল, তার কারণ ছিল-
ক) নেবুর তেল
খ) গঞ্জিকা
গ) প্রসাধনী
ঘ) বহুদিন স্নান না-করা
উত্তর:-নেবুর তেল
১.১৫) গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাকে পাওয়া গিয়েছিল-
ক) দুটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
খ) দুটি টাকা ও গন্ডা-চারেক পয়সা
গ) একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
ঘ) একটি টাকা ও গন্ডা-চারেক পয়সা
উত্তর:-একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
১.১৬) ‘দয়ার সাগর। পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে।’-বক্তা হলেন-
ক) নিমাইবাবু
খ) জগদীশবাবু
গ) অপূর্ব
ঘ) গিরীশ মহাপাত্র
উত্তর:-জগদীশবাবু
১.১৭)’বুড়োমানুষের কথাটা শুনো।’- ‘বুড়ো মানুষ’-টি হলেন-
ক) জগদীশবাবু
খ) গিরীশ মহাপাত্র
গ) অপূর্ব
(ঘ) নিমাইবাবু
উত্তর:-নিমাইবাবু
১.১৮) মহাপাত্রের সঙ্গে তার যেসব মালপত্র ছিল, তা হল-
ক) ভাঙা টিনের তোরঙ্গ ও চাটাই জড়ানো ময়লা বিছানা
খ) ভাঙা টিনের তোরঙ্গ ও ছোটো-বড়ো পুঁটলি
গ) টিনের তোরঙ্গ ও একটি কাপড়ের ব্যাগ
ঘ) একটি কাপড়ের ব্যাগ ও চাটাই জড়ানো ময়লা বিছানা
উত্তর:-ভাঙা টিনের তোরঙ্গ ও চাটাই জড়ানো ময়লা বিছানা
১.১৯ অপূর্বর অন্যমনস্কতা যে লক্ষ করেছিল, সে হল-
ক) গিরীশ মহাপাত্র
খ) রামদাস তলওয়ারকর
গ) নিমাইবাবু
ঘ) তেওয়ারি
উত্তর:-রামদাস তলওয়ারকর
১.২০) ‘এতবড়ো কার্যকুশলা মেয়ে আর যে কেহ আছে মনে হয় না হে তলওয়ারকর।’- ‘কার্যকুশলা মেয়ে’-টি হল-
ক) তলওয়ারকরের স্ত্রী
খ) অপূর্বর স্ত্রী
গ) উপরতলার বাসিন্দা ক্রিশ্চান মেয়েটি
ঘ) অপূর্বর বোন
উত্তর:-উপরতলার বাসিন্দা ক্রিশ্চান মেয়েটি
১.২১) তেওয়ারি বর্মা নাচ দেখতে যে-স্থানে গিয়েছিল, তার নাম-
ক) ফয়া
খ) শোএবো
গ) মিথিলা
ঘ) এনাজ্ঞাং
উত্তর:-ফয়া
১.২২) সব্যসাচী মল্লিক পেশায় ছিল-
ক) শিক্ষক
খ) ডাক্তার
গ) পুলিশ
ঘ) কেরানি
উত্তর:-ডাক্তার
১.২৩) গিরীশ মহাপাত্রের জামার রং ছিল-
ক) গেরুয়া
খ) নীল
গ) রামধনু
ঘ) সাদা
উত্তর:-রামধনু
১.২৪ ‘অথচ, গভর্নমেন্টের কত টাকাই না এরা বুনো হাঁসের পিছনে ছুটোছুটি করে অপব্যয় করলে।’-‘বুনো হাঁসের পিছনে ছুটোছুটি’ বলতে বোঝানো হয়েছে-
ক) শিকার করা
খ) অসম্ভব কল্পনা করা
গ) শারীরিক কারণে দৌড়োনো
ঘ) অপ্রাপ্য বস্তুর চাহিদা
উত্তর:-অপ্রাপ্য বস্তুর চাহিদা
