১|
‘শ্রীপান্থ’ ছদ্মনামে লিখেছেন-
(ক) সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
(খ) বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
(গ) সমরেশ বসু
(ঘ) নিখিল সরকার
উত্তর:-(ঘ) নিখিল সরকার
২|
নীচের কোন্ বইটি শ্রীপান্থের লেখা-
(ক)আজব দুনিয়া
(খ)মিছিলনগরী
(গ)আজবনগরী
(ঘ)আনন্দনগরী
উত্তর:-(গ)আজবনগরী
৩|
লেখক যে-অফিসে কাজ করতেন, সেটি হল-
(ক)সরকারি অফিস
(খ)পত্রিকা অফিস
(গ)সওদাগরি অফিস
(ঘ)বেসরকারি অফিস
উত্তর:-(খ)পত্রিকা অফিস
৪|
লেখকের অফিসে সবাই-
(ক)ফাঁকিবাজ
(খ)লেখক
(গ)ইঞ্জিনিয়ার
(ঘ)গম্ভীর
উত্তর:-(খ)লেখক
৫|
লেখকের হাতে ছাড়া আর কারও হাতে কী নেই?
(ক)ঘড়ি
(খ)খসময়
(গ)কাজ
(ঘ)কলম
উত্তর:-(ঘ)কলম
৬|
লেখক ছাড়া তাঁর অফিসের আর সকলের সামনেই রয়েছে-
(ক)কম্পিউটার
(খ)ক্যালকুলেটর
(গ)টাইপরাইটার
(ঘ)টেলিফোন
উত্তর:-(ক)কম্পিউটার
৭|
লেখকের লেখাকে ভালোবেসে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন-
(ক)তাঁর বন্ধু
(খ)তাঁর অধস্তন কর্মচারী
(গ)তাঁর সহকর্মীরা
(ঘ)তাঁর সহকারী
উত্তর:-(গ)তাঁর সহকর্মীরা
৮|
একদিন কোনো কারণে অফিসে কী নিয়ে যেতে ভুলে গেলে বিপদ?
(ক)চাবি
(খ)কলম
(গ)চশমা
(ঘ)ঘড়ি
উত্তর:-(খ)কলম
৯|
কীসে লিখে লেখকের সুখ নেই?
(ক)কম্পিউটারে
(খ)টাইপরাইটারে
(গ)গলা-শুকনো ভোঁতা-মুখ কলমে
(ঘ)ফাউন্টেন পেন-এ
উত্তর:-(গ)গলা-শুকনো ভোঁতা-মুখ কলমে
১০|
বাংলা প্রবাদটি হল-কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি-
(ক)কলমচি
(খ)মুনশি
(গ)লেখক
(ঘ)মন
উত্তর:-(খ)মুনশি
১১|
লেখক ছোটোবেলায় থাকতেন-
(ক)গ্রামে
(খ)শহরে
(গ)মফস্সলে
(ঘ)বিদেশে
উত্তর:-(ক)গ্রামে
১২|
লেখক জন্মেছেন ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধরচনার-
(ক)২০-২৫ বছর আগে
(খ)৩০ বছর আগে
(গ)৫০-৬০ বছর আগে
(ঘ)৭৫ বছর আগে
উত্তর:-(গ)৫০-৬০ বছর আগে
১৩|
লেখকরা ছোটোবেলায় কলম তৈরি করতেন-
(ক)পাখির পালক দিয়ে
(খ)নলখাগড়া দিয়ে
(গ)হাড় দিয়ে
(ঘ)রোগা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে
উত্তর:-(ঘ)রোগা বাঁশের কঞ্চি দিয়ে
১৪|
কলমের কালি ধীরে ধীরে চুইয়ে পড়ার জন্য কী করণীয়?
(ক)কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে
(খ)কলমের মুখটা সার্প করতে হবে
(গ)কলমের মুখটা ঘষে নিতে হবে
(ঘ)কলমের মুখটা একটু ভোঁতা হতে হবে
উত্তর:-(ক)কলমের মুখটা চিরে দিতে হবে
১৫|
লেখকরা হোমটাস্ক করতেন-
(ক)শুকনো তালপাতায়
(খ)কলাপাতায়
(গ)পদ্মপাতায়
(ঘ)শালপাতায়
উত্তর:-(খ)কলাপাতায়
১৬|
অক্ষরজ্ঞানহীনকে লোকে বলে-
(ক)অন্দের কীবা দিন কীবা রাত
(খ)ক’অক্ষর গোমাংস
(গ)কুয়োর ব্যাং
(ঘ)চোখ থাকতেও অন্য
উত্তর:-(খ)ক’অক্ষর গোমাংস
১৭|
ছোটোবেলায় কালি তৈরি করতে লেখকদের সাহায্য করতেন-
(ক)মা-পিসি-দিদিরা
(খ)বাবা-কাকা-দাদারা
(গ)স্কুলের মাস্টারমশাইরা
(ঘ)বন্ধুবান্ধবরা
উত্তর:-(ক)মা-পিসি-দিদিরা
১৮|
ত্রিফলা বলতে যে-তিনটি ফলকে বোঝায়, সেগুলি হল-
(ক)হরীতকী, সুপারি, এলাচ
(খ)হরীতকী, সুপারি, আমলকী
(গ)বহেড়া, হরীতকী, আমলকী
(ঘ)বহেড়া, সুপারি, আমলকী
উত্তর:-(গ)বহেড়া, হরীতকী, আমলকী
১৯|
ছোটোবেলায় লেখকদের বাড়িতে রান্না হত-
(ক)গ্যাসে
(খ)স্টোভে
(গ)সৌর কুকারে
(ঘ)কাঠের উনুনে
উত্তর:-(ঘ)কাঠের উনুনে
২০|
কাঠের উনুনে রান্নার ফলে কড়াইয়ের তলায় জমত-
(ক) কালি
(খ) তেল
(গ) কাঠের গুঁড়ো
(ঘ) ছাই
উত্তর:-(ক) কালি
২১|
কড়াইয়ের তলার কালি ঘষে তোলা হত-
(ক) শিউলি পাতা দিয়ে
(খ) কচু পাতা দিয়ে
(গ) লাউ পাতা দিয়ে
(ঘ) কুমড়ো পাতা দিয়ে
উত্তর:-(গ) লাউ পাতা দিয়ে
২২|
ছোটোবেলায় লেখকদের লেখালেখির প্রথম উপকরণগুলি ছিল-
(ক) খাগের কলম, মাটির দোয়াত, ভুর্জপত্র, ভেষজ কালি
(খ) পালকের কলম, তুলট কাগজ, কাচের দোয়াত, ঘরে বানানো। কালি
(গ) বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, কলাপাতা, ঘরে তৈরি কালি
(ঘ) স্লেট, পেনসিল
উত্তর:-(গ) বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, কলাপাতা, ঘরে তৈরি কালি
২৩|
লেখক প্রাচীন মিশরে জন্মালে কী দিয়ে লিখতেন?