১.২৫)’এমনি তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে’। যা অভ্যাস হওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা হল-
ক) সময়মতো খাওয়া
খ) পুলিশের মার খাওয়া
গ) অপমানিত হওয়া
ঘ) বিশৃঙ্খলা
উত্তর:-অপমানিত হওয়া
১.২৬) বড়োসাহেব অপূর্বকে পাঠিয়েছিলেন-
ক) ভামো-তে
খ) ম্যান্ডালে
গ) রেঙ্গুনে
ঘ) উত্তর ব্রহ্মদেশে
উত্তর:-ভামো-তে
১.২৭) অপূর্ব ও তলওয়ারকরের সঙ্গে ভামো-তে যারা গিয়েছিল, তারা হল-
ক) তেওয়ারি ও পেয়াদা
খ) আরদালি ও পেয়াদা
গ) তেওয়ারি ও আরদালি
ঘ) পেয়াদা ও বড়োসাহেব
উত্তর:-আরদালি ও পেয়াদা
১.২৮ যে-দেশটিকে ম্লেচ্ছদেশ বলা হয়েছে, সেটি হল-
ক) ভারতবর্ষ
খ) বর্মা
গ) পাকিস্তান
ঘ) ইংল্যান্ড
উত্তর:-বর্মা
১.২৯)’তোমার চিন্তা নেই ঠাকুর।’- ‘ঠাকুর’ বলতে যাকে বোঝানো হয়েছে, তার নাম-
ক) তেওয়ারি
খ) তলওয়ারকর
গ) নিমাইবাবু
ঘ) গিরীশ মহাপাত্র
উত্তর:-তেওয়ারি
১.৩০)’আশ্চায্য নেহি হ্যায় বাবুসাহেব।’- ‘বাবুসাহেব’টি হলেন-
ক) সব্যসাচী মল্লিক
খ) অপূর্ব
গ) বড়োবাবু
ঘ) তলওয়ারকর
উত্তর:-তলওয়ারকর
১.৩১)’পথের দাবী’ কাহিনিটি যে-উপন্যাসের অংশ-বিশেষ, তা হল-
ক) অরক্ষণীয়া
খ) পথের দাবী
গ) পল্লীসমাজ
ঘ) সব্যসাচী
উত্তর:-পথের দাবী
১.৩২) ‘কাকাবাবু, এ লোকটিকে আপনি কোনো কথা জিজ্ঞেস না করেই ছেড়ে দিন…’- এক্ষেত্রে অপূর্বর ‘কাকাবাবু’ কে?
ক)জগদীশবাবু
খ) গিরিশ মহাপাত্র
গ) নিমাইবাবু
ঘ) রামদাস তলওয়ারকর
উত্তর:-নিমাইবাবু
১.৩৩) ‘গভর্নমেন্টের কত টাকাই না এরা বুনো হাঁসের পিছনে ছুটোছুটি করে অপব্যয় করলে!’- ‘বুনোহাঁস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) জংলি হাঁসদের
খ) চোর-ডাকাতদের
গ) বিদ্রোহীদের
ঘ) ইংরেজ কর্মচারীদের
উত্তর:-চোর-ডাকাতদের
১.৩৪)কোথা থেকে গিরীশের দুই বন্ধুর আসার কথা ছিল?
ক) বর্মা থেকে
খ) ভামো থেকে
গ) রেঙ্গুন থেকে
ঘ) এনাঞ্ঝাং থেকে
উত্তর:-এনাঞ্ঝাং থেকে
১.৩৫)’তুমি তো ইউরোপিয়ান নও।’- কথাটি অপূর্বকে কে বলেছিলেন?
ক) রেঙ্গুনের সাব-ইনস্পেক্টর
খ) বর্মা সাব-ইনস্পেক্টর
গ) বড়োসাহেব
ঘ) বর্মার জেলাশাসক
উত্তর:- বর্মা সাব-ইনস্পেক্টর
১.৩৬)’গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছি ল?
ক) পুলিশস্টেশনে
খ) জাহাজঘাটায়
গ) রেলস্টেশনে
ঘ) বিমানবন্দরে
উত্তর:-রেলস্টেশনে
২.১ ‘পুলিশ-স্টেশনে প্রবেশ করিয়া দেখা গেল’ –কী দেখা গেল?