(ক) বাঁশের কঞ্চি
(খ) নলখাগড়ার কলম
(গ) হাড়ের কলম
(ঘ) পালক
উত্তর:-(খ) নলখাগড়ার কলম
২৪|
লেখক প্রাচীন ফিনিসীয় হলে লেখার জন্য ব্যবহার করতেন-
(ক) পালক
(খ) স্টাইলাস
(গ) হাড়
(ঘ) নলখাগড়া
উত্তর:-(গ) হাড়
২৫|
স্টাইলাস’ আসলে কী?
(ক) প্ল্যাটিনাম শলাকা
(খ) লৌহ শলাকা
(গ) ব্রোঞ্জের শলাকা
(ঘ) তামার শলাকা
উত্তর:-(গ) ব্রোঞ্জের শলাকা
২৬|
সিজার কলম দিয়ে কাকে আঘাত করেছিলেন?
(ক) রোমুলাসকে
(খ) কাসকাকে
(গ) হেনরিয়েটাকে
(ঘ) ডরোথিকে
উত্তর:-(খ) কাসকাকে
২৭|
চিনারা চিরকাল লিখে আসছে-
(ক) তুলিতে
(খ) খাগড়ার কলমে
(গ) ব্রোঞ্জের শলাকাতে
(ঘ) কুইলে
উত্তর:-(ক) তুলিতে
২৮|
জ্ঞানাঞ্জন- শলাকা ‘ আসলে-
(ক) কাজল পরার কাঠিবিশেষ
(খ) কলম
(গ) পেনসিল
(ঘ) হাড় থেকে তৈরি পেনবিশেষ
উত্তর:-(খ) কলম
২৯|
খাগের কলম একমাত্র দেখা যায়-
(ক) নববর্ষের সময়
(খ) হাতেখড়ির সময়
(গ) সরস্বতী পূজার সময়
(ঘ) পরীক্ষার সময়
উত্তর:-(গ) সরস্বতী পূজার সময়
৩০|
সরস্বতী পুজোর সময় কাচের দোয়াতে কালির বদলে থাকে-
(ক) জল
(খ) দুধ
(গ) রং
(ঘ) মধ
উত্তর:-(খ) দুধ
৩১|
কুইল হল-
(ক) খাগের কলম
(খ) পালকের কলম
(গ) খাগড়ার কলম
(ঘ) কঞ্চির কলম
উত্তর:-(খ) পালকের কলম
৩২|
‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’ কথাটি কাদের বলা হত।
(ক) গরম গরম ইংরেজি বলা বাঙালি সাংবাদিকদের
(খ) সরল হিন্দি ভাষায় কথা বলা সাংবাদিকদের
(গ) ভাঙা ভাঙা হিন্দিভাষী সাংবাদিকদের
(ঘ) সাবলীল বাংলাভাষী সাংবাদিকদের
উত্তর:-(ক) গরম গরম ইংরেজি বলা বাঙালি সাংবাদিকদের
৩৩|
‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’ কথাটি বলেছেন-
(ক) লর্ড বেন্টিঙ্ক
(খ) লর্ড কার্জন
(গ) উইলিয়াম কেরি
(ঘ) হেস্টিংস
উত্তর:-(খ) লর্ড কার্জন
৩৪|
পালকের কলম এখন দেখতে পাওয়া যায়-
(ক) পত্রিকার অফিসে
(খ) সরস্বতী পুজোর সময়
(গ) বিশ্বকর্মা পুজোর সময়
(ঘ) পুরোনো দিনের তৈলচিত্র ফোটোগ্রাফে
উত্তর:-(ঘ) পুরোনো দিনের তৈলচিত্র ফোটোগ্রাফে
৩৫|
কার ছবিতে সামনে দোয়াতে গোঁজা পালকের কলম দেখা যায়?
(ক) দেবী সরস্বতীর
(খ) রবীন্দ্রনাথের
(গ) উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের
(ঘ) বিদ্যাসাগরের
উত্তর:-(গ) উইলিয়াম জোন্স কিংবা কেরি সাহেবের
৩৬|
লেখকের মতে তিনিই হলেন দার্শনিক, যিনি-
(ক) দর্শনের অধ্যাপক
(খ) কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন
(গ) চোখে চশমা এঁটে বই পড়েন
(ঘ) ভাবের জগতে থাকেন
উত্তর:-(খ) কানে কলম গুঁজে দুনিয়া খোঁজেন
৩৭|
লেখক ছেলেবেলায় কাকে পায়ের মোজায় কলম রাখতে দেখেছিলেন?
(ক) মন্ত্রীমশাইকে
(খ) দারোগাবাবুকে
(গ) মাস্টারমশাইকে
(ঘ) পণ্ডিতমশাইকে
উত্তর:-(খ) দারোগাবাবুকে
৩৮|
কোনো কোনো অতি আধুনিক ছেলে কোথায় কলম রাখে?