উত্তর:- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশের আলোচ্য অংশে দেখা গেল, পুলিশস্টেশনের সামনের হলঘরে জনা-ছয়েক বাঙালি বসে আছে আর পুলিশ তাদের মালপত্র তল্লাশি করছে।
২.২ ‘তাহাকে আর একটা ঘরে আটকাইয়া রাখা হইয়াছে।’-কাকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে গিরীশ মহাপাত্রর ছদ্মবেশধারী রাজবিদ্রোহী সব্যসাচী মল্লিককে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে। বর্মা পুলিশ এই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসার জন্য আটক করেছিল।
২.৩ ‘লোকটি কাশিতে কাশিতে আসিল।’- লোকটির পরিচয় দাও ?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’-তে লোকটি বলতে গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী রাজবিদ্রোহী সব্যসাচীর কথা বলা হয়েছে। সন্দেহবশত পুলিশ তাকে আটক করলেও পরে আচার-আচরণ ও বেশভূষা দেখে পুলিশ গিরীশকে ছেড়ে দেয়।
২.৪ ‘সহসা আশঙ্কা হয়,’- কোন্ আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- শরৎচন্দ্রের ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে রোগা চেহারার গিরীশ মহাপাত্র সামান্য কাশির পরিশ্রমে এতটাই হাঁপাতে থাকে যে, মনে হয় মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। সেই মৃত্যু আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে।
২.৫ ‘ভয় হয় এখানে খেলা চলিবে না,’-উক্তিটি পরিস্ফুট করো।
উত্তর:-‘পথের দাবী’ রচনাংশে সব্যসাচী বিচিত্র পোশাকের ও অসুস্থতার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখলেও তার বুদ্ধিদীপ্ত চোখ দুটিকে সে লুকোতে পারেনি। সে চোখের সামনে কপটতার চেয়ে সরে দাঁড়ানো ভালো।
২.৬ ‘কেবল এই জন্যই যেন সে আজও বাঁচিয়া আছে।’-‘এই জন্যই’ বলার কারণ কী?
উত্তর:- ভগ্নস্বাস্থ্য গিরিশ মহাপাত্রকে দেখে মনে হত তার মৃত্যু আসন্ন। কিন্তু তার দৃষ্টির গভীরে এমন প্রাণশক্তি লুকিয়ে ছিল, যাকে মৃত্যুও ভয় পেত।
২.৭ ‘কী বল অপূর্ব?’- অপূর্বর কাছে কোন্ কথার সমর্থন আশা করা হয়েছে?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে নিমাইবাবু ভগ্নস্বাস্থ্য গিরীশ মহাপাত্রর বাহারি পোশাকের প্রতি অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যঙ্গার্থে যে-কথা বলেছিলেন তারই সমর্থনের কথা বলা হয়েছে।
২.৮ ‘তার আমি জামিন হতে পারি।’-কে, কীসের জামিন
হতে চেয়েছে?
উত্তর:- নিমাইবাবু জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গিরিশ মহাপাত্রকে আটক করলেও তার বেশভূষা ও আচরণ দেখে অপূর্বর ধারণা হয় সে সব্যসাচী নয়। তাই অপূর্ব উক্ত বিষয়ে জামিন হতে চায়।
২.৯ ‘নিমাইবাবু চুপ করিয়া রহিলেন।’- নিমাইবাবুর চুপ করে থাকার কারণ কী?
উত্তর:- গিরীশ মহাপাত্র যে রাজদ্রোহী সব্যসাচী নয়, অপূর্বর এই আশ্বাসে নিমাইবাবু আস্থা রাখলেও সব্যসাচীর প্রখর বুদ্ধি সম্পর্কেও তিনি ওয়াকিবহাল। তাই নিশ্চিত না-হয়ে তিনি চুপ থেকেছেন।
২.১০ ‘দেখি তোমার ট্যাকে এবং পকেটে কী আছে?’- গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাকে ও পকেটে কী কী পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তর:- গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাক থেকে পাওয়া যায় একটি টাকা ও গণ্ডার ছয়েক পয়সা। পকেট থেকে পাওয়া যায় একটা লোহার কম্পাস ও ফুটবুল। এ ছাড়া বিড়ি-দেশলাই ও গাঁজার কলকেও পাওয়া যায়।
২.১১ ‘দেখো জগদীশ, কিরূপ সদাশয় ব্যক্তি ‘ইনি।’ ব্যক্তিটিকে সদাশয় বলা হয়েছে কেন?