(ক) বুক-পকেটে
(খ) কাঁধের ছোট্ট পকেটে
(গ) পাঞ্জাবির পকেটে
(ঘ) পায়ের মোজায়
উত্তর:-(খ) কাঁধের ছোট্ট পকেটে
৩৯|
কায়স্থ’ আর ‘রাজপুত’-কে চেনা যায় যথাক্রমে-
(ক) কলম ও গায়ের রঙে
(খ) কলম ও গোঁফে
(গ) আভিজাত্য ও গোঁফে
(ঘ) দেশপ্রেম ও সত্যবাদিতায়
উত্তর:-(খ) কলম ও গোঁফে
৪০|
কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চন্ডী পড়েন-
(ক) কালীঘাটে
(খ) বাবুঘাটে
(গ) গঙ্গাঘাটে
(ঘ) খেয়াঘাটে
উত্তর:-(ক) কালীঘাটে
৪১|
দেশে সবাই সাক্ষর না-হলেও কলম এখন-
(ক) অস্পৃশ্য
(খ) সর্বজনীন
(গ) দুর্লভ
(ঘ) মহার্ঘ
উত্তর:-(খ) সর্বজনীন
৪২|
কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটায়-
(ক) ব্রোঞ্জের শলাকা
(খ) বল-পেন
(গ) ফাউন্টেন পেন
(ঘ) কুইল বা পালকের পেন
উত্তর:-(গ) ফাউন্টেন পেন
৪৩|
ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম ‘ঝরনা কলম’ দেন-
(ক) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(খ) শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
উত্তর:-(গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৪৪|
ফাউন্টেন পেনের স্রষ্টা-
(ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(খ) লুইস অ্যাডসন
(গ) পিটার পার্কার
(ঘ) লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান
উত্তর:-(ঘ) লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান
৪৫|
লেখক প্রথম যে-ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন, তার নাম হল-
(ক) পার্কার
(খ) শেফার্ড
(গ) ওয়াটারম্যান
(ঘ) জাপানি পাইলট
উত্তর:-(ঘ) জাপানি পাইলট
৪৬|
লেখক তাঁর প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কবে নাগাদ কেনেন?
(ক) প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর
(খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
(গ) ভারতের স্বাধীনতার পর
(ঘ) ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময়
উত্তর:-(খ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর
৪৭|
বিখ্যাত লেখক শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেনের সংগ্রহ ছিল-
(ক) ডজন খানেক
(খ) হাফ ডজন
(গ) ডজন দুয়েক
(ঘ) ডজন তিনেক
উত্তর:-(গ) ডজন দুয়েক
৪৮ |
শৈলজানন্দ ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশা পেয়েছিলেন-
(ক) শরৎচন্দ্রের থেকে
(খ) রবীন্দ্রনাথের থেকে
(গ) অবনীন্দ্রনাথের থেকে
(ঘ) তারাশঙ্করের থেকে
উত্তর:-(ক) শরৎচন্দ্রের থেকে
৪৯ |
আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল-
(ক) ঝরনা কলম
(খ)রিজার্ভার পেন
(গ)ওয়াটারম্যান
(ঘ)শেফার্ড
উত্তর:-(খ)রিজার্ভার পেন
৫০ |উন্নতমানের ফাউন্টেন পেনের নির্মাতা কে ছিলেন?
(ক) ওয়াটারম্যান
(খ)লুইস ওয়াল্টার
(গ)অ্যান্ডারসন
(ঘ)জন স্টিভেনসন
উত্তর:-(ক) ওয়াটারম্যান
৫১ |লেখক কঞ্চির কলমকে ছুটি দেন-
(ক)শহরে হাই স্কুলে ভরতির পর
(খ)কলেজে ওঠার পর
(গ)এমএ পরীক্ষার সময়
(ঘ)চাকরিতে ঢোকার পর
উত্তর:-(ক)শহরে হাই স্কুলে ভরতির পর
৫২ |
বিদেশে উন্নত ধরনের টেকসই নিব তৈরি হত-
(ক) বাঁশ বা কঞ্চি কেটে
(খ) পালক কেটে
(গ) গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল কেটে
(ঘ) প্ল্যাটিনাম কেটে
উত্তর:-(গ) গোরুর শিং বা কচ্ছপের খোল কেটে
৫৩ |
প্রথম দিকে লেখা শুকনো করা হত-
(ক) বালি দিয়ে
(খ) ব্লটিং পেপার দিয়ে
(গ) চক দিয়ে
(ঘ) কাপড়ের টুকরো দিয়ে
উত্তর:-(ক) বালি দিয়ে
৫৪ |
প্রথম দিকে বালি দিয়ে কালি শুকনো করলেও পরের দিকে তা করা হত-
(ক) ব্লটিং পেপার দিয়ে
(খ) চক দিয়ে
(গ) শুকনো কাপড় দিয়ে
(ঘ) কোনোটিই নয়
উত্তর:-(ক) ব্লটিং পেপার দিয়ে
৫৫ |
সোনার দোয়াত কলমের সত্যতা লেখক জেনেছিলেন-
(ক) অবনীন্দ্রনাথের দোয়াত সংগ্রহ থেকে
(খ) শৈলজানন্দের কাছ থেকে
(গ) সুভো ঠাকুরের দোয়াত সংগ্রহ দেখে
(ঘ) শরৎচন্দ্রের কলম সংগ্রহ থেকে
উত্তর:-(গ) সুভো ঠাকুরের দোয়াত সংগ্রহ দেখে
৫৬ |
ফাউন্টেন পেনের পর বাজারে এল-
(ক) খাগের কলম
(খ) কঞ্চির কলম
(গ) বল-পেন
(ঘ) পালকের কলম
উত্তর:-(গ) বল-পেন
৫৭ |
কম্পিউটার কাদের জাদুঘরে পাঠাবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে?
(ক) খাগের কলমকে
(খ) ফাউন্টেন পেনকে
(গ) বল-পেনকে
(ঘ) সব কলমকে
উত্তর:-(ঘ) সব কলমকে
৫৮ |
যারা ওস্তাদ কলমবাজ তাদের বলা হত-
(ক) ক্যালিগ্রাফিস্ট
(খ) স্টেনোগ্রাফার
(গ) টাইপিস্ট
(ঘ) জার্নালিস্ট
উত্তর:-(ক) ক্যালিগ্রাফিস্ট
৫৯ |
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় লেখকের বয়স কত বলে
(ক) চল্লিশ-পঞ্চাশ
(খ) পঞ্চাশ-ষাট
(গ) পঁয়তাল্লিশ-পঞ্চাশ
(ঘ) ষাট-সত্তর
উত্তর:-(খ) পঞ্চাশ-ষাট
৬০ |
উনিশ শতকে বত্রিশ হাজার অক্ষর লেখানোর পারিশ্রমিক ছিল-
(ক) আটআনা
(খ) ষোলোআনা
(গ) বারোআনা
(ঘ)
উত্তর:-(গ) বারোআনা
১|’হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থের আসল নাম কী?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপার্শ্বের আসল নাম নিখিল সরকার।
২|’… লেখে তিনজন।’- এই তিনজন কে কে?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে বর্ণিত বাংলা প্রবাদ অনুযায়ী এই তিনজন হল- কালি, কলম আর মন।
৩|লেখক যেখানে কাজ করেন সেটা কীসের অফিস?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থ যেখানে কাজ করেন, সেটা লেখালেখির অফিস।
৪|’কিন্তু আমি ছাড়া কারও হাতে কলম নেই।-কেন?
উত্তর:-লেখক শ্রীপান্থ কাজ করতেন একটি সংবাদপত্র অফিসে। সেখানে চারে মাতা ইবনির কামে লিখতেন, বাকি সকলেই লিখতেন কম্পিউটারে। তাই কারও হাতে কলম থাকত না।
৫|লেখকরা মাঝে মাঝে লেখা থামিয়ে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন কেন?
উত্তর:-লেখকরা ইতিমধ্যে যা লিখেছেন, তা পর্দায় ফুটে উঠেছে। সেগুলি পড়ার জন্যই তাঁরা মাঝে মাঝে পর্দার দিকে তাকাচ্ছেন।
৬|কারা, কীভাবে লেখকের লেখাকে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন?
উত্তর:-লেখকের সহকর্মীরা তাঁকে ভালোবেসে তাঁর লেখা কম্পিউটারে টাইপ করে ছাপার জন্য তৈরি করে দেন।
৭|’একদিন যদি কোনও কারণে কলম নিয়ে যেতে ভুলে যাই তবেই বিপদ। কী ধরনের বিপদের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-লেখক শ্রীপাশ্বের অফিসে তিনি ছাড়া সকলেই কম্পিউটারে লিখতেন। কলম নিতে ভুলে গেলে কলম পাওয়া ভার ছিল। আর পেলেও তাতে তিনি লিখে সুখ পেতেন না।
৮|’দায়সারা ভাবে কোনও মতে সেদিনকার মতো কাজ সারতে হয়।-বস্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
উত্তর:-লেখক অফিসে কলম নিয়ে না-এলে সেদিন তাঁর লেখায় ব্যাঘাত ঘটত। চেষ্টা করে যদিও-বা ভোঁতামুখ একখানি কলম জুটত, তাতে লিখে সুখ পেতেন না। লেখক কাজটি তখন দায়সারাভাবে সারতেন।
৯|’কালগুণে বুঝি বা আজ আমরাও তা-ই’- বক্তব্যটি পরিস্ফুট করো।
উত্তর:-লেখকের লেখালেখির অফিস, অথচ কলম নেই। তাই ‘কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি’ প্রবাদটির মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন আমরাও যেন তা অনুসরণ করছি।
১০|’বড়োরা শিখিয়ে দিয়েছিলেন,’ বড়োরা কী শিখিয়ে দিয়েছিলেন?
উত্তর:-লেখকরা ছোটোবেলায় বাঁশের কঞ্চি দিয়ে কলম বানাতেন। বড়োরা তখন কলমের মুখটা সরু করার সঙ্গে সঙ্গে চিরে দেওয়ার কথাও শিখিয়ে দিতেন, কালি যাতে চুইয়ে পড়ে।
১১|’আর সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যেতাম স্কুলে।’-‘সেগুলি’ বলতে কীসের কথা বলা হয়েছে।
উত্তর:-লেখকরা ছোটোবেলায় কলাপাতাকে কাগজের মতো করে কেটে তাতে স্কুলের কাজ করতেন। মাস্টারমশাইকে দেখানোর জন্য সেগুলি বান্ডিল করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
১২|গোরু খেয়ে নিলে অমলাল/- গোরুকী খেয়ে নিলে অমঙ্গল এবং সেই অমঙ্গল এড়ানোর জন্য কী করা হত?
উত্তর:-যে-কলাপাতায় লেখকরা আটোবেলায় গ্রোমটাস্ক করতেন, সেগুলি বাইরে ফেললে যদি গোরু খেয়ে নেয়, তবে অমঙ্গল হতে পারে। অমঙ্গাল এড়াতে সেগুলো পুকুরে ফেলে দেওয়া হত।
১৩|’আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই। -কালি তৈরির পদ্ধতিটি কীরূপ ছিল।(অথবা, লেখকেরা কীভাবে সহজ পদ্ধতিতে কালি তৈরি করতেন।)
উত্তর:-কড়াইয়ের ভুসো কালি জলে গুলে তাতে হরীতকী ঘষে বা আতপ চাল পোড়া মিশিয়ে, সবশেষে খুস্তিকে লাল করে পুড়িয়ে সেই জলে ছ্যাঁকা দিয়ে কালি তৈরি হত।
১৪|’দোয়াত মানে মাটির দোয়াত।’-‘দোয়াত’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর:-‘দোয়াত’ হল কালি রাখার পাত্র। ছোটোবেলায় কালি তৈরির পর ন্যাকড়ায় ছেঁকে লেখকরা মাটির দোয়াতে ঢেলে রাখতেন। দোয়াত মাটি ছাড়াও কাচ ও অন্যান্য ধাতুর হত।
১৫|প্রাচীনদের কালি তৈরি প্রসঙ্গে অভিমত কী ছিল?