উত্তর:-নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে তল্লাশির সময় তার পকেটে গাঁজার কলকে পান। সে-সম্পর্কে প্রশ্ন করলে সে জানায় কলকেটি নিজের চেয়ে অপরের প্রয়োজনার্থেই তার পকেটে। তাই নিমাইবাবুর এই উক্তি।
২.১২ ‘বুড়োমানুষের কথাটা শুনো।’- বুড়ো মানুষ কোন্ কথা বলেছিলেন?
উত্তর:-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে আলোচ্য অংশে বুড়ো মানুষ অর্থাৎ প্রৌঢ় নিমাইবাবু, গিরীশ মহাপাত্রকে তার স্বাস্থ্যের কথা মনে রেখে গাঁজা না-খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
২.১৩ ‘বড়োবাবু হাসিতে লাগিলেন।’- বড়োবাবুর হাসার কারণ কী ছিল?
উত্তর:-গিরিশ মহাপাত্রের উৎকট নেবুর তেলের গন্ধে থানাসুদ্ধ সব লোকের মাথা ধরিয়ে দেওয়ায় জগদীশবাবু তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এটাই বড়োবাবুর হাসির কারণ।
২.১৪ ‘অপূর্ব রাজি হইয়াছিল।’- কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে অপূর্বর সহকর্মী তলওয়ারকরের স্ত্রীর অনুরোধ ছিল বাড়ির কেউ না-আসা পর্যন্ত অপূর্বকে তার হাতে তৈরি মিষ্টান্নে জলযোগ সম্পন্ন করতে হবে। সে-কথায় অপূর্ব রাজি হয়েছিল।
২.১৫ ‘তা ছাড়া এত বড়ো বন্ধু!’- ‘বন্ধু’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে ‘বন্ধু’ বলতে অপূর্বের ঘরের উপরের তলায় বসবাসকারিণী ক্রিশ্চান মহিলার কথা বলা হয়েছে। তিনি অপূর্বর টাকাপয়সা ছাড়া বাকি জিনিস চোরের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন।
২.১৬ ‘ইত্যবসরে এই ব্যাপার।’- কোন্ ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর :- ‘পথের দাবী’ রচনাংশে অপূর্বর সহকর্মী তেওয়ারি, বর্মা নাচ দেখতে ফয়ায় যাওয়ার অবসরে তাদের বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছিল। এই ব্যাপারের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
২.১৭ ‘তিনি আমার আত্মীয়, আমার পিতার বন্ধু।’- ‘তিনি’ বলতে যাঁর কথা বলা হয়েছে, তাঁর পরিচয় দাও।
উত্তর:- উদ্ধৃতাংশে ‘তিনি’ বলতে থানার বড়োবাবু নিমাইবাবুকে বোঝানো হয়েছে। তিনি অপূর্বর বাবার বন্ধু তাই তার পিতৃস্থানীয়। নিমাইবাবুর চাকরির পিছনে অপূর্বর বাবার অবদান ছিল।
২.১৮ ‘তিনি ঢের বেশি আমার আপনার।’- কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করা হয়েছে?
উত্তর:- এক্ষেত্রে ‘তিনি’ হলেন বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক। ইংরেজ পুলিশ নিমাইবাবু অপূর্বর আত্মীয়স্থানীয় হলেও দেশপ্রেমিক সব্যসাচীকে দেশভক্ত অপূর্বর বেশি আপন বলে মনে হয়েছে।
২.১৯ ‘বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে।’- কোন্ সব কথা বললে দুঃখ হতে পারে বলা হয়েছে?