উত্তর:-প্রাচীনেরা তিল, ত্রিফলা আর শিমুল ছাল ছাগলের দুধে ফেলে লোহার পাত্রে রেখে অন্য একটি লোহার খুন্তি দিয়ে উপকরণগুলি ঘষে কালি বানাতেন।
১৬|লেখক ভারতে না-জন্মে যদি প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন তবে কী করতেন।
উত্তর:-লেখক যদি ভারতে না-জন্মে প্রাচীন মিশরে জন্মাতেন তবে, নীলনদের তীর থেকে নলখাগড়া ভেঙে সেটাকে ভোঁতা করে তুলি কিংবা ছুঁচোলো করে কলম বানাতেন।
১৭|’কলম সেদিন খুনিও হতে পারে বইকি।- বক্তব্যটি
স্পষ্ট করো।
উত্তর:-খ্রিস্টের জন্মের আগে রোমের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার ব্রোঞ্জের কলম বা স্টাইলাস দিয়ে কাসকাকে আঘাত করেছিলেন। সে-কথাই এখানে বলা হয়েছে।
১৮|’পালকের কলমও আর চোখে পড়ে না। ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ থেকে পালকের কলম সম্পর্কে কী জানা যায়? (অথবা, কুইল কী?
উত্তর:-পালকের কলমের ইংরেজি নাম ‘কুইল’। কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের ইংরেজি দেখে নাম দেন ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’। এখন এই ‘কুইল’ কেবল পুরোনো দিনের ছবিতেই দেখা যায়।
১৯|’যন্ত্রটা এক ধরনের পেনসিল সার্পনারের মতো।’ -কোন্ যন্ত্রের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-পালককে কেটে কলম বানানোর জন্য সাহেবরা একটা ছোটো যন্ত্র বের করেছিলেন। যার মধ্যে পালক ঢুকিয়ে চাপ দিলেই তৈরি হয়ে যেত কলম, সেই কথাই বলা হয়েছে।
২০|কলম বিক্রি পেশা সম্পর্কে ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লেখক কী বলেছেন?
উত্তর:-শ্রীপান্থ তাঁর প্রবন্ধে কলম বিক্রির পেশা সম্পর্কে এক বিদেশি সাংবাদিকের কথার প্রতিধ্বনি করে বলেছেন যে, ‘চৌরঙ্গির ফুটপাতের প্রতি তিনজন বিক্রেতার একজন হলেন কলম বিক্রেতা।’
২১|’ও দিদি, আপনার খোঁপায় কলম।’-প্রসঙ্গটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:-অনেক সময় ভিড় ট্রামে-বাসে যাতায়াত করতে গিয়ে কারও বুক-পকেটে রাখা পেন আটকে যায় কোনো মহিলা যাত্রীর খোঁপায়। সেই প্রসঙ্গেই বক্তার এমন সরস মন্তব্য।
২২|’কলম তাদের কাছে অস্পৃশ্য।’-কেন?
উত্তর:-বর্তমানে ডট-পেন বা বল-পেনের রমরমার যুগে কলম অত্যন্ত সস্তা ও সর্বভোগ্য হয়ে পড়েছে। পকেটমারদের কাছে তাই হাতসাফাইয়ের বস্তু হিসেবে কলম অস্পৃশ্য।
২৩|’আবার তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে।- কে, কেন কালির সন্ধানে ছুটেছিলেন?
উত্তর:-ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কর্তা লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করার সময় দোয়াত উলটে সব কালি পড়ে যায়। তখন তিনি কালির সন্ধানে ছোটেন।
২৪|’জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।’- ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্তটি উল্লেখ করো।
উত্তর:-লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান একবার এক চুক্তিপত্র সই করার সময় দোয়াত উলটে যাওয়ায় চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। এরই বিহিত করতে তিনি ফাউন্টেন পেন আবিষ্কার করেন।
২৫|লেখক কোথা থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন?
উত্তর:-লেখক শ্রীপান্থ দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের বেশ কয়েক বছর পরে কলকাতার কলেজ স্ট্রিটের এক নামি দোকান থেকে তাঁর জীবনের প্রথম ফাউন্টেন পেনটি কিনেছিলেন।
২৬|পেনের নিব ঠিক আছে কিনা তা দোকানদার কীভাবে লেখককে দেখিয়েছিলেন?
উত্তর:-দোকানদার টেবিলের একপাশে দাঁড় করানো একটা কাঠের
২৭|’এই নেশা পেয়েছি আমি শরৎদার কাছ থেকে।-কোন্ নেশার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে প্রবন্ধকার শ্রীপান্থ শৈলজানন্দের ফাউন্টেন পেন সংগ্রহের নেশার কথা বলেছেন। তাঁর সংগ্রহে মূল্যবান কলম ছিল প্রায় দু-ডজন।
২৮|লেখক হাই স্কুলে পড়ার সময় কী ধরনের কালি ব্যবহার করতেন?
উত্তর:-হাই স্কুলে পড়ার সময় লেখক লাল, নীল কালির ট্যাবলেট দিয়ে কালি বানাতেন। এ ছাড়া দোয়াতে আর বোতলে তৈরি কালিও পাওয়া যেত।
২৯|’অবাক হয়ে সেদিন মনে মনে ভাবছিলাম।’- লেখক কী ভাবছিলেন?
উত্তর:-সুভো ঠাকুরের বিখ্যাত দোয়াত সংগ্রহ দেখে লেখক শ্রীপান্থ ভেবেছিলেন যে, শেকসপিয়র থেকে শুরু করে আমাদের শরৎচন্দ্র পর্যন্ত সাহিত্য ও ইতিহাসের বিখ্যাত চরিত্ররা সেইসব দোয়াত ব্যবহার করেই অমর সব রচনা লিখে গেছেন।
৩০|’যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি।’-কী ধরনের দাবির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-ফাউন্টেন পেনের বিজ্ঞাপনে ব্যক্তিবিশেষের চাহিদা ও পছন্দের কথা প্রসঙ্গে শ্রীপান্থের এই উক্তি। কোম্পানি বিভিন্ন শ্রেণির লেখকদের জন্য সাতশো রকমের নিব ও ধনীদের জন্য সোনায় গড়া হিরে বসানো কলমও তৈরি করেছিল।
৩১|’কিন্তু ইতিহাসে ঠাঁই কিন্তু তার পাকা।’- কার, কেন ইতিহাসে ঠাঁই পাকা?
উত্তর:-কম্পিউটারের যুগে কলমের সুদিনের অবসান হয়েছে। তবু ইতিহাসে কলমের স্থান পাকা। মোগল-সহ বিশ্বের সব দরবারেই লিপিকুশলীরা বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে এসেছেন এই কলম দিয়ে লিখেই।
৩২|শ্রীপান্থের লেখা ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধটি থেকে আঠেরো শতকের লিপিকরদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী জানতে পারা যায়?
উত্তর:-অষ্টাদশ শতকে একজন লিপিকর চারখন্ড রামায়ণ কপি করে পেয়েছিলেন নগদ সাত টাকা, কিছু কাপড় আর মিঠাই।
৩৩|’সম্ভবত শেষ পর্যন্ত নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন একমাত্র সত্যজিৎ রায়।’-এ কথার যৌক্তিকতা কতখানি?
উত্তর:-সত্যজিৎ রায়ের লিপিশিল্পের প্রতি আকর্ষণ সর্বজনবিদিত। তাঁর হস্তলিপির কুশলতা তাঁর অন্যান্য শিল্পকর্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই তিনিই কেবল নিবের কলমের মানমর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
৩৪|’মনে মনে সেই ফরাসি কবির মতো বলেছি-ফরাসি কবি কী বলেছিলেন?
উত্তর:-ফরাসি কবি বলেছিলেন-‘তুমি সবল, আমি দুর্বল। তুমি সাহসী, আমি ভীরু। তবু যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে চাও, আচ্ছা, তবে তা-ই হোক। ধরে নাও আমি মৃত।’
৩৫|’সেই আঘাতেরই পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু।’-কোন্ আঘাতের পরিণতির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-বাংলা সাহিত্যে ‘কঙ্কাবতী’ ও ‘ডমরুধর’-এর স্রষ্টা ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় নিজের হাতের কলম অসাবধানতাবশত বুকে বিঁধে মারা যান। সেই ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
৩৬|’দোয়াত যে কত রকমের হতে পারে’- প্রবন্ধে কত রকমের দোয়াতের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কমল’ প্রবন্ধে লেখক মাটির, কাচের, কাট-গ্লাসের, পোর্সেলিনের, শ্বেতপাথরের, জেডের, পিতলের, ব্রোঞ্জের, ভেড়ার শিংয়ের ও সোনার তৈরি দোয়াতের কথা বলেছেন।
৩৭|লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কীসে ‘হোম-টাস্ক’ করতেন?
উত্তর:-লেখক শ্রীপান্থ ছোটোবেলায় কলাপাতা কেটে কাগজের মতো সাইজ করে নিয়ে তাতে ‘হোম-টাস্ক’ করতেন।
৩৮|’খাগের কলম দেখা যায় একমাত্র সরস্বতী পুজোর সময়’- কেন এমন বলা হয়েছে?
উত্তর:-এখনকার স্কুলের ছেলেমেয়েরা কলমে লেখে। শহর কিংবা গ্রাম কোথাও আর বাঁশের কঞ্চির কলমের কোনো ব্যবহার নেই। তাই সরস্বতী পুজোর সময়েই একমাত্র খাগের কলম দেখা যায়।
৩৯|ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক কে?
উত্তর:-ফাউন্টেন পেনের আবিষ্কারক হলেন লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান।
৪০|’নামটা রবীন্দ্রনাথের দেওয়াও হতে পারে’- রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নামটি কী?
উত্তর:-রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ফাউন্টেন পেনের নামটি হল ঝরনা কলম।
৪১|দুজন সাহিত্যিকের নাম করো যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা।
উত্তর:-শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় এবং শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হলেন সেই দুজন সাহিত্যিক, যাঁদের নেশা ছিল ফাউন্টেন পেন সংগ্রহ করা। মাধ্যমিক বাংলা সহায়িকা-৬
৪২|লেখক ছোটোবেলায় কেমন করে কলম তৈরি করতেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে লেখকেরা রোগা বাঁশের কঞ্চি কেটে কলম তৈরি করতেন। আর কলম শুধু ছুঁচোলো হলেই হত না, তার মুখটাও চিরে দিতে হত।
৪৩|’দার্শনিক তাঁকেই বলি’- কাকে প্রাবন্ধিক দার্শনিক বলেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক; যিনি কানে কলম গুঁজে রেখে তা সারাদুনিয়ায় খুঁজে বেড়ান, তাকেই দার্শনিক আখ্যা দিয়েছেন।
৪৪|’… দু’একটা পাশ দিতে পারলেই বুড়ো বুড়িরা আশীর্বাদ করতেন- কী বলে আশীর্বাদ করতেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে দু-একটা পাস দিতে পারলেই বুড়োবুড়িরা আশীর্বাদ করে বলতেন, বেঁচে থাকো বাছা তোমার সোনার দোয়াত-কলম হোক।
৪৫|’আমি যেখানে কাজ করি’- লেখক কোথায়, কাজ করতেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার লেখক একটি লেখালেখির অফিস তথা সংবাদপত্রের অফিসে সাংবাদিকতার কাজ করতেন।
৪৬|’ভাবি, আচ্ছা, আমি যদি যিশু খ্রিস্টের আগে জন্মাতাম’- তাহলে কী হত বলে লেখক মনে করেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে লেখক মনে করেন তিনি জিশু খ্রিস্টের আগে জন্মালে হয়তো নলখাগড়া ভেঙে ভোঁতা করে তুলি বানিয়ে কিংবা বন থেকে হাড় কুড়িয়ে কলম তৈরি করে, মিশরীয় বা ফিনিসীয়দের মতো লিখতেন।
৪৭|’মোগল দরবারে একদিন তাদের কত না খাতির, কত না সম্মান’- এখানে তাঁদের বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে, এখানে ‘তাঁদের’ বলতে ‘ক্যালিগ্রাফিস্ট’ বা লিপিকুশলী ওস্তাদ কলমবাজদের কথা বলা হয়েছে।
৪৮|’যার পোশাকি নাম স্টাইলাস’- ‘স্টাইলাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:-রোম সাম্রাজ্যের অধীশ্বর জুলিয়াস সিজার যে-ব্রোঞ্ছের শলাকা বা কলম ব্যবহার করতেন, তার পোশাকি নাম ছিল ‘স্টাইলাস’।
৪৯|’কুইল ড্রাইভারস’ কাদের বলা হত?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে, পালকের কলমকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘কুইল’। লর্ড কার্জন বাঙালি সাংবাদিকদের গরম গরম ইংরেজি দেখে তাঁদের ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’ আখ্যা দিয়েছিলেন।
৫০|কালি তৈরির উৎকৃষ্ট পদ্ধতি সম্পর্কে প্রাচীনদের বলা ছড়া বা প্রচলিত প্রবাদটি উল্লেখ করো।
(অথবা, ‘প্রাচীনেরা বলতেন’-প্রাচীনেরা কী বলতেন?