উত্তর:- উদ্ধৃতিটির বস্তা অপূর্বর সহকর্মী তলওয়ারকার। দুঃখ ঘটার মতো কথাগুলি হল ইংরেজ পুলিশ নিমাইবাবু অপূর্বর আত্মীয় হলেও স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মনিয়োগকারী সব্যসাচীই তার বেশি আপন।
২.২০ ‘কই এ ঘটনা তো আমাকে বলেননি।’- কোন্ ঘটনা?
উত্তর:- ‘ঘটনাটি’ হল ‘পথের দাবী’-র কেন্দ্রীয় চরিত্র অপূর্বর বিনা দোষে ফিরিঙ্গি যুবকদের হাতে মার খাওয়া। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভাগ্যে জুটেছিল একরাশ লাঞ্ছনা।
২.২১ ‘মনে হলে দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই।’- কোন্ কথা মনে করে অপূর্বের এই মনোবেদনা?
উত্তর:-অপূর্ব বিনাদোষে ফিরিঙ্গি যুবকদের হাতে মার খাওয়া সত্ত্বেও উপস্থিত ভারতীয়রা অভ্যেসবশত এর কোনো প্রতিবাদ করেনি। এই কথা মনে করেই অপূর্বর এই মনোকষ্ট।
২.২২ ‘আমার ইচ্ছা তুমি একবার সবগুলো দেখে আস।’-কী দেখে আসার কথা হয়েছে?
উত্তর :-‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে অপূর্বর বড়োবাবু তাদের ভামো, ম্যান্ডালে, শোএবো, মিথিলা এবং প্রোমে-এর অফিসগুলির বিশৃঙ্খলা ও গোলযোগের কথা বলেছেন। সেগুলি অপূর্বকে দেখে আসার কথা বলেছেন।
২.২৩ ‘এই সেই গিরীশ মহাপাত্র।’-‘এই সেই’ বলার কারণ কী?
উত্তর:- অপূর্ব গিরীশ মহাপাত্রকে দু-বার দেখেছিল। প্রথমবার থানায় আর দ্বিতীয়বার রেলওয়ে স্টেশনে। অপূর্বর বর্ণনা অনুযায়ী রামদাস সহজেই তাকে চিনে নেয় ও এমন মন্তব্য করে।
২.২৪ ‘কিন্তু তোমার বাপু একটা ভুল হয়েছে,’- কার, কোন্ ভুল হয়েছিল?
উত্তর:- অপূর্বকে প্রথমবার পুলিশ-থানায় দেখে গিরীশ মহাপাত্র তাকে পুলিশের লোক ভাবে। দ্বিতীয়বার রেলস্টেশনে তাদের দেখা হলে, অপূর্ব তার ভুল ভাঙাবার জন্য তাকে এই কথা বলে।
২.২৫ ‘কিন্তু এই হাসিতে তলওয়ারকর যোগ দিল না।’- তলওয়ারকর হাসিতে যোগ দিল না কেন?
উত্তর:- রেলস্টেশনে গিরীশ মহাপাত্রকে একঝলক দেখেই তলওয়ারকর তাকে পুলিশের সন্দেহভাজন বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিক বলে সন্দেহ করেছিল। তাই অপূর্বর হাসির কথায় সে যোগ দিতে পারেনি।
২.২৬ ‘ইহা যে কত বড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটা স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল।’- ‘ভ্রম’টি বলা হয়েছে?
উত্তর:- ভামো যাত্রাকালে ট্রেনে প্রথম শ্রেণির টিকিট থাকায় অপূর্ব রাত্রের ঘুমটা ভালোই হবে ভাবলেও পুলিশি তদন্ত ও ভারতীয় বলে তাকে অসম্মানিত হতে হয়। তার ধারণা ‘ভ্রমে’ পরিণত হয়।
২.২৭ গিরিশ মহাপাত্রের গায়ে কোন্ ধরনের পোশাক ছিল?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে গিরীশ মহাপাত্রের গায়ে ছিল জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি আর তার বুকপকেট থেকে একটি বাঘ-আঁকা রুমালের কিছুটা দেখা যাচ্ছিল। তবে কাঁধে উত্তরীয়ের কোনো বালাই ছিল না।
২.২৮ খানাতল্লাশির পর গিরীশ মহাপাত্রের কাছ থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল?