উত্তর:-হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে উল্লিখিত প্রাচীনদের বলা ছড়াটি হল, ‘তিল ত্রিফলা সিমূল ছালা/ছাগ দুগ্ধে করি মেলা/লৌহপাত্রে লৌহায় ঘসি/ছিঁড়ে পত্র না ছাড়ে মসি।’
৫১|’যন্ত্রযুগ সকলের দাবি মেটাতেই তৈরি।’- কী ধরনের দাবির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে এক ফাউন্টেন পেন কোম্পানির বিজ্ঞাপনে ছিল গায়ক, স্টেনোগ্রাফার, লেখক প্রভৃতি বিভিন্ন পেশার মানুষদের জন্য তাদের সাতশো রকম নিবের বন্দোবস্ত রয়েছে। অর্থাৎ যন্ত্রযুগ সকলের চাহিদা পূরণের জন্যই প্রস্তুত এ কথাই লেখক বলেছেন।
৫২|ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলে?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে মধ্যযুগে এবং তার পরবর্তীকালে যাঁরা ছিলেন ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপিকুশলী, যে- সমস্ত লিপিকরদের লেখা পুথি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়, তাদের বলা হত ক্যালিগ্রাফিস্ট।
৫৩|’বাংলায় একটা কথা চালু ছিল’- কথাটি কী?
উত্তর:-পাঠ্য রচনা অনুসারে চালু কথাটি হল, ‘কালি নেই, কলম নেই, বলে আমি মুনশি।’
৫৪|’তখন মনে কষ্ট হয় বই-কী।’- কখন মনে কষ্ট হয়?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে লেখকদের প্রথম লেখালেখির সূত্রপাত ঘটেছিল বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতায়। কিন্তু পরে সে-সমস্তই কালের নিয়মে হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হলে তার মনে এমন অনুভূতি হয়েছিল।
৫৫|’এই দেখো। নিব ঠিক আছে।- কোন ঘটনায় বস্তা এরূপ বলেছিলেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে এক দোকানি লেখককে একটি জাপানি পাইলট কলম দেখিয়ে আচমকা খাপ সরিয়ে সেটি ছুড়ে দিয়েছিলেন টেবিলের এক পাশে দাঁড় করানো একটি কাঠের বোর্ডের ওপর। তারপর অক্ষত কলমটি বোর্ড থেকে খুলে নিয়ে তিনি আলোচ্য মন্তব্যটি করেছিলেন।
৫৬|কোন্ প্রধান কবি বা লেখক টাইপরাইটারে লিখতেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় টাইপরাইটারে লিখতেন।
৫৭|’কঙ্কাবতী’ এবং ‘ডমরুধর’ উপন্যাস দুটির লেখক কে বা কারা?
উত্তর:-‘কঙ্কাবতী’ এবং ‘ডমরুধর’ উপন্যাস দুটিরই লেখক হলেন ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়।
৫৮|’ওর কাছে ক’অক্ষর গোমাংস’-‘ক’অক্ষর গোমাংস কথার অর্থ কী?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে ‘ক’অক্ষর গোমাংস’ বলতে অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষকে বোঝানো হয়। যার অর্থ গোরুকে অক্ষর খাওয়ালে পাপ কিংবা অমঙ্গল হয়।
৫৯|পকেটমাররা এখন আর কলম নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না কেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধের লেখক শ্রীপান্থর মতে কলম এখন এতই সস্তা এবং সর্বভোগ্য হয়ে গেছে যে, পকেটমাররাও আর তা নিয়ে হাত সাফাইয়ের খেলা দেখায় না।
৬০|’রিজার্ভার পেন’ কী?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে আদিতে ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল ‘রিজার্ভার পেন’। লুই ওয়াটারম্যান তাকেই অনেক উন্নত করে ফাউন্টেন পেন তৈরি করেন।
৬১|’কিন্তু সেসব ফাঁকি মাত্র।’- তাৎপর্য লেখো।
উত্তর:-পালক কলম অর্থাৎ কুইল এবং দোয়াত কলমের পরিবর্তে অফিসে ছদ্মবেশী বল-পেন সাজানো থাকে, যাকে লেখক বলেছেন ‘ফাঁকি মাত্র’।
৬২|’আমি যদি হতাম স্বয়ং জুলিয়াস সিজার’- তাহলে কী হত?