উত্তর:-‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে খানাতল্লাশির পর গিরীশ মহাপাত্রের কাছ থেকে একটি টাকা, গন্ডা-ছয়েক পয়সা, একটি লোহার কম্পাস, মাপ করার কাঠের ফুটবুল, কয়েকটি বিড়ি, একটি দেশলাই এবং একটি গাঁজার কলকে পাওয়া গিয়েছিল।
২.২৯ ‘অপূর্ব মুগ্ধ হইয়া সেই দিকেই চাহিয়া ছিল- মুগ্ধ অপূর্ব কোন্ দিকে চেয়েছিল?
উত্তর:-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে অপূর্ব মুগ্ধ হয়ে গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত দুটি চোখের দিকে চেয়েছিল।
২.৩০ ‘সে যে বর্মায় এসেছে এ খবর সত্য’- ‘সে’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা বর্মা পুলিশের বড়োকর্তা নিমাইবাবু। তিনি এখানে ‘সে’ বলতে রাজবিদ্রোহী বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিকের কথা বলেছেন।
২.৩১ থানায় আটক করা ছ-জন বাঙালি রেঙ্গুনে এসেছিল কেন?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে থানায় আটক করা ছ-জন বাঙালির প্রত্যেকেই উত্তর ব্রহ্মে বর্মা অয়েল কোম্পানির তেলের খনির কারখানার মিস্ত্রি। কিন্তু জল-হাওয়া সহ্য না-হওয়ায় তারা অন্য কাজের খোঁজে রেঙ্গুনে চলে এসেছিল।
২.৩২ ‘পরকে সেজে দি, নিজে খাঁইনে’- কখন এমন উক্তি করা হয়েছে?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে খানাতল্লাশির সময় গিরীশ মহাপাত্রের কাছে একটি গাঁজার কলকে পাওয়া যায়। গিরীশ জানায় যে, সে বন্ধুবান্ধবদের গাঁজা দিলেও নিজে খায় না। তার এ কথায় চটে গিয়ে জগদীশবাবু প্রশ্নোদ্ভূত উক্তিটি করেছিলেন।
২.৩৩ ‘জগদীশবাবু চটিয়া উঠিয়া কহিলেন’- জগদীশবাবুর চটে ওঠার কারণ কী ছিল?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে গাঁজা খাওয়ার সমস্ত লক্ষণ গিরীশ মহাপাত্রের আচার-আচরণে বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সে গাঁজা খাওয়ার কথা অস্বীকার করেছিল। এ জন্যেই জগদীশবাবু চটে গিয়েছিলেন।
২.৩৪ ‘কিন্তু শখ ষোলোআনাই বজায় আছে’- কোন্ প্রসঙ্গে বস্তা এমন উক্তি করেছেন?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে বর্মা পুলিশের বড়োকর্তা নিমাইবাবু পুলিশের চোখে সন্দেহভাজন হিসেবে ধৃত গিরীশ মহাপাত্রের বেশভূষার বাহার ও পরিপাট্য দেখে; সহাস্যে অপূর্বর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমন মন্তব্য করেছিলেন।
২.৩৫ ‘তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?’- কোন্ বস্তুটি পকেটেছিল?
উত্তর:- ‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে পাওয়া গাঁজার কলকের কথা নিমাইবাবু বলেছেন।
২.৩৬ ‘আজ থেকে মাথায় তুলে নিলাম’- বক্তা কী মাথায় তুলে নিয়েছে?
উত্তর:-‘পথের দাবী’ রচনাংশ অনুসারে অপূর্বর মতে শতসহস্র পরাধীন দেশবাসীকে অবর্ণনীয় অপমান-অত্যাচারের হাত থেকে যে দেশপ্রেমিক বিপ্লবীরা উদ্ধার করতে চায়, তাঁদের সে অন্তরের আপন বলেই মনে করে। তাঁদের আপনার বলে মনে করায় যে দুঃখই থাক তা অপূর্ব সহ্য কর প্রস্তুত। এ দায়িত্বই সে মাথায় তুলে নিয়েছে।