উত্তর:-লেখক শ্রীপান্থ কল্পনা করেছেন তিনি জুলিয়াস সিজার হলে শ্রেষ্ঠ কারিগরেরা তাঁর হাতে বড়োজোর একটা স্টাইলাস নামের ব্রোঞ্জের শলাকা তুলে দিত, এর বেশি কিছু নয়।
৬৩|’আমরা এতকিছু আয়োজন কোথায় পাব?- ‘এতকিছু আয়োজন’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর:-ভালো কালি তৈরি করতে তিল, ত্রিফলা ও শিমূলের ছাল ছাগলের দুধে ফেলে লোহার পাত্রে রেখে, আর একটি লোহার খুন্তি দিয়ে ঘষে কালি বানাতে হত। এখানে এই আয়োজনের কথাই বলা হয়েছে।
৬৪|’ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ- বিপদটি কী?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে ফাউন্টেন পেনের এক বিপদ হল তা লেখককে নেশাগ্রস্ত করে। লেখক পয়সাওয়ালা হলে তাঁকে দামি কলম সংগ্রহের নেশায় পেয়ে বসে।
৬৫|’এত বছর পরে সেই কলম যখন হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম’- কলম হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম কেন?
উত্তর:-শ্রীপার্শ্বের মতে ফাউন্টেন, বল-পেন কিংবা ডট-পেনের বহুল প্রচলনের ফলে বাঁশের কলম আজ হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম।
৬৬|’আশ্চর্য সবই আজ অবলুপ্তির পথে’- কেন এমন মন্তব্য?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায় বিভিন্ন ধরনের দামি ও মূল্যবান কলম প্রসঙ্গে আলোচনাকালে, বর্তমান যুগে কম্পিউটারের দৌরাত্ম্যে এসবের কোণঠাসা অবস্থা বোঝাতে প্রাবন্ধিকের এমন মন্তব্য।
৬৭|’না দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত’- কী না-দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনার লেখক শ্রীপান্থর মতে কাচ, কাটগ্লাস থেকে ভেড়ার শিং কিংবা সোনা; দোয়াত যে কত রকমের হয় তা না-দেখলে বিশ্বাস করা শক্ত।
৬৮|’তাঁর অনেক সুস্থ সুন্দর নেশার একটি ছিল লিপিশিল্প- কার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর:-প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনায়। এখানে সত্যজিৎ রায়ের কথা বলেছেন।
৬৯|’সেই আমার কলম’-এখানে বক্তা কী জাতীয় কলমের কথা বলেছেন?
উত্তর:-প্রাবন্ধিক শ্রীপান্থ এখানে ফিনিসীয়দের ব্যবহৃত হাড়-জাতীয় কলমের কথা বলেছেন।
৭০|’ক্রমে হঠিয়ে দেওয়া হল দোয়াত আর কলমকে।’- কীভাবে হঠিয়ে দেওয়া হল?
উত্তর:-সস্তা, দামি, উন্নত নানা ধরনের ফাউন্টেন পেনের সম্ভার বাজারকে গ্রাস করে নেয়। ফলে দোয়াত এবং কলমের প্রচলন কমতে থাকে, ক্রমশ বাজার থেকে তা সরে যেতে থাকে।
৭১|বিদেশে উন্নত ধরনের নিব কী দিয়ে তৈরি হত?
উত্তর:-শ্রীপান্থর ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে বিদেশে গোরুর শিং কিংবা কচ্ছপের খোল কেটে টেকসই ও উন্নত ধরনের নিব তৈরি হত।
৭২|লেখা শুকোনোর জন্য কী কী ব্যাবহার করা হত।
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে একসময় লেখা শুকোনোর বালা করার করা হত পরেই কাজ হ ব্লটিং পেপারে।
৭৩|’লাল নীল দু-রকম বড়িই পাওয়া যেত।- की কাজে লাগত?
উত্তর:-লেখকেরা কাচের দোয়াতে এই লাল কিংবা নীল কালি ট্যাবলেট বা বড়িগুলি দিয়ে কালি তৈরি করতেন।
৭৪|’হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’-এ বর্ণিত সবচেয়ে দামি কলমটির কত দাম?
উত্তর:-প্রাবন্ধিক শ্রীপাশ্বের হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে সবচেয়ে দামি কলমটির দাম ধার্য হয়েছিল আড়াই হাজার পাউন্ড। এখনকার বাজারদরে এক পাউন্ড সমান পঁচাত্তর টাকা হিসেবে ভারতীয় মুদ্রায় এক লক্ষ সাতাশি হাজার পাঁচশো টাকা।
৭৫| ‘একসময় বলা হতো’- কী বলা হত।
উত্তর:-লেখক শ্রীপাশ্বের মতে একসময় বলা হত, ‘কলমে কায়স্থ চিনি, গোঁফেতে রাজপুত।’
৭৬|কালিকে দীর্ঘস্থায়ী করার পদ্মশ্চতটি কী ছিল?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধ অনুসারে পাথরের বাটিতে রাখা ভুষো কালি গোলা কালো জলে হরীতকী ঘষে কিংবা আতপ চাল ভেজে পুড়িয়ে তা বেটে মিশিয়ে কালিকে দীর্ঘস্থায়ী করা হত।
৭৭|’আমরা ফেরার পথে কোনও পুকুরে তা ফেলে দিয়ে আসতাম’- বক্তা কেন তা পুকুরে ফেলে দিতেন?
উত্তর:-‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ রচনা অনুসারে লেখকেরা ছোটোবেলায় ‘হোম-টাস্ক’ করতেন কলাপাতায়। স্কুলে মাস্টারমশাই তা দেখে ছিঁড়ে ফেরত দিলে, পড়ুয়ারা সেগুলিকে পুকুরে ফেলে দিয়ে আসত। কারণ গোবুকে অক্ষর খাওয়ানো পাপ, তাই অমঙ্গালের হাত থেকে রক্ষা পেতেই এমন ব্যবস্থা